Header Ads

স্বামীর পরাজয়


সেটা একটা শনিবার ছিল। আমার বউ পরিনিতা, আমি আর আমার বড় মেয়ে নুপুর কোলকাতার ‘এসি মার্কেট’ বলে একটা মলে কেনাকাটা করছিলাম। আমরা প্রতিমাসের একদিন সংসারের যাবতীয় কেনাকাটা একসঙ্গে সেরে ফেলতাম। আসলে একসঙ্গে অনেক জিনিস কিনলে মলে অনেক ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়তো, তাই।
পরিনিতা নিজেই কিছু জিনিস পছন্দ করে কিনছিল আর আমি একটু দূরে দাঁড়িয়ে নুপুরকে কোলে নিয়ে এদিক ওদিক বিভিন্ন জিনিসের সম্ভার দেখছিলাম।হঠাৎ আমার মনে হল একজনকে যেন খুব চেনা চেনা লাগছে। একটু কাছে আসতেই ছয় ফুটের ওপর লম্বা অনেকটা ফ্যাশান মডেলের মত দেখতে লোকটাকে চিনতে পারলাম। আমার বস ববি রায়।আমি এগিয়ে গিয়ে ববি কে ডাকলাম। -“স্যার আপনি এখানে”?
– “আরে সঞ্জিব!তুমি এখানে কি করছো? তোমার তো এখন অফিসে থাকার কথা”।
– “আসলে স্যার… আজকে আমি একটু তাড়াতাড়ি অফিস থেকে বেরিয়েছি। আমি আর আমার বউ পরিনিতা দুজনে মিলে এখানে এসেছি।আমাদের একটু কেনাকাটা করার ছিল”।
– “তোমার কোলে এই কি তোমার মেয়ে”?
– “হ্যাঁ, ও আমার বড় মেয়ে”।
-“বেশ মিষ্টি দেখতে হয়েছে তো, কত বয়েস হল ওর?” নুপুরের গাল টিপে আদর করে ববি রায় জিগ্যেস করলো।
-“এই তো এই বছরে পাঁচে পরলো, সামনের বছর ক্লাস ওয়ান হবে”।
-বাঃ বাঃ বেশ বেশ। তা তোমার ছোটো মেয়ের বয়েস কত হল? কি নাম রেখেছো ওর? ও কি বাড়িতে?
-“ওর তো সবে দেড় বছর বয়েস হল, ওর নাম রেখেছি টুপুর, ওকে আমার দাদা বউদির কাছে রেখে এসেছি, ওদের কাছেই তো থাকে বেশির ভাগ সময় ।ঠিক তখনই দেখলাম আমার বউ পরিনিতা সামনের দোকানটা থেকে কেনাকাটা সেরে আমাদের দিকেই আসছে।
পরিনিতা আমার কাছে আসতেই ববি বলে উঠলো – “ও এই বুঝি তোমার বউ পরিনিতা”। আমি বললাম –“হ্যাঁ”। ববি স্মার্টলি পরিনিতার দিকে হাত বাড়িয়ে দিল।আমি বললাম –“পরিনিতা পরিচয় করিয়ে দি।
ইনি হলেন আমার বস মিস্টার ববি রায়”।
পরিনিতা হেঁসে ববির সাথে হাত মেলালো। পরিনিতা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া মেয়ে বলে বেশ স্মার্ট। ও হেঁসে বললো –“ও আপনি মিস্টার রায়, ওর কাছে আপনার কথা অনেক শুনেছি। গ্ল্যাড টু মিট ইউ স্যার”।
খুব পোলাইটলি অল্প একটু হাত ঝাঁকিয়ে ববি বললো –“নাইস টু মিট ইউ টু পরিনিতা। আমার মনে হচ্ছে আমাদের আজকেই প্রথম দেখা হল। আশা করছি সঞ্জিব যখন আমার সম্বন্ধে কথা বলে তখন নিশ্চই গালাগালি টালাগালি না দিয়েই বলে”। আমি আর পরিনিতা দুজনেই ববির কথা শুনে হেঁসে ফেললাম।
ববি রায় আসলে আমার কম্পানি ফিউচার মিডিয়ার মালিক আর প্রেসিডেন্ট প্রদীপ রায় এর একমাত্র ছেলে। ও আগে মুম্বাইতে আমাদের হেড অফিসে বসতো।
কোম্পানি এখন ঠিক করেছে তাদের ভাইস প্রেসিডেন্টদের হেড অফিসে না রেখে মেজর ব্রাঞ্চ অফিস গুলোতে পাঠাবে। এতে করে তারা ব্রাঞ্চ অফিস গুলোর সেলস ডেভলপমেন্ট এর কাজ ছাড়াও এ্যাডমিনিসট্রেসন ও দেখতে পারবে। সেই মত ববি কোলকাতাতে বদলি হয়ে আসে।
প্রথম যখন ওর সাথে দেখা হয়ে ছিল তখন ওকে আমার ফ্রেন্ডলি বলেই মনে হয়ে ছিল।
অবশ্য কম্পানির মেয়েদের কাছে ও একবারে হট ফেবারিট। মেয়েরা ওর সব কিছুই দারুন ভাল দেখে। তাদের মতে কোলকাতা অফিসের হাল ওর হাতে পরে দুদিনে ফিরে যাবে। কম্পানির সেলস ডেভলপমেন্টের ব্যাপারে ওর আইডিয়া গুলো নাকি অসাধারন। হবেইনা বা কেন? ওরকম লম্বা চওড়া বেক্তিত্ব সম্পন্ন সুপুরুষ ছেলে দেখলে মেয়েদের নাল পড়া অস্বাভবিক কিছু নয়।

আমি ববির সাথে দু একটা কথা বলতে লাগলাম। পরিনিতা আমার কোল থেকে নুপুরকে নিয়ে তার বদলে আমার হাতে ওর হাতের ব্যাগ দুটো ধরিয়ে দিল। ববির সাথে কথা বলতে বলতে হঠাৎ যেন মনে হল ববি আড় চোখে এক পলকে টুক করে কি যেন একটা দেখে নিল।
আমি পাশে তাকিয়ে দেখি নুপুরের একপাটি জুতো খুলে গেছে বলে পরিনিতা ওকে মাটিতে দাঁড় করিয়ে ওর পায়ের কাছে উবু হয়ে বসে ওর জুতোর ফিতে বাঁধছে।ফিতে বাধতে গিয়ে ওর খেয়াল নেই যে অজান্তে কখন ওর বুকের আঁচল খসে পরেছে।
সেদিন পরিনিতা একটা লো কাট কাল রঙের ব্লাউজ পরে এসেছিল। উবু হয়ে বসায় ব্লাউজের ওপর দিয়ে ওর পুরুষ্টু মাই দুটোর অনেকটাই দেখা যাচ্ছিল। ববি কি তাহলে এক পলকে ওর মাই দুটো দেখে নিল?আমি নিশ্চিত নই কারন আমাদের পাশ দিয়ে অনেকেই হেঁটে যাচ্ছিল, ববি তাদের কাউর দিকেও তাকাতে পারে।
আর ও যদি পরিনিতার বুকের দিকে তাকিয়েও থাকে তাহলেও সেটা এমন কিছু অপরাধ নয়। একজন পুরুষ মানুষ হিসেবে আমি জানি এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক।আমি সুযোগ পেলে আমিও কি কারুরটা দেখতে ছাড়ি নাকি? তাছাড়া আমার ছোট মেয়ে টুপুর হবার পর পরিনিতা নিজের মাই দুটোর সাইজ যা বানিয়েছে তাতে করে এক বার চোখ পরলে চোখ ফেরানো মুস্কিল। যাই হোক কিছুক্খন বোকাবোকা ভদ্র কথাবার্তার পর ববি অন্য দিকে চলে গেল, আর আমরা আমাদের রাস্তায়।
যেতে যেতে পরিনিতা হঠাৎ বললো –“মিস্টার রায়ের কথাবাত্রা কিন্তু খুব সাধারন আর ফ্রেন্ডলি না? দেখে বোঝা যায়না অতো পয়সার মালিক”। আমি ঘাড় নাড়লাম।
-“আচ্ছা উনি আমাদের সঙ্গে এত গল্প করলেন, ওনাকে একবার আমাদের বাড়িতে আসার কথা বলা উচিত ছিল না গো”?
-“দেখ পরিনিতা ববি ফ্রেন্ডলি হলেও খুব প্রফেশনাল। আমার মনে হয় ও আমাদের মধ্যেকার রিলেসানটা প্রফেশনালই রাখতে চাইবে। ওকে বাড়িতে আসতে বোললে বা খেতে নেমন্তন্ন করলে ও খুব অসুবিধাতে পরে যেত”।
-“তা কেন? কেউ কি নিজের বস কে বাড়িতে নেমন্তন্ন করেনা”?
– “দেখ আমার মনে হয় না বলাই ভাল হয়েছে। বললে ও আসতোনা”।
-“কেন”?
-“দেখ উনি আমাদের বাড়িতে খেতে এসেছেন এই ব্যাপারটা আমার মত আমাদের অফিসের অন্য সব সেলস এক্সিকিউটিভরা জানলে ব্যাপারটা কিরকম হত বল? এসব ব্যাপারে বসেদের খুব সাবধানে চলতে হয়”।
-“কে কি ভাববে তার দায় আমরা নেব কেন সঞ্জিব? আর নেমন্তন্ন করলে দোষ কি ছিল? উনি আসলে আসতেন না আসলে না আসতেন সেটা ওঁর ব্যাপার”।
-“হ্যাঁ, কিন্তু উনি অস্বস্তিতে তো পড়তেন”।
-“আমার তা মনে হয় না । উনি ঠিক সামলে নিতেন। ওনাকে অসম্ভব স্মার্ট বলে মনে হল আমার। আর কি সুন্দর কথা বলতে পারেন উনি”।
-“দেখ পরিনিতা আমি মনে করি বসের সাথে বন্ধুত্বের একটা সীমানা রাখা অত্যন্ত দরকারি”।
-“ঠিক আছে, ঠিক আছে, চল ওঁকে বাড়িতে নেমন্তন্ন করার ব্যাপারটা ভুলে আমরা একটা রেস্স্টুরেন্টের দিকে যাই। আমার খুব খিদে পেয়েছে”।
পরিনিতার সাথে রেস্স্টুরেন্টের দিকে হাঁটতে হাঁটতে ভাবছিলাম এই ববি আমাদের অফিসে মাস পাঁচেক হল বদলি হয়ে এসেছে, এই কমাসে ওর সাথে কাজ করতে করতে আমার বেশ বন্ধুত্ত মত হয়ে গেছে।

ববি আমাকে এখনো পর্যন্ত বেশ স্বাধীনভাবেই কাজ করতে দিয়েছে। যদিও ওর কাজ প্রত্যেকের কাজের ওপর নজরদারি করা তবুও ও এই কমাসে সেলস ডেভলপমেন্টের ওপর নিজের আইডিয়া নিয়ে নিজেই খেটেছে। অল্প যা একটু খবরদারি করেছে তা অন্য দুএক জনের ওপর। আমাকে নিয়ে সত্যি বলতে কি একবারেই মাথা ঘামায়নি ও।
ববির সাথে মলে দেখা হওয়ার চার পাঁচদিন পর একদিন হঠাৎ ববির চেম্বার থেকে একটা ফোন কল পেলাম আমার ডেস্কে। ববির ফোন। ও বললো
–“সঞ্জিব তোমার দুয়েকজন ক্লায়েন্টের কাছ থেকে একটা ব্যাপার জানতে পারলাম।ওদের কিছু অভিযোগ আছে তোমার সার্ভিস নিয়ে”।
-“কি বলছো তুমি ববি? আমার ক্লায়েন্ট আর আমি জানবোনা তাদের অভিযোগ আছে”?
-“হ্যাঁ ব্যাপারটাতো সেরকমই মনে হচ্ছে। এদের মধ্যে একজন ক্লায়েন্টের অভিযোগ বেশ গুরুতর।সে বলছে তুমি নাকি ওদের কাছে মার্কেটিং করার সময় যেসব সার্ভিস দেবে বলেছিলে, কনট্র্যাক্ট পেপারে তার উল্লেখ না করেই ওদের কাছে সাইন করতে পাঠিয়েছো”।
-“হতেই পারেনা।আমি এরকম ভুল কোনদিন করিনি ববি। ক্লায়েন্টের নাম বলতো কে? আমি এখুনি ফোন করে কথা বলে ব্যাপারটা দেখে নিচ্ছি। এটা নিশ্চই ওদেরই ভুল”।
-“তার দরকার নেই সঞ্জিব। আমি ব্যাপারটা সালটে নিয়েছি। তবে এবার থেকে তোমার ক্লায়েন্টদের কনট্র্যাক্ট পেপার পাঠাবার আগে আমার কাছে একবার পাঠাবে, আমি আগে পড়ে দেখবো”।
-“কিন্তু ববি”?
-“দেখ তোমার কাজের ব্যাপারে নাক গলাবার কোন উদ্দেশ্য আমার নেই। কিন্তু তুমি কনট্র্যাক্ট পেপারে কোন ভুল করলে তার থেকে কম্পানির বদনাম হবে তাই আমাকে দেখতেই হবে ওগুলো”।
-“কিন্তু ববি একটা জিনিস বুঝতে পারলামনা আমার ওই ক্লায়েন্ট আমাকে না ফোন করে তোমাকে ফোন করলো কেন”?
-“ওরা রিশেপসানে ফোন করে তোমাকে মেসেজ দিতে বলেছিল কারন তুমি অফিসের বাইরে ছিলে আর তোমার মোবাইল আনরিচেবল ছিল। আমি তখন রিশেপসানে প্রেজেন্ট ছিলাম বলে কোনভাবে ব্যাপারটা জানতে পারি”।
আমি আর তর্ক বারালাম না কারন আমি বুঝতে পারলাম ববি আমার কনট্র্যাক্ট পেপারগুলো দেখার ব্যাপারে ওর ডিসিশন নিয়ে ফেলেছে।
-“থাঙ্কস ববি আমাকে হেল্প করার জন্য”।
এই বলে ববির ফোন ছাড়লাম আমি । প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলাম তখন। আমার ক্লায়েন্টরা আমার সার্ভিস নিয়ে কমপ্লেন করেছে এটা আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারছিলামনা। আমার সাথে আমার ক্লায়েন্টদের সম্পর্ক চিরকালই মধুর থাকে।
ক্লায়েন্ট তো দুর অফিসের কাউর সাথেই আমার কোন খারাপ সম্পর্ক নেই। ক্লায়েন্টদের সাথে অসম্ভব ভাল রিলেসনই আমার সবচেয়ে বড় প্লাসপয়েন্ট। তাহলে কেন এমন হল?
ববি কিছুতেই আমাকে সেই ক্লায়েন্টের নাম বললোনা কারন ও বোধহয় ভাবলো ক্লায়েন্টের নাম বললে আমি ভবিশ্যতে তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে শোধ তুলতে পারি। সবচেয়ে খারাপ ব্যাপার হল ববি এবার থেকে সব ব্যাপারে আমার কাজ সন্দেহের চোখে দেখবে, আর আমার প্রত্যেকটি ব্যাপারে নাক গলাবে।
সেদিন রাতে বাড়ি ফেরার পর চান করে একটু ফ্রেশ হয়ে বাথরুম থেকে বেরচ্ছি এমন সময় পরিনিতা আমাকে জিজ্ঞেস করলো
–“কিগো অফিসে কিছু ঝামেলা হয়েছে”?পরিনিতা সোফায় বসে টুপুর মানে আমার ছোটো মেয়েটাকে কোলে নিয়ে বুকের দুধ দিচ্ছিল। আমি ওর দিকে ফিরে বললাম
–“হ্যাঁ আজকের দিনটা আমার একটু খারাপ গেছে। কিন্তু তুমি কি করে জানলে”?
-“তোমার মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে কিছু একটা হয়েছে।তুমি অফিস থেকে ফেরা ইস্তক দেখছি তোমার মুখটা রাগে থমথম করছে”।

আমি পরিনিতাকে খুলে বললাম কি ঘটনা ঘটেছে। কিভাবে ববি রিশেপসানে আমার ক্লায়েন্টদের দেওয়া মেসেজকে কমপ্লেন হিসেবে ধরে নিয়ে আমাকে না জানিয়ে নিজে তাদের সঙ্গে কথা বলেছে।
-“তারপর কি হল? ববি কমপ্লেন গুলো সামলালো কি করে”?
-“বললামনা ওগুলো ঠিক কমপ্লেন ছিলনা। ওরা ওদের সাথে আমাদের কনট্রাক্টের কতগুলো বিষয়ে জাস্ট একটা এক্সপ্ল্যানেসান চেয়েছিল। আমি সেই সময় অফিসে ছিলামনা আর আমার মোবাইল কোন ভাবে আনরিচেবল হয়ে গিয়েছিল। ক্লায়েন্টরা আমাকে ফোনে না পেয়ে রিসেপসানে ফোন করে আমার জন্য মেসেজ দেয়।
ববি সেই সময় দুর্ভাগ্যবসতো কোনভাবে ওখানে উপস্থিত হয়। ও মেসেজ গুলোকে কমপ্লেন হিসেবে ধরে নিয়ে আমাকে কোন ব্যাবস্থা নেবার সুযোগ না দিয়ে, আমাকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে,নিজেই ওদের সাথে কথা বলে ব্যাপারটা সালটেছে।
আমি তো বুঝতেই পারছিনা আমার কিভাবে এমন ভুল হতে পারে। কনট্রাক্ট পেপার পাঠানোর আগে আমি বারবার পেপারটা মিলিয়ে দেখেনি যে কোন ভুল হয়েছে কিনা। এই ঘটনার পর ববি এখন চাইছে যে আমি আমার সমস্ত কনট্রাক্ট পেপার ক্লায়েন্টকে পাঠাবার আগে একবার ওকে দিয়ে চেক করিয়ে নিই”।
-“দেখ সঞ্জিব তোমার ভুল হওয়া তো অসম্ভব কিছু নয়, তুমিও তো মানুষ। আর মানুষ মাত্রেই ভুল হতে পারে”।
-“হ্যাঁ ভুল আমার হতে পারে। কিন্তু এর আগে এরকম ভুলতো আমি আগে কখনো করিনি। আর এক সপ্তাহে পরপর দুদুটো এরকম সিলি মিস্টেক আমি কিভাবে করতে পারি? না আমার ঠিক বিশ্বাস হচ্ছেনা ব্যাপারটা”।
-“দেখ দুটো ভুল হওয়াও তো অসম্ভব কিছু নয়।আমার মনে হচ্ছে মিস্টার রায় তোমার কনট্রাক্ট পেপারগুলো কাউকে পাঠানোর আগে নিজে চেক করায় তোমার ভালই হবে। ও ঠিকই ডিশিসান নিয়েছে”।
পরিনিতার মুখে এই কথা শুনে ফট করে মেজাজটা গরম হয়ে গেল আমার।
-“কার হয়ে কথা বলছো তুমি পরিনিতা? তুমি কি আমার বউ না ববির বউ”?
-“অবশ্যই তোমার হয়ে বলছি সঞ্জিব। কিন্তু আমি মনে করি যে তোমার সমস্ত কনট্রাক্ট পেপার ক্লায়েন্টদের কাছে পাঠানোর আগে মিস্টার রায় যদি একবার চেক করে নেয় তাহলে তাতে তোমার কোন অসুবিধে থাকার কথা নয়। মিস্টার রায়তো ওর কম্পানির ভাল চাইবেই সঞ্জিব। ওতো চাইবেই যে তুমি অজান্তেও যেন কোন ভুল না করে ফেল”।
-“আমি আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি তোমার কথায় পরিনিতা। এত বছর ধরে তো এই সব ক্লায়েন্টদের আমি একাই সামলেছি। আমার তো কখনো কোন ভুল হয়নি। তাহলে তুমি কেন এখন ভাবছো যে আমার ববির সাহাজ্যের দরকার আছে?”
-“ওঃ সঞ্জিব তুমি মাঝে মাঝে এতো ছেলেমানুষী করোনা যে কি বলবো। আমি তো জানি আমার স্বামীটা সেলস একজিকিউটিভ হিসেবে অফিসে সবার থেকে সেরা।
আমি শুধু মনে করছি তোমার মিস্টার রায়ের কথা মেনে নেওয়াই উচিত কারন আর কিছুনা হোক এতে করে মিস্টার রায় তোমার ওপর অজথা চটে যাবেন না বা তোমার বাকি কাজে নাক গলাবেননা”।
পরিনিতা আমাকে পুরোপুরি সাপোর্ট না করায় আমি ভেতর ভেতর ভীষণ অসন্তুষ্ট হয়ে পরলেও ওর কথার যুক্তি আমি বুঝতে পেরেছিলাম। স্পষ্টতই পরিনিতা ব্যাপারটা আমার থেকে অনেক নিরপেক্ষভাবে দেখছিল। ওর যুক্তি ও অগ্রাহ্য করার মত ছিলনা।

হয়তো ধনী সুপুরুষ এই ববিকে আমি মন থেকে খুব একটা পছন্দ করতামনা বলে এই ব্যাপারটায় একটু বেশিই তেতেছিলাম।তবে একটা কথা মনে হল সেদিন মলে ববির সাথে দেখা হওয়ার পর ববির ভদ্র এবং চৌখস কথাবাত্রা তে পরিনিতা হয়তো ভেতর ভেতর বেশ অভিভূত হয়ে পরেছে। তাই ও হয়তো ভাবছে কম্পানির মালিকের ছেলে, কত স্মার্ট, ও কি না বুঝেই এই ডিসিশন নিয়েছে নাকি?
নিশ্চই সঞ্জিবের কোন নেগ্লিজেন্সি দেখেছে ও, তাই এরকম বলেছে। এই কথাটা মনে হওয়ার পর থেকেই সেদিন বুকের ভেতরটা কি রকম যেন জ্বালা জ্বালা করতে শুরু করেছিল আমার।
পরের প্রায় একমাস আমি ববির কথা মতন আমার সমস্ত কনট্রাক্ট পেপার যেগুলো ওই মাসে বিভিন্ন ক্লায়েন্টদের কাছে যাবার ছিল সেগুলোকে পাঠাবার আগে ববির কাছে ফাইনাল চেক করতে পাঠালাম । যথারিতি কোন সমস্যা ছিলনা ওগুলোতে । মাসের শেষ নাগাদ আবার ববি আমাকে ওর চেম্বারে ডাকলো ।
-“সঞ্জিব আমি এখন তোমার কাজে মোটামুটি ভাবে খুশি । তুমি যেভাবে তোমার কাজ করছ আর তোমার ক্লায়েন্টদের সামলাচ্ছ তাতে আমার আর অসন্তুষ্ট হবার কোন কারন নেই । তোমার ক্লায়েন্টদের নিয়ে যা সমস্যা ছিল মনে হচ্ছে সেগুলো মিটে গেছে । এখন আর কারুর কোন সমস্যা নেই”।
-“একটা কথা বলি ববি কিছু মনে করোনা, আমার কিন্তু কোনদিনই মনে হয়নি যে আমার ক্লায়েন্টদের সত্যি সত্যি মেজর কোন অভিযোগ বা সমস্যা ছিল”।
আমার কথা শুনে প্রচণ্ড একটা বিরক্তির ভাব ফুটে উঠলো ববির মুখে । আমার মনে হল এই ধরনের কথা বোধহয় না বললেই ভাল হত।
-“দেখ সঞ্জিব আমি তোমাকে আমার চেম্বারে ডেকেছি এই বলতে যে তোমাকে আর তোমার সমস্ত কনট্রাক্ট পেপার পাঠাবার আগে আমার কাছে পাঠানোর দরকার নেই।কিন্তু আমি চাই এখন থেকে তুমি যে সমস্ত নতুন ক্লায়েন্টদের নিয়ে কাজ করছো তাদের ব্যাপারে আমাকে ইনভল্ব কর”।
-“জানতে পারি কেন”?
-“দেখ আমরা ম্যানেজমেন্ট থেকে ঠিক করেছি আমাদের বিজনেসের ওপর আমাদের মানে ম্যানেজমেন্টের আরো কন্ট্রোল থাকা উচিত । তাই এখন থেকে আমি আমাদের অফিসের সমস্ত বড় বড় কনট্রাক্টের ব্যাপারে নিজেকে ইনভল্ব রাখতে চাই । আমাকে দেখতে হবে যে আমাদের সমস্ত ক্লায়েন্টরা আমাদের কাছ থেকে একদম সঠিক সার্ভিস পাচ্ছে কিনা”?
-“হ্যাঁ কিন্তু অফিসে তো আমার মত আরো সেলস ম্যানেজার আছে শুধু আমাকেই বা আতস কঁচের তলায় ফেলা হচ্ছে কেন”?
-“সঞ্জিব শুধু তুমি নও, আমি সমস্ত সেলস ম্যানেজারদের কাজই এখন থেকে মনিটরিং করবো। তোমার এতে চিন্তিত হবার কোন কারন নেই। এতে করে আমার নিজের কাজই শুধু বাড়বে তোমার কোন অসুবিধে হবেনা । আর মনে কোরোনা আমি তোমার কাজে নাক গলাতে চাইছি ।এটা একটা ম্যানেজমেন্ট ডিসিশান”।
রাতে বাড়ি ফেরার পর অনেকটা আগের দিনের মতই পরিনিতা দরজা খুলে আমার মুখ দেখেই বুঝতে পারলো যে আবার অফিসে কিছু একটা ঘটেছে। ফলস্বরূপ আমাকে সব ওকে খুলে বলতে হল যে ববি আমাকে ওর চেম্বারে ডেকে কি কি বলেছে আর কি কারনে আমার মাথা এখোনো রাগে গন গন করছে ।
-“সঞ্জিব তুমি কিন্তু বড় বেশি টেনশন নিচ্ছ ব্যাপারটায়।অফিস তো আর বাড়ি নয়, সেখানে অনেক সময়ই এই ধরনের ঘটনা ঘটে ।সেটা মেনে নেওয়াই ভাল।তবে তুমি যদি রাগ না কর তাহলে বলি আমার কিন্তু মনে হয় মিস্টার রায় তোমার ওপর ছড়ি ঘোরাতে চাইছেননা, উনি তোমার কাজে তোমাকে সাহায্যই করতে চাইছেন।
পরিনিতা সম্পূর্ণ ঠিক কথা বলেছে বুঝতে পারলেও আমি কিন্তু মনে মনে বেশ একটু অসন্তুষ্টই হলাম।আমি ভেবেছিলাম অন্যসব বাপারের মত পরিনিতা আমাকে সাপোর্ট করবে, আমার পাশে দাঁড়াবে, বলবে হ্যাঁ ববি সত্যিই বাড়াবাড়ি করছে ব্যাপারটা নিয়ে।

আশ্চর্যজনক ভাবে ববির সব কাজেই আজকাল ও ববিকে সাপোর্ট করা শুরু করেছে ।এইটা মাথায় আসতেই রাগ আরো বেড়ে গেল আমার ।পরিনিতার উচিত ছিল আমার সাথে আজ এগ্রি করা যে আমার মত যোগ্য সিনিয়ার এমপ্লয়ীকে একটু স্বাধীনভাবেই আজ করতে দেওয়া উচিত, ও এইভাবে আমার সব কাজে নাক গলালে হিতে বিপরীত হয়ে যখন কম্পানির সেলস ফল করবে তখন বুঝবে কত ধানে কত চাল।
পরিনিতা এর আগে সব ব্যাপারে আমাকে সাপোর্ট করলেও আজ কেন এমন করছে বুঝলামনা ।
এর প্রায় দুমাস পর এমন একটা ঘটনা ঘটলো যে আমার মনে হল কিছু একটা ব্যাপার নিশ্চই আছে। আমি আর পরিনিতা এক রাতে আমার এক অফিস কলিগের বাড়িতে তার একটা বার্থডে পার্টি অ্যাটেন্ড করতে গেছিলাম।
এমনিতে টুপুর হবার পর পরিনিতাকে পার্টিতে যাওয়া একরকম প্রায় বন্ধ করে দিতে হয়েছিল ।যদিও আমরা চাইলে আমার বড় মেয়ে নুপুরের মত আমরা টুপুরকেও আমাদের দাদা বউদির কাছে রেখে বেরতে পারতাম।
ওঁদের ফ্ল্যাটটা আমাদের ফ্ল্যাটের একবারে তলায় ।আমরা দুই ভাই একসাথেই ফ্ল্যাট কিনেছিলাম ।দাদা বউদির কোন সন্তান নেই।নুপুরতো একরকম ওদের কাছেই মানুষ হচ্ছে ।লোকে দেখে ভাবে নুপুর আমার নয় ওদেরই সন্তান ।নুপুরকে পেয়ে ওরা যেন নতুন করে বাঁচার রসদ পেয়ে গেছে ।আর টুপুর হবার পরতো ওদের আনন্দ প্রায় দিগুন হয়ে গেছে ।সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই দুজনকে নিয়েই সময় কাটে ওদের।
কিন্তু দাদা সবে রিটায়ার করেছেন আর বউদিরও বয়েস হচ্ছে।পাঁচ বছরের নুপুরকে সামলানো আর দেড় বছরের বাচ্চা সামলানো তো আর এক কথা নয় ।তাই আমরা একটা দিন রাতের আয়া খুঁজছিলাম।
দাদা বউদি বলেছিলেন কি দরকার খরচ বাড়ানোর আমারা তো আছি ।কিন্তু আমি পরিনিতাকে বললাম দেখ একটা দিন রাতের আয়া পেলে তোমাদের সকলেরই একটু রিলিফ হয়ে যাবে।
অনেক খোঁজার পর দুদিন আগে একটা দিন রাতের আয়া পেয়ে গিয়েছিলাম আমরা। ভদ্রমহিলার বয়েস প্রায় পঞ্চাশ পঞ্চান্ন হবে কিন্তু খুব কাজের আর বাচ্চা সামলাতে একবারে এক্সপার্ট। ওদের হাতে নুপুর টুপুর কে ছেড়ে অনেক দিন পর পার্টিটা অ্যাটেন্ড করতে পেরেছিলাম আমরা।
যাই হোক সেদিন পার্টিতে রাত প্রায় বারটা বেজে গিয়েছিল ।আমার পরের দিন অফিস ছিল বলে আমি একটু তাড়াতাড়ি কেটে পরার তাল করছিলাম ।হাতে একটা হার্ড ড্রিংকের গ্লাস নিয়ে এদিক ওদিক উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরছিলাম পার্টির মধ্যে। ভাবছিলাম ভিড় একটু পাতলা হলেই টুক করে সরে পড়তে হবে ।রাত সাড়ে বারটা নাগাদ ভিড় একটু পাতলা হতেই ভাবলাম পরিনিতাকে গিয়ে বলি চল এবার আস্তে আস্তে সরে পরি ।পরিনিতাকে প্রথমে খুঁজে পাচ্ছিলামনা।
তারপর দেখলাম ও গার্ডেনে আমার এক অফিস কলিগের বউ নিশার সাথে গল্প করছে ।আমি সোজা ওর দিকে এগিয়ে গেলাম।গার্ডেনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে এক একটা ছোটো ছোটো জটলাতে জোর আড্ডা আর পরনিন্দা আর পরচর্চা চলছে।
পুরো গার্ডেনটাই আলো দিয়ে ভীষণ সুন্দর করে সাজানো ।ভিড় একটু পাতলা হয়ে গেলেও এখনো অনেক লোক ছিল পার্টিতে।পরিনিতা আর নিশা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে গল্প করছিল।
ওদের পেছনটা আমার দিকে থাকায় ওরা আমাকে দেখতে পায়নি ।তাছাড়া ওরা এত মগ্ন হয়ে গল্প আর হাঁসাহাসি করে যাচ্ছিল যে চারপাশে কি হচ্ছে সেই ব্যাপারে ওদের কোন হুঁস ছিলনা ।কি এত গল্প করছে ওরা?
এমনিতে নিশা মুখে প্রকাশ না করলেও পরিনিতাকে মনে মনে বেশ হিংসা করে ।কারন অনেকটা বিদ্যা বালানের মত দেখতে সুন্দরী আমার বউকে ওর বর মানে আমার কলিগ খুব পছন্দ করে।পরিনিতার রান্না, ওর ঘর সাজান, সব কিছুই তার খুব পছন্দ ।পরিনিতাকে দেখতে পেলেই ও পরিনিতার সাথে খুনসুটি শুরু করে ।আজও করেছে।
নিশাও দেখতে খুব সুন্দরী। কিন্তু সুন্দরী হলেও আমি কিন্তু ওকে একদম পছন্দ করিনা ।এর কারন ওর স্বভাব চরিত্র খুব একটা ভাল নয় আর ও যা মুখে আসে তাই বলে দেয়।নিশার মুখের কোন বাঁধন নেই ।এমন কি গুরু লঘু কোন জ্ঞানও নেই।ওর কথা বলার স্টাইল অনেকটা ষোল সতেরো বছরের ডেঁপো ছেলেদের মতন।
আমি পরিনিতাকে ডাকতে যাব এমন সময় ওদের একটা কথা আমার কানে এল ।কথাটা শুনে আমি ফ্রিজ হয়ে গেলাম ।এসব কি বলছে ওরা ?ওদের ডিস্টার্ব না করে টুক করে ওদের পেছনে একটা ছোট জটলার পাশে এমন ভাবে দাঁড়ালাম যাতে ওদের সব কথা শুনতে পেলেও ওরা আমাকে দেখতে না পারে।নিশা বললো
-“বুঝতেই পারছি লোকটাকে তোর খুব মনে ধরেছে”।
এই বলে নিশা পরিনিতার হাতে ছোটো করে একটা খিমচি কেটে দিল।
-“ধুত বাজে বকিসনা তো।ওফ সত্যি তোকে কোন কথা বলা নয়।বললেই শুরু হয়ে যাবি”।
কোন লোকটার কথা বলছে ওরা? আমি একটু এদিক ওদিক তাকিয়ে খুঁজতে চেষ্টা করলাম কিন্তু পেলামনা।
-“মিথ্যে বলিসনা তুই পরিনিতা, তুই যখন ওর কথা বলছিলি তখন তোর মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল যে তুই লোকটার প্রেমে পরেছিস”।
-“কি যে আজে বাজে কথা বলিসনা তুই।জানিস সঞ্জিব ওকে একদম দেখতে পারেনা”।
-“আমি সঞ্জিব কে দোষ দিতে পারিনা।বিশেষ করে আমার বউ যদি আমার বসের প্রেমে পড়তো তাহলে আমিও তাকে দুচোখে দেখতে পারতামনা”।
-“আবার বাজে কথা বলছিস?
আমি মোটেই মিস্টার রায়ের প্রেমে পরিনি”।
-“পরেছিস বাবা পরেছিস। ওর মত সেক্সি আর হ্যান্ডসাম দেখতে পুরুষের প্রেমে কেই বা না পরে?তোর কোন দোষ নেই এতে।এটা স্বাভাবিক”।
-“তুই বড্ড বাজে ইয়ার্কি করিস নিশা ।প্রায় দশ বছর হয়ে গেল আমার আর সঞ্জিবের বিয়ের আর আমি এখন প্রেমে পরবো ।আমি কি পাগল”?
-“কেন বিয়ে করলে প্রেমে পরা যায়না বুঝি।প্রেমে পববি, লাগাবি, বুকের দুধ খাওয়াবি, সব করতে পাববি ।শুধু তোর বর না জানলেই হল ।হিহিহিহি”
-“ধ্যাত বাজে বকিসনা তো।তুই গিয়ে দুধ খাওয়াগে যা ।যত সব নোংরা নোংরা কথা তোর”।
-“কেন এতে নোংরার কি আছে? আমিও খাওয়াই তো।আমার বুকের দুধ তো বাড়ির সকলেই খায়।বাচ্চা খায়, বাচ্ছার বাবা খায়, বাচ্ছার কাকা খায় । আমার সাথে আমার দেওরের ইন্টুমিন্টুর ব্যাপারটাতো তুই জানিস।যাকে বলে একবারে ফুল ফ্যামিলি নরিসমেন্ট এর দায়িত্ব আমার ওপর হি হি হি”।
-“ইশ নিশা তুইনা ।আমি শুধু বললাম মিস্টার রায় খুব স্মার্ট, ওঁকে দেখতে খুব হ্যান্ডসাম আর সেক্সি।আর তুই কি কথা থেকে কি কথা শুরু করলি ।নাঃ আজ আর তোর সঙ্গে মস্করা করে আমার কাজ নেই।চল অনেক রাত হয়েছে, তাড়াতাড়ি বাড়ি যেতে হবে, কাল সঞ্জিবের অফিস আছে”।
আমি চট করে সরে পরলাম ওখান থেকে।রাতে গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফেরার সময় আমি মনে মনে ভাবছিলাম কি আশ্চর্য এই মেয়ে মানুষের মন।সেদিন মলে মাত্র পাঁচ মিনিট কথা বলেছে ববি আমাদের সঙ্গে, আর এর মধ্যেই পরিনিতার মত কনজারভেটিভ মেয়ের ওকে শুধু হান্ডসাম আর সেক্সিই নয় ভীষণ স্মার্টও মনে হল।
“স্ট্রেন্জ”ভাবলাম আমি।
তারপরেই গত কয়েকদিনের ঘটনার কথা এক এক করে মনে পরতে থাকলো আমার।মনে পরলো কিভাবে পরিনিতা গত কয়েক মাস ধরেই সব ব্যাপারেই ববিকে সমর্থন করছিল।মনে পরলো সেদিন মলে পরিনিতা কি ভাবে একদিন ববিকে আমাদের বাড়িতে নেমন্তন্ন করতে বায়না শুরু করেছিল। এসব ভাবতেই বুকের ভেতরটা সেদিনকার মত কেমন যেন জ্বালা জ্বালা করতে শুরু করলো আমার।
পরের দিন অফিসে আর গত রাতের ঘটনা আমার মনে ছিলনা, কারন অফিসে একটা সিরিয়াস প্রবলেম এসে উপস্থিত হয়েছিল। আমার একটা কাস্টমার আমাকে কমপ্লেন করলো আমি নাকি ওকে পাঠানো আমার কন্ট্র্যাক্ট পেপারে একটা ইমপর্টেন্ট ইস্যু বাদ দিয়েছি যেটা নাকি মার্কেটিং করার সময় ওদের সাথে আমি ডিসকাশ এবং নেগসিয়েট করেছিলাম।
ওরা বললো আমি নাকি ওদের ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করছি। শেষে অনেক বুঝিয়ে ওদের সামলালাম আর ওদের কন্ট্র্যাক্ট পেপারটা নতুন করে ওদের মনোমতো করে লিখে দিলাম। ঝামেলাটা মেটার পর ভাবলাম এটা ববি কে আমার আগেই জানানো দরকার কারন ববি পরে কোনভাবে জেনে গেলে আবার আমাকে চেম্বারে ডেকে আলতু ফালতু বকবে। তাই আমি নিজেই ববির চেম্বারে গিয়ে ওকে বললাম ব্যাপারটা।
-“এটা কিন্তু ঠিক হচ্ছেনা সঞ্জিব। আমাদের নিশ্চিত হতে হবে যে কন্ট্র্যাক্ট পেপারে এমন মারাত্বক ভুল আমরা আর না করি যাতে করে ক্লায়েন্ট মনে করে যে তাদের কে ঠকানো হচ্ছে।
করে আমাদের ক্লায়েন্টবেসই শুধু নয় মার্কেটে আমাদের গুডউইলও নস্ট হয়ে যাবে। এই ভুল না শোধরালে তোমাকে কিন্তু এবার বেশ বিপদে পরতে হবে সঞ্জিব। আমি অবশ্য এবারের মত ব্যাপারটা চেপে যাব কিন্তু তুমি সিনিয়র এমপ্লয়ী, দেখ এরকম ভুল যেন আর না হয়। মনে রেখ এরকম ভুল হতে থাকলে শুধু তুমিই নয় আমিও তোমার সাথে ফেঁসে যাব”।
-“ঠিক আছে ববি আমার মনে থাকবে”।
-“দেখ সঞ্জিব আমি আর চাইনা তোমার কন্ট্র্যাক্ট পেপারগুলো পড়ে দেখতে, কারন তুমি অনেক সিনিয়র এমপ্লয়ী, তবে আমি চাই এবার থেকে তোমার সব ক্লায়েন্ট নেগসিয়েশানে তুমি আমাকে ইনভল্ব করবে”।
ববির চেম্বার থেকে বেরিয়ে মনটা খিঁচরে গেল আমার। যদিও এবার ববির কথা শুনে মনে হল ও আমার দিকেই আছে তবুও এবার থেকে আমার সব ক্লায়েন্ট নেগসিয়েশানেই ওকে ইনভল্ব করতে হবে শুনে একদম খুশি হতে পারলামনা আমি।
সেদিন রাতে বাড়ি ফিরে সকালের ঘটনার কথা আর ববি আমাকে কি বললো সবই পরিনিতাকে খুলে বললাম । বললাম “আমি কিছুতেই মনে করতে পারছিনা যে ক্লায়েন্ট আমাকে যে ইস্যুটা বাদ দেয়ার কথা বলছে সেটা আমি কন্ট্র্যাক্ট পেপারে মেনশান করতে ভুলে গেছি”। পরিনিতা নুপুর কে বিছানায় বসে পড়াচ্ছিল, ওকে পড়ানো থামিয়ে ও আমার দিকে তাকিয়ে বললো
–“তুমি বার বার এতো নিশ্চিত হচ্ছো কি করে যে তুমি কোন ভুল করনি”?
খট করে কথাটা কানে বাজলো আমার। তাহলে কি পরিনিতা ভাবতে শুরু করেছে যে আমার পারফরম্যান্স আর আগের মত নেই। ওর এক্সপ্রেসান দেখেতো মনে হল আমাকে আর ও আগের মত অফিসের অন্য সব মার্কেটিং একজিকিউটিভদের থেকে সেরা বলে মনে করেনা।
-“আমি ঠিক জানিনা কিন্তু আমার স্থির বিশ্বাস পরিনিতা আমাকে কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে অফিসে নিচু দেখানোর চেষ্টা করছে”।
-“কি আবল তাবোল বকছো সঞ্জিব। তুমি নিজেই একটু আগে বললে কন্ট্র্যাক্ট পেপার তুমি নিজেই রেডি করেছো আর মেল করে দিয়েছো। তাহলে বল কন্ট্র্যাক্ট পেপার অন্য কাউর হাতে পরবে কি করে?

আর যদি পরেও তাহলে তোমার কন্ট্র্যাক্ট পেপার পালটে সে তোমার মেল আইডি থেকে পাঠাবেই বা কি করে।তোমার মেল আইডি পাসওয়ার্ড তো তুমি না বললে আর কাউরই জানার কথা নয়।সবচেয়ে বড় কথা হল পাঠিয়ে তার লাভটাই বা কি হবে”?
আমি পরিনিতার যুক্তি বুঝলাম, অকাট্য যুক্তি, এর কোন উপযুক্ত উত্তর আমার কাছে ছিলনা।
-“হুম সেটা অবশ্য ঠিক বলেছ। তাহলে হয়তো সত্যিই আমি কোন ভুল করেছি। ব্যাপারটা আমার এখন ঠিক মাথায় ঢুকছেনা”।
পরিনিতাকে বললাম বটে আমার ভুল হতে পারে কিন্তু আমি মনে মনে কিছুতেই ব্যাপারটা মানতে পারছিলাম না।
-“আর তুমি যদি সত্যিই ভুল করে থাক তাহলেই বা কি? ভুল তো মানুষ মাত্রেরই হয়। তোমাকে শুধু চেষ্টা করতে হবে যেন এরকম ভুল আর না হয়। তুমি চিন্তা করে দেখ এবার থেকে তুমি কি স্টেপ নিতে পার যাতে করে তোমার আর কোন ভুল কখনো না হয়।একটা কাজ করতে পার। তুমি মিস্টার রায় কে বলতে পার যাতে কোথাও পাঠানোর আগে আবার ও তোমার কন্ট্র্যাক্ট পেপারগুলো চেক করা শুরু করে”।
পরিনিতার কথা শুনে চড়াক করে মাথায় রক্ত উঠে গেল আমার।
-“না, আমি কোন ভুল করি নি। আমার মনে হচ্ছে সত্যিই কেউ উঠে পরে লেগেছে আমাকে ধংস করার জন্য”।
-“কি পাগলের মত বলছো সঞ্জিব।আমার মনে হচ্ছে তোমার কোন কারনে অসম্ভব স্ট্রেস পরছে। চল কোথাও একটা বেরিয়ে আসি। আমার মনে হচ্ছে তোমার এখন একটা চেঞ্জ দরকার”।
-“হ্যাঁ স্ট্রেস পরছে আমার ঠিকই কিন্তু এই প্রবলেমটা তার জন্য হচ্ছেনা”।
-“তুমি তো আমার ভয় ধরিয়ে দিচ্ছ সঞ্জিব ।তুমি কি কোন সাইকোলজিস্ট কে দেখাবে”?
আর ধৈর্য্য রাখতে পারলামনা আমি। বলে ফেললাম মনের কথা।
-“তুমি এই কথা বলছো পরিনিতা, আমার তো চিন্তা হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে। যবে থেকে এই ঘটনাগুলো ঘটছে আমি তো একবারও দেখছিনা যে তুমি আমাকে সাপোর্ট করছো”।
-“এই সব আজে বাজে কথার কোন মানে আছে সঞ্জিব। আমি তোমার বউ আর আমি সবসময়ই তোমার দিকে। আমি শুধু তোমাকে পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করতে চাইছি। ছাড় এসব কথা, আমি শুতে চললাম”।
বুঝলাম প্রচণ্ড রেগে গেছে ও আর আলোচনাটার আজকের মত এইখানেই সমাপ্তি হল। পরিনিতা শুতে যাবার পর আমি একটা স্কচের গ্লাস নিয়ে বসার ঘরে চলে গেলাম। ঘটনাটা ঠাণ্ডা মাথায় বোঝার চেষ্টা করলাম আমি। আমার সাথে পরিনিতার এই খটাখটিটা কেন হল?
হঠাৎ করে ওর ওপর এত রেগে কেন গেলাম আমি? তাহলে কি আমার ইগোর জন্য এটা হল? আমি কি মেনে নিতে পারলাম না যে পরিনিতা আমার বউ হয়েও আমার পক্ষ নিচ্ছেনা? আমি কি ভেবেছিলাম যে পরিনিতা ভাবছে আমার ক্ষমতায় কোন খামতি আছে বলে বার বার আমি একই ভুল করছি? এমন সময় মনে পরে গেল সেদিনের পার্টিতে নিশা আর পরিনিতার ববি কে নিয়ে আলোচনা।
পরিনিতার মনে হয়েছে ববি খুব স্মার্ট, গুডলুকিং আর সেক্সি। বুকের ভেতরটা কেমন যেন করে উঠলো আমার যখন মনে হল সেদিনের পর থেকে পরিনিতা কি ভাবে বার বার আমার সাইড না নিয়ে ববির সাইড নিচ্ছে। ওকে সাপোর্ট করছে। মনের দুঃখে অনেকটা মদ খেয়ে ফেলে সোফার ওপরই সেই রাতে শুয়ে পরলাম আমি।
পরের দিন অফিসে পৌঁছতেই আমাদের রিসেপশনিস্ট আমাকে জানালো যে ববি আমার জন্য কনফারেন্স রুমে অপেক্ষা করছে। ওর সাথে দুজন ভিসিটর ও রয়েছে।
রিসেপশনিস্ট মেয়েটিকে থ্যাঙ্কস জানিয়ে তাড়াতাড়ি কনফারেন্স রুমের দিকে হাঁটা দিলাম আমি। কনফারেন্স রুমের ভেতরে একটি মহিলা ও একটি পুরুষের সাথে বসে কথা বলছিল ববি। আমাকে দেখেই ওরা সকলে উঠে দাঁড়ালো আর আমাকে গ্রীট করলো। পুরুষটি ছিলেন মিস্টার শর্মা, আমার পুরনো ক্লায়েন্ট।
-“সঞ্জিব তোমার ক্লায়েন্ট শর্মা প্রোডাক্টের সি-ই-ও মিস্টার শর্মা আমাকে ফোন করেছিলেন একটা বড় প্রজেক্টের ব্যাপারে। আমি লাস্ট দুমাস ওই প্রোজেক্টটা নিয়ে খুব খেটেছিলাম। উনি আজ সঙ্গে এনেছেন ওনার স্ত্রী এবং ওনার কম্পানির পার্টনার তনুজা শর্মা কে। ওঁরা আমাদের সাথে একটা বিরাট আস্যাইনমেন্টের ব্যাপার পার্টনারশিপে যেতে চান।
আমি অবাক হয়ে ভাবছিলাম কি ব্যাপারে আজ ওরা এসেছেন। আমি গত এক বছর ধরে প্রায় প্রতি মাসেই মিস্টার শর্মার সাথে যোগাযোগ রাখছিলাম। এই এক বছরে আমারা প্রায় বন্ধুর মতন হয়ে গিয়েছিলাম। আমি তো ধরেই নিয়েছিলাম যে দু একমাসের মধ্যেই আমি ওঁকে কোন না কোন একটা প্রজেক্টের ব্যাপারে রাজী করিয়ে নেব। আমার অবাক লাগছে এই ভেবে যে ববি মাত্র দুমাসেই ওনাকে ববির কথা মত একটা বিরাট আস্যাইনমেন্টের ব্যাপারে কি করে রাজী করিয়ে নিল।
-“সঞ্জিব তোমাকে দেখে ভাল লাগলো, কেমন আছ? মিস্টার শর্মা আমার দিকে হাঁসি মুখে তাকিয়ে বললেন”।
-“আপনাকে আমাদের অফিসে দেখে আমারও খুব ভাল লাগলো স্যার। আমি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ববির সাথে এত বড় একটা আস্যাইনমেন্টের ব্যাপারে রাজী হওয়ার জন্য”।
-“হাই সঞ্জিব আমি তনুজা। মিসেস শর্মা বলে উঠলো”।
ভদ্রমহিলা বেশ সুন্দরী। উনি একটা স্লিভলেস ব্লাউজ আর তার সাথে একটা দারুন সুন্দর প্রায় ট্রান্সপারেন্ট শাড়ি পরেছিলেন। ভদ্রমহিলার মাই দুটি বিশাল। ওগুলো যেন ব্লাউজ ছিঁড়ে বেরিয়ে পড়তে চাইছে। ওঁর চোখে খুব সুন্দর একটা রিমলেস চশমা রয়েছে। ওনার দিকে তাকিয়ে কথা বলতে গেলে ওনার মাই দুটোর দিকে বার বার চোখ চলে যায়। ওঁর ট্রান্সপারেন্ট শাড়ির ভেতর দিয়ে ওনার নরম পেট আর অত্যন্ত সুগভীর একটি নাভি ছিদ্র চোখে পরে। ভদ্রমহিলার চোখ দুটি ভীষণ উজ্জ্বল আর মুখটিও বেশ মিষ্টি। সব মিলিয়ে যাকে বলে একটা দারুন প্যাকেজ
-“তুমি কি অনেক দিন কাজ করছো সঞ্জিব ববির সাথে”?
-“না না মাত্র কয়েক মাস”।
-“ভাল, আচ্ছা তুমি আর আমার হাজব্যান্ড এখানে বসে সমস্ত টেকনিকাল দিক গুলো দেখে নাও, আমি ততক্ষণ ববির চেম্বারে বসে কনট্র্যাক্ট পেপারের একটা বেসিক স্ট্রাকচার তৈরি করে নিই। চল ববি তোমার চেম্বারে যাওয়া যাক”।
এই বলে মিসেস শর্মা ববির সাথে কনফারেন্স রুম থেকে বেরিয়ে গেল।
-“সঞ্জিব তোমাকে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমার মনে হয় তোমাকে আমি ভেতর থেকে বিশ্বাস করতে পারি। তোমার সাথে গত এক বছরে কয়েকটা ছোটখাট ডিল তো আমি করেছি আর সব সময়ই দারুন সার্ভিস পেয়েছি তোমার কাছ থেকে”।
-“আমাকে বিশ্বাস করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মিস্টার শর্মা”।
-“সঞ্জিব, আসলে আমি এই বছরেই আমার কম্পিটিটর আরো দুটো কোম্পানি কিনছি। ওগুলো কেনার পরে আমার প্রোডাকসান এখনকার থেকে প্রায় তিনগুন হয়ে যাবে।
আমার পার্টনার এবং আমার স্ত্রী তনুজার নিউইয়র্কের একটা কনফারেন্সে তোমাদের মিস্টার ববির সাথে পরিচয় হয়। ওরা দু দিনেই খুব ভাল বন্ধু হয়ে যায়। তনুজা তো ওর সার্ভিস প্ল্যান শুনে খুব ইমপ্রেশ হয়েছে। ওই আমাকে জোর করলো তোমাদের কোম্পানি কে আমাদের প্রোডাক্ট গুলোর সার্ভিসের ব্যাপারে একবারে পাঁচ বছরের কনট্র্যাক্ট দিয়ে দিতে”।
আমি মনে মনে ভাবলাম বাপরে একবারে পাঁচ বছর তাহলে তো বিশাল কনট্র্যাক্ট হবে এটা। ঠিক কত টাকার কনট্র্যাক্ট হবে এটা ভাবতে ভাবতে আমার হার্ট বিট বেড়ে গেল।
আমরা পরের দু ঘণ্টা ধরে বসে বসে একটা রূপরেখা তৈরি করলাম কি কি ভাবে আমরা সার্ভিস দিলে ওঁর কম্পানির উপকার হবে।ওনার কাছ থেকে ইস্যু ধরে ধরে বুঝলাম উনি ঠিক কি রকম সার্ভিস চাইছেন আমাদের কাছ থেকে।মিটিং শেষ হবার আগে আমরা ঠিক করলাম আমি প্রতিসপ্তাহে ওঁকে ফোন করে আমাদের অগ্রগতির ব্যাপারে ইনফর্ম করবো।
সেই সপ্তাহের শুক্রবার নাগাদ আমি আমার তিনটে কেস একসাথে ক্লোজ করে ক্লায়েন্টদের সাথে ডিল ফাইনাল করে ফেললাম । অফিস থেকে বেরনোর আগে আরো একটা ক্লায়েন্টর কাছ থেকে আমার ফোন এল ।ওরাও বললো ওরা দু একদিনের মধ্যেই ওদের ডিলটা ফাইনাল করতে চায়। আমার সে দিনটা খুব ভাল যাচ্ছিলো।
চারটে ডিল ফাইনাল করা মানে অনেক টাকার কমিশন। ব্যাপারটা আমি আমার অফিস কলিগ শেখর কে বলতে ও বললো -“গুরু তাহলে কিছু খরচা তো কর”।শেখর ওর মন মেজাজ ভাল থাকলে আমাকে প্রায়ই হোটেলে নিয়ে গিয়ে লাঞ্চ ফাঞ্ছ করায়। আমি তাই ওকে বললাম -“ঠিক আছে তুই যদি একটু আর্লি ডিনার করতে পারিস তাহলে চল আজ আমার সাথে ডিনার কববি”। ও এককথায় রাজী হল।পরিনিতা কে ফোন করে জানালাম -“আমার ফিরতে একটু দেরি হবে কারন আমি একবারে ডিনার সেরে আসবো।তুমি আর রান্নটানা কোরোনা, তোমারটাও প্যাক করে নেব”। পরিনিতা বোললো -“ঠিক আছে”।
সেদিন ডিনার করতে করতে শেখরের সাথে নানা কথা আলোচনার মধ্যে শর্মা প্রোডাক্টস এর সাথে আমাদের করা বিশাল ডিলটার কথা এসে পরলো। শেখর হঠাৎ বললো –“তাহলে গুরু মালটা কেমন দেখলে বল”? আমার বুঝতে একটু সময় লাগলো যে ও কার কথা বলছে। তারপর বুঝতে পারলাম যে ও মিসেস শর্মার কথা বলছে।
শেখর বললো –“আমি জানি বেশ কয়েক মাস ধরে তুমি ওই ক্লায়েন্টটার পেছনে খাটছো কিন্তু তোমার একটা কথা জানা দরকার যেটা বোধহয় তুমি এখনো জানো না। জানি তোমার শুনতে একটু খারাপ লাগবে কিন্তু আমার মনে হল এটা আমার তোমাকে জানানো দরকার”।
-“আরে তুই নতুন কি আর বলবি? আমি এখন ওই ববির জন্য যে অবস্থার মধ্যে পড়েছি তার থেকে আর কি খারাপ লাগবে আমার”?
-“শোন শোন… ববি ওই কনট্র্যাক্টটা কি ভাবে এত সহজে পেয়ে গেল জানো? আমি শুনেছি ববি মিসেস শর্মা কে পটিয়ে ফেলেছে, ও মিসেস শর্মা কে প্রায়ই একটা রিসর্টে নিয়ে গিয়ে চুঁদছে।মিসেস শর্মা এখন ববির প্রেমে পাগল, ও যা বলছে তাই করছে”।
-“উরি শালা, তা তুই এসব জানলি কি করে”?
-“আর বলোনা একদিন দুপুরে ববি আমাকে বোললো শেখর তোমার কোন কাজ না থাকলে আমার সাথে একটা মিটিংএ চল।আমি সঞ্জিবকেই নিয়ে যেতাম কিন্তু ও অফিসে নেই তাই তোমাকে বলছি। জানোইতো তো ভাইস প্রেসিডেন্ট বলে কথা, গেলাম ববির সাথে। মিটিংটা ছিল মিসেস শর্মার সাথে।মিটিং শেষ হবার পর ববি আমাকে গাড়িতে জিজ্ঞেস করলো –“কি রকম বুঝলে ওদের অফারটা? আমি বললাম –“অফারটা ইনটারেস্টিনং তবে ভাল ভাবে কস্ট অডিট করে দেখে নিতে হবে যে সত্যি সত্যিই আমাদের ভাল প্রফিট থাকবে কিনা”? আমাকে অবাক করে ববি বললো –“আরে লাভ লোকসান তো পরের কথা কিন্তু মিসেস শর্মার সাথে একসঙ্গে কাজ তো করা যাবে। দেখেছ কি দারুন দেখতে মহিলাকে? আমি তো যে দিন ওকে প্রথম দেখি সেদিনই কাত”।
আমি ভাবলাম ববি বোধহয় আমার সাথে ইয়ার্কি মারছে । কিন্তু ববি মিসেস শর্মার রুপের প্রশংসা করেই চললো। আমি তখনই বুঝলাম ববি ওই অফারটা নিয়ে নেবে ওতে খুব একটা লাভ না হলেও। বোঝ তাহলে ব্যাপারটা, শুধু মাত্র একটা মেয়ের জন্য অত বড় ডিসিশিনটা নিয়ে নিল ও।আবার আমাকে বলে কিনা -“বুঝলে শেখর এরকম একটা বউ পেলে জীবনে আর কোনদিন কোন মেয়েদের দিকে তাকাতাম না আমি। কি মাগীবাজরে লোকটা”?
আমি অবাক হয়ে বললাম –“বলিস কিরে? বোকাচোঁদাটা নিজেকে কি ভাবে কি”?
শেখর বললো-“আরে আমি আগেই এদিক ওদিক থেকে শুনেছিলাম মালটা মাগি ছাড়া আর কিছু বোঝেনা। আর ভাল মেয়ে পেলে তাকে যেমনভাবে হোক নিজের বিছানায় শুইয়ে তবে ছাড়ে। জানিস আমার দিল্লি অফিসের এক বন্ধু বলেছে ওর নাকি একটু ভারী চেহারার ম্যারেড মেয়েদের ওপর খুব লোভ। ওর নাকি এরকম অনেক বেড পার্টনার আছে”?
আমি বললাম –“মারধোর খাবে দেখবি একদিন । বড় লোক হলেও সব সময় বাঁচা যায়না বুঝলি? একদিন না একদিন ও ঠিকই ফাঁসবে, আমার কথা মিলিয়ে দেখে নিস”।
শেখর বললো-“জানো মেয়েদেরও নাকি ওকে খুব সেক্সি লাগে। দেখো না আমাদের অফিসের মেয়েগুলোও কেমন হ্যাংলার মতন সবসময় ওর কথা আলোচনা করে এমনকি ওর সাথে একটু কথা বলতে পারলে বর্তে যায়। আমার বন্ধুটা বলেছিল মেয়েরা নাকি ওর সাথে কথা বলতে শুরু করলে কেমন একটা হিপ্নোটাইজড মত হয়ে যায়। মেয়েদের পটিয়ে বিছানায় নিয়ে যেতে ওকে নাকি কোন বেগই পেতে হয়না। দেখলেনা মিসেস শর্মার ব্যাপারটা। ববি যে ভাবে চেয়েছিল সেই ভাবেই কনট্র্যাক্ট পেপারটা সাইন করালো মিসেস শর্মা কে দিয়ে। জানো আমি এও শুনেছি মিসেস শর্মার নাকি দুটো ছোটো ছোটো বাচ্চা আছে”।
-“বলিস কিরে শেখর। ভদ্রমহিলা এরকম। উনি নিজেও তো খুব সুন্দরী আর বড়লোক, ওর এতো হাংলামো কেন কে জানে”?
-“আরে ববির চেহারাটা দেখেছো গুরু, ঠিক যেন একটা গ্রিক ভাস্কর্য। মুখটাও বেশ পুরুষালী আর সুন্দর। জানো প্রায় ছয় ফুট তিন ইঞ্চি লম্বা ও।
-“হ্যাঁ, আর সব মেয়েরাই তো মনে মনে ঠিক এরকমই পুরুষ চায়”।
শেখর হাঁসতে হাঁসাতে বললো –“হ্যাঁ ঠিক বলেছো, আর পায়না বলেই আমাদের মত সাধারন পুরুষদের বিয়ে করে কাজ চালিয়ে নেয়”। আমিও হেসে উঠলাম ওর কথা শুনে।
যাই হোক সেদিন শেখরের সাথে ডিনার শেষ করে ফেরার সময় গাড়ি চালাতে চালাতে ভাবছিলাম ববির কথা। সত্যি নিজের প্রতি একটা আশ্চর্য কনফিডেন্স আছে ওর। সুপুরুষ, স্মার্ট, মার্জিত অথচ ডমিন্যান্ট পারসোনাল্যাটির ববি এই জন্যই খুব সহজে মেয়েদের ইমপ্রেস করতে পারে। হঠাৎ আমার মনে পড়লো পরিনিতার কথা, সঙ্গে সঙ্গে নিজের গাটা কেমন যেন শিরশির করে উঠলো আমার। এই জন্যই বোধ হয় ববিকে দেখা মাত্র পরিনিতারও খুব ভাল লেগে গিয়েছিল ওকে। মনে পরলো শেখরের কথা, ববি নাকি ভারী চেহারার বিবাহিত মহিলাদের খুব পছন্দ করে। আমার পরিনিতাও তো ভারী চেহারার আর বিবাহিত।তাহলে কি ববি সুযোগ পেলে পরিনিতাকেও শোয়াবে ওর সাথে?
সেদিন রাতে বাড়ি ফিরে আমি পরিনিতাকে ববির সাথে আমার আর আমার পুরনো ক্লায়েন্ট মিস্টার শর্মার গত কয়েকদিন আগেকার সেই মিটিংটার কথাটা বললাম। এও বললাম যে ববি কনট্র্যাক্টটা সাইন করে ফেলেছে। পরিনিতা শুনে বললো
–“দেখলে তো? বললাম না লোকটা খুব স্মার্ট আর বুদ্ধিমান। তুমি যদি কোন ব্যাপারে ওর কাছে সাহাজ্য চাও দেখবে ও তোমাকে ভাল বুদ্ধিই দেবে”।
ওর কথা শুনে আমার মাথায় যেন আগুন জ্বলে গেল। কিন্তু আমি ওকে মুখে কিছুই বললাম না। তবে সেই রাতে পরিনিতার সাথে আমি আর কোন কথাই বললাম না । সারাক্ষণ গুম হয়ে বসে টিভি দেখতে থাকলাম। রাতে বিছানায় শুয়ে কিছুতেই ঘুম আসতে চাইছিলনা আমার। ঘুরে ফিরে বার বার শেখরের কথা মনে পরছিল।
এই ববিকে কিছুতেই যেন মন থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারছিলামনা আমি। ভাবছিলাম ববির কথা। ওর মত অবিবাহিত ধনী সুপুরুষ বস কে পেয়ে অফিসের বেশিরভাগ মেয়েদেরই যেন নাল পরতে শুরু করেছে। অনেকেই ববির সাথে রোম্যান্টিক একটা সম্পর্ক চেয়ে ওর কাছে আসার চেষ্টা করছে। ববি একনম্বরের মাগিবাজ হয়েও অফিসের পরিবেশের কথা চিন্তা করে বোধহয় ওদের কে এখনো পর্যন্ত এড়িয়ে চলছে। কিন্তু এতে করে ও মেয়েদের কাছে আরো যেন কামনার বস্তু হয়ে উঠছে।
এমনিতে অফিসের সিনিয়র মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ হিসেবে আমি অফিস গসিপে কান দিইনা। তবে অন্য কয়েকটি মেয়েদের কাছ থেকে ববির সম্বন্ধে দু একটা গুজব আমারও কানে এসেছে। সেই মেয়েরা বিশ্বাস করে ববির সাথে অফিসের কোন না কোন মেয়ের কিছু একটা বোধহয় চলছে।
আমি ভাবছিলাম যতই নিরাশক্ত ভাব দেখাক ববি, ওর মত মাগিবাজ লোক মেয়েছেলে ভোগ না করে বেশি দিন থাকতে পারবেনা। বিশেষ করে আমাদের অফিসেই যখন ওর পছন্দ মত বিবাহিত ভারী চেহারার অনেক মহিলা রয়েছে।
তখনই একটা ব্যাপার আমার মনে পরলো। কয়েক সপ্তাহ আগে আমি আমার মার্কেটিং টিমের সঙ্গে একটা মিটিং করছি। এমন সময় ববি আমার ঘরে ঢুকে আমাকে বললো ওর নাকি আমার একটা ক্লায়েন্টের ব্যাপারে কি একটা রিপোর্ট চাই। আমি ওকে বললাম ঠিক আছে ববি মিটিংটা শেষ হলেই আমি তোমার চেম্বারে গিয়ে দিয়ে আসছি। হঠাৎ দেখলাম ববি আমার টিমের ঋতিকা বলে একটা মেয়ের দিকে চোখে কেমন যেন একটা ঈশারা করলো। কেউ দেখেনি ব্যাপারটা কিন্তু আমার চোখ এড়ায়নি। ঋতিকা ওমনি লাফিয়ে উঠে -“আমি বের করে দিচ্ছি স্যার আমার কাছে আছে রিপোর্টটা” বলে আমাকে কিছু না বলেই ববির সাথে বেরিয়ে গেল।
আমি মিটিং বন্ধ করে অপেক্ষা করছিলাম কখন ও ফিরবে। পাঁচ মিনিট , দশ মিনিট, পনের মিনিট হয়ে গেল। তারপরেও ঋতিকা ফিরলোনা দেখে আমি মিটিং আবার চালু করে দিলাম। ঋতিকা প্রায় আধঘণ্টা পরে ফিরলো আমাদের রুমে।
কেমন যেন একটা আলুথালু ভাব দেখলাম ওর চেহারায়, চুলে এবং শাড়িতে। ব্যাপারটা কিরকম যেন অদ্ভুত লেগেছিল আমার সেদিন, তখন অবশ্য ববির ব্যাপারে এতসব জানতাম না আমি।ঋতিকা বিবাহিত, দেখতে খুব মিষ্টি, আর একটু ভারী চেহারার। তাহলে ওই কি গুজবের সেই মেয়ে যার সাথে ববির অ্যাফেয়ার চলছে?
প্রায় রাত তিনতে নাগাদ অবশেষে ঘুমতে পারলাম আমি। পরের দিন সকালে চা দিতে এসে পরিনিতা বললো –“তুমি রাগ করেছো আমার ওপর সঞ্জিব? আমি কিছুই বললামনা উত্তরে। পরিনিতা বললো –“শোন আমি যদি এমন কিছু বলে থাকি যাতে তোমার খারাপ লেগেছে তাহলে তা না জেনেই বলেছি, তোমাকে দুঃখ্য দেবার কোন ইচ্ছে আমার ছিলনা । এস আমরা দুজনেই ব্যাপারটা ভুলে যাই। আমি জানি তুমি অফিসের ঝামেলা নিয়ে কদিন একটু চাপে আছ। আচ্ছা কাল যে একটা এতবড় সুখবর দিলে, যে তোমাদের অতো বড় কনট্র্যাক্টটা সাইন হয়ে গেছে, তোমার মন নিশ্চয়ই এখন একটু ভাল হয়েছে”।
-“পরিনিতা আমার মন একবারে ভাল নেই।ভীষণ ফ্রাসটেটেড লাগছে আমার। কারন আমার মনে হচ্ছে আমারই ক্লায়েন্টের সাথে এতো বড় কনট্র্যাক্টটা সাইন হল অথচ আমিই ব্যাপারটায় খুব একটা ইনভল্ব নই। এই কনট্র্যাক্টটা তো আমারই ফাইনাল করা উচিত ছিল”।
-“এরকম ভাবছ কেন সঞ্জিব, এতো বড় কনট্র্যাক্টট সাইন হলে সকলেকেই তো হাত লাগাতে হয়। আর মিস্টার রায় যখন ওই ভাবে কনট্র্যাক্টটা সাইন করতে পেরেছে তখন ও নিশ্চই তোমার থেকেও বেশি খেটেছে। কি আমি ঠিক বলছি তো”?
আবার মাথা গরম হয়ে গেল আমার। মাথা ঘুরিয়ে পরিনিতার দিকে তাকালাম আমি তারপর ওর চোখের দিকে একটা কড়া দৃষ্টি হেনে বললাম “একবারেই না”। পরিনিতা উত্তরে আমাকে যা বললো তাতে আমার মাথা আরো গরম হয়ে গেল। ও বললো
-“কি বলছো তুমি সঞ্জিব? ওই শর্মা ভদ্রলোক তোমার পুরনো ক্লায়েন্ট হুওয়া সত্বেও তুমি তো ডিলটা ফাইনাল করতে পারনি। তোমার কি মনে হচ্ছেনা যে মিস্টার রায় কোন একটা স্টেজে ইন্টারভেন না করলে তোমরা এই কনট্র্যাক্টটা কিছুতেই পেতেনা”।
-“আমি যে কোন ডিল বাইরের কাউর সাহায্য ছাড়াই ফাইনাল করতে পারি পরিনিতা আর ওটাই আমার কাজ”।
-“তুমি মিস্টার রায়কে কি ভাবে বাইরের সাহায্য হিসেবে দেখ সঞ্জিব।আর এটা এখনোতো তোমার ডিলই আছে। আসলে আমি ভাবলাম তোমার কয়েকদিন দিন মনমেজাজ ঠিক যাচ্ছিলনা, ছোটোখাট ভুল হয়ে যাচ্ছিল কাজে, তাই কাউর একটু হেল্প পেলে প্রবলেমটা হয়তো কাটিয়ে উঠতে পারবে। তাই মিস্টার রায়ের কথা বললাম”।
আমি উত্তরে আর কিছু বললামনা ওকে। একবার ভাবছিলাম বলেই দি কিভাবে ববি ওই কনট্র্যাক্টটা পেয়েছে।কিন্তু না, কোনরকমে নিজেকে সংযত করলাম আমি, কারন পরিনিতা ভাবতে পারে যে আমি আমার মনের হিংসা থেকে ওর নামে কুৎসা করছি। এতে করে আমার প্রতি ওর ইম্প্রেসান আরো খারাপ হয়ে যাবে।
অফিসে ববি কে নিয়ে আমার যে ইগোর সমস্যা হচ্ছিলো সেটা আমাকে ব্যাথা দিচ্ছিল ঠিকই কিন্তু আমার ওপর পরিনিতার যে কনফিডেন্স ছিল সেটা কমে যাওয়াটাই ভেতরে ভেতরে জ্বালিয়ে পুরিয়ে খাক করে দিচ্ছিল আমাকে।
পরের সপ্তাহে শর্মা প্রোডাক্টের সাথে আমাদের ডিলটা ফাইনাল হয়ে যাওয়ার আনন্দে ববি আমাদের ফিউচার মিডিয়ার সমস্ত এমপ্লয়ীকে নিজের বাড়িতে একটা পার্টিতে নেমন্তন্ন করলো ব্যাপারটা ভালভাবে সেলিব্রেট করতে। এমনিতে আমাদের যে কোম্পানি পার্টি হয় তাতে নানা রকম রেস্ট্রিকশান থাকে বলে ববি এবারের পার্টিটা নিজের বাড়িতেই অরগানাইজ করতে চেয়ে ছিল। এতে করে পার্টি দেওয়া হলেও তার সাথে কম্পানির কোন সম্মন্ধ থাকবেনা আর তাই যে যার ইচ্ছে মতন এনজয়ও করতে পারবে। এনজয় মানে অবশ্য মাতাল হওয়া। কোম্পানি পার্টিতে মাতাল হয়ে যাবার ভয়ে কেউ দু তিন পেগের বেশি নিতে পারেনা। এখানে সেই সব কোম্পানি কোড টোডের কোন বালাই থাকবেনা। সবাই মিলে ঠিক করলো প্রত্যেকেই তাদের বউ কে আনবে পার্টিতে। এমনিতে আমার আর পরিনিতার প্রায় সাত আট বছর বিয়ে হলেও পরিনিতা এর আগে কখনো কোন কোম্পানি পার্টিতে যায়নি। আমার কয়েকজন ক্লোজ অফিস কলিগকে চিনলেও বেশিরভাগ অফিস কলিগকে ও চেনেনা। আমি ঠিক করলাম এবারে ওকে নিয়ে যাব পার্টিতে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে আমি পরিনিতাকে নিয়ে ববির বাড়িতে পার্টি অ্যাটেন্ড করতে গেলাম। গাড়িটাড়ি পার্ক করে পরিনিতাকে পাশে নিয়ে আমি ববির বিশাল এপার্টমেন্টে ঢুকলাম। দরজাতেই দেখি ববি দাঁড়িয়ে আছে। ও হাঁসি মুখে গ্রিড করলো আমাদের।
-“হাই সঞ্জিব। আমি খুব খুশি হলাম যে তুমি এসেছো”।
আমি ববির দিকে এগিয়ে গিয়ে শেকহ্যান্ড করলাম তারপর ওকে বললাম
-“ববি এই হল আমার বউ পরিনিতা, আমার মনে হয় তুমি আগে ওকে দেখেছো”।
-“হ্যাঁ দেখেছি ওকে। তোমাকে আবার দেখতে পেয়ে আমি খুব খুশি হলাম পরিনিতা”।
এই বলে ও ভীষণ পোলাইটলি পরিনিতার সাথে শেকহ্যান্ড করলো।
পরিনিতা হেঁসে বললো-“ধন্যবাদ মিস্টার রায়”।
ববি আমাদের ভেতরে নিয়ে যেতে যেতে বললো
-“সঞ্জিব তোমরা এখন এখানে নিজের মত করে একটু রিলাক্স কর আমাকে এখন একটু গেটের কাছে থাকতে হবে। আসলে এখনো অনেক গেস্ট আসা বাকি আছে। বাট পরিনিতা আই উড লাইক টু নো ইউ বেটার, কিন্তু এখন বুঝতেই পারছো আই হ্যাভ ফিউ মিনিটস টু স্পেয়ার”।
ববির এই “আই উড লাইক টু নো ইউ বেটার” বাক্যটা আমার অপছন্দ হলেও পরিনিতা দেখলাম কিছু মনে করেনি। ও হাঁসি মুখে ববিকে বললো –“লুকিং ফরোয়ার্ড টু ইউ স্যার”।
ববি একটু হেঁসে গেটের দিকে চলে গেল। ভেতরে দেখলাম আমাদের অফিসের অনেকেই এসে গেছে।আমরা নিজেদের মত এর ওর সাথে গল্পে মেতে উঠলাম। প্রায় আধ ঘণ্টা পরে হঠাৎ ববি এসে আমাদের ডাকলো –“সঞ্জিব, পরিনিতা, এসো তোমাদের আমার এপার্টমেন্টটা একটু ঘুরে দেখাই। ওর এপার্টমেন্টটা তিন তলা নিয়ে। তলার ফ্লোরে তখন পুরোদমে পার্টি চলছিল।ববি আমাদের নিয়ে ওর দোতলায় গিয়ে উপস্থিত হল।
একটা আশ্চর্য মিষ্টি গন্ধ ওর পুরো দোতলাটা জুড়ে ছড়িয়ে ছিল। দোতলাতে উঠতেই বুঝতে পারলাম সত্যি সত্যি কোন ধনী লোকের বাড়িতে এসে উপস্থিত হয়েছি।ববির দোতলাটা নানা রকমের ঘর সাজানোর বিলিতি এবং অত্যন্ত দামি ডেকরেটিভ আইটেমে সাজান ছিল। ববি আমাদের গল্প বলার ঢঙে বলতে লাগলো কি ভাবে ও এই সব দুস্প্রাপ্য দারুন জিনিসগুলো একে একে যোগার করেছে। সত্যি কি সুন্দর করে কথা বলতে পারে ও। গল্প বলার ছলে ও বলে যেতে লাগলো ওই সব জিনিস সংগ্রহ করার বা নিলামে কেনার নানা রকমের মজার কাহিনি। ওর সংগ্রহ করা কয়েকটা আইটেমের হিস্টোরিক্যাল ভ্যালুও ছিল। ও খুব সুন্দর করে বোঝাতে লাগলো সে সব ইতিহাস। ওর কথা বলার ঢঙ এতো সুন্দর ছিল যে একবারের জন্যও আমাদের বোর মনে হয়নি।
দেখানো শেষ হলে ও আমাদের নিয়ে ওর এপ্যার্টমেন্টের তিন তলায় এসে উপস্থিত হল। ওখানে ওর একটা দুর্দান্ত প্রাইভেট বার ছিল। এছাড়া ছিল একটা অত্যন্ত দামি ৭২ ইঞ্চি টেলিভিসন আর গোটা এরিয়াটা মোরা ছিল ‘বোসের’ ৭ ইন ১ হোম থিয়েটার সিস্টেমে। তিন তলার একদিকের দেয়ালটা পুরো কাঁচের। ওখান থেকে পুরো শহরটা দেখা যাচ্ছিল।একটু দূরে একটা হাফ ঘষা কাঁচের পার্টিশান করা দেওয়ালের আড়ালে একটা বিশাল হোয়াইট মার্বেলের পনেরো বাই পনেরোর বাথটব।
পুরো তিনতলাটা ঘুরে ঘুরে দেখার পর আমরা ববির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে একতলায় যেখানটায় পার্টি চলছিল সেখানটায় নেবে এলাম। সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে ভাবছিলাম আগে আমি মুখে না মানলেও ভেতরে ভেতরে ববির বিজনেস অ্যাপ্রোচ নিয়ে মুগ্ধ ছিলাম আর আজকের পর ওর চার্ম আর দুর্দান্ত লাইফ স্টাইল নিয়েও মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
পরিনিতার আর আমার পার্টিতে মিশে যেতে সময় লাগলোনা। প্রায় একশো কোওয়ার্কার, কলিগ আর তাদের বউদের নিয়ে পার্টি ভীষণ জমে গিয়েছিল। আমি আর পরিনিতা হাতে একটা সফট ড্রিংকের গ্লাস নিয়ে সারা পার্টি ঘুরে বেড়াতে লাগলাম। অফিসের অনেক কলিগ কে পরিনিতা চিনতোনা, শুধু তাদের নাম শুনেছিল আমার কাছে। তাদের সবাইয়ের সাথে আমি পরিনিতা কে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলাম, পরিচিত হচ্ছিলাম তাদের বউদের সাথে।
একটু পরেই অনেকে ড্রিংক করা শুরু করলো, যদিও আমরা নিজেদের সফটড্রিংক আর ফুডড্রিঙ্কেই সীমাবধ্য রাখলাম। আরো প্রায় দু ঘণ্টা পর আ্যপেটাইজার এল। তারপর শুরু হল ডিনার। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ডিনার চলার পর অবশেষে তা শেষ হল আর পার্টি পৌঁছে গেল তার শেষ ধাপে। ডিনারের পর একটু রেস্ট নেওয়া হল, তারপর শুরু হল মিউজিক আর স্লো ড্যান্স।
একটু পরে আমি একবার রেস্ট রুমে গেলাম ফ্রেশ হতে। ফ্রেশ হয়ে ফিরছি এমন সময় দেখি ঘরের এক কোনে ববি পরিনিতার সাথে কি সব যেন গল্প করছে, আর পরিনিতা তা শুনে খুব হাঁসছে।ওদের দুজনকে একসঙ্গে হাঁসাহাসি করতে দেখেই মাথা গরম হয়ে গেল আমার। আমি অবশ্য জানতাম পরিনিতা আমাকে ভীষণ ভালবাসে। ওকে আমি বিশ্বাস করতে পারি।
মনে পড়লো পরিনিতার পরিবার আমার সাথে পরিনিতার সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি। আমাকে বিয়ে করার জন্য ওর বাবা মা এমনকি পুরো পরিবারের সঙ্গে এক কথায় সম্পর্ক কেটে দিয়েছিল পরিনিতা। আমাদের গত আট বছরের বিবাহিত জীবনে একবারের জন্যও কখনো মনে হয়নি যে পরিনিতা আমার সাথে কখনো চিটিং করতে পারে। আসলে আমি রেগে গিয়েছিলাম এই ভেবে যে ববি শেষে আমার স্ত্রীর সঙ্গেও ফ্লার্ট করছে। এভাবে সহকর্মীর স্ত্রীর সাথে ফ্লার্ট করার মানে সেই সহকর্মীর প্রতি রেস্পপেক্ট কম থাকা।
আমি ওদের কিছুই বললাম না কারন আমার পক্ষে আমার বসকে গিয়ে বলা সম্ভব ছিলনা যে আপনি আমার স্ত্রীর থেকে দূরে থাকুন। আপনার ক্যারেকটার কি তা আমি জানি। তাছাড়া ওরা সেরকম কিছু অপরাধ তো করেনি শুধু একটু হাঁসাহাসি করছিল। আমি ভাবলাম আজ বাড়ি ফেরার পর আমাকে পরিনিতার সাথে ববির ব্যাপারে একটু কথা বলতে হবে। আমি এর আগে পরিনিতা কে কখনো বলিনি যে ববির ক্যারেকটারটা আসলে ঠিক কি রকম আর সুন্দরী, বিবাহিত এবং একটু ভারী চেহারার মহিলাদের প্রতি ওর মনভাবটা কেমন। মুস্কিলটা হচ্ছে আমি কি ভাবে পরিনিতার সামনে প্রসঙ্গটা তুলবো। কারন এরকম প্রসঙ্গ উঠলেই পরিনিতার মনে হবে যে আমি ওঁকে সন্দেহ করছি।
যাই হোক আমি আর অপেক্ষা করতে পারছিলাম না বাড়ি যাওয়ার জন্য বা ওদের আলাদা করার জন্য।আমি আস্তে আস্তে ওদের সামনে গিয়ে উপস্থিত হলাম আর ওদের সঙ্গে একদম নর্মাল ব্যবহার করলাম। ওরা একবারেই বুঝতে পারেনি যে আমার মনের ভেতর তখন ঠিক কি চলছিল।আমি ওদের সাথে দু একটা কথা বলার পর পরিনিতাকে বললাম পরিনিতা আমার মনে হয় এবার আমাদের যাওয়া উচিত,কারন রাত হয়ে যাচ্ছে, আর দাদা বউদিই বা কতক্ষণ সামলাবে নুপুর টুপুর কে।ববির কাছ থেকে বিদায় নেবার সময় ববি আমার সাথে শেকহ্যান্ড করলো।
এর পর হঠাৎ পরিনিতার দুই হাত নিজের হাতে নিয়ে বললো –“তাহলে পরিনিতা আশাকরি আমাদের আবার দেখা হবে”। পরিনিতাও ববির চোখের দিকে তাকিয়ে দারুন মিষ্টি করে হেঁসে বললো –“আপনার সাথে কথা বলে আমার ভীষণ ভাল লাগলো, আমাদের নিশ্চই আবার দেখা হবে”। ওর কথা শুনে আমার বুকের ভেতরটা কেমন যেন করে উঠলো। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্য হল আমার ধনটা জাঙিয়ার ভেতরে একপলকেই কিভাবে যেন শক্ত ইঁটের মত হয়ে উঠলো।
সেদিন বাড়ি ফেরার পর রাতে শোবার সময় পরিনিতা নিজেই আমার ওপর চড়লো।খুব উত্তেজিত থাকলে এর আগেও পরিনিতাকে ইনিসিয়েটিভ নিয়ে আমার ওপর চড়তে দেখেছি কিন্তু এদিন যেটা অদ্ভুত লাগলো সেটা হল আমাকে ঠাপানোর সময় পরিনিতা সারাক্ষণ নিজের চোখ বুঁজে রইলো।ওর মুখ দেখে মনে হল মনে মনে কি যেন একটা ভাবছে ও অথচ ওর ভারী পাছাটা যন্ত্রের মত আমাকে ঠাপিয়ে চললো।
যাই হোক ওর গুদে মাল পরার পর আমার মাল গুদে নিয়ে, সাফ না করেই যখন ও আমাকে জড়িয়ে ধরে শুল আমি তখন ভাবলাম যাক আজকে পার্টিতে ববির সাথে পরিনিতার হাঁসাহাঁসির ঘটনাটা বোধহয় সেরকম কিছু নয়।কিন্তু তা যে নয় সেটা বুঝতে পারলাম পরের দিন সকালে পরিনিতার সাথে ব্রেকফাস্ট খাওয়ার সময়।এদিক ওদিক দু একটা সাংসারিক প্রয়োজনের কথাবাত্রা হবার পর পরিনিতা হঠাৎ বললো -তোমাদের এই ববিকে কিন্তু কালকে আমার বেশ ভালই লাগলো।
পরিনিতা হঠাৎ করে ববির প্রসঙ্গ তোলায় আমি কফি খেতে খেতে ওর দিকে অবাক হয়ে তাকালাম।
-“মানে আমি বলছি তুমি ওকে যেরকম ভাবে আমার কাছে আমার বর্ণনা করেছিলে ও কিন্তু সেরকম একবারেই নয়।ওর কথাবাত্রা ব্যবহার ভীষণ ভদ্র আর ফ্রেন্ডলি। তুমি তো ওকে আমার কাছে এক প্রকার প্রায় ভিলেনই বানিয়ে দিয়েছিলে”।
-“ববি”?
-“হ্যাঁ তোমাদের ববি রায়”।
-“বাবা, তুমি তো মিস্টার রায় বলে ডাকতে, তুমি আবার কবে থেকে ওর ডাকনাম ধরে ডাকতে শুরু করলে? একটু ঠেস দিয়ে আমি জিজ্ঞেস করলাম ওকে”।
-“কালকে ও অনেক গল্প করলো আমার সাথে। নিজের কথাও যেমন অনেক বললো তেমনি আবার তোমার আর আমার সম্বন্ধেও অনেক কিছু জানতে চাইছিল। এমন খোলমেলা ভাবে কথা বলছিল যেন মনে হচ্ছিল ও কোন কম্পানির বস নয় যেন একজন সাধারন এমপ্লয়ী”।
আমার একটু কৌতূহল হল, ববি আবার আমাদের সম্পর্কে পরিনিতাকে কি জিজ্ঞেস করলো? তবে আমি আমার কৌতূহল দমন করলাম।বললাম –“আরে কালকে ও পার্টি হোস্ট করছিল বলে হয়তো সবার সাথে অতো ভাল ব্যবহার করছিল । অফিসে ওকে দেখলে বুঝতে পারতে। অফিসে ওর একবারে অন্যরুপ”।
মুখে একটা বিস্কুট পুরে চিবতে চিবতে পরিনিতা আমার দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হেঁসে বললো –“হয়তো”।
-“দেখ পরিনিতা তুমি ওর হয়ে কাজ করলে বুঝতে পারতে কিরকম ডমিনেটিং আর অ্যাগ্রেসিভ আচরণ ওর”।
-“জানিনা, আমি তো আর ওর সাথে কাজ করিনা, তুমি কর। আমারদের তো আর জানার চান্স নেই যে ওর সাথে আমি কাজ করলে ও আমার সাথে কেমন ব্যবহার করতো”? আমার দিকে তাকিয়ে আবার একটু মুচকি হেঁসে পরিনিতা আমাকে বললো।
পরিনিতার কথা শুনে মনের মধ্যে কেমন যেন একটা যৌন উওেজনা শুরু হল আমার।ভাবলাম পরিনিতা সত্যিই যদি আমাদের অফিসে ববির সাথে কাজ করতো আর আমি অন্য অফিসে কাজ করতাম তাহলে? এরকমটা হলে ববি কি কখনো সুযোগ বুঝে ওর সাথে শোয়ার প্রস্তাব দিত পরিনিতাকে? কি করতো পরিনিতা তখন? ববি কে যে ও মনে মনে বেশ পছন্দ করে তা তো আমি জানি। তাহলে কি দোনামোনা করেও শেষ পর্যন্ত ধরা দিত ও ববির কাছে? আমাকে লুকিয়ে নিয়মিত ভাবে শুতে শুরু করতো ববির বিছানায় আর আমি জানতেও পারতামনা।
কিন্তু আমি ওইসব আবোলতাবোল চিন্তা মন থেকে জোর করে সরিয়ে দিলাম। ভাবলাম পরিনিতার মনে ববি সম্বন্ধে উচ্চধারনার একটা বিহিত হওয়া দরকার।বললাম –“মোদ্দা কথাটা হল ববি অফিসে যতই লাফাক আর ঝাঁপাক সেরকম বিশাল কিছু একটা বিজনেস প্রমোসান ও করতে পারেনি”।
পরিনিতা কাঁধ ঝাকালো বললো –“জানিনা, তবে তোমাদের অফিসের মেয়েরা কিন্তু সেরকম মনে করে না। ওরা তো দেখলাম ববি ববি করে একবারে পাগল”।
আমি অবাক হয়ে গেলাম এই দেখে যে পরিনিতা এখনো ববির হয়ে কথা বলেই চলেছে। ভেবেছিলাম ও চুপ করে যাবে কিন্তু সকালে ববির প্রসঙ্গটা ও তোলার পর থেকে ববির ব্যাপারে কথা যেন ও আর বন্ধ করতে চাইছেইনা।আমি আর কথা বারালাম না, চুপ করে নিজের ব্রেকফার্স্টটা শেষ করার দিকে মন দিলাম। পরিনিতা বোধহয় বুঝতে পারলো আমি কোন ব্যাপারে একটু বিরক্ত হয়েছি।
-“কি হল সঞ্জিব হঠাৎ চুপ করে গেলে যে”?
-“আসলে একটা জিনিস আমার কাল থেকে মনে খচখচ করছে। কিন্তু আমি বলতে ভয় পাচ্ছি। বললে ব্যাপারটা হয়তো শুনতে একটু অন্যরকম লাগবে তোমার কাছে। আসলে আমি তোমাকে আপসেট করতে চাইনা”।
আমার কথা শুনে পরিনিতাকে কেমন যেন একটু চিন্তিত মনে হল।
-“কি ব্যাপার সঞ্জিব আমাকে খুলেই বলনা”?
-“দেখ আমি বলতে পারি তবে তুমি কিন্তু কিছু অন্যরকম মনে করতে পারবেনা।আমার মনে যা আছে তাই তোমাকে বলছি। যদি আমাদের মধ্যে কিছু মতান্তর থাকে তাহলে আমরা ব্যাপারটা কথা বলে ঠিক করে নেব কেমন? ব্যাপারটা ববির সম্বন্ধে”।
-“ববির সম্বন্ধে? কি ব্যাপার বল”?
-“আমি জানিনা কাল পার্টিতে অন্য মেয়েদের কাছ থেকে তুমি কিছু জানতে পেরেছ কিনা। তবে আমি শুনেছি ববির ক্যারেকটার খুব খারাপ। বিবাহিত, সুন্দরী এবং একটু ভারী চেহারার মেয়েদের প্রতি একটু বিশেষ দুর্বলতা আছে ওর”।
-“আমার কথা শুনে পরিনিতা হেঁসে ফেললো। ও এই ব্যাপার। হ্যাঁ আমিও কাল পার্টিতে ববির সম্বন্ধে অনেক গল্প শুনেছি”।
-“পরিনিতা ব্যাপারটা কিন্তু আমার কাছে খুব মজার লাগছেনা”।
-“কেন?তুমি কি ভাবছো আমার ববির সম্বন্ধে কোন বিশেষ ইন্টারেস্ট আছে”?
পরিনিতার গলায় কেমন যেন একটু রাগের আভাস পেলাম।
-“না না তোমার ব্যাপারে আমি চিন্তিত নই পরিনিতা। আমি তোমাকে বিশ্বাস করি”।
-“তাহলে কি তুমি চাইছো আমি ববির সাথে আর কথা না বলি? কি এটাই চাইছো তো”?
মনে খানিকটা সাহস সন্চয় করে আমি বললাম –“হ্যাঁ, মানে তুমি যদি কিছু মনে না কর”।
-“আমি মনে করবো সঞ্জিব……আমি মনে করবো। আমি মনে করি ববি ভীষণ চারমিং আর আমি ওর সাথে কথা বলাটা খুব এনজয়ও করেছি।আমি বুঝতে পারছিনা তুমি যদি আমাকে সত্যিই বিশ্বাস কর তাহলে তুমি কি ব্যাপারে এত চিন্তিত।সঞ্জিব তুমি যখন এরকম অদ্ভুত আচরণ কর তখন আমার খুব বাজে লাগে”।
ওর উত্তরে আমি খুব একটা খুশি না হলেও আমি ওর ওপরে খুব একটা জোর করতে পারলাম না, কারন একতো ও কোন দোষ করে নি, দুই এই ব্যাপারটা নিয়ে জোর করলে সেটা খুব বাড়াবাড়ি হয়ে যেত। পরিনিতার গম্ভির মুখ দেখে মনে হল ও প্রচণ্ড খেপে গেছে আমার ওপর।আমি ওকে বোঝাতে চেষ্টা করলাম আসল ব্যাপারটা কি এবং আমি ওকে কোন ভাবেই সন্দেহ করিনা। কিন্তু ও কোন কথা শুনতে চাইলোনা।
বোললো –“আমি আর এসব নিয়ে তোমার সাথে কোন আলোচনা করতে চাইছিনা সঞ্জিব, যদি ববি কখনো এমন কিছু করে যা আমার খারাপ লাগবে তাহলে আমি তৎখনাত তোমাকে জানাবো।এমন টোনে পরিনিতা আমাকে বোললো “তোমাকে জানাবো” যে আমি বুঝলাম ও আর এই ব্যাপারে কোন কথাই শুনতে রাজী নয়। সুতরাং আমি আর কথা বাড়ালাম না।
পরের সোমবারে অফিসে একটা স্টাফ মিটিং ছিল।
সোমবার এই ধরনের মিটিং আমার ভীষণ বাজে লাগে। একেতো সপ্তাহের শুরু বলে সোমবারে অনেক কাজ থাকে, তারপর স্টাফ মিটিংএ নিজের মার্কেটিং টিমের হয়ে একটা ছোটো খাট বক্তিতা দিতে হয়।কখনো দরকার হলে মান্থলি রিপোর্ট ও সাবমিট করতে হয়।সবচেয়ে বাজে লাগে অন্য সব মার্কেটিং টিমের বকর বকর শোনা।সাধারনত এই সব স্টাফ মিটিং শেষ হতে হতে প্রায় লাঞ্চ আওয়ার হয়ে যায়। তাছাড়া এরকম দিনে মিটিং শেষ হবার পর সাড়া দিনের কাজও শেষ করে বেরতে হয়। ফলে বেরতে বেরতে প্রায় রাত নটা হয়ে যায়। তবে একটা ব্যাপারই রক্ষে যে স্টাফ মিটিং হয় সাধারনত তিন মাসে একবার।
গত সপ্তাহে পরিনিতার সাথে সামান্য একটা ছোটোখাটো ব্যাপার নিয়ে মনোমালিন্য হওয়ায় এমনিতেই মন মজাজ খারাপ ছিল আমার। অফিসে ঢুকেই যেই শুনলাম ববি আজকে জেনারেল স্টাফ মিটিং ডেকেছে, সঙ্গে সঙ্গে মেজাজটা আরো খিঁচরে গেল। কি আর কোরবো, তাড়াতাড়ি একটু ফ্রেশ হয়ে নিয়ে কনফারেন্স রুমে গিয়ে বসলাম। একটু পরেই ববি ঢুকে পরলো কনফারেন্স রুমে আর মিটিং চালু করে দিল।“ফিউচার মিডিয়া আজ পর্যন্ত তার হিস্ট্রিতে সবচেয়ে বড় কনট্র্যাক্ট পেতে চলেছে শর্মা প্রোডাক্টের হাত ধরে। আমাদের সমস্ত মার্কেটিং টিমকে একযোগে হাতে হাত মিলিয়ে নেমে পরতে হবে এই প্রকল্পকে, এই কনট্র্যাক্টকে, সফল করতে”…………ইত্যাদি ইত্যাদি বলতে শুরু করলো।
মিটিং প্রায় দশ মিনিট চলার পর হঠাৎ আমাদের মার্কেটিং টিমের ঋতিকা এসে উপস্থিত হল। একটা কথা বলা হয়নি, এই ঋতিকা মেয়েটিকে আমিই ঢুকিয়েছি ফিউচার মিডিয়ায়। আমার কলিগ শেখরের রেফারেন্সে এসেছিল বলে ওকে একবারে ঢুকিয়ে নিয়েছি আমাদের টিমে।ওর স্বামী একটা জুটমিলে কাজ করতো।হঠাৎ করে জুটমিলটা স্ট্রাইকে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওর চাকরি চলে যায়। ঋতিকা এখন ওর বর আর ওর পাঁচ বছরের একটা বাচ্ছাকে নিয়ে খুব মুস্কিলে পরেছে।ওর স্বামীটা নাকি অনেক চেষ্টা করেও আর কোন ভাল চাকরি জোগাড় করতে না পেরে ফ্রাসট্রেটেড হয়ে মদ খাওয়া শুরু করেছে।মেয়েটা কিন্তু ভীষণ স্মার্ট। কে বলবে এক বাচ্চার মা।আমাকে ভীষণ রেস্পেক্ট করে ও।ওর সাথে আমার একটা প্লেটোনিক সম্পর্ক আছে। চাইলে হয়তো শারীরিক সম্পর্কও হয়ে যেত বিশেষ করে ও এখন যেরকম অর্থনৈতিক কষ্টে আছে।কিন্তু আমি পরিনিতাকে ছাড়া আর কারো সাথে শোবার কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনা বলে আমাদের সম্পর্কটাকে অতি সাবধানে প্লেটোনিকই রেখেছি।
যাই হোক যে কথা বলছিলাম। এই ধরনের স্টাফ মিটিংএ আমরা কেউ দেরি করে আসিনা। ঋতিকা মিটিংএ দেরি করে ঢোকাতে সবাই ভাবলো ববি হয়তো কিছু বলবে ওকে দেরি করে আসার জন্য।সবাইকে আশ্চর্য করে ববি নিজের স্পিচ থামিয়ে বললো –“হাই ঋতিকা, এস এস, তোমাকে আজ দারুন লাগছে দেখতে”।
ঋতিকা লজ্জায় মাথা নিচু করে কাউর দিকে না তাকিয়ে বললো –“সরি স্যার আই এম লেট”। ব্যাপারটা দেখে আমার মনে হল অফিসে যে রিউমারটা উড়ে বেড়াচ্ছে সেটা একবারে সঠিক। মিটিং চলাকালীন থেকে থেকেই ওদের পরস্পরের দিকে তাকানো থেকে যে কেউ বলে দেবে ওদের মধ্যে নিশ্চই কিছু একটা চলছে। ঋতিকা আমার মার্কেটিং টিমের মেম্বার।আমি ঠিক করলাম ব্যাপারটা নিয়ে ববির সাথে কথা বলবো।একজন বিবাহিত স্টাফ কে জড়িয়ে অফিসে এরকম একটা রিউমার ছড়ানো ভাল কথা নয়। আর তাছাড়া এভাবে চললে ঋতিকা কে আমাদের টিমে রাখাও মুস্কিল হয়ে পরবে। কারন টিম মিটিংএ কেউ যদি কোন কারনে ববির সমালোচনা করে আর ও যদি ববিকে গিয়ে সব লাগিয়ে দেয় তাহলেতো খুবই মুস্কিল।
শেখরের দিকে চোখ পরলো আমার। ঋতিকা আর ববির থেকে থেকেই একে অপরের দিকে তাকানো দেখে ওর তো হাঁসি চাপাই দুস্কর হয়ে উঠেছে।যাই হোক আমি মিটিংএ মন দেবার চেষ্টা করলাম।শর্মা প্রোডাক্টের কনট্র্যাক্টটা ববি কিভাবে পেয়েছে আর কিরকম ব্লাইন্ডলি একসেপ্ট করেছে সেটা জানার পর, ববির মুখে লংটার্ম রিলেশনশিপ, উইন উইন সিচুয়েশন, কোম্পানি বিজনেস সিকিউরিটি ইত্যাদি বড় বড় কথা শোনা প্রায় অসহ্য হয়ে উঠছিল। যাই হোক অনেক কষ্টে কয়েক ঘণ্টা কাটানোর পর অবশেষে লাঞ্চ আওয়ার এলো আর আমিও হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।মিটিংএ ডিসিশন হয়ে গেল শর্মা প্রোডাক্টের সাথে কনট্র্যাক্টটা আমরা নিচ্ছি, ওদের সাথে ফাইনাল নেগসিয়েশন হবে বৃহস্পতি আর শুক্রবার, সোমবার কনট্র্যাক্ট সাইন হবে, আমাদের কয়েকজন সিনিয়র মার্কেটিং হেড কে নিয়ে বানানো টিম মুম্বাই উড়ে যাবে শর্মা প্রোডাক্টের হেড অফিসে ওদের সাথে কনট্র্যাক্ট সাইন করতে।
মিটিং শেষ হবার পর আমি সোজা বাথরুমের দিকে গেলাম।বাথ রুমের ইউরিনারে নিজেকে হালকা করে প্যান্টের জিপার টানছি এমন সময় আমার পাশে বেসিনের ওপর লাগানো আয়নাতে দেখতে পেলাম ববি ঢুকছে বাথরুমে।ওর হাতে একগাদা ফাইল ভর্তি। ববি ফাইলগুলো বেসিনের পাশে একটা জায়গায় রেখে মুখ ধুতে ধুতে আমাকে জিজ্ঞেস করলো –“আরে সঞ্জিব, সব ঠিক ঠাক তো”?
–“হ্যাঁ ববি আমি ঠিক আছি”
–“আচ্ছা সঞ্জিব একটা কথা বল” ববি রুমালে নিজের মুখ মুছতে মুছতে বললো।
-“কি”?
-“আমাদের এই শর্মা প্রোডাক্টের সাথে এগ্রিমেন্টের সময় যে প্রপোসালটা আমরা ওদের কে দেব, সেই পেপারগুলোর প্রেজেন্টেসানের ব্যাপারে তোমার কোন ভাল আইডিয়া আছে।
-“মানে”?
-“মানে আমাদের কোম্পানির প্রোফাইলের কথাটাই যদি ধর। ওগুলো প্রফেসনালি বানাতে পারলে তবেইনা আমাদের কম্পানির ইমপ্রেসানটা ভাল হবে ওদের কাছে, তুমি কি বল”?
-“হ্যাঁ ববি, তুমি ঠিক বলছো, তবে ও ব্যাপারে আমি এখনো সেরকম কিছু ভেবে উঠতে পারিনি”।
-“আমি ভাবছিলাম যদি কোন অ্যাডভার্টাইসমেন্ট ওয়ার্ল্ডের প্রফেশনাল লোককে দিয়ে আমাদের কোম্পানি প্রোফাইলটা বানাতে পারি”।
-“হ্যাঁ, সে তো ভালই হয়”
_”আমি এও ভাবছিলাম যদি কোন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার জোগাড় করে আমাদের সার্ভিস ওরিয়ন্টেড কিছু ফটোগ্রাফ অ্যাড করতে পারি আমাদের প্রোফাইলে তো ব্যাপারটা দারুন হয়।
-“বাঃ তোমার এই আইডিয়াটা বেশ ভাল ববি”।
-“সঞ্জিব আমি চাইছি কভার পেজে যদি কোন সেক্সি একটা মহিলা মডেলের ছবি দিয়ে দেওয়া যায়, মানে আজকাল তো সুন্দরী মেয়েদের ছবি ছাড়া কোন অ্যাডভার্টাইসমেন্ট কমপ্লিটই হয়না”।
-হ্যাঁ, সে তো ঠিক।
-“চল ববি”। সঞ্জিব নিজের প্যান্টের চেন টেনে বাথরুম থেকে বেরতে বেরতে বললো। আসলে আমার হয়ে যাবার পরও ওর জন্যে অপেক্ষা করছিলাম আমি।আমার পেছন পেছন লাঞ্চরুমের দিকে যেতে যেতে ববি বললো –“সঞ্জিব তুমি আমার সাথে আজ লাঞ্চ করে নাও, তোমার সাথে দু একটা ব্যাপার একটু ডিশকাস করার আছে আমার।
একটু পরেই লাঞ্চরুমের টেবিলে ওর সাথে খেতে বসতে হল আমাকে।খেতে খেতে হঠাৎ ববি খানিকটা ফিসফিস করে আমাকে একটা গোপন খবর দেয়ার মতো ভঙ্গি করে বললো –“সঞ্জিব আমি ডিসিশান নিয়ে ফেলেছি আমাদের কোম্পানি প্রোফাইলের ফ্রন্টপেজে এবং ভেতরে পরিনিতা কে মডেল করে কয়েকটা ফটো দেওয়ার। আমি এর জন্য একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার ইউজ করতে চাই। মানে পরিনিতার ওই ফটোগুলো তোলার জন্য”।
ওর কথা শুনে চমকে উঠলাম আমি। বলে কি ও?
-“পরিনিতা……হঠাৎ………?
-“দেখ সঞ্জিব তোমার বউ পরিনিতা খুব সুন্দরী আর অ্যাট্রাকটিভ ।ওকে আমাদের কম্পানির প্রোফাইলের ফ্রন্টপেজে দারুন মানাবে। সেদিন পার্টিতে ওকে দেখেই আমার মাথায় এসে গিয়েছিল এই আইডিয়াটা”।
সঙ্গে সঙ্গে আমার মাথার ব্রেন কাজ করতে শুরু করলো। ধান্দাটা যে ওর ভাল নয় সেতো বোঝাই যাচ্ছে।
-“ববি আমার মনে হয় পরিনিতা রাজী হবে না। দেখ ও তো একটা সাধারন গ্রহবধু, এসব কাজের সেরকম কোন অভিজ্ঞতা ওর আগে থেকে নেই।তাই আমার মনে হয় ও এসব পারবেনা।
-“সঞ্জিব আমরা তো কোন নামি মডেল অ্যাফোর্ড করতে পারবোনা। আমি আসলে চাইছিলাম নতুন কাউকে যাতে করে আমাদের শুধু প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারের খরচাটা দিলেই হয়ে যায়। আমার একটা বন্ধু আছে যে একজন নামকরা প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। ওর নিজের একটা স্টুডিয়োও আছে। ওর সাথে পরিনিতার ব্যাপারে অলরেডি কথা বলে নিয়েছি আমি, ও একটু কমসম কোরে কোরেদেবে বোলেছে”।
-“কিন্তু ববি পরিনিতা কি রাজী হবে”?
-“হ্যাঁ ও তো রাজী, সেদিন পার্টিতেই তো ওকে বললাম আমার আইডিয়াটা”।
ববির কথা শুনে আমি একটু অবাক হয়ে গেলাম। ববিও বোধহয় বুঝতে পারলো আমি অবাক হয়েছি।
-“কেন পরিনিতা তোমায় বলেনি সঞ্জিব”?
-“না কই ও তো বলেনি”।
-“আশ্চর্য, ও যে আমাকে বললো ওর ছোটোবেলা থেকেই নাকি ফ্যাশান মডেল হবার খুব ইচ্ছে ছিল। পরিনিতাতো আমাকে একরকম প্রায় হ্যাঁ বলেই দিয়েছে, বলেছে আমি ফাইনাল ডিসিশন নিয়ে নিলে ও শুধু তোমার পারমিশনটুকু নিয়ে নেবে”।
আমি এবার কি বলবো ঠিক বুঝতে পারছিলামনা। পরিনিতার যে ছোটবেলা থেকে ফ্যাশন মডেল হবার ইচ্ছে ছিল তাই তো কোন দিন আমাকে খুলে বলেনি ও।
-“সঞ্জিব তাহলে তুমি ব্যাপারটা নিয়ে একটু ভেবে আমাকে তাড়াতাড়ি জানিয়ে দিও”।
-“ঠিক আছে”।
এই বলে ববি মুখ ধুতে চলে গেল।আমি মনে মনে ভাবছিলাম কি ভাবে পরিনিতা আমাকে না জানিয়েই ওকে হ্যাঁ বলে দিল।তার মানে পরিনিতা পার্টির পরের দিন ব্রেকফার্স্টের সময়ই কথাটা তুলতো। তাই সেদিন ববির প্রশংসা করে কথা শুরু করেছিল ও।কিন্তু ববির ব্যাপার নিয়ে আমার সাথে ওর খিটিমিটি লেগে যাওয়ায় ও আর আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করেনি।ভাবছিলাম ববি সত্যি কি স্মার্ট, সেদিন পার্টিতে আমি যখন বাথরুমে গিয়েছিলাম, তখন ওই অল্প সময়ের মধ্যেই ও পরিনিতাকে ইমপ্রেস করে ওকে রাজী করিয়ে নিয়েছে।
আচ্ছা ববি কি তাহলে কোনভাবে পরিনিতার কাছে আসার চেষ্টা করছে? এমনিতে পরিনিতার সাথে দু একটা অফিস পার্টিফার্টি ছাড়া ওরতো দেখা হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। আর কোন মহিলার সাথে কথা বলা গেলে তবেই তো তাকে ইমপ্রেস করা যাবে।তার মানে মনে হয় এই মডেলিং এর ছুতোয় ববি কোন ভাবে পরিনিতার কাছে আসার চেষ্টা করছে ।
সেদিন রাতে গাড়ি ড্রাইভ করে বাড়ি ফেরার সময় নানা রকমের উদ্ভট চিন্তা আমার মাথায় আসছিলো। এই ববি বোকাচোঁদাটা নিজেকে ভাবে কি? পরিনিতা আমার বিয়ে করা বউ। আমাকে আগে কোন কিছু না বলে ও কিভাবে পরিনিতাকে এই প্রস্তাব দিতে পারে। যত ভাবছিলাম তত মাথা গরম হচ্ছিল আমার। আমি যেন মানসচক্ষে দেখতে পাচ্ছিলাম পরিনিতা প্রায় অর্ধউলঙ্গ অবস্থায় নানা রকম উত্তেজক পোজ দিচ্ছে আর ববি একটা ক্যামেরা নিয়ে নানা রকম অ্যাঙ্গেলে পরিনিতার প্রচুর ছবি নিচ্ছে। রাগে মাথাটা যেন ফেটে যাবে মনে হচ্ছিল আমার। যাই হোক কোনক্রমে মন থেকে ওই সব উদ্ভট চিন্তা সরিয়ে আমি বাড়ি পৌছলাম।
রাতে খাওয়া দাওয়ার পর পরিনিতাকে ববির প্রস্তাবের কথাটা বোললাম। আমি ভেবে নিয়েছিলাম পরিনিতা হয়তো আবার ববির প্রসঙ্গ তোলায় আমার ওপর রেগে যাবে। কিন্তু পরিনিতা আশ্চর্য রকমের শান্তভাবে আমাকে জিগ্যেস করলো -“ওর প্রস্তাব শুনে তোমার কি মনে হল সঞ্জিব”? আমিও ঠিক ওর মত শান্ত ভাবে ওকে বললাম –“আমার মনে হয়েছে এটা একটা ভীষণ বাজে প্রস্তাব”।
-“যাই বল তোমাদের অফিসে এতো সুন্দরী মেয়ে থাকতেও ববি যে শুধু আমাকে তোমাদের ওই কোম্পানি প্রোফাইলটার কভার পেজের জন্য সিলেক্ট করছে, এই ব্যাপারটা কিন্তু বেশ ফ্লাটারিং”।
-“হ্যাঁ কিন্তু তুমি এসব কি ভাবে করবে? পরিনিতা, আমি মনে করি দু সন্তানের জননী একজন গৃহবধুর সংসার ফেলে এই সব মডেলিং টডেলিং এর ব্যাপারে একদম রাজী হওয়া উচিত নয়”।
-“ধুর, সেদিন আমি ববি কে শুধু বলে ছিলাম যদি সঞ্জিবের পারমিশন পাই তবেই ভেবে দেখবো।আমার আর ওসব মডেলিং ফডেলিং করার ইচ্ছে নেই, ছোটো বেলায় মানুষ কত কি ভাবে, এই হব সেই হব,সব কি সব সময় হওয়া যায় নাকি, ছাড়োতো”।
-“দেখ পরিনিতা তোমার কিন্তু ববিকে সেই দিনই মুখের ওপর না বলে দেওয়া উচিত ছিল”।
-“দিতামই তো কিন্তু ভাবলাম দেখিইনা একবার বলে তোমার পারমিশনের ব্যাপারটা, একটা মেয়ের তো জানতেও তো ইচ্ছে করে তার বর তার ইচ্ছের কতটা মর্যাদা দেয়”।
-“কি বলছো তুমি পরিনিতা, কিসের মর্যাদা, তুমি কি বুঝতে পারছোনা এসব করে ববি তোমার কাছে আসার চেষ্টা করছে”।
-“আমার মনে হয়না সঞ্জিব। ববির মতন ধনী সুপুরুষ বিজনেস ম্যাগনেটের আমার মত একটা সাধারন মেয়েকে এতটা পছন্দ হবার চান্স খুবই কম।
তারপর হঠাৎ আমার বিরক্ত মুখের দিকে তাকিয়ে কি যেন একটা ভেবে পরিনিতা বলে উঠলো –“অবশ্য হতেও পারে ববির মত ধনী লোকেদের অনেক শয্যাসঙ্গিনী থাকে”। আচমকা সুর বদলে পরিনিতার গলায় এবার কৌতুকের রেশ।
পরিনিতার কথা শুনেই আমার ধনটা তড়াক এক লাফে খাড়া হয়ে উঠলো। কি রকম যেন ভেতর ভেতর কাঁপতে শুরু করলাম আমি। পরিনিতা আমার মুখ দেখেই বুঝে নিল ব্যাপারটা কি। একটু মুচকি হেঁসে আমাকে বললো –“তাহলে লাইটটা নেবাই এবার, মনে হচ্ছে এখুনি আমার রেপ শুরু হবে। লাইটটা নিবিয়েই আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার বুকে মুখ গুঁজে দিল পরিনিতা ।তারপর আমার বুকের লোমে মুখ ঘসতে ঘসতে দুস্টুমি ভরা গলায় বললো –“সঞ্জিব তোমার কি মনে হয় ববির আমাকে পছন্দ হয়ে গেছে”।
-“কি জানি হয়তো?”
এবার একটু আদুরে স্বরে ও আমাকে জিগ্যেস করলো –“কেন আমার মধ্যে এমন কি আছে যে ওর মত হ্যান্ডসাম সুপুরুষের এত পছন্দ হবে এই দু বাচ্চার মা টাকে”?
পরিনিতা হঠাৎ ওর একটা হাত আমার লুঙ্গির মধ্যে ঢুকিয়ে আমার ধনটা খামচে ধরে চটকাতে শুরু করলো।আমি এতক্ষণে ওর দুস্টুমিটা বুঝতে পারলাম। ওর সাথে খেলাটা খেলতে রাজীও হয়ে গেলাম। ওকে বললাম -“আমি শুনেছি ববি নাকি ভারী চেহারার মেয়েদের খুব পছন্দ করে”।
-“ভারী চেহারার মানে কি গো”?
-“মানে তোমার মত যে মেয়েদের বুক আর পাছা বড় আর ভারী”।
পরিনিতা এবার আমাকে আস্তে আস্তে নিজের বুকের ওপর টেনে তুলতে লাগলো।
আমাকে ওর বুকের ওপর পুরোপুরি ভাবে তোলার পর ও নিজের নাইটির তলাটা গুটিয়ে গুটিয়ে নিজের কোমরের ওপর তুলতে তুলতে আমার কানে ফিসফিস করে জিগ্যেস করলো –“তোমার কি মনে হয় আমার মাই গুলো ববির মনে ধরেছে”?
নিজের শক্ত হয়ে যাওয়া ধনটা পরিনিতার ভিজে গুদের মুখে সেট করতে করতে আমি ফিসফিস করে বললাম, -“শুধু ববি কেন তোমার মতন ওরকম সেক্সি মাই পেলে সবাই তার দখল নিতে চাইবে”।
পরিনিতা এবার নিজের পা দুটো আমার কোমরের ওপরে তুলে দিয়ে লক করে দিল আমার কোমর। তারপর ওর একহাত আলতো করে আমার চুলের মুটি চেপে ধরলো আর অন্য হাত আমার পাছার মাংস খামচে ধরলো।
-“কিন্তু ববি তো জানে যে আমি দু বাচ্চার মা। ওতো জানে আমার মাই আমার বাচ্চাগুলোর এঁটো মাই”।
-“অনেকেই বাচ্ছাদের এঁটো মাই ভীষণ পছন্দ করে”।
-“কিন্তু দুধ খাওয়ানো মাই তো কুমারী মেয়েদের মত টাইট থাকেনা, একটু থলথলে হয়ে যায়। তোমার কি মনে হয় ববির আমার মত একটু থলথলে দুধ খাওয়ানো মাইই পছন্দ”।
-“দুধ খাওয়ানো মাই হলে নিপিলগুলো অনেক ডেভলপ্ট আর এবড়ো খেবড়ো থাকে। কুমারী মেয়েদের সেটা থাকেনা।অনেকেই মেয়েদের ডেভলপ্ট আর এবড়ো খেবড়ো নিপিল পছন্দ করে”।
-“কি জানি আমার কিছুতেই বিশ্বাস হয়না ওর মত ধনী মানুষ আমার মত চটকানো, ধামসান্, দুবার বাচ্ছা করা মাগি এত পছন্দ করবে।
-“তুমি জাননা অনেকেই একটু থসথসে, খাওয়া, আর বাচ্ছা বের করা মাগি ভীষণ পছন্দ করে।
এই বলে আমি একধাক্কায় পরিনিতার গুদে আমূল গেঁথে দিলাম আমার পুরুষাঙ্গটা। পরিনিতা উফ বলে আরামে কেঁপে উঠলো।
-“আচ্ছা তোমার কি সত্যি সত্যি মনে হয় আমি ববির প্রস্তাবে রাজী হলে ও আমার কাছাকাছি আসার চেষ্টা করতো আর সুযোগ পেলে আমাকে ওর বিছানায় নিয়ে গিয়ে তুলতো, আমাকে খেতো।
আমি পাগলের মত পরিনিতা কে খুঁড়তে খুঁড়তে বললাম –“হ্যাঁ”।
পরিনিতা চোখ বুঁজে আমার গাঁথন উপভোগ করতে করতে, প্রায় আমার মতই হাঁফাতে হাঁফাতে বোললো –“ধরে নাও আমি যদি কোনভাবে ওর প্রস্তাবে রাজী হই তাহলে কি ও আমাকে দু একবার খেয়েই ছেড়ে দেবে না তোমাকে সরিয়ে পাকাপাকি ভাবে আমার ওপর চড়ে বসতে চাইবে।তোমার কি মনে হয়”?
আমি একমনে পরিনিতাকে খুঁড়তে খুঁড়তে কোন ক্রমে বললাম –“জানিনা, তুমি কি সত্যি সত্যি চাও ববির বুকের তলায় শুতে”?
পরিনিতা হিসহিসে গলায় একটু হাঁসলো।তারপর বললো –“তোমার বুকের তলায়তো এত দিন ধরে শুলাম, ববির বুকের তলায় শুতে কেমন লাগে সেটা দেখেতে আমার মন তো একটু চাইতেই পারে, নাকি? তবে একটা মুস্কিল আছে জান, আমি ববির বুকের তলায় শুলে তোমার বুকের তলায় শুয়ে যে দুটোকে বার করলাম তাদের কি হবে।পারবে তুমি ওদের দায়ীত্ব একা সামলাতে।
স্পীডটা একটু কমিয়ে পরিনিতাকে একটু রগড়ে রগড়ে গাঁথন দিতে দিতে বললাম বিদেশে তো মায়েরা জামা পালটানোর মত বাবা পালটায় তাতে কি ছেলে মেয়েরা মানুষ হয়না।
-“তাহলে আশা আছে বলছো পরিনিতা খিকখিক করে হেঁসে উঠলো”।
-“ইইইইইই……আশা……অন্য পুরুষের দিকে তাকালে তোমার চোখ দুটো গেলে দেব হতচ্ছাড়া শাঁকচুন্নি কোথাকার”, এই বলে ওর হাত দুটোকে শক্ত করে চেপে ধরে, ওর গালে নিজের মুখ ঘসতে ঘসতে, ওকে ধাক্কা মেরে মেরে… ধাক্কা মেরে মেরে, ওর ভেতর ঢালতে লাগলাম আমার চটচটে কামরস।পরিনিতাকে বুকের তলায় চেপে ধরে ওর গুদের ভেতরে আমার পুরো বীর্যটা ঢালার পরও ওকে ছাড়লাম না আমি। অনেক্ষন পর্যন্ত ওর নরম গালে আর গলায় মুখ ঘসতে লাগলাম। প্রায় পনের মিনিট পর যখন ওর ওপর থেকে নাবলাম, পরিনিতা নিজের নাইটি ঠিক করতে করতে আমাকে বললো –“বাপরে এই ববির ওপর কি ভীষণ রাগ তোমার। ওর নাম শুনতেই এরকম জ্বলে ওঠ তুমি তা তো আগে জানতামনা। আজ তুমি প্রায় তিরিশ মিনিট ধরে একটানা চুঁদলে আমাকে।তুমি এর আগে আর কোন দিন এতক্ষন ধরে দিতে পারনি।মাঝে মাঝেই ববির নাম করে এই খেলাটা এবার থেকে খেলতে হবে দেখছি”।
হি হি করে হাঁসতে হাঁসতে আমি বললাম –“দেখ ববি যদি কোন ভাবে জানতে পারে যে ওর নাম করে আমরা রোজ রোজ আমাদের বিছানা গরম করছি তাহলে কালই ও তোমাকে জোর করে তুলে নিয়ে যাবে ওর কাছে।পরিনিতাও হাঁসতে হাঁসতে বললো –“ইস বেচারা জানবেওনা ওর নাম করে রোজ রাতে কত কত ফুর্তি করবো আমরা এবার থেকে । পরিনিতার কথা শুনে এবার আমরা দুজনেই একসাথে হেঁসে উঠলাম।
সেই সপ্তাহের শুক্রবার অফিস যাওয়ার আগে পরিনিতা আমাকে বোললো “শোন তুমি আজকে কিন্তু অফিসে বেশি দেরি কোরনা।কারন আজকে তোমাদের অফিসের মিস্টার দেসাই এর বাড়ির পার্টিতে যেতে হবে।আমার মনে পরল আমাদের অফিসের সিনিয়ার অ্যাকাউন্ট্যানট মিস্টার দেসাই কদিন আগে আমাকে ওর বাড়িতে ওর জন্মদিনের পার্টিতে ইনভাইট করছিলেন।অবশ্য শুধু আমাকে নয় উনি আমাদের অফিসের প্রায় সবাইকেই নেমন্তন্ন করেছিলেন।ওনার বউ মিসেস দেসাই আবার প্রত্যেকটি এমপ্লয়ীর বাড়িতে ফোন করে করে তাদের স্ত্রীদের আলাদা আলাদা ভাবে নেমন্তন্ন করেছেন। আমি পরিনিতাকে জিগ্যেস করলাম কখন যাব আমরা পার্টিতে? পরিনিতা বললো –“মিসেস দেসাই বলেছেন পার্টি ছটা থেকে শুরু হবে, আমি ভাবছি সাতটা নাগাদ যাব।তুমি কিন্তু পাঁচটার মধ্যে অফিস থেকে চলে এস”।
–“দেখ পাঁচটায় বাড়ি ফিরতে হলে আমাকে চারটেতে অফিস থেকে বেরতে হবে, তার থেকে তুমি সাজুগুজু করে আমার অফিসে চলে এস, তাহলে আমরা একসঙ্গে অফিস থেকে বেরিয়ে মিস্টার দেসাই এর বাড়ি চলে যেতে পারবো”।–পরিনিতা বললো “ঠিক আছে তাই হবে”।সেদিন আমি সকাল থেকে ফটাফট আমার হাতের কাজ গুলোকে শেষ করে নিতে লাগলাম। কিন্তু একটা ঝামেলার ইস্যু কিছুতেই শেষ করতে পারছিলামনা। সাড়ে চারটে নাগাদ বুঝলাম কাজটা অত সহজে শেষ হবার নয়।আমি সঙ্গে সঙ্গে পরিনিতাকে ফোন করে ব্যাপারটা বললাম। –“তুমি কিন্তু আমাকে প্রমিস করেছিলে সঞ্জিব” পরিনিতার গলাতে বিরক্তির ভাব ফুটে উঠলো। -“আমি জানি পরিনিতা কিন্তু কাজটা এত ইম্পরট্যান্ট যে এটা শেষ না করে আমি বেরতে পারবোনা”।
-“তাহলে কি আজ আর যাওয়া হবেনা”? পরিনিতা একটু গম্ভীর গলায় জিগ্যেস করলো।
-“না না তা কেন, তুমি এক কাজ কর পরিনিতা, আমি যদি ঠিক সময়ে কাজ শেষ করতে না পারি তাহলে তুমি পার্টিতে ডাইরেক্ট চলে যাও।আমি কাজ শেষ হলেই অফিস থেকে ওখানে চলে যাব”।
-“না আমি তোমাকে ছাড়া ওখানে যেতে চাইনা।আচ্ছা আমি একটা কাজ করছি, আমি বাচ্চাটাকে একটু বুকের দুধ খাইয়ে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তোমাদের অফিসে চলে আসছি।তোমাদের রিশেপসানেই বসে অপেক্ষা করবো, তোমার কাজ হয়ে গেলে একসাথেই ওখান থেকে বেরবো”।
-“ঠিক আছে আমি চেষ্টা করছি কাজটা সাড়ে ছটার মধ্যে শেষ করার”।
পরিনিতা কোন উত্তর দিলনা শুধু ফোনটা কেটে দিল। বুঝলাম ভীষণ বিরক্ত হয়ে রয়েছে ও মনে মনে।
কাজটা শেষ করতে করতে আমার প্রায় সাতটা বেজে গেল।আমাদের অফিস ঠিক পাঁচটাতে বন্ধ হয়ে যায়। এখন অফিস একবারেই ফাঁকা। এতক্ষণে পরিনিতা নিশ্চয়ই এসে গেছে।বুঝতে পারছিলাম ও একা একা রিশেপসানে বসে বসে বোর হচ্ছে আর মন মনে আমার মুণ্ডুপাত করছে।
আমি তাড়াতাড়ি কম্পিউটার বন্ধ করে আমাদের অফিসের রিশেপসানের দিকে এগোলাম।রিশেপসানে গিয়ে দেখি পুরো রিশেপসানটা ফাঁকা শুধু ববি ওখানে বসে বসে পরিনিতার সাথে গল্প করছে। কি নিয়ে যেন একটা গভীর আলোচনায় মত্ত ওরা।ব্যাপারটা দেখা মাত্র আমার পেটের ভেতরে কিরকম যেন একটা ঘোঁট পাকিয়ে উঠলো।অনেক কষ্টে নিজেকে সামলালাম আমি। এখন যদি ওখানে গিয়ে আমি কোনভাবে আমার আসন্তুষ্টি ওদের কাছে প্রকাশ করে ফেলি তাহলে মুস্কিল।
এক তো ববি আমার কলিগ নয় আমার বস ।
দুই পরিনিতাও খেপে যাবে আমার ওপর, বলবে আমি জেলাশ।আমি নিজেকে যতটা সম্ভব স্বাভাবিক করে ওদের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম।পরিনিতা আমাকে দেখেই সোফা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বললো –“তোমার হয়ে গেছে সঞ্জিব?” ববি বললো “ও, সঞ্জিব আর তুমি বোধহয় এখান থেকে ডাইরেক্ট পার্টিতে যাবে না”? পরিনিতা বললো –“হ্যাঁ, আসলে ও এত দেরি করে ফেললো, এখান থেকে ডাইরেক্ট না গেলে আজ আর পার্টিতে যাওয়া হতনা”।আমি ববির দিকে তাকিয়ে একটু হেঁসে পরিনিতা কে ইশারা করে বললাম “পরিনিতা চল এবার বেরনো যাক আমাদের অনেক দেরি হয়ে গেছে”।
কিন্তু বাইরে বেরিয়েই থমকে যেতে হল আমাদের, কারন বাইরে অসম্ভব জোর বৃষ্টি পরছিল। আমার গাড়িটা আমাদের অফিস বিল্ডিং এর থেকে অনেকটা দূরে একটা পারকিং লটে রাখা ছিল। অফিসের সামনের পারকিং লটটা শুধু এই বিল্ডিং এর বিভিন্ন অফিসের ডাইরেক্টরদের জন্য রিজার্ভ করে রাখা। এমনিতে মিনিট পাঁচেক লাগে আমার গাড়ির কাছে পৌঁছতে। কিন্তু যা জোর বৃষ্টি পরছিল তাতে করে ওইটুকু দূরত্ব যেতে যেতে ভিজে চুপ্সে যাব আমি।তাছাড়া পারকিং লটে ঢোকার মুখটাতে ভীষণ জল জমেছে, সেটার মধ্যে দিয়ে যেতে হলে হাঁটু পর্যন্ত ভিজে যাবে আমার।
কি করবো তাই ভাবছিলাম এমন সময় ববির গলা পেলাম পেছনে। -“বাপরে এতো ভীষণ বৃষ্টি পরছে, তোমরা যাবে কি করে?সঞ্জিব তুমি এক কাজ কর, তুমি বরং একটু অপেক্ষা কর বৃষ্টিটা ছাড়ার জন্য।বৃষ্টিটা একটু কমে এলে তবে তুমি গাড়িটা বের করার চেষ্টা করো, না হলে এমন কাক ভেজা ভিজে যাবে যে আর পার্টিতে যাওয়ার মতন অবস্থা থাকবেনা।তবে বৃষ্টি কমে গেলেও ওখানে যা জল জমে আছে তাতে মনে হচ্ছে প্যান্ট না ভিজিয়ে তোমার ওখানে যাওয়া মুস্কিল”।
পরিনিতা করুন মুখে বললো –“আজ এতো বাধা পরছে যে মনে হচ্ছে আজ আর পার্টিতে যাওয়া হবে না”।পরিনিতার করুন মুখ দেখে আমার খুব মায়া হল, বেচারি কখন থেকে সেজে গুজে রেডি হয়ে বসে রয়েছে, আমি আজ অফিসে দেরি না করলে ওকে এরকম অবস্থার মধ্যে পরতে হতনা, আমরা এতক্ষণে মিস্টার দেসাই এর পার্টিতে পৌঁছে যেতাম।
হঠাৎ ববি বললো –“সঞ্জিব তুমি যদি কিছু মনে না কর তাহলে আমি পরিনিতাকে নিয়ে মিস্টার দেসাই এর পার্টিতে চলে যাচ্ছি, তুমি বৃষ্টি থামলে গাড়িটা দেখ বার করতে পার কিনা”? পরিনিতাকে ববির সাথে ছাড়ার একদম ইচ্ছে ছিলনা আমার কিন্তু ওর করুন মুখের কথা চিন্তা করে আমাকে রাজী হয়ে যেতে হল। পরিনিতাও দেখলাম না করলো না। বৃষ্টির তেজ একটু কম হতেই পরিনিতা আর ববি এক দৌড়ে বিল্ডিং এর সামনের পারকিং লটে রাখা ববির গাড়িতে উঠে পরলো।
গাড়ি স্টার্ট করার পর ববি আমাকে জানলা দিয়ে বললো “সঞ্জিব তুমি চিন্তা কোরনা, আমি পরিনিতাকে সাবধানে ঠিক মিস্টার দেসাই এর বাড়িতে পৌঁছে দেব”।পরিনিতা জানলা দিয়ে আমাকে হাত নাড়লো আর ওদের গাড়িটা হুস করে জল ছিটিয়ে বেরিয়ে গেল। পরিনিতা আর ববি বেরিয়ে যাবার পরেই মনে কু ডাকতে শুরু করলো আমার।
ববির মত লুজক্যারেক্টারের সাথে পরিনিতাকে ছাড়ার একদম ইচ্ছে ছিলনা আমার কিন্তু সিচুয়েশনটা এমন ছিল যে না বলতে পারলাম না আমি। প্রায় মিনিট পনের পর বৃষ্টিটা একটু ধরে আসতেই আমি পারকিং লটের দিকে দৌড় মারলাম। পারকিং লটের সামনে যথারীতি অনেকটা জল জমা হয়ে আছে। কিন্তু দেখলাম জায়গাটা ঢালু বলেই বোধহয় বেশ কয়েকটা ইঁট এমন ভাবে ওখানে ফেলা আছে যে সাবধানে জলটা পার হওয়া যায়।
আমি কোনক্রমে গাড়িতে ঢুকেই গাড়ি স্টার্ট দিলাম।গাড়ি বাইপাসে পরতেই স্পীড তুললাম আমি। ভীষণ দুশ্চিন্তা হচ্ছিল পরিনিতাকে নিয়ে।মিনিট দশেক গাড়ি চালাবার পরে একবার রিয়ার ভিউ মিররে চোখ গেল, মনে হল আমার গাড়ির বেশ কয়েকটা গাড়ির পেছনে যেন ববির গাড়ি আসছে। এ কি করে সম্ভব? ওরাতো অনেক্ষন আগে বেরিয়েছে। ওদের তো এতক্ষণে মিস্টার দেসাইয়ের বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া উচিত।
গাড়িটা ভীষণ আস্তে আস্তে আসছিল। ঠিক বুঝতে পারছিলাম না ওটা ববিরই গাড়ি কিনা। একটু পরেই গাড়িটা বাইপাশ থেকে বাঁ দিকের একটা সরু গলিতে নেমে গেল। “স্টেরঞ্জ” মনে মনে ভাবলাম আমি। আমি গাড়ির গতি আরো বাড়িয়ে দিলাম। কিন্তু মনটা খচখচ করছিল। ববির কি এতো সাহস হবে যে পরিনিতাকে গাড়িতে সিডিউস করার চেষ্টা করবে? কে জানে কি করছে ওরা গাড়িতে? কত দুরেই বা আছে ওরা? নানা রকম দুশ্চিন্তা আমার মনে ভিড় করে আসতে লাগলো।
প্রায় মিনিট তিরিশেক গাড়ি চালানোর পর মিস্টার দেসাই এর বাড়ি এসে উপস্থিত হলাম। বৃষ্টি ততক্ষণে থেমে গিয়েছিল। মিস্টার দেসাইয়ের বিরাট বাগান বাড়িটা লোকে গিজগিজ করছিল।আমি বাড়ির পাশে যে ফাঁকা জায়গাটাতে সবাই গাড়ি পার্ক করে রেখে ছিল সেখানেই আমার গাড়িটা পার্ক করলাম।
কিন্তু মনটা খিঁচরে গেল যখন লক্ষ করলাম ববির গাড়ি ওখানে নেই। মানে ববি আর পরিনিতারা এখনো এখানে পৌছয়নি। ওরা তো আমার অনেক আগে বেরিয়েছিল, তাহলে গেল কোথায় ওরা? তাহলে কি ববি পরিনিতাকে পার্টিতে ড্রপ করে অন্য কোথাও চলে গেছে, সেই জন্যই পারকিং প্লেসে ওর গাড়ি নেই? আমি পার্টির ভেতরে পরিনিতাকে খুঁজতে শুরু করলাম। প্রচুর মহিলা ও পুরুষ বিশাল বাড়িটার চার দিকে যে যার নিজের মত করে জটলা পাকাচ্ছে।
পুরো বাগান বাড়িটা তন্ন তন্ন করে খুঁজলাম। বহু লোকের সঙ্গে দেখা হল কিন্তু পরিনিতা কোথাও নেই।এদিকে যেখানেই পরিনিতাকে খুঁজতে যাচ্ছি সেখানেই চেনা লোকেদের সাথে অন্তত মিনিট দুয়েক কথা বলতে হচ্ছে ভদ্রতাবসতো। এই সব করতে করতে আরো প্রায় মিনিট কুড়ি পার হয়ে গেল, এদিকে পরিনিতার দেখা নেই। ওরা যদি কোন কারনে রাস্তায় ফেঁসেও যায় তাহলেও এতো দেরি করার কথা নয় ওদের।
ববির প্রতি রাগে টগবগ করে ফুটতে শুরু করলাম আমি। হারামজাদাটা এমন ভাবে পরিনিতাকে লিফট দেবার কথা বললো যে আমি নাও করতে পারলাম না। এখন নিজের মনে নিজেকেই দোষারোপ করতে আরাম্ভ করলাম আমি।কি করবো কিছুই বুজে উঠতে পারছিলামনা। চুপচাপ অপেক্ষা করা ছাড়া আমার আর কোন উপাই ছিলনা।সবচেয়ে চিন্তা হচ্ছিল এই কারনে যে আমি পরিনিতাকে ওর সেল ফোনে অনেকবার ফোন করেও কোন উত্তর পাচ্ছিলামনা।
প্রত্যেকবারেই পরিনিতার সেল ফোনে রিং হয়ে যেতে লাগলো। প্রায় আট ন বার রিং করলাম আমি ওর ফোনে কিন্তু প্রত্যেকবারই একই ব্যাপার হল।ববির ফোনেও বার চারেক ফোন করলাম আমি কিন্তু সেখানেও ফোন লাগলোনা, ওর ফোন আনরিচেবল হয়ে আছে।আমি মিস্টার দেসাই এর বাড়ির গেটের কাছটাতে এসে দাঁড়ালাম।হাঁ করে গেটের বাইরের দিকে তাকিয়ে রইলাম, কিন্তু ওদের দেখা নেই।
এমন সময় গেটের কাছে নিলিমাকে দেখলাম। নিলিমা পরিনিতাকে চেনে। আগে দেখেছি পার্টিতে দেখা হলে ওরা খুব গল্প করতো। নিলিমা আমাদের অফিসের আ্যাকাউন্টসে আছে। ওকে গিয়ে জিগ্যেস করলাম ও পরিনিতাকে দেখেছে কিনা। নিলিমার উত্তর আমাকে একদিকে আশ্বস্ত করলেও আমার মন থেকে দুশ্চিন্তার বোঝাটাকে কমাতে পারলোনা। ও বললো ও একটু আগেই পরিনিতাকে ববির সাথে বাগানের এক কোনে কথা বলতে দেখেছে।যাক তাহলে ওরা পার্টিতে অন্তত পৌঁচেছে। কিন্তু পরিনিতা ববির সাথে কি এমন গল্পে মসগুল যে ওর সেল ফোনে এতবার রিং হওয়া সত্বেও ওর খেয়াল পরলো না। নাঃ, পরিনিতার সঙ্গে ববির ব্যাপারে কথা আমায় বলতেই হবে।
পরিনিতাকে এবার স্পস্ট বলে দেব আমি যে ও যেন দয়া করে এবার থেকে ববিকে এড়িয়ে চলে, কারন আমি ওকে আজকাল একদম সহ্য করতে পারছিনা। তাতে পরিনিতার রাগ হয় হোগ।আবার বাড়ির ভেতর দিকটাতে ঢুকলাম আমি। নিশার হাজব্যান্ড রাকেশ কে দেখতে পেলাম একটা জটলাতে। ওকে জিগ্যেস করতেই ও বললো ও পরিনিতাকে ববির সাথে একটু আগে দেখেছে ।ওর কাছে জেনে নিলাম বাগানের কোন দিকটাতে দেখেছে ও ববি আর পরিনিতাকে। মিস্টার দেসাই এর বাগান বাড়িটা বিশাল জায়গা জুড়ে অবস্থিত।
কাউকে একচান্সে এখানে খুঁজে পাওয়া খুব মুস্কিল, বিশেষ করে আজ যখন পার্টিতে এত লোকের সমাগম হয়েছে।কিন্তু বাগানে যওয়ার আগেই পেয়ে গেলাম আমার আরো এক অফিস কলিগকে। ওকে ববির সম্মন্ধে জিগ্যেস করতে ও বললো ও ববি কে মিনিট দশেক আগে একবার গেট দিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখেছে।আমি ওকে জিগ্যেস করলাম ববির সাথে আর কেউ ছিল কিনা। কলিগ বললো হ্যাঁ একটা খুব সুন্দরী শাড়ি পরা এক ভদ্রমহিলা ছিলেন ববির সাথে। বুকটা ধক করে উঠলো আমার। তাহলে কি পরিনিতা ববির সাথে পার্টি থেকে অন্য কোথাও বেরিয়ে গেছে।
পরিনিতা আমার সাথে এরকম করতে পারে স্বপ্নেও ভাবতে পারছিলামনা আমি। আমাদের এতো বছরের বিবাহিত জীবনে পরিনিতা এমন কোন কাজ কোনদিন করেনি যাতে করে আমার ওর ওপর কোনরকম সন্দেহ হতে পারে। আর তাছাড়া বৃষ্টি কমে গেছে বেশ কিছুক্ষণ আগে, পরিনিতা নিশ্চই বুঝবে কিছুক্ষণের মধ্যে আমি পার্টিতে চলে আসবো।ওর মনে কোনভাবে ববির সাথে কোন নিরালা জায়গায় যাবার ইচ্ছে হলেও আমি এসে পরবো বলে ও এতটা দুঃসাহস দেখাবেনা।
শরীরটা কেমন যেন করতে শুরু করলো আমার। পা দুটো যেন জোর হারিয়েছে বলে মনে হল। কোথাও একটু শুতে পারলে বেশ হত মনে মনে ভাবলাম আমি। শেষে একটা গার্ডেন চেয়ার ফাঁকা পেয়ে সেখানে বসে পরলাম। চোখ বন্ধ করে বেশ কিছুক্ষণ বসে একটু রেস্ট নিতে লাগলাম।
কি কারনে পরিনিতার এত দেরি হচ্ছে তা অনেক ভেবেও বার করতে পারলাম না আমি।শেষে বুঝতে পারলাম পরিনিতা না ফেরা পর্যন্ত আমি কিছুতেই জানতে পারবোনা কি হয়েছিল।একটা ব্যাপারে আমি নিশ্চিত যে ওদের রাস্তাতে কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি কারন অন্তত তিনজন একটু আগে ওদের পার্টিতে দেখেছে।নিজেকে একটু সামলে নেবার পর পার্টির যে দিকটাতে বুফে চলছিল সেই দিকে গেলাম আমি।একটা প্লেটে একটু চিকেন পাকৌড়া নিয়ে একটু খাবার চেষ্টা করলাম কিন্তু খেতে পারলাম না। মনে হচ্ছিল যেন ওয়াক উঠে আসছে।শেষে প্লেটটা নামিয়ে রাখলাম।
-“তুমি আসাতে আমি খুব খুশি হয়েছি সঞ্জিব, পরিনিতা কোথায়, ওর সাথে কিছুক্ষণ আগে অবশ্য একবার দেখা হয়েছে আমার”।
পেছনে ঘুরে দেখলাম মিস্টার দেসাই আমার ঠিক পেছনেই দাঁড়িয়ে আছেন।
-“আমি ঠিক জানিনা ও এখন কোথায়, আমার অফিসে একটু দেরি হয়েছিল বলে ও একলা চলে এসেছে। আমি আসার পরতো ওকে অনেক খুঁজলাম কিন্তু কিছুতেই ওকে পাচ্ছিনা”।
-“তুমি ওকে মোবাইলে ফোন করে নিলেনা কেন, তাহলেই তো ওকে খুঁজে পেয়ে যেতে”।
আমি মিস্টার দেসাই কে বলতে চাইলামনা যে আমি পরিনিতাকে আমার মোবাইল থেকে ফোন করেছিলাম কিন্তু ও ফোন তোলে নি।
-“আসলে আমি আমার মোবাইলটা তাড়াতাড়িতে অফিসে ফেলে এসেছি সেই জন্য ফোন করতে পারিনি”।
আমার কথা শুনে মিস্টার দেসাই নিজের পকেট থেকে নিজের মোবাইলটা বেড় করে আমার হাতে দিয়ে বললেন –“নাও আমারটা দিয়ে ফোন করে নাও”।
আমি বুঝতে পারছিলাম না যে পরিনিতা আমার নাম্বার থেকে ফোন না তুললেও অন্য নাম্বার থেকে পাওয়া কল তুলবে কিনা।যাই হোক আমি পরিনিতার নাম্বার ডায়াল করলাম।মুখে প্রকাশ না করলেও আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম যে পরিনিতা কলটা রিসিভ করে কিনা।আমি অবশ্য জানতামনা পরিনিতা কলটা রিসিভ করলে আমি ওকে ঠিক কি বলবো। আমি জানতাম না ও কোথায় কি অব্স্থায় আছে, আমি জানতামনা যে পরিনিতা কলটা আদৌ রিসিভ করবে কিনা?
আমাকে আশ্চর্য করে পরিনিতা তৃতীয় রিং হতেই কলটা রিসিভ করলো।
-“হ্যালো”
-পরিনিতা তুমি কোথায়? আমি সঞ্জিব বলছি।
-“আমি তো অনেকক্ষণ মিস্টার দেসাইের বাড়িতে পৌঁছে গেছি, তুমি কোথায়?
-“আমি তো যেখানটাতে বুফে হচ্ছে সেখানে দাঁড়িয়ে আছি, তুমি কোথায়? আমি তো তোমাকে তো অনেক্ষন ধরে খুঁজছি কিন্তু কিছুতেই তোমাকে দেখতে পাচ্ছিনা”।
হঠাৎ আমার চোখ গেল মিস্টার দেসাইের বাগানের একবারে কোনের একটা জায়গায়।ওখানে দেখি একটা আম গাছের ফাঁক থেকে পরিনিতা একটা মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে হাত নেড়ে ডাকছে।ওকে দেখতে পেয়েই যেন আমার বুকের ওপর থেকে একটা বিশাল ভার নেমে গেল।আমি মিস্টার দেসাই কে ধন্যবাদ দিয়ে, ওনাকে ওনার ফোন ফিরিয়ে দিলাম, তারপর পরিনিতার দিকে হেঁটে গেলাম।ওখানে গিয়ে দেখলাম আম গাছটার পেছনে খুব সুন্দর একটা বসার বেঞ্ছ রয়েছে।জায়গাটা বেশ নিরিবিলি।
ওখানে নিশা ছাড়াও আরো দুজন মহিলা রয়েছে, ওরা ওখানে বসে বসে গল্প করছিল।আমি মনে মনে ভীষণ খুশি হলাম এই দেখে যে ওখানে ববি নেই। আম গাছটার পেছনে যে এত সুন্দর একটা বসার বেঞ্চ আছে তা একটু দূর থেকে বোঝা শক্ত। সেই জন্যই বোধহয় আমি এখানটা দিয়ে পরিনিতার খোঁজে ঘুরে গেলেও ওদের কে গল্প করতে দেখতে পাইনি।
-“ইস তুমি নিশ্চই খুব চিন্তা করছিলে আমার জন্য” পরিনিতা বললো।
-“হ্যাঁ ভীষণ চিন্তা হচ্ছিল তোমাদের জন্য”। আমি ইচ্ছে করেই তোমার না বলে তোমাদের বললাম।
-“আর বোলনা ববির গাড়িতে কি একটা যেন প্রবলেম হয়েছিল, বার বার স্টার্ট বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। অনেক কষ্টে আমরা এখানে পৌঁছলাম”।
-“তুমি আমাকে ফোন করলে না কেন, আমি আসবার পথে তোমাকে আমার গাড়িতে তুলে নিতাম”।
আমার কথা শুনে পরিনিতা যেন একটু অস্বস্তিতে পরে গেল। ও বললো
-“আর বোলনা… ফোন করতে গিয়ে দেখি মোবাইলের ব্যাটারিটা একদম শেষ।ফোন অন করলেই অফ হয়ে যাচ্ছে।এখানে পৌঁছেও একবার চেষ্টা করলাম তোমাকে ফোন করতে কিন্তু ফোন অফ হয়ে গেল। শেষে মিস্টার দেশাই এর সাথে দেখা করে ওঁর একটা ঘর থেকে আমার ফোনটাতে মিনিট পনেরো চার্জ দিয়ে নিলাম ।
তারপর তোমাকে ফোন করতে যাব এমন সময় নিশার সাথে দেখা। ব্যাস ভুলেই গেলাম তোমাকে ফোন করার কথা।ওর সাথে এখানে চলে এসে গল্প জুড়ে দিয়েছিলাম।সত্যি আমি আজকাল ভীষণ ভুলো হয়ে যাচ্ছি, আমার অবশ্যই উচিত ছিল চার্জ দেবার পর তোমাকে একটা ফোন করার চেষ্টা করা।ফোনে কাউকে না পেলে সবাইয়েরই চিন্তা হয়।এই নিশা এমন সব গল্প জুড়লো যে ভুলেই গেছিলাম তোমার কথা। হঠাৎ দেখি একটা ফোন এসেছে। তুলে বুঝলাম ওটা তুমি”।
-“আমি পার্টিতে এসে দেখি ববির গাড়ি পারকিং প্লেসে নেই। তখনই বুঝলাম নিশ্চই কিছু একটা গণ্ডগোল হয়েছে। তোমরা তো আমার অনেক আগে অফিস থেকে বেরিয়েছ। তোমাদের তো অনেক আগে এখানে পৌঁছানোর কথা ছিল”।
-“তোমাকে বললাম না ববির গাড়িতে একটু প্রবলেম হচ্ছিল। আমাকে নাবিয়ে দিয়ে ববি একটু মেকানিকের খোঁজে গেল। ওকে তো নিউআলিপুরে বাড়ি ফিরতে হবে আজ রাতে। এই ভাবে থেকে থেকেই স্টার্ট বন্ধ হয়ে গেলে তো গাড়ি চালানোই ভীষণ মুস্কিল, আর বেশি রাত হয়ে গেলে মেকানিকও পাওয়া যাবেনা।ওই জন্যই ও তড়িঘড়ি করে বেরোল।এখন বুঝতে পারছো কেন তুমি ববির গাড়ি পারকিং প্লেসে দেখতে পাওনি”।
আমি বললাম ঠিক আছে অনেক গল্পটল্প হয়েছে, এখন চল তাড়াতাড়ি কিছু খেয়ে নি। আমার কথা শুনে নিশারাও বললো -“হ্যাঁ চলুন সঞ্জিবদা আমাদেরও খুব খিদে পেয়ে গেছে”।
পরিনিতার দেরি হবার আসল ঘটনাটা জানার পর আমার নিজেকে ভীষণ হালকা আর ফুরফুরে লাগছিল।কিন্তু পরিনিতাকে কেমন যেন অন্যমনস্ক দেখলাম। কি হয়েছে জিগ্যেস করাতে ও বললো ওর অল্প একটু মাথা ধরেছে।অবশ্য বুফেতে গিয়ে খাওয়া দাওয়া শুরু করতে আর নিশার সেই ইরোটিক জোক শুনতে শুনতে একটু পরেই পরিনিতা আমাদের সাথে হাঁসাহাঁসিতে মেতে উঠলো।
যাই হোক পার্টি ভালোয় ভালোয় মিটে যাবার পর আমরা বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। ফেরার পথে গাড়ি ড্রাইভ করতে করতে আমার এক এক করে মনে পরতে লাগলো পার্টিতে যখন পরিনিতাকে দেখতে পাচ্ছিলাম না তখন আমার নিজেকে কিরকম হেল্পলেস লাগছিল।সবচেয়ে অস্বস্তি লাগছিল তখন, যখন আমি শুনলাম যে ববি যখন পার্টি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল তখন ববির সাথে একজন সুন্দরী শাড়ি পরা মহিলাও ছিল।মনটা খচখচ করে উঠলো আমার।
নিজেই নিজেকে মনে মনে প্রশ্ন করলাম ববির সাথে শাড়ি পরা ওই সুন্দরী মহিলাটি কি পরিনিতা ছিল? ওকি সত্যিই ববির সাথে কোথাও গিয়েছিল পার্টি থেকে আর আমি আসার একটু আগে ববি ওকে পার্টিতে ফিরিয়ে দিয়ে গিয়েছিল।কে জানে আসল ব্যাপারটা কি? আমার মনের মধ্যে কি চলছিল পরিনিতা সেটা বুঝতে পারছিলনা, ও একমনে পার্টিতে কে কি বললো সেই নিয়ে কনটিনিউাস বকে যাচ্ছিল, যার একটা কথাও আমার কানে ঢুকছিলনা।
রাতে বাড়ি ফিরে হাত মুখ ধোবার পর কাজের মাসিটাকে জিগ্যেস করে জানলাম নুপুর আজ রাতে বউদির কাছে পড়াশুনো করার পর ওদের কাছেই শুয়ে পরেছে। মাসি কে খেতে দিয়ে আধা ঘুমন্ত টুপুর কে নিয়ে বিছানায় এল পরিনিতা। বাচ্ছাটাকে কোলে নিয়ে ব্লাউজ খুলে মাই দিতে শুরু করলো ও। আমার মনে হল মনের খচখচানিটা দূর করার এই হল মোক্ষম সময় । খুব সাবধানে ওর সাথে কথা শুরু করলাম আমি।
-“পরিনিতা আমি পার্টিতে আসার আগে কিছু ইনটারেস্টিং হয়ে ছিল নাকি। তুমি কি করলে অতক্ষণ”?
-“সেরকম কিছু হয়নি। আমি মিস্টার দেসাই এর সাথে একবার দেখা করলাম, তারপর ওঁর ঘরে মোবাইলে চার্জ দিতে দিতে নিশা আর লতিকার সাথে দেখা হল। তারপর ওদের সাথে গল্প করছিলাম”।
-“আচ্ছা তোমাকে মিস্টার দেসাই এর বাড়ি ড্রপ করার পর ববি কি পার্টিতে খুব অল্প সময় ছিল”?
-“তুমি এক কথা বার বার জিগ্যেস করছো কেন বলতো? তোমাকে তো তখনই বললাম যে ববির গাড়ির একটু প্রবলেম হচ্ছিল, ও আমাকে পার্টিতে ড্রপ করে একটু বেরিয়ে ছিল, যদি কাছাকাছি কোন মেকানিক বা গ্যারেজ পায় তার জন্য”।
আমি জানতাম এর পরে যে কথাটা আমি বলতে যাচ্ছি সেটা শুনলে পরিনিতা রেগে আগুন হয়ে যেতে পারে, কিন্তু বোলবোনা বোলবোনা করেও বলেই ফেললাম সেই কথাটা, যেটা আজ বিকেল থেকেই আমাকে কুরে কুরে খাচ্ছিল।
-“বাবা…… ববি তোমাকে একলা পেয়েও তোমার সাথে ফ্ল্যার্ট না করে পার্টি থেকে বেরিয়ে গেল যে বড়? আমি তো ভাবছিলাম পার্টিতে গিয়ে দেখবো তোমরা দুজনে এককোণে দাঁড়িয়ে গুজুর গুজুর ফুসুর ফুসুর করছো”।
কথাটা জিগ্যেস করেই বুঝলাম মারাত্মক ভুল হয়ে গেছে। ববি পরিনিতার ব্যাপারে কোন বাড়তি ইনটারেস্ট দেখিয়ে ছিল কিনা সেটা জানতে গিয়ে আমি পরিনিতাকে অকারণে ঠেস দিয়ে ফেললাম।
আমাকে আশ্চর্য করে পরিনিতা রেগে না গিয়ে তাড়াতাড়ি বোললো –“তোমাকে তো তখন বললাম ও কেন তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গিয়েছিল”।
পরিনিতার উত্তরটা অদ্ভুত লাগলো আমার। পরিনিতার রেগে না যাওয়ার ব্যাপারটাও কি রকম যেন সন্দেহজনক মনে হল। ওর মুখের ভাবে কিন্তু অপরাধ বোধের কোন গ্লানি ছিলনা, ছিল কি রকম যেন একটা স্যাড লুক।
আমি একটু মজা করার ছলে, গলায় একটু কৌতুক মিশিয়ে জিগ্যেস করলাম –“তুমি সত্যি বলছো তো”?
পরিনিতা আমার দিকে চেয়ে একটু হাঁসলো তারপর বললো –“সঞ্জিব তুমি যতই ঠাট্টা ইয়ার্কির ভান করনা কেন আমি জানি আমি ববির গাড়িতে ওঠার পর থেকেই তোমার মনে ভয় ঢুকেছে যে ববি আমাকে ওর গাড়িতে বা পার্টিতে একা পেয়ে সিডিউস করতে পারে। কি আমি ঠিক বলছিতো”?
পরিনিতা মুখে একটু বিদ্রূপের ভাব এনে কথাগুলো বললেও আমার মনে হল ওর মুখের সেই স্যাড লুকটা চাপা দেওয়ার জন্যই ও একটু মজা করে আমাকে পালটা ঠেস দিতে চাইলো। ওর মনের ভেতরে নিশ্চই কোন না কোন একটা অস্বস্তি আছে বিষয়টা নিয়ে।
আমি পরিনিতার মুখের দিকে তাকিয়ে ওর এক্সপ্রেসানটা বোঝার চেষ্টা করছিলাম। পরিনিতা বুঝতে পারলো আমি ওকে পড়ার চেষ্টা করছি।
ও একটু সিরিয়াস হয়ে গিয়ে বললো –“সঞ্জিব তুমি আমাকে একটু খোলাখুলি বলবে আজ বিকেল থেকে কোন কথাটা তোমাকে ভেতর ভেতর কুরে কুরে খাচ্ছে।”
এবার আমি একটু অস্বস্তিতে পরে গেলাম ওর প্রশ্ন শুনে। নিজেকে সামলে নিতে গিয়ে বলে ফেললাম –“হ্যাঁ ইস্যু তো একটা আছেই, কিন্তু পরিনিতা আমার ব্যাপারটা তোমাকে খুলে বলতে খুব লজ্জা লাগছে”।
-“সঞ্জিব আমাকে জানতেই হবে, কি এমন কথা যে তুমি ভেতর ভেতর এত চিন্তিত হয়ে পড়েছো অথচ আমাকে লজ্জায় বলতে পারছোনা? তোমাকে বলতেই হবে সঞ্জিব। লজ্জ্যা লাগছে, অস্বস্তি লাগছে, এই ধরনের কথা বলে তুমি পালাতে পারবেনা আমার থেকে”।
-“ঠিক আছে পরিনিতা আমি তোমাকে বলবো কিন্তু তোমাকে প্রমিস করতে হবে যে আমার কথা শুনে তুমি রেগে যেতে পারবেনা”।
-“আমি ওরকম প্রমিস তোমাকে করতে পারবোনা সঞ্জিব। ওরকম প্রমিস করার আগে আমাকে জানতে হবে ইস্যুটা আসলে ঠিক কি”?
শেষে আমাকে সব খুলেই বলতে হল ওকে। কি ভাবে আমি পার্টিতে ওকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না, তারপরে অনেকে বললো ওকে সবাই ববির সঙ্গে গল্প করতে দেখেছে।এক জন এও বললো যে ববি এইমাত্র বেরিয়ে গেল আর ওর সাথে একটি খুব সুন্দরী মহিলাও ছিল। আমি ওকে এও খুলে বললাম যে কি ভাবে পার্টিতে ওকে দেখতে না পেয়ে ভীষণ প্যানিক্ড লেগেছিল আমার। হঠাৎ করে কি রকম অসুস্থ হয়ে পরেছিলাম আমি।
সব কিছুরই পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরন দিতে হল ওর কাছে। তারপর একটু চুপ করে অপেক্ষা করলাম কখন ও রাগে ফেটে পরে। কিন্তু ও প্রথমটাতে কিছু বললো না। শুধু টুপুরের মুখ থেকে নিজের বাঁ মাইয়ের বোঁটাটা বের করে ডান মাই এর বোঁটাটা আলতো করে পুরে দিল ওর মুখে। হঠাৎ একপলকের জন্য আবার সেই স্যাড লুকটা ফিরে এল ওর মুখে। আমি ঠিক মত বোঝার আগেই সেটা মিলিয়ে গেল।
-“তুমি ভেবেছিলে আমি ববির সাথে পার্টি থেকে কোথাও চলে গেছি, তাই তো”?
পরিনিতার গলায় কিন্তু রাগ ছিলনা যেটা ছিল সেটা হলো অধৈর্য্য ভাব।
-“সঞ্জিব আমি তো তোমাকে আগেও অনেকবার বলেছি, ববি আমার কাছে কেউ নয়। ওর কোন মুল্য নেই আমার কাছে। আমার সবচেয়ে যেটা খারাপ লাগছে সেটা হল তুমি কি করে ভেবে নিলে যে এত বছর ঘর করার পর, আমার মত মেয়ে, একবার মাত্র ববির গাড়িতে চেপেই এমন বিবশ হয়ে যাবে যে ওর হাত ধরে নিজের স্বামীকে ছেড়ে পার্টি থেকে অন্য কথাও চলে যাবে । আমি বিশ্বাসই করতে পারছিনা সঞ্জিব যে তুমি আমাকে এই ভাবে এতটা অবিশ্বাস করতে পার”।
ব্যাপারটা হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে আমি বললাম –“তুমি ঠিকই বলছো পরিনিতা, আমি তোমাকে এতটা অবিশ্বাস কি ভাবে করতে শুরু করলাম আমার কিছুতেই মাথায় আসছেনা”।
-“তুমি কি এই ব্যাপারে ববিকে কিছু বলেছ নাকি”?পরিনিতা আমাকে জিগ্যেস করলো।
-“না না কিছু বলিনি। সেদিন যখন তুমি বললে যে ববির ব্যাপারে আমি জেলাস ফিল করছি তখন ভাবলাম আমি যদি ববিকে এসব ব্যাপারে কিছু বলি তাহলে তুমি ভাববে যে আমি তোমাকে অবিশ্বাস করছি। দেখ আমি ববিকে তোমার ব্যাপারে কিছু বলতে চাইনা, আমি শুধু চাই ববি তোমার থেকে একটু দূরে দুরে থাকুক”। মনে একটু সাহস এনে পরিনিতাকে বললাম আমি।
-“তাহলে তুমি ববিকে গিয়ে নিজেই কেন বলছোনা যে ওর উচিত আমার কাছ থেকে দূরে থাকা, শুধু শুধু তুমি আমাকে কেন অবিশ্বাস করছো?
-“পরিনিতা তুমি তো জান যে এসব বললে ও আমার একবারে পেছনে লেগে যাবে”।
-“বুঝলাম, সত্যি এখন আমার মনে হচ্ছে আমারও কিছু দোষ ছিল ব্যাপারটায়। আমি তো জানতাম যে তুমি ববিকে একবারে পছন্দ করোনা। বিশেষ করে আমার সাথে ওকে কথা বলতে দেখলে তুমি ভেতর ভেতর ভীষণ রেগে যাও। আমার আসলে ওর গাড়িতে চড়াটাই উচিত হয়নি। ব্যাপারটা কি জান, আমি আসলে চাইছিলামনা ববির মুখের ওপর একবারে না বলতে, কারন তাহলে ওই সামান্য ব্যাপারটা নিয়ে একটা সিন তৈরি হয়ে যেত। তখন ভাবলাম যেহেতু ও আমাদের নিজে থেকে যেচে সাহাজ্জ্য করতে চাইছে সেহেতু ওকে মুখের ওপর না বলাটা বোধহয় ঠিক হবেনা।
কিন্তু এখন বুঝছি আমার উচিত ছিল তোমার ফিলিংসের ব্যাপারে আরো সতর্ক হওয়া।
আমি মনে মনে ঠিক করে নিলাম এর পর থেকে কোন অকেসানে যদি ববিকে পরিনিতার সাথে ফ্ল্যার্ট করতে দেখি তাহলে আমাকে একবার ওর সাথে কথা বলতেই হবে। আমি ওকে সোজাসুজি বলবো ও যেন পরিনিতার থেকে দূরে থাকে কারন ওর স্বামী হিসেবে আমি ব্যাপারটা পছন্দ করছিনা। এতে করে যদি আমাকে ফিউচার মিডিয়ার চাকরি ছাড়তে হয় তো তাই সই।
পরের সপ্তাহের শুক্রবার আমাকে একটা নতুন প্রোজেক্টের ব্যাপারে দিল্লি যেতে হল। ববি আমাকে আগের দিন মানে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলা নিজের চেম্বারে ডেকে প্রোজেক্টটার ব্যাপারে ব্রিফ করেছিল। প্রোজেক্টটা একটা ফরেন কোম্পানির। পরিনিতাকে বাড়ি ফিরেএসে বললাম যে আমি দু দিনের জন্য থাকবো না।ববি আমাকে দিল্লি পাঠাচ্ছে।এটা ওর নিজের প্রোজেক্ট, কেন যে শুধু শুধু আমাকে পাঠাচ্ছে বুঝতে পারছিনা।
পরিনিতা নুপুর কে পড়াচ্ছিল। ও বললো “মনে হচ্ছে তোমার সিনিয়রিটির জন্যই ববি তোমাকে বেচেছে। আসলে ও বোধ হয় তোমার অভিজ্ঞতার সাহায্য নিতে চাইছে”।পরিনিতাকে বললাম ধুর এই শর্ট নোটিসে দিল্লি যেতে একদম ইচ্ছে করছেনা আমার।পরিনিতা বললো “যাও না একটু ঘুরে এস, কোথাও গেলে পরিবেশটাও চেঞ্জ হবে আর তোমার মনও ভাল হয়ে যাবে”।
ওর কথা শুনে আমি একটু অবাকই হলাম। এর আগে আমাকে হঠাৎ কোথাও ট্যুরে যেতে হবে শুনলে পরিনিতা খুব রেগে যেত।কিন্তু আজ ববি পাঠাচ্ছে বোলেই কি ও একটুও রেগে গেলনা বরং আমাকে যাবার জন্য জোর করতে লাগলো। কে জানে কি ব্যাপার, মেয়েদের মন বোঝা দেবতারও অসাধ্য।
শুক্রবার সন্ধ্যে বেলায় আমি ফ্লাইট ধরার জন্য দমদম এয়ারপোর্টে এসে উপস্থিত হলাম। ফ্লাইটের একটু দেরি ছিল তাই আমি নিজের ল্যাপটপ খুলে আমার প্রজেন্টেশানটার ওপরে শেষ বারের মত চোখ বোলাচ্ছিলাম।
-“সঞ্জিব তুই”
এয়ারপোর্টের মধ্যে আমাকে কে ডাকছে? গলা শুনে মনে হচ্ছে যেন আমার অনেক দিনের চেনা। আমি ল্যাপটপটা থেকে চোখ তুলে তাকালাম।আমার সামনে রোগা লম্বা প্রায় আমারই বয়সি একটি লোক দাঁড়িয়ে আছে।অনেক দিন পরে দেখায় চিনতে একটু দেরি হলেও অবশেষে মনে পরে গেল।
-“কুশল তুই”?
-“যাক শেষ পর্যন্ত চিনতে পারলি। এমন ভাবে তাকাচ্ছিলি যে মনে হচ্ছিল তুই যেন আমাকে চিনতেই পাববিনা”।
-“কি যে বলিস, তুই হচ্ছিস আমার বেস্ট ফ্রেন্ডদের মধ্যে একজন।হ্যাঁ তোকে অনেক দিন পরে দেখছি, কিন্তু তাই বলে কি তোকে ভুলে যেতে পারি আমি”?
কুশল সরকার আর আমি এক স্কুলে পরতাম।স্কুল থেকে কলেজে যাবার পরও বন্ধুত্ব অটুট ছিল আমাদের।এই বন্ধুত্ব আর গাড় হোল যখন আমরা প্রায় এক সাথেই ফিউচার মিডিয়ায় যোগ দিলাম। বছর আটেক আগে ও ফিউচার মিডিয়ার মুম্বাই ব্রাঞ্চে বদলি হয়ে গিয়েছিল। শেষ ছয় বছর আর ওর সাথে কথা হয়নি আমার। তবে লাস্ট ইয়ারে আমার মুম্বাইয়ের এক বন্ধুর কাছে খবর পেয়েছিলাম ও ফিউচার মিডিয়া ছেড়ে অন্য একটা কোম্পানিতে যোগ দিয়েছে।
-“বেস্ট ফ্রেন্ড, ছাড় তো…… কোন খবরাখবর নিস তুই। বেঁচে আছি না মারা গেছি তার খোঁজও তো রাখিসনা”।
-“সব দোষ আমার ঘাড়ে ছাপাচ্ছিস যে বড় তুই। তুইও তো একবার আমাকে ফোন করে খোঁজ খবর নিতে পারতিস।আসলে তুই বদলি হয়ে যাবার পরেই আর তোর সাথে কোন যোগাযোগ করা হয়নি”।
-“ছাড় ওসব কথা। তুই কি এখনো তোর পুরনো কোম্পানিতেই আছিস”?
-“হ্যাঁ আমি এখনো ফিউচার মিডিয়া কলকাতাতেই আছি। এখন সিনিয়র সেলস একজিকিউটিভ হয়ে গেছি”।
-“তোর যদি ফ্লাইটের দেরি থাকে তাহলে চল কফি শপে গিয়ে একসঙ্গে একটু কফি খেয়ে আসি”?
-“ঠিক আছে চল, আমার ফ্লাইটের এখনো একটু দেরি আছে”।
একটু পরেই আমরা লাগোয়া একটা কফি শপে ঢুকে, একটা টেবিলে, মুখোমুখি দুটো কফি নিয়ে বসে পরলাম।কফি খেতে খেতে কুশল জিগ্যেস করলো
-“তুই বিয়ে করেছিস? অফিসে ঢোকার পরও তো তুই বলতিস আমি বিয়ে করবোনা। কোন একটা জ্যোতিষি নাকি ছোটোবেলায় তোর হাত দেখে তোকে বলেছে বিয়ে করলে তোমার জীবনে খুব দুঃখ্য আছে”।
-“হ্যাঁ আমার বিয়ে হয়েছে প্রায় ছবছর হল। তুই বিয়ে করেছিস”?
-হ্যাঁ করেছিলাম তবে এখন ডিভোর্স হয়ে গেছে। অবশ্য খুব রিসেন্টলি আর একজনের সাথে পরিচয় হয়েছে, মনে হচ্ছে ওর সাথে সামনের বছর বিয়েটা সেরেই ফেলবো”।
-“সেকিরে এত সব হয়ে গেছে সে তো জানিনা।তোরবউ সঞ্জনা কে তো আমি তোদের বিয়ের আগে দেখেছি।তোরা তো একবারে মেড ফর ইচ আদার ছিলি। যদি কিছু মনে না করিস…… তোদের মধ্যে এমন কি হল যে একবারে ডিভোর্স হয়ে গেল”?
-“কি আর বলবো বল আমার ভাগ্যের লিখন। আসলে সঞ্জনা অন্য একটা সম্পর্কে জড়িয়ে পরে ছিল।পরকীয়া আর কি। আর ওই জন্যই তো আমাকে ফিউচার মিডিয়াও ছেড়ে দিতে হল”
-“মানে তুই বলছিস সঞ্জনা তোর সাথে চিটিং করছিল। সেকিরে, ওকে দেখেতো আমার কোনদিন মনে হয়নি যে ওর মত ঘরোয়ারুচিশীলা মেয়ে, এরকম কোন কাজকখনো করতে পারে”।
-“আমিও কি কোনদিন ভাবতে পেরিছিলাম রে যে ও আমার সাথে এরকম করবে।আমি ওদের দুজনকে দিল্লির হলিডে ইন বলে একটা হোটেলে একসঙ্গে ধরে ছিলাম”।
-“তুই ঠিক দেখেছিলি? এরকমও তো হতে পারে যে ওরা দুজন পুরনো বন্ধু ছিল বা কোন কাজে হঠাৎ দেখা হয়ে গিয়েছিল।কিছু মনে করিস না ভাই, আসলে আমি কিছুতেই সঞ্জনার মত মেয়ে এরকম একটা নোংরামো করেছে, এই ছবিটা মনে মনে মেলাতে পারছিনা”।
-“হুঁ…… বন্ধু বলছিস…… তা শয্যাসঙ্গি তো একরকমের বন্ধুত্বই হল নাকি? আর যদি কাজের কথা বলিস তো সেই কাজটা হল ফাকিং”।
-“মানে তুই বলছিস তুই ওদের দুজনকে হাতে নাতে ধরে ছিলি”?
-“হ্যাঁ……ওরা যে একই রুমে সময় কাটিয়েছিল সেটা আমি জেনেছিলাম।
-“তুই কি ওদের সাথে এই নিয়ে কথা বলে ছিলি”?
-“না কথা বলিনি।কথা আর কি বলবো বল?…… ওরা তখন ন্যাংটো হয়ে জড়াজড়ি করে ঘুমোচ্ছিল।আমি হোটেলের একটা স্টাফকে হাত করে দরজার ফাঁক দিয়ে দেখেছিলাম।তখন আমার মনে হয়েছিল, সব যখন শেষ হয়ে গেছে তখন আর চেঁচামেচি করে, একটা সিনক্রিয়েট করে লাভকি। তাছাড়া যে বোকাচোঁদাটার সাথে সঞ্জনা ছিল সেই বোকাচোঁদাটার সাথে কথা বলে কোন লাভ হতনা, লোকটা যে এক নম্বরের বেজন্মা আর মাগিবাজ সেটা আমি আগেই জানতাম, আর কথা বলতে গেলে হয়তো আমি ওকে মেরেই ফেলতাম”।
কথা বলতে বলতে কুশলের চোখে মুখে কেমন যেন একটা হিংস্র ভাব ফুটে উঠলো ।
-“মানে বলতে চাইছিস তুই ওই লোকটাকে আগে থেকে চিনতিস”?
-“হ্যাঁ…বাবা…… হ্যাঁ… চিনতাম……আরে আমাদের ফিউচার মিডিয়ারই লোক। সেই জন্যই তো আমাকে ছাড়তে হল চাকরিটা”।
ব্যাপারটা নিয়ে আমার ঔৎসুক্য দেখে কুশল কি যেন একটা ভাবলো তার পর একটা জোরে শ্বাস নিয়ে বললো –“দেখ সঞ্জিব এই ব্যাপারটা আমি কোনদিন কাউকে খুলে বলিনি। এমনকি আমার বাবা মা কেও বলিনি। শুধু আমার উকিল কে বলেছিলাম। আজ তোকে সব খুলে বলছি।তুই তো আমার ছোটো বেলাকার বন্ধু, তোকে সব খুলে বলা যেতে পারে। গত বছর এক উইকএন্ডে আমার আর সঞ্জনার খান্ডালাতে ছুটি কাটাতে যাবার কথা ছিল ।
আমরা যাবার জন্যে প্রায় রেডি, এমন সময় আগের দিন রাতে, হঠাৎ একটা ফোন পেলাম আমাদের অফিস থেকে। আমাকে নাকি দিল্লিতে এক বিদেশি ক্লায়েন্টের কাছে, একটা প্রেজেন্টেশন দিয়ে ডিল ফাইনাল করতে যেতে হবে । ব্যাপারটা ভীষণ আর্জেন্ট ছিল কারন প্রোজেক্টটা অনেক টাকার আর ফোনটা এসে ছিল আমাদের প্রেসিডেন্ট সয়ং প্রদীপ রায়ের কাছ থেকে। বুঝতেই পারছিস এসব শুনে সঞ্জনাও একটু আপসেট হয়ে পরেছিল।
এমনিতে তো আর সহজে বেরনো হয়না। অনেক পরিকল্পনার পরে যাও বা একটা বেরবার প্ল্যান হল সেটাও বানচাল হয়ে গেল।যাই হোক পরের দিন অফিস থেকে জানলাম, যেহেতু উইকএন্ডে হঠাৎ করে যেতে হচ্ছে, সেহেতু আমি সঙ্গে আমার স্ত্রী কে নিয়ে গেলেও যেতে পারি।ট্যুরটা ছিল পাঁচ দিনের। সঞ্জনাও রাজী হয়ে গেল। কোথাও তো একটা যাওয়া হচ্ছে।দিল্লিতে হলিডে ইন বলে একটা হোটেলে আমাদের পুরো টিমটা উঠলো।
টিমটা লিড করছিল আমাদের দিল্লি হেডঅফিসের ওই বোকাচোঁদাটা। জানিস আমি স্বপ্নেও ভাবিনি যে মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে , আমার প্রায় চোখের সামনে , ওই বোকাচোঁদাটাওর চার্ম আর সেক্স আ্যপিল দিয়ে সঞ্জনা কে এমন ভাবে ইমপ্রেস করে বেরিয়ে যাবে । আর আমার পাঁচ বছর ধরে প্রেম করে বিয়ে করা, ঘরোয়া কনজ্যারভেটিব বউটা, এত সহজে ওই অবাঙালি লোকটার সাথে বিছানায় চলে যাবে”।কুশলের চোখের কোনে জল চিক চিক করে উঠতে দেখলাম।
-“কিন্তু তুই নিজে কোম্পানি ছেড়ে দিলি কেন? তোর কি দোষ এতে? তোর তো উচিত ছিল ম্যানেজমেন্টকে জানিয়ে লোকটাকে ফায়ার করে দেওয়া”।
-‘লাভ হতনা ম্যানেজমেন্ট কে জানিয়ে, কারন লোকটা ছিল আমার বসের ছেলে”।
-“মানে তুই বলতে চাইছিস তোর তখনকার বস……… মানে সে তো প্রদীপ রায়”।
আমার গলা কাঁপতে শুরু করেছিল কুশলের উত্তরটা শোনার সময়।
আমার বুকটা ধক করে উঠলো যখন কুশল অন্যদিকে তাকিয়ে একটু বোঁজা কান্নাচাপা গলায় বললো-“হ্যাঁ প্রদীপ রায়ের একমাত্র ছেলে ববি রায়……এক নম্বরের খানকীর ছেলে ওটা”।
আমার প্লেন দিল্লির উদ্দেশ্য রওনা হবার পরও আমার মনের মধ্যে কুশলের সাথে হওয়া ঘটনাটার কথা বার বার ভেসে উঠছিল। ববি আমাদের কোলকাতা অফিসে জয়েন করার পর থেকেই একটা রিউমার অফিসে উড়ে বেড়াচ্ছিল যে ববি কি ভাবে একটা স্টাফের বউকে ফুঁসলিয়ে বিছানায় নিয়ে গেছে। আমরা কেউ জানতাম না ওটা কার বউ।আজ জানতে পারলাম ওটা আমার ছোটোবেলাকার বন্ধু কুশলের বউ সঞ্জনা ছিল।
কুশলের বউ সঞ্জনা খুব অভিজাত ফ্যামিলির মেয়ে। ভীষণ ভদ্র আর নম্র ব্যবহার ছিল ওর।যে কদিন ওদের বাড়ি গেছি দেখেছি ও একটু চাপা স্বভাবের, আর খুব সহজে সকলের সাথে মিশতে পারেনা। সঞ্জনার মুখের মধ্যে এমন একটা ডিসেন্ট লুক ছিল যে ওর সামনে একটু স্ল্যাং ইউজ করাও মুস্কিল ছিল।ববি যে কি ভাবে ওর মত একটা মুখচোরা ইনট্রোভাট মেয়েকে সিডিউস করে বিছানায় নিয়ে যেতে পারলো তা একমাত্র ভগবানই জানে।
বিয়ের আগে আমার অনেক বন্ধুদের মত আমিও মনে মনে ওকে ভীষণ কামনা করতাম। সঞ্জনার বড় পাছা আর ভারী ভারী বুক চুম্বকের মত টানতো আমায়। ওর মতন একটা অভিজাত, শিক্ষিত, অথচো ঘরোয়া মেয়ে কে বিছানায় নিয়ে যাবার কল্পনা করে কত দিন যে আমি রাতে শুতে গেছি কে জানে।তবে একটা কথা ঠিক, সঞ্জনাকে নিয়ে এসব আবোলতাবোল ভাবলেও আমি কিন্তু কখনো ওকে সত্যি সত্যি সিডিউস করার চেষ্টা করিনি। ব্যাপারটা আমি একটা প্রাইভেট সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসির মধ্যেই সীমাবধ্য রাখতে চেয়ে ছিলাম।কুশল আমার ছোটবেলাকার বন্ধু, ওর প্রেমিকার সাথে সত্যি সত্যি এসব করার সুযোগ আমি পেলেও করতে পারতামনা।
দিল্লি পৌঁছানর পর আমার কাজ সারা বা তারপর রাতে হোটেলে ফেরা, এসব করার মাঝে, সর্বক্ষনই আমার মাথার মধ্যে খেলে বেড়াতে লাগলো কুশল, সঞ্জনা আর ববির কথা।কোলকাতা ফেরার সময় প্লেনে উঠেও নানা রকম চিন্তা আমার মাথার মধ্যে ভিড় করে এল। আমি যেন চোখ বুঁজলেই দেখতে পাচ্ছিলাম একটা হোটেলের রুম। রুমের মধ্যে বিছানায় ন্যাংটো সঞ্জনার বুকের ওপর শুয়ে আছে ববি।
সঞ্জনার বড় বড় ম্যানা গুলোতে মুখ চুবিয়ে চুবিয়ে দেখছে।কখনো বা ওর মাই টিপতে টিপতে মুখ ঘসছে সঞ্জনার মঝারি করে ছাঁটা বগলের চুলে।কখনো বা মাছের মত ঠোক্কর মেরে মেরে নিজের ঠোঁট দিয়ে কামড়াবার চেষ্টা করছে সঞ্জনার নরম ঠোঁট।রুমের বাইরে জানলার পাশে কুশল দাঁড়িয়ে আছে যেন এক পাথরের নিশ্চল মূর্তি। একটু পরেই খাটের ক্যাঁচর কোঁচর শব্দ শুরু হল।ববি মারতে শুরু করলো সঞ্জনার গুদ।কুশলের চোখে জল।
ববির চোখ কিন্তু কুশলের চোখে আর মুখে মৃদু হাঁসি। যেন কুশলকে দেখিয়ে দেখিয়ে মারছে ও সঞ্জনার গুদ। ওর মুখের মৃদু হাঁসি যেন কুশলকে ডেকে বলছে দেখ তোর বউয়ের বিবাহিত গুদ আমি মারছি। তোর মাগিটা খায় তোর কাছে, থাকে তোর কাছে, কিন্তু পা ফাঁক করে চোঁদাচ্ছে আমার কাছে। ক্ষমতা থাকে তো আটকা।
চটকা ভাঙলো ল্যান্ডিং অ্যানাউন্সমেন্টে। তার কিছুক্খন পরেই প্লেন কোলকাতায় ল্যান্ডিং করলো। আমি সকলের সাথে প্লেন থেকে নেমে, এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে, বাড়ি ফেরার জন্য একটা ট্যাক্সি ধরলাম। ট্যাক্সির নরম সিটে গা এলিয়ে দিয়ে একটু চোখ বুঝতেই মনের মধ্যে শুরু হল আর একটা নতুন ছবি।এছবি আরো ভয়ানক, আরো উত্তেজক।আমার পুরুষাঙ্গ শক্ত হয়ে উঠলো লোহার মত, যেন জাঙিয়া ফাটিয়ে বেরবার চেষ্টা করছিল ওটা।ওটাকে সামলানোর জন্য আমাকে বার বার নড়ে চড়ে বসতে হচ্ছিল ট্যাক্সির সিটে ।যাই হোক আমি বহু কষ্ট করে, জোর করে‘পজ’ করে রাখলাম মনের মধ্যে চলা সেই ভয়ঙ্কর সিনেমাটাকে।
কোনরকমে বাড়ি ফিরেই ঢুকে পরলাম আমাদের শোবার ঘরে। বাচ্চা দুটো বোধ হয় দাদা বউদির কাছে।পরিনিতাও ঘরে নেই। ওকে ফোন করে জানলাম ও গেছে আমাদের পাশের পাড়ার ডাইং ক্লিনিং শপে।তড়িঘড়ি আমাদের শোবার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করলাম আমি। আলনা থেকে খুঁজে নিলাম পরিনিতার একটা না কাচা প্যান্টি, ব্লাউজ আর ব্রা। তারপর ওগুলো কে নিয়ে শুয়ে পরলাম আমাদের বিছানায়।চোখ বুঁজে মনের মধ্যে ‘পজ’ করে রাখা সেই ভয়ানক উত্তেজক ছবিটা আবার স্টার্ট করলাম আমি।এক পলকের মধ্যে চোখের সামনে ভেঁসে উঠলো সিনেমার প্রথম সিনটা।ববির সাথে পরিনিতার সেদিনের সেই গাড়ি চেপে দেসাই সাহেবের বাড়ি যাবার একটা কল্পদৃশ্য ছিল ওটা।
ওরা হাত ধরা ধরি করে পৌঁছোল দেসাই সাহেবের পার্টিতে।আবার একটুকরো অন্য দৃশ্য…… দেসাই সাহেবের বাড়ির ভেতরে চলা পার্টির ।ববি আর পরিনিতা একদিৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে একে অপরের দিকে, দুজনেরই হাতে একটা করে কোল্ড ড্রিংক্সের গ্লাস, কিন্তু কারো মুখে কোন কথা নেই, ওদের চোখই যেন কথা বলছে ওদের হয়ে।আবার পালটলো দৃশ্যপট। আরে এটা কোথায়? এটা তো সেই হলিডে ইন হোটেলের ঘর যেখানে ববি মৈথুন করেছিল সঞ্জনার সাথে। ওই তো ঘরের বিছানায় শুয়ে রয়েছে ববি আর সঞ্জনা। না এটাতো সঞ্জনা নয়।কে ওটা? আরে…… ওটাতো পরিনিতা।
পরিনিতা গোঙাচ্ছে। ওইতো ববি মারছে পরিনিতার গুদ।আমি নিজের নাকে চেপে ধরলাম পরিনিতার প্যান্টি।আঃ আমার পরিনিতার গুদের সেই পাগলা করা মাস্কি গন্ধটা। থপ… থপ… থপ… থপ… ববি একমনে মেরে চলছে পরিনিতার দুবার বাচ্ছাকরা ভিজে গুদ।তীব্র আনন্দে পরিনিতা ওর মাথাটা একবার এদিক আর একবার ওদিক করছে।আমি পরিনিতার ব্রা টা জড়িয়ে ধরলাম নিজের পুরুসাঙ্গে।তারপর এক হাতে মুঠো করে ধরলাম পরিনিতার ব্রা জরানো আমার শক্ত পুরুষাঙ্গ।আমার হাত ওঠা নামা করতে শুরু করলো।
আঃ কি অসহ্য সুখ হচ্ছে আমার নুনুতে।অনেক দিন পর আবার নিজের ধন খেঁচছি আমি। সেই স্কুল কলেজে পড়ার সময় পাড়ার বৌদি আর বন্ধুদের মায়েদের কথা চিন্তা করে খেঁচতাম আমার বাঁড়া ।
বেশ কিছক্ষন একটানা ঠাপানোর পর ববি থামলো। পরিনিতাকে কি যেন একটা জিগ্যেস করলো।হুম বুঝেছি… পরিনিতার মাইএর দিকে নজর ওর। পরিনিতার মাই খেতে চায় ও।পরিনিতা খেতে না করছে। বলছে “খেয়না একটু আগেই মাই দিয়েছি টুপুর কে।আমার দুটো মাইই টুপুরের এঁটো হয়ে রয়েছে”।
ববি শুনলোনা ওর কথা, মুখ রাখলো পরিনিতার মাই বোঁটাতে।ও টুপুরের এঁটো মাইই খাবে।পরিনিতা নিজের হাত দিয়ে আস্তে আস্তে টিপতে লাগলো নিজের মাইটা, যাতে করে দুধটা ঠিক মত আসে ববির মুখে। দুধ পাচ্ছ? পরিনিতা চোখ নাচিয়ে ইশারায় জিগ্যেস করলো ববিকে। ববি মাথা নাড়লো, ও পাচ্ছে পরিনিতার বুকের স্নেহ মাখানো টাটকা দুধ।পরিনিতার মুখ আশ্চর্য রকমের তৃপ্ত।ওর স্তনের ভেতরে তৈরি হওয়া তরল স্নেহ পদার্থ যাচ্ছে ওর মনের মানুষের পেটে……আঃ কি শান্তি ওর।
কে যেন দরজা ধাক্কাচ্ছে, মা মা করে ডাকছে। কে ডাকছে? গলাটা যেন নুপুরের মত লাগছে।
হ্যাঁ নুপুরই তো, ওই তো ডাকছে পরিনিতাকে দরজার বাইরে থেকে। ও কি ভাবে এল এখানে? আরে এই ঘরটা তো হলিডে ইন হোটেলের ঘর নয়। এটা তো আমাদের শোবার ঘর। কিভাবে চেন্জ হয়ে গেল এটা। ম্যাজিক নাকি? পরিনিতা বলে উঠলো –“নুপুর, লক্ষি সোনা আমার, আর একটু দাঁড়া, আমাদের হয়ে এসেছে। এক্খুনি হয়ে যাবে আমাদের”।
পরিনিতা এবার জোরে জোরে টিপছে ওর মাই।নিজের বুকের অবশিষ্ট দুধ তাড়াতাড়ি পাম্প করে তুলে দিতে চাইছে ববির মুখে।যেন পুরোটা না দিলে ওর শান্তি নেই।নুপুর এদিকে ডেকেই চলেছে মা মা করে।পরিনিতা এবার ঝাঁজিয়ে উঠলো –“ঠাস করে একটা চড় মারবো গালে, বলছি একটু দাঁড়া হয়ে যাবে এখুনি”।তারপর ববির দিকে তাকিয়ে একটু বিরক্ত মুখ করে বললো –“তাড়াতাড়ি খাও না। মুখপুড়ি একবার যখন ডাকতে শুরু করেছে দরজা না খুলে আর নিস্তার নেই” । ববি বললো –“খাচ্ছি তো তাড়াতাড়ি, চুষে চুষে খাবার জিনিস এই ভাবে গিলে গিলে খেতে ভাল লাগে, তুমিই বল”।
-“কি করবো বলো বাচ্ছা কাচ্চা নিয়ে এসব করতে হলে একটু ঝামেলাতো হবেই। ব্যাস ব্যাস আর দুধ নেই।নাও এবার আমার মাইটা ছাড়”একটু বিরক্ত গলায় বোললো পরিনিতা। ববি তাও ছাড়লোনা পরিনিতার মাই, এক মনে চোখ বুঁজে ও মাই টেনেই চলেছে, টেনেই চলেছে। “ব্যাস ব্যাস অনেক হয়েছে এবার ছাড়” বলে পরিনিতা এক রকম প্রায় জোর করেই ববির মুখ থেকে ছাড়িয়ে নিল নিজের মাইটা ।
-“নাও এবার তাড়াতাড়ি ঢোকাও” বলেই ববির বুকের তলা থেকে কোমর নাচিয়ে নাচিয়ে তল ঠাপ দিতে শুরু করলো পরিনিতা ।ববি হেঁসে বলে উঠলো “আরে দাঁড়াও দাঁড়াও, আগে ঠিক করে লাগাতে তো দাও, তুমি তো দেখছি না লাগিয়েই ঠাপ দেওয়া শুরু করে দিলে, আর তরসইছেনা নাকি?
পরিনিতা একটু বিব্রত মুখে বোকা বোকা হাঁসলো।ববি পরিনিতার দু পা ফাঁক করে লাগালো ওর নুনু। লাগাতে না লাগাতেই পরিনিতা আবার তল ঠাপ দিতে শুরু করে দিল।বোঝাই যাচ্ছে আরাম নেবার জন্য ও ভীষণ উদগ্রীব হয়ে উঠেছে, গুদে ববির গরম নুনুর ছোঁয়া পেতেই রিফ্লেক্স অ্যাকশানে ওর কোমর নিজেই তল ঠাপ দিতে শুরু করেছে ।
এবার ববিও শুরু করলো ওর কোমর নাচানো। খুব তাড়াতাড়ি ফাকিং করছে ওরা। দুজনেই বেশ জোরে জোরে কোমর নাচাচ্ছে, খাটেও বেশ জোর শব্দ হছে ক্যাঁচ কোঁচ, ক্যাঁচ কোঁচ। একে অপরের কাছ থেকে যতটা সম্ভব সুখ দুইয়ে নিয়ে, তাড়াতাড়ি মৈথুন শেষ করতে চায় ওরা। ইংরেজিতে একে বলে ‘কুইকি’। ওদের মুখ দেখে মনে হচ্ছে ওরা যৌনাঙ্গে যে আরাম পাচ্ছে সেটা ওদের কাছে ভীষণ আর্জেন্ট, ভীষণ গুরুত্বপূর্ন।ওই তো হয়ে গেল ওদের।
পরিনিতা প্রচণ্ড আরামে চোখ বন্ধ করে, মুখ কুঁচকে, বিছানার চাদর খামচে ধরেছে, আর ববির পাছাটা থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে পরিনিতার দু পায়ের ফাঁকে জোরে জোরে ধাক্কা দিচ্ছে। পরিনিতার পেটের ভেতর ডিসচার্জ করছে ববি, আর পাগলের মত ঠাপাতে ঠাপাতে মুখে কি যেন একটা বিড়বিড় করে বকছে। কি বলছে ববি কে জানে?
মনে পরলো স্কুলে, ক্লাস সেভেনে, কুশলের কাছ থেকে শেখা একটা নোংরা কথা। “মার গুদজল চিড়িক চিড়িক, মার গুদজল চিড়িক চিড়িক”। আঃ কি আসহ্য আরাম। আমারো বেরচ্ছে চিড়িক চিড়িক করে, ফিনকি দিয়ে দিয়ে।দেখতে দেখতে পরিনিতার ব্রা টা আমার থকথকে বীর্যে ভিজে একবারে একসা হয়ে গেল। সেক্স করা হয়ে গেল ওদের, ববি জিন্স পরছে তাড়াতাড়ি। পরিনিতাও সায়ার দড়ি বাঁধছে তাড়িঘড়ি করে।আগলা বুকে ওর মাই এর নিপিল দুটো তখনো ববির মুখের লালায় ভিজে।টুপুরের নিয়মিত চোষণে কি রকম যেন ঘা ঘা মতন লালচে লালচে হয়ে আছে পরিনিতার নিপিল দুটো।নুপুর তখনো ডেকে চলেছে “মা দরজা খোল, মা দরজা খোল”। ববি এবার শার্ট পরছে। পরিনিতা গায়ে একটা ব্লাউজ গলিয়ে কোন রকমে দরজা খুলছে। দরজা খুলেই ঠাস করে একটা চড় মারলো নুপুরের গালে। বললো –“একটু তরসইছেনা না, মা মা করে ডেকেই চলেছে একটানা তখন থেকে। মরে গেছে তোর মা”।
নুপুর মার খেয়ে ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কাঁদছে।পরিনিতা দরজায় দাঁড়িয়ে নিজের ব্লাউজের বাকি বোতাম লাগাতে ব্যাস্ত। ববি জামা প্যান্ট পরে ফিটফাট হয়ে পরিনিতার পাশ দিয়ে বেরচ্ছে।বেরিয়ে যেতে যেতে হঠাৎ পক করে একবার টিপে দিয়ে গেল পরিনিতার পাছার মাংস।‘উক’ করে চমকে উঠলো পরিনিতা। তারপর ববির হাঁসি হাঁসি মুখের দিকে চেয়ে জিভভেঙচে বললো –“অসভ্য কোথাকার, দস্যু হয়েছে একটা”।
সিনেমাটা শেষ হল এবার। চোখ খুললাম আমি। এইরে বাইরে থেকে কারা যেন দরজা ধাক্কাছে। নুপুরের গলা “পাপা দরজাটা খোলনা, সেই কখন থেকে ডাকছি আমরা”। পরিনিতারও গলা পেলাম –“কি গো হল কি তোমার, দরজাটা বন্ধ করে রেখেছো কেন”?সর্বনাশ ওরা এসে গেছে। তাড়াতাড়ি পরিনিতার ব্লাউজ প্যান্টি আর ব্রা টা বাথরুমের একটা বালতিতে ভিজিয়ে দিয়ে চোখ কচলাতে কচলাতে দরজা খুললাম।
-“আর বোলনা জেট ল্যাগে ভীষণ ক্লান্ত ছিলাম। একটু চোখ লেগে গিয়েছিল” বলে কোন রকমে ওদের কে কাটালাম আমি।
আমি দিল্লি থেকে ফেরার কয়েক দিন পর একটা ছোটো ঘটনা ঘটলো। আমি আর শেখর সেদিন বোর্ডরুমে বসে একটা প্রোজেক্ট নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি।এমন সময় আমার সেক্রেটারি সোনালি এসে আমাকে একটা রিজিউমে দিয়ে গেল। আমি ওটা ওর হাত থেকে নিয়ে আমার ব্রিফকেসে রাখলাম পরে ভালভাবে দেখবো বলে।
নিজের ল্যাপটপ থেকে মুখ না তুলেই শেখর বললো
-মাল টা কোথা থেকে জোটালে গুরু?
-কার কথা বলছিস?
-আরে তোমার ওই নতুন সেক্রেটারিটা।
-ও হ্যাঁ, গত সপ্তাহে ম্যানেজমেন্ট থেকে আমাকে নতুন সেক্রেটারি অ্যাসাইন করেছে। মেয়েটার নাম সোনালি।
-ম্যারেড?
-হ্যাঁ, একটা বাচ্চা আছে,স্বামী রেলওয়েজ এ আছে।
-উফ হাতের কাছে সবসময় এমন একটা মেয়েছেলে পেলে সত্যি মন দিয়ে কাজ করার ইচ্ছে জাগে, কি বল গুরু?
-কেন এমন বলছিস?
-“মাগীটার মাই দুটো দেখেছো কি ডবকা ডবকা।তোমার তো বরাত খুলে গেল গুরু। যখনি একটু ঝুকে তোমাকে কাগজ ফাগজ দিতে যাবে, ডবকা ডবকা বুক দুটো দেখতে পাবে। হ্যাঁ গুরু মালটাকে দেখে তোমার ধন খাড়া হয়না? পটাও না মালটাকে”।
-“দুঃখিত মেয়েটা আমার টাইপের নয়”।
-“তাতে কি গেল এল। দেখ মেয়েরা তাদের কাজের জায়গা কে সব সময়ই তাদের শিকারের জায়গা হিসেবে দেখে।ইংরাজিতে যাকে বলে হান্টিং গ্রাউন্ড”।
-“তুই এতো নিশ্চিত ভাবে এটা বলছিস কি ভাবে? সব মেয়েরা কি সমান হয়”?
-“ওসব ছাড় গুরু সত্যি করে বলতো মাগিটাকে দেখে তোমার দাঁড়ায় কিনা”?
-“এই…… কি যাতা বলছিস”?
-“লজ্জ্যা পেয়না গুরু শুধু তোমার নয় সকলেরই দাঁড়ায়।আমাদের যা বয়স তাতে এই বয়সের সবাইয়েরি সেক্সি মেয়ে দেখলেই ঢোকানোর ইচ্ছে হয়। হবেই এটা, কারন এটা হল শরীর বিজ্ঞান।আমাদের ব্রেনে এর জন্য প্রোগ্রামিং করা আছে।ডবকা মাগি দেখলেই ধন সুড়সুড়।তুমি এর সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারবেনা।আমাদের জিনেই আছে যত বেশি সম্ভব নারী সম্ভোগ ও যত বেশি সম্ভব বংশ বিস্তার”।
-“ইস তুই না”?
-“গুরু যে কদিন যৌবন আছে বাঁচো, প্রান ভরে ভোগ কর সেক্সের মজা।পঁয়তাল্লিসের পর দেখবে ধন দাঁড় করানোটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ”।
-“সত্যি কত জানিস তুই? হি হি”
-“জান পাড়ায় আমাকে কি বলে ডাকে”?
-“কি”
-“পাড়ায় আমার নাম গুগলিদা। যা জানার দরকার সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করলেই হল মানে আমাকে জিগ্যেস করলেই হল”।
-“হি হি ভাল বলেছিস।তা আমাদের ফিউচার মিডিয়ায় কোন ঘরে কি হচ্ছে, কে কোথায় কাকে কি বলছে, কার কি প্ল্যান সবই তোর সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করলেই রেসাল্ট পাওয়া যাবে মনে হচ্ছে”।
-“বিশ্বাস না হয় আমাকে জিগ্যেস করে দেখ।আমি যা জানি এই অফিসের খুব কম লোকই তাই জানে”।
এমনিতে আমি অফিসের সিনিয়ার এমপ্লয়ী বলে চালু অফিস রিউমারগুলোতে একদমই কান দিতে পারিনা। আসলে কেউ এই সব রিউমারগুলো আমার সাথে শেয়ারই করতেই চায়না। তারা বোধহয় মনে করে আমার মত সিনিয়র এমপ্লয়ি কে এসব বললে ব্যাপারটা কোনভাবে ম্যানেজমেন্টের কানে চলে যেতে পারে।
শেখরের সাথে আমার বন্ধুত্তটা খুব গভীর। এক মাত্র ওর সাথেই একটু যা একটু স্ল্যাং ট্যাং খোলামেলা ভাবে আলোচনা করতে পারি আমি।আর শেখরের রেপুটেসন হচ্ছে যে কোন ঘটনাই সবার আগে জানা।কখনো কোন ইনফরমেশান জানতে পারলে ওর কাজ হচ্ছে সেটা সকলকে তড়িঘড়ি জানানো।তারপর সেই ব্যাপারে প্রত্যেকে কে কি জানে সেটা জেনে নিয়ে পুরো গল্পটা সাজিয়ে ফেলা।অফিসে পাঁচ বছর আগেকার কোন ঘটনা সম্মন্ধ্যে ওর কাছে জানতে চাইলেও ওর কাছে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে সব বিবরন পাওয়া যাবে।ওর সৃতি শক্তিও দারুন।সাধে কি ওর পাড়ায় ওকে সকলে গুগলিদা বলে ডাকে।আর আমি ঠিক এরকমই একটা সুযোগের সন্ধানে ছিলাম।
সেদিনের সেই টিম মিটিংএ ববি আর ঋতিকার কাণ্ড কারখানা দেখার পর থেকেই আমার জানার ভীষণ ইচ্ছে হচ্ছিল যে ওদের মধ্যে কোন ইনটুমিন্টু চলছে কিনা।আমি জানি ওদের কে নিয়ে কোন একটা রিউমার বাজারে চালু আছে।কিন্তু সেটা পুরোপুরি জানার কোন সুযোগ এতদিন আমার ছিলনা। কিন্তু আজকে শেখর আর আমার কথাবাত্রাতে সেই সুযোগ সামনে এসে গেল আমার।
-“আচ্ছা একটা কথা বল শেখর এই ঋতিকা আর ববির অ্যাফেয়ারটার ব্যাপারে তুই কবে থেকে জানিস”।
শেখর একটু বোধহয় ভাবলো আমার সামনে এসব বলা ঠিক হবে কিনা। কিন্তু ও যখন বুঝলো আমি সিরিয়াসলিই ব্যাপারটা জানার জন্য উৎসুক তখন বললো
–“ঠিক জানিনা তবে আমার মনে হয় একবারে শুরু থেকেই জানি”।
–“তুই জানলি কি করে”?
– -“ঋতিকা আমায় বলেছে”।
–“কি বলছিস, এরকম হয় নাকি। মেয়েরাতো তাদের এসব গোপনিয় কথা সবাই কে বলে না। তাছাড়া ও হঠাৎ তোকে বলতে যাবে কেন?
শেখরকে হঠাৎ যেন একটু অপ্রস্তুত মত মনে হল।মনে হল একটু যেন অরক্ষিত অবস্থায় ওকে পেরে ফেলেছি।ও কয়েক মুহূর্তের জন্য একটু ভাবলো তারপর প্রায় ফিসফিস করে বলে উঠলো
-“ওর সাথে আমার একটা অন্যরকম ব্যাপার ছিল”।
শেখরের কথা শুনে ভীষণ অবাক হলাম আমি।
-“সেকিরে? তোর সাথে ওর কোন অ্যাফেয়ার ছিল নাকি”?
-“ অ্যাফেয়ার বলবোনা আসলে দুপক্ষের মধ্যে একটা চোরা আকর্ষণ আর ভাল লাগা ছিল। আর কিছুদিনের মধ্যেই ব্যাপারটা অ্যাফেয়ারের পর্যায়ে এসে দাঁড়াতো। কিন্তু দাঁড়ালোনা কারন ওই খানকীর ছেলে ববি বোকাচোঁদাটা এসে ঢুকলো পিকচারে।ব্যাস ঋতিকাও আমাকে ছেড়ে ওর রসে মজলো”।
-“তুই কি করলি তখন”?
-“কিছুইনা, আমি কিচ্ছু মনে করিনি”?
-“তোর খুব খারাপ লেগেছিল না রে?ব্যাথা পেয়েছিলি খুব”?
-“খারাপ একটু লেগেছিল বটে। মানে যেভাবে ঋতিকা আমার ফিলিংসের ব্যাপারটা ইগ্নোর করে ওর কাছে চলে গেল।একটু জেলাসও লেগেছিল আমার।
কিন্তু পরে মাথা ঠাণ্ডা হতে ভাবলাম ঋতিকা খুব অস্বাভাবিক কোন কাজ করেনি। যে কোন মেয়েই চাইবে ববির মত একটা ‘আলফা মেলের’ শয্যা সঙ্গিনী হতে।এটা তো ভগবানের তৈরি নিয়ম। জীব জগতের অনেক স্পিসিজই এটা মেনে চলে”।
-“এই আলফা মেলের ব্যাপারটা কি রে”?
-“তুই ডিসকভারি বা অ্যানিম্যাল প্ল্যানেট দেখিস না।দেখবি দলবধ্য অনেক চারপায়ে জীবের মধ্যে এই রিতি প্রচলিত।আলফা মেল বা দলের লিডার তার দলের সদস্য যে কোন ফিমেল কে যখন ইচ্ছে ভোগ করতে পারে।দলের সমস্ত ফিমেল দলপতির সঙ্গমের ইচ্ছেতে সবসময়ই সায় দেয়।দলপতির মত শক্তিশালী মেলের সাথে সঙ্গমের এবং দলপতির দ্বারা গর্ভবতী হবার সুযোগ কেন ফিমেলই হাতছারা করতে চায়না। তাদের পুরুষ সঙ্গিরা এতে কি ভাবলো তার পরোয়া ওরা করেনা”।
-“বাপরে গুগলিদা তুই কত জানিস।হি হি হি……”।
-“থাঙ্কস”
-“এই তো সেদিন আমাদের কোম্পানিতে ঢুকলো ঋতিকা এর মধ্যেই এতো সব কাণ্ড হয়ে গেল।………তবে তুই যাই বলিস শেখর… তোর এই আলফা মেল কনসেপ্টার সাথে আমি কিন্তু একমত হতে পারলামনা”।
-“এটাই বাস্তব গুরু। আমাদের দুপেয়ে মানুষের সমাজেও ববির মতন এরকম সত্যি সত্যি অনেক আলফা মেল আছে।যাদের ডাক উপেক্খা করা মেয়েদের পক্ষে অসম্ভব।তা সে কলেজ স্টুডেন্টই হোক আথবা দু সন্তানের জননী বিবাহিত কোন গ্রীহবধূ”।
-“কিন্তু তা বলে………”।
-“গুরু আমার কষ্টে খুব মজা পাচ্ছ তো কিন্তু এরকম একটা আলফা মেলের চক্করে পরলে তোমার বউও ছানাপোনা ছেড়ে ফুড়ুৎ করে উড়ে যেতে পারে মনে রেখ।তাই বলছি একটু সাবধানে থেক।হি হি হি”
-“এই আমায় ভয় দেখাবিনা কিন্তু……বহুত শয়তান তুই।এই বয়েসে আমার বউ গেলে আমি কি করবো বলতো? আর কি বউ জুটবে আমার।হি হি হি”
-“গুরু একটা সিচুয়েসন দিচ্ছি ভেবে দেখ। নির্জন একটা দ্বীপ, তোমার বউ একলা, ভীষণ বিপদে পরেছে।হঠাৎ তাকে উদ্ধার করলো ঋত্তিক রোশন।তারপর সুযোগ বুঝে তোমার বউকে চুমু খাবার জন্য মুখ এগিয়ে দিল।তোমার বউ প্রথমটায় তোমার কথা ভেবে বাধা দেবে। কিন্তু ঋত্তিক রোশন যদি বার বার তার ভালবাসার কথা জানিয়ে তোমার বউ কে চুমু খেতে যায়।তোমার বউ হয়তো ভাবতে পারে ও আমাকে বাঁচিয়েছে, চারপাশে কেউ কোথাও নেই, দেখাই যাক না একটু চুমাচাটি করে ব্যাপারটা কি রকম লাগে।ব্যাস আর ওই দেখতে গিয়েই একটু একটু করে সবই শেষে হয়ে যাবে”।
-“এই বহুত বাজে বকছিস আজ তুই, ঋতিকার দুঃখে তোর মাথাটা দেখছি একবারে গেছে”।
-“না গুরু আমি একবারে ঠিক বলছি”।
-“ছাড় তো…… ঋত্তিক রোশন আসবে, আমার বউ কে চুমু খাবে, আর আমার এতো দিনের বিয়ে করা বউ ওর হয়ে যাবে”।
-“হ্যাঁ গুরু হবে, আলবাত হবে, আর এই ভাবেই গত বছর অফিসের নিউইয়ার পার্টিতে ড্যান্স আইটেমের সময় ববি ঋতিকা কে এক চুমুতেই কাত করে দিয়ে ছিল”।
-“সে কি রে?তুই নিজে দেখেছিস ওকে চুমু খেতে”?
-“হ্যাঁ আমার প্রায় চোখের সামনেই এক চুমুতে ববি ওকে লুটে নিয়ে গেল আমার কাছ থেকে। ঋতিকা ভেবেছিল ভিড়ের মধ্যে আমি বোধ হয় দেখতে পাবনা ওদের চুমু খাওয়খায়ি। কিন্তু আমি দেখতে পেয়েছিলাম।যখনি ববি আমার কাছ থেকে ওকে নিয়ে গেল নাচতে তখনই আমি জানতাম কিছু একটা হবে। তারপর যখন ঋতিকা ববি কে নিয়ে নাচতে নাচতে ভিড়ের একবারে পেছন দিকটাতে সরে যেতে লাগলো তখনই আমি বুঝতে পেরেছিলাম ওরা নিশ্চয়ই আড়াল খুঁজছে।তাই একবারে চোখে চোখে রেখেছিলাম ওদের ।তারপর হঠাৎ দেখলাম ববি নাচতে নাচতে ঋতিকার মুখটা কাছে টেনে নিয়ে একটু জোর করেই ওকে একটা চুমু খেল।তার একটু পরেই ওরা দুজন নির্লজ্জ ঠোঁট চোষাচুষিতে মেতে উঠলো।আমি বুঝলাম ঋতিকা সায় দিয়েছে, আমার আশা শেষ।কি করবো ভেবে না পেয়ে মুখ চুন করে চলে এলাম পার্টি থেকে” ।
-“কেন তুই বোকার মত চলে এলি কেন ওখান থেকে। তোর তো উচিত ছিল ববিকে ঋতিকার কাছ থেকে দুরে থাকতে বলা”।
-“ কি যে বলিস তুই। সেটা কি সম্ভব।আচ্ছা চুমু খাওয়াখায়ির ব্যাপারটা ছাড়। যদি তুই দেখতিস ববি তোর বউর সাথে কোন একটা পার্টিতে ফ্ল্যার্ট করছে। তুই কি পারতিস ববিকে তোর বউর থেকে দুরে থাকতে বলতে।আরে ভাই ও আমাদের সবার বস। প্রদীপ রায়ের এক মাত্র ছেলে”।
-“চুমু খাওয়া আর ফ্ল্যার্ট করা এক হল”।
-“না, কিন্তু সেই জন্যইতো আমি তোর বউর উদাহরন দিলাম। ঋতিকা
তো আমার বউ নয় আর ওর সাথে আমার অনেক দিনের অ্যাফেয়ারও চলছিল না”।
শেখরের মুখে আমার বউর উদাহরন শুনেই আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো।প্যান্টের ভেতর আমার নুনুটা যে হঠাৎ ভীষণ শক্ত হয়ে উঠচে সেটা বেশ বুঝতে পারছিলাম। উত্তেজনায় আমার গলা শুকিয়ে আসতে লাগলো। আবার সেই ববি আর পরিনিতা।
কোনরকমে অনেক চেষ্টা করে আমি শেখরকে বললাম –“এরকম হলে আমি পরিনিতাকে আড়ালে ডেকে নিয়ে গিয়ে বলতাম যে ববির ওর চারপাশে ঘুরঘুর করাটা আমার একবারে পছন্দ হচ্ছেনা।ওকে খুলে বলতাম ববির ক্যারেক্টারের কথাটা।পরিনিতা আমার সাথে এতদিন ঘর করেছে ও জানে আমার স্বভাব। ও বুজতে পারতো আমি যখন এতো সিরিয়াসলি কিছু বলছি তখন ব্যাপারটা নিশ্চয়ই সত্যি।ও তখনই ববিকে গিয়ে বলতো যে ও ববির ব্যাপারে একবারেই ইনটারেস্টেড নয়”।
শেখর কে আমি মুখে যাই বলিনা কেন মনে মনে আমি জানতাম পরিনিতা আমার কাছ থেকে এরকম কথা শুনলে ভীষণ রেগে যেত আমার ওপর।ববির ক্যারেকটার যাই হোক না কেন আমি ওর সংযমের ওপর বিশ্বাস করতে পারছিনা এই ব্যাপারটা ও কিছুতেই সহজে হজম করতে পারতোনা। এরকম একটা ঝগড়া ওর সাথে আমার আগেই হয়ে গিয়েছিল।
-“সঞ্জিব দেখ ঋতিকার সাথে আমার যা হয়েছিল সেটা তখোনো সেরকম কিছু দাঁড়ায়নি।আর ববির ব্যাপারে আমি কিছু মনে করিনি কারন পরে ঋতিকা আমার কাছে নিজে থেকেই সব খুলে বলে ছিল”।
-“তাই নাকি? কি বলে ছিল ও”?
-“ ও বলে ছিল ববির আকর্ষণ নাকি একবারে চুম্বকের মত। সেই রাতে পার্টিতে ওর সাথে নাচতে নাচতেই নাকি ও মনে মনে ঠিক করে ফেলেছিল ববির কাছে ও ধরা দেবে আর আমার কাছে পরে ক্ষমা চেয়ে নেবে”।
-“ববিকে সবার এতো আকর্ষণীয় লাগার কারনটা কি বলতো”?
-“ঋতিকা আমাকে বলেছিল ও নাকি যে কোন নারীর স্বপ্নের প্রেমিক।বিছানায় ও নাকি অসাধারন। ওর সাথে একবার শুলে ওর শরীরি আকর্ষণ আর বিশাল লম্বা পুরুষাঙ্গের মায়াজালে বাঁধা পরতেই হবে যে কোন নারীকে।ববি ওকে নিজের অন্য সঙ্গিনীদের কথা কিছুই লোকায়নি।ববির অনেক সঙ্গিনী আছে জেনেও ও ধরা দিয়ে ছিল ববির বিছানায়।ঋতিকার কাছে ববির সাথে ওর প্রেম আর শরীরী সম্পর্কের বিবরন শোনার জন্য এক সময় প্রায় রোজই আমি অপেক্ষা করে থাকতাম”।
-“শেখর, এরকম কিন্তু চলতে দেওয়া যাবেনা। দেখ ঋতিকা আমার টিমের মেয়ে।আমাদের টিম মিটিংএ যা আলোচনা হচ্ছে বা প্ল্যান হচ্ছে তা সবই যদি ঋতিকার মাধ্যমে ববির কাছে পৌঁছে যায় তাহলে কিন্তু মুস্কিল।আমাকে কিন্তু ঋতিকার সাথে একবার বসতে হবে। তুই পারলে একটা ব্যাবস্থা করে দে”।
-“ঠিক আছে গুরু আমি ব্যাবস্থা করে দেব।আমি বললে ও সবই খুলে বলবে তোমাকে ।এই ববিকে কোন বিশ্বাস নেই, কিছুদিন ফুর্তি টুর্তি করা হয়ে গেলে ও শেষ পর্যন্ত ভুলেই যাবে ঋতিকা কে ।কিন্তু ঋতিকাকে তো চিরকাল কাজ করতে হবে তোমার সাথে।কিন্তু একটা ব্যাপার দেখ গুরু মেয়েটার যেন কোন ক্ষতি না হয়”।
-“ঠিক আছে সেটা আমি দেখবো।ও আমার কথা শুনে চললে ওর কোন ক্ষতি হবেনা”।
শেখরের সাথে কথা শেষ হবার পর আমি আমার রুমে ফিরে গেলাম কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও কাজে মন বসাতে পারলাম না। শেখরের কথা বার বার আমার মনে ঘুরে ফিরে আসতে লাগলো আর আমার পুরুষাঙ্গটা শক্ত ইঁটের মত হয়ে গিয়ে টনটন করতে লাগালো।ঘণ্টা দুয়েক কাজে মনোনিবেষ করার ব্যার্থ চেষ্টা করার পর বিফল হয়ে শেষমেষ আমি ববিকে ফোন করে জানালাম আমার একটু পার্সোনাল দরকার আছে আমি আজকে একটু তাড়াতাড়ি বাড়ি যাচ্ছি।
সেদিন রাতে খাওয়া দাওয়ার পর শোয়ার আগে আমি আর পরিনিতা আমাদের বসার ঘরে একটু রিলাক্স করতে ঢুকলাম।কাজের আয়াটা ততোক্ষণে টুপুর কে ঘুম পারিয়ে দিয়েছে। নুপুর তো রোজকার মত বউদিদের কাছে পড়াশুনো করার পর ওদের কাছেই ঘুমিয়ে পরেছে।আমি বসার ঘরের সোফায় বসে একটা টিভি প্রোগ্রাম দেখতে দেখতে পরিনিতার দিকে তাকালাম।
পরিনিতা আমার সোফার থেকে একটু দুরে একটা গদিওলা চেয়ারে বসে কি যেন একটা গল্পের বই ভীষণ মনোযোগ দিয়ে পড়ছিল।পরিনিতার সুন্দর মুখের দিকে চোখ পরলো।ওর মিষ্টি মুখের দিকে তাকাতে তাকাতে মনে হচ্ছিল সত্যি আমি কি সৌভাগ্যবান যে পরিনিতার মত এতো সুন্দরী একটা মেয়ে কে আমার বউ হিসেবে পেয়েছি।ধপধপে ফর্সা পরিনিতার মুখটা অনেকটা জনপ্রিয় বলিউড ফ্লিমস্টার বিদ্যা বালানের মতন মিষ্টি। শরীরের গঠন অবশ্য বিদ্যার মত অতটা স্লিম নয়। তবে ডার্টি পিকচারে বিদ্যার ফিগারটা যেমন লেগেছিল অনেকটা ওরকম।
একটু ঢলঢলে, একটু ভারী গতরের সাথে মাথা খারাপ করা সেক্সি হাঁসি আর মনকেমন করা চাহুনিই হল ওর সৌন্দর্যের ইউ-এস-পি।ওর ভারী পাছা আর নরম পেট যে কোন বয়েসের পুরুষকে পাগল করে দেবে।দুবাচ্ছার জন্ম দেবার পরও ওর মাই দুটোর সাইজ একবারে পারফেক্ট। যতটা বড় হলে মাই দুটো সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে ওগুলো ততটাই বড়। আর যতটা ছোট হলে ওগুলো কে দেখতে গোল আর পুরুষ্টু লাগে ওগুলো ততোটাই ছোটো।
শুধু সৌন্দর্যই নয় পরিনিতার স্টাইল বোধ ও দুর্দান্ত। ঘরোয়া সাধারন শাড়ি কাপড়েও ওকে এতটা অসাধারন লাগে যে ওর সাথে কোথাও বেরলে নিজেকে গর্বিত মনে হয়। গৃহিণী হিসেবেও ও পারফেক্ট, যেমনি হাতের রান্না তেমনি ওর ঘর সাজানো।পরিমিত কথা আর মিষ্টি হাসির মিশেলে ওর কথা বলার স্টাইলেও সকলে ভীষণ খুশি হয়। মাঝে মাঝে ভাবি ওর মত সুন্দরী আমার মত সাধারনের ঘরে এল কি করে।এমনিতে আমাকে দেখতে মোটামুটি সুপুরুষ বলা যেতেই পারে কিন্তু পরিনিতার অসাধারন সৌন্দর্যর পাশে নিজেকে বড়ই বেমানান লাগে।মনে হয় যেন বাঁদরের গলায় মুক্তোর মালা।
পরিনিতা আমার চাহুনি অনুভব করতে পারছিল।ও বই থেকে মাথা তুলে আমার দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে একটু মিষ্টি করে হাসলো। যেন বলতে চাইলো কি গো কিছু বলবে?
ওর বইটার দিকে তাকালাম। মলাটে একটি নারী ও একটি পুরুষের আলিঙ্গন রত একটি সুন্দর ছবি।বইটার নাম পরকীয়া, লেখক শ্রী অনির্বাণ কর। আমিও ওর দিকে তাকিয়ে একটু হেঁসে ওকে বললাম –“কি পড়ছো অত মন দিয়ে?বইটার মলাট দেখে যা মনে হচ্ছে সত্যিই কি বইটা ওইরকম”।
পরিনিতা একটু বোকা বোকা হাঁসলো, বললো –“ও তুমি মলাটটা দেখেছো, আমি তো ভাবলাম তুমি টিভি দেখছো”।
-“আমি তখন থেকে দেখছি তুমি ভীষণ মন দিয়ে কি যেন পড়ছো, তারপর চোখ গেল বইটার মলাটের দিকে”।
-“হ্যাঁ পাশের ফ্ল্যাটের অনুস্কাদির কাছ থেকে কাল চেয়ে নিয়ে এসছি। বইটা ভীষণ ইনটারেস্টিং। গল্পটা হচ্ছে এক স্বামী স্ত্রী কে নিয়ে। ওদের দুজনের অনেক দিন বিয়ে হয়েছে। তাই জীবনটা একটু একঘেয়ে গতে বাঁধা।ওদের দুজনের মধ্যে বোঝাপড়া খুব ভাল হলেও অনেক দিন বিয়ে হবার কারনে আগের সেই আকর্ষণটা আর নেই। এরকমই একটা সময়ে বউটা তার স্বামীর একটি অফিস কলিগের সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পরে”।
-“তারপরে কি হল? বউটা কি তার স্বামীকে ছেড়ে দিয়ে তার লাভারের সাথে চলে গেল”?
-“না গল্পটা অতটা সোজা নয়,এটা একটু কমপ্লিকেটেড।গল্পটা না পড়লে ঠিক বোঝা যাবেনা”।
আমি ইসারায় পরিনিতাকে কাছে ডাকলাম। পরিনিতা ওর হাতের বইটা বন্ধ করে চেয়ার ছেড়ে সোফায় এসে আমার পাশে বসলো। আমি ওর হাত থেকে বইটা নিয়ে একটু উলটে পালটে দেখলাম তারপর ওকে নিজের বুকে টেনে নিয়ে ওর মধুঢালা ঠোঁটে একটা চুমু দিলাম।
-“যা মনযোগ দিয়ে বইটা পড়ছো তাতে মনে হচ্ছে তুমিও গল্পটার মতন অন্যকারুর প্রেমে পরেছো”?
-“পরিনিতা আমার বুকে হাত দিয়ে আমাকে অল্প একটু ঠেলে সরিয়ে দিতে দিতে দুষ্টুমিভরা একটা হাঁসি দিয়ে বললো –“এই যে মশাই আপনি কি বলতে চাইছেন যে আমাদের বিয়ে এখন গণ্ডগোলের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে”?
-“না, তবে আমাদেরও অনেকদিন বিয়ে হয়েছে, জীবনটাও একটু বাঁধাধরা হয়ে গেছে,আর তুমি যা মনোযোগ দিয়ে বইটা পড়ছো তাতে তোমার মুখ দেখে মনে হচ্ছে তুমিও ভেতর ভেতর খুব উত্তেজিত হচ্ছ বইটা পড়ে”।
-“আমি যদি সত্যি সত্যি কারুর প্রেমে পড়ে থাকি তাহলে কি তোমায় সব খুলে বলবো নাকি? তুমি হচ্ছো গিয়ে আমার হ্যাজবান্ড, তোমাকে কি এসব কথা খুলে বলা যায়, তোমাকেই বুঝে নিতে হবে নিজের বউয়ের মনের খবর”
এই বলে পরিনিতা আমার দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাঁসতে লাগলো।
ওর সাথে একটু খুনসুটি করার মুড নিয়ে আমিও ওর দিকে মিটিমিটি হাঁসতে হাঁসতে বললাম -“আমি জানি তোমার মনের ওই পুরুষটি কে”?
-“কে বলতো”?
-“কে আবার, ববি। আর কে”?
-“তাই বুঝি, তা কি করে জানলে”?
-“তোমার চোখ দেখে”?
-“কবে, কোথায়”?
-“সেদিন ববির বাড়িতে আমারদের অফিস পার্টিতে। ববি যখন আমাদেরকে ওর কালেকশান দেখাচ্ছিল তখন তোমার চোখ দেখে মনে হচ্ছিল পারলে তুমি ওকে তোমার চোখ দিয়েই গিলে খাবে”।
-“ধ্যাত বাজে বকোনা তো”?
-“আর বাড়ি ফিরে? বাঘিনীর মত আমার পেটের ওপর চড়ে বসলো কে শুনি”?
-“তুমিও তো তোমার বাঁড়া ঠাটিয়ে বসে ছিলে।ছিলেনা”?
-“হ্যাঁ তা ছিলাম।আচ্ছা পরিনিতা এখন একটু আমার কাছে আসবে? মনে করনা এখন আমিই হোলাম গিয়ে তোমার সেই প্রেমিক পুরুষ ববি”।
আমরা কয়েক মুহূর্তের জন্য একে অপরের চোখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। তারপর আমি রিমোট টিপে টিভিটা বন্ধ করে দিতেই পরিনিতার চোখের ভাষা পালটে গেল। জোরে জোরে শ্বাস টানতে লাগলো ও।সত্যি ববির নামটা আমাদের দুজনকেই মুহূর্তের মধ্যে কি রকম ম্যাজিকের মত উত্তপ্ত করে দিতে পারে।
আমি এবার পরিনিতার হাত ধরে ওকে দাঁড় করালাম আমার সামনে।তারপর সোফাতে বসে বসেই ওর নাইটিটা গুটিয়ে গুটিয়ে ওর কোমরের ওপর তুলে দিলাম।তারপর ওর পাছার দুপাশের মাংস দু হাত দিয়ে খামচে ধরে মুখ গুঁজে দিলাম ওর ছোট ছোট করে ছাঁটা বালে ভরা গুদে।কুকুরের মত ওর গুদের চেঁরায় নাক লাগিয়ে বার বার শুঁকতে লাগলাম, যেন বুঝতে চাইলাম ওর গুদটা সঙ্গমের জন্য তৈরি কিনা।পরিনিতা গুঙিয়ে উঠলো “ওঃ ববি”।আমি এবার পাগলের মত ওর গুদে ঘষতে লাগলাম আমার নাক মুখ।পরিনিতা আবার গুঙিয়ে উঠলো “ওরকম করোনা ববি আমি মরে যাব”।একটু পরেই মনে হল আমার মুখটা একটু ভিজে ভিজে লাগছে। হ্যাঁ যা ভেবেছি তাই, রস কাটছে পরিনিতার গুদ। কি আশ্চর্য্য এই ববি নামের মহিমা। ওর নাম না করলে এমনিতে আমার অন্তত কুড়ি মিনিট লাগে পরিনিতার হিট তুলতে।অথচ আজ একমিনিটেই পরিনিতার গুদ সঙ্গমের জন্য তৈরি।
আমি সোফা থেকে উঠে ওকে কোলে নিলাম।তারপর ওকে নিয়ে গেলাম আমাদের শোবার ঘরে।লাইট নিবিয়ে, দরজা বন্ধ করে, ওকে খাটে শুইয়ে, ওর দুই পা ফাঁক করে, ধন ঢোকালাম আমার পরিনিতার গুদে।‘ছপ’‘ছপ’‘ছপ’‘ছপ’ এক মনে মারতে লাগলাম আমার বউটার গুদ।এই গুদ মেরে মেরেই তো দু দুবার বাচ্চা করিয়েছি আমি আমার মাগিটাকে দিয়ে।
শ্বাস নেবার জন্য একটু থেমে পরিনিতার বুকের দিকে তাকালাম আমি। পরিনিতার মাই এর বোঁটা গুলো একবারে টোপা টোপা হয়ে ফুলে উঠেছে।আমার মেয়ে দুটো আর আমি সকলেই স্বাদ নিয়েছি পরিনিতার ওই সুন্দর বোঁটা দুটোর।
ওর মাই এর বোঁটা দুটোর ওপরে ছোটো ছোটো করে চুমু দিতে লাগলাম আমি। আমার বুকের তলায় পরিনিতা চোখ বুঁজে পড়ে রয়েছে একবারে মরার মতন।ঠিক কাল জামের মত বড় আর ভীষণ এবড়ো খেবড়ো ওর মাই এর নিপিলগুলো।কে জানে আমরা ছাড়া আর কেউ কোনদিন জিভ বুলিয়েছে কিনা ওর এই নিপিল দুটোতে।
আমার পক্ষে কোনদিন জানা সম্ভব নয়। একমাত্র পরিনিতাই বলতে পারবে কোনদিন অন্যকারুর মুখের লালায় ভিজেছে কিনা ওর এই বোঁটা দুটো।ওর মাইএ চুমু খেতে খেতে কেমন যেন মনে হল আমার মেয়েরা আর আমি ছাড়াও অন্য আরেকজন কেউ যেন স্বাদ নেয় ওর এই নিপিল দুটোর।
মন থেকে ওসব আবোলতাবোল চিন্তা সরিয়ে আবার একমনে পরিনিতাকে খুঁড়তে শুরু করলাম আমি।পরিনিতার ফিসফিসে গলা পেলাম, কি যেন অস্ফুটে বিড়বিড় করে বলছে ও মুখে।ওকে আমার ফলায় গাঁথথে গাঁথথে কান খাড়া করে শুনতে চাইলাম ওর কথা।“ফাক ইউ ববি, ফাক ইউ” শুধু এই দুটো কথাই বুঝতে পারলাম আমি।আরো প্রায় মিনিট খানেক ওর গুদ খোঁচানোর পর অবশেষে এক সঙ্গে দুজনেরই রস বেরল।
সব কিছে শান্ত হয়ে যাবার বেশ কিছুক্ষণ পর হঠাৎ পরিনিতা আমাকে জিগ্যেস করলো –“সঞ্জিব বেশ কিছুদিন ধরেই আমরা ববিকে আমাদের দুজনের মাঝে কাল্পনিক ভাবে এনে নিজেদের বিছানা গরম করছি।আমি আজ একটা কথা খোলাখুলি তোমার কাছে জানতে চাই। তুমি কি সত্যি সত্যি উপভোগ করতে পারবে যদি সত্যিই ববি আমাকে সিডিউস করে”।
-“না”।
-“যদি জানতে পার তোমাকে প্রান দিয়ে ভালবাসা সত্ত্বেও তোমার বউটা মাঝে মাঝে অন্যকারো সাথে শোয় তাহলে পারবে কি মেনে নিতে?আসলে আমি পরকীয়া বলে যে গল্পটা পরছিলাম তাতে ঠিক এরকমই একটা সিচুয়েসন ছিল”।
-“না পরিনিতা, তোমাকে অন্য কেউ ভোগ করুক, সেটা আমি কোনদিনই মেনে নিতে পারবোনা ।তুমি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ।তোমাকে হারালে আমি ভেঙে চুরমার হয়ে যাব। আমরা ববিকে নিয়ে যা করছি তা আসলে একটা সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসি ছাড়া আর কিছুই নয়। এটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক, এর সাথে বাস্তবের ফারাক অনেকটা।যে ভাবে অনেক স্বামী স্ত্রী আজকাল ব্লুফিল্ম দেখে নিজেদের উত্তেজিত করে,ধরে নাও সেরকমই আমরা ববিকে নিয়ে চিন্তা করে করে নিজেদের উত্তেজিত করছি।এটা একধরনের সেক্স গেম। ইংরাজিতে এটাকে বলে রোল প্লেইং”।
-“যাক শুনে ভাল লাগলো”
পরিনিতা এবার বাথরুমে গিয়ে একটু সাফ হয়ে এল তারপর আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পরলো।কিন্তু ওর চোখে ঘুম ছিলনা।আমি অন্ধকারেও বেশ বুঝতে পারছিলাম যে ও জেগে রয়েছে আর একমনে কিছু একটা চিন্তা করে যাচ্ছে।আমাকে আসটে পৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে শোয়ায় আমি এও বুঝতে পারছিলাম যে ওর বুকের ধুকপুকানি কত জোরে জোরে চলছে।মুখে যাই বলুক পরিনিতা আমার অনুমতি নিয়ে পরপুরুষ সঙ্গমের আইডিয়াটা ওকে ভেতরে ভেতরে ভীষণ নাড়া দিয়েছে।ওর ভেতরটা এখন ছাইচাপা আগুনের মত ধিকিধিকি করে জ্বলছে।
পরের দিন আমাকে একটু তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে হল কারন সকাল নটায় অফিসে আমার একটা মিটিং ছিল। রোজকার প্রাত্যহিক কাজ কর্ম সেরে চান টান করে যখন জামা কাপড় পড়ছি তখন চোখ গেল ড্রেসিং টেবিলের ওপর রাখা একটা খামের দিকে। খামের ভেতরে আমার আর পরিনিতার বেশ কতগুলো ছবি। কিছুদিন আগে আমার আর পরিনিতার বিবাহ বার্ষিকীতে একটা ছোটখাট পার্টি দিয়ে ছিলাম আমি।একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারকেও ডেকে ছিলাম।
এই ছবি গুলো তারই তোলা।আমার অবশ্য ভালভাবে দেখা হয়নি ওগুলো।ছবি গুলো দেখতে দেখতে ভাবছিলাম সত্যি কি সুন্দরী আমার বউটা।ওকে প্রথম দেখার দিন থেকেই দেখেছি একবার ওর দিকে চোখ গেলে আর ওর থেকে সহজে চোখ সরাতে পারিনা আমি। বিয়ের আগে আমি যখন পরিনিতার সাথে লাইন করতাম তখন যেরকম সুন্দরী ছিল ও এখনো সেই একই রকমই সুন্দরী আছে পরিনিতা । সেই পাছা পর্যন্ত লম্বা চুল, সেই দেহের গড়ন, সব একই।
ভীষণ কেয়ার নেয় পরিনিতা ওর শরীরের, তাই এরকম ফিগার রাখতে পেরেছে ও।আমি ছবি গুলো দেখা শেষ করে ওগুলোকে আবার খামে ঢুকিয়ে রাখলাম। তারপর একটা ড্রেসবক্স খুলে খুঁজে পেতে বার করলাম ওর একটা না কাচাবেস্রিয়ার।একবার খাটের দিকে আড় চোখে তাকালাম আমি।
পরিনিতা এখনো গভীর ঘুমে রয়েছে।তারপর চোরের মত চুপিচুপিওর বেস্রিয়ারটানাকে দিয়ে শুঁখতে শুরু করলাম আমি।আঃ কি সুন্দর ওর এই মন মাতাল করা মাই এর ঘেমো গন্ধ। বেশ কিছুক্ষণ প্রান ভরে আমার পরিনিতার মাই এর ঘেমো গন্ধ উপভোগ করার পর বেস্রিয়ারটাকে আবার আগের জায়গায় রেখে দিলাম আমি।খাটে পরিনিতা এখনো ঘুমিয়ে আছে অঘরে। ঘুমের ঘোরে ওর নাইটিটা ওর হাঁটুর ওপরে বেশ খানিকটা উঠে গেছে।
কি সুন্দর ওর ফর্সা মসৃণ উরু দুটো। ওর গোড়ালি আর পায়ের পাতা দুটো পর্যন্ত আমার ভীষণ ফেবারিট।সেক্সের ব্যাপারে পরিনিতা ভীষণ খোলা মেলা হলেও আমি যখন আদর করতে করতে ওর পায়ের পাতায় চুমু খাই বা ওর পায়ের আঙুল চুষি তখন ও ভীষণ রেগে যায়।বলে না এটা ভীষণ অস্যাস্থকর।তোমাদের চোষার জন্য মেয়েদের শরীরে আরো কত জায়গা দিয়েছেন ভগবান সে গুলো চোষনা যত খুশি।
সেদিন অফিসে কাজে মন বসাতে ভীষণ অসুবিধে হচ্ছিল আমার।বার বার মনে ভেসে উঠছিল একটা কল্পদৃশ্য যেখানে পরিনিতা আর ববি বিভোর হয়ে উন্মত্ত মৈথুনে রত।কিছুতেই মনের মধ্যে চলা ওই সিনেমাটাকে বন্ধ করতে পারছিলামনা আমি।এদিকে আমার পুরুষাঙ্গটা একবারে শক্ত ইঁটের মত হয়ে টনটন করতে লাগছিল।শেষে আর থাকতে না পেরে বাথরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে ধন খিঁচতে শুরু করলাম আমি।একটু পরে সমস্ত বীর্যটা কমোটের মধ্যে ঢেলে দিয়ে তারপর শান্ত হলাম আমি।
বাথরুম থেকে ফিরে চেম্বারে আমার চেয়ারে বসে নিজের অবস্থাটা বোঝার চেষ্টা করছিলাম আমি।কেন এমন মাঝে মাঝে হচ্ছে আমার? কেন সময়ে অসময়ে হঠাৎ হঠাৎ তীব্র কামনায় চোখে অন্ধকার দেখছি আমি? বেশ কিছুক্ষণ চিন্তা করার পর বুঝালাম যবে থেকে পরিনিতা আর আমার মধ্যে ববিকে নিয়ে নিয়মিত রোল প্লেইং শুরু হয়েছে তবে থেকে এটাও শুরু হয়েছে।আমি বার বার চেষ্টা করেছি ফ্যান্টাসির সাথে বাস্তবের পার্থক্য টানতে কিন্তু পারিনি।
পরিনিতার সাথে রাতে শুতে যাওয়ার সময় ববি কে নিয়ে খেলা আমাদের রোল প্লেইং আমাকে এতো উত্তেজিত করে দিচ্ছে যে পরিনিতার সাথে মিলন সম্পূর্ণ হওয়ার পর শরীর শান্ত হোলেও মন শান্ত হচ্ছেনা।সকালে অফিসে কাজের সময় একা থাকলেই মনের মধ্যে শুরু হয়ে যাচ্ছে সিনেমা।পরিনিতার সাথে ববির মিলনের ভিন্ন ভিন্ন সম্ভাবনার কথা চিন্তা করে করে মনে হচ্ছে যেন পাগল হয়ে যাব আমি।কিন্তু এই রোল প্লেইং ব্যাপারটা আমার কাছে এতো আকর্ষক লাগছে কেন ঠিক বুঝতে পারছিনা।এটাতো অন্য নারীর প্রতি যৌনকামনা থেকে হচ্ছেনা আমার।
নিজের বিবাহিত স্ত্রীর সাথে পরপুরুষের মিলনের চিন্তা থেকে হচ্ছে। ববিকে দুচোখে দেখতে না পারলেও ওর সাথে পরিনিতাকে চিন্তা করে এক আশ্চর্য যন্ত্রণাময় সুখে পাগল হয়ে যাচ্ছি আমি।অথচ বাস্তবে পরিনিতাকে ছাড়া জীবন কল্পনাও করতে পারিনা আমি।ববির সাথে পরিনিতার সেদিন এসি মার্কেটে দেখা হওয়ার আগে কোনদিন স্বপ্নেও ভাবতেও পারিনি যে পরিনিতা আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে কোনদিন পছন্দ করতে পারে।
অথচ পরিনিতা ববিকে তার পছন্দর ব্যাপারে কোন রাখ ঢাক না করলেও আমাকে কোনদিন সামান্যতম লক্ষণও দেখায় নি যাতে আমার মনে হতে পারে যে ও ববির সাথে কোনরকম পরকীয়া সম্পর্কে আগ্রহী।এটা ঠিক পরিনিতার মনে এরকম কোন ইচ্ছে থাকলে ও নিশ্চই আমাকে খুলে বলবেনা। কিন্তু ববিকে নিয়ে ও যেরকম আমার সাথে খোলাখুলি রোল প্লেইং করে তাতে মনে হয় ওর মনে কোন পাপ নেই। পাপ থাকলে ও এরকম করার সাহসই পেতনা ধরা পরে যাওয়ার ভয়ে।ববি কে নিয়ে ওর খোলাখুলি ইন্টারেস্ট এটাই বুঝিয়ে দিচ্ছে যে ববির প্রতি ওর মনে একটুদুর্বলতা থাকলেও আমাকে ঠকানোর কথা ও স্বপ্নেও ভাবতে পারেনা।
মনের ভেতর আর একটা প্রশ্ন ঘোরা ফেরা করছিল আমার। এই রোল প্লেইংটা আমাদের মধ্যে শুরু হল কবে থেকে? মনে পরলো ববিকে নিয়ে আমাদের আলোচনার মধ্যে পরিনিতাই একদিন অজান্তে হঠাৎ করে শুরু করেছিল এই রোল প্লেইং এর ব্যাপারটা।ও অবশ্য জানতোনা রোল প্লেইং ব্যাপারটা কি।তবে ও প্রথম দিনেই বুঝতে পেরেছিল যে এই খেলাটা আমাকে ভীষণভাবে উত্তেজিত করে।আর তাই প্রথম প্রথম মন ভাল থাকলে নিজে থেকেই দুষ্টুমি করে শুরু করতো খেলাটা যেটা শেষ পর্যন্ত শেষ করতাম আমি।আর এখনতো শনি আর ববিবার রাতে ছাড়াও সপ্তাহের মধ্যে মাঝে মাঝেই এখেলায় মেতে উঠছি আমরা। সেদিন বিকেলের দিকে আর একবার বাথরুমে ঢুকে নিজেকে নিঃশেষ করতে হল আমাকে।
এদিকে পরিনিতার সাথে রোল প্লেইং প্রায় প্রতি শনিবার ববিবার রাতেই নিয়মিত চলতে থাকলো আমার। ব্যাপারটা যেন একবারে নেশার মত হয়ে গেল আমাদের। খেলতে খেলতে পরিনিতা আমাকে ববির সম্বন্ধে নানারকম প্রশ্ন করতো।সবচেয়ে অবাক লাগতো পরিনিতা মুখে কোনদিন কোন স্ল্যাং কথা না বললেও এই খেলার সময় ওর মুখটা একবারে আগলছাড়া হয়ে যেত।
একদিন রাতে ওকে বুকে নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম –“পরিনিতা তুমি ববির সম্বন্ধে কত কিছু আমার কাছে জানতে চাও, তাই না? তোমার মনে ওর সম্মন্ধে সত্যি সত্যি ভীষণ দুর্বলতা আছে।তুমি নিশ্চই ওর প্রেমে পরেছো”।
-“ধ্যাত না। ও লম্বা চওড়া সুপুরুষ।ওকে অন্য সব মেয়েদের মত আমারো দেখতে ভাল লাগে। ওর কথাবার্তাও খুব সুন্দর।ওর সাথে কথা বলেও আমার বেশ ভাল লেগেছে। ব্যাস এই পর্যন্তই”।
-“এটা সত্যিওকে দেখতে খুব সুন্দর। শুধু তুমি কেন যে কোন ছেলেও মানবে এটা”।
-আমি সেটাই তো বলছি।
-তবে শুধু স্মার্টনেস আর সৌন্দর্যই তো সব কথা নয় পরিনিতা।
-মানে?
-মানে ওর সম্মন্ধে আমি আরো একটা কথা শুনেছি?
-কি শুনেছ?
-ওর শরীরের ব্যাপারে?
-শরীরের ব্যাপারে কি?
পরিনিতা কে বুকের ওপর তুলে নিলাম আমি।ওর ঠোঁট তখন ঠিক আমার ঠোঁটের কাছে। এতো কাছে যে কথা বলতে গেলেই ঘসে যাচ্ছিল ওর ঠোঁটে।
– অনেকেই বলে ওর নাকি…………মানে ওর ওটা নাকি দারুন।
– ওটা মানে?
– মানে ওর…ইয়েটা
– কি বলোইনা?
– মানে ওর নুনুটা নাকি অসম্ভব রকমের লম্বা আর মোটা।
– ওঃ
পরিনিতা আমার নির্লজ্জ্যতা দেখে বেশ অবাক হয়ে গেল। কিছুক্ষণ চুপ করে রইলো তারপর ফিসফিস করে আমাকে বললোএটা কি রটনা না সত্যি সত্যিই ওর নুনুটা বিশাল।তোমার কি মনে হয়?
আমি ভেবেছিলাম আমার কথা শুনে পরিনিতা ভীষণ লজ্জায় পরে যাবে। কিন্তু ও যেরকম তাড়াতাড়ি নিজেকে সামলে নিয়ে আমার মতই নির্লজ্জ্যভাবে জানতে চাইলো যে ববির নুনুটা সত্যিই বড় কিনা তাতে আমি একটু অবাকই হয়ে গেলাম।
-আমি কি করে জানব আমি কি ওর প্যান্ট খুলে দেখেছি নাকি?
এবার লজ্জ্যা পেয়ে গেল পরিনিতা। লজ্জ্যায় মুখ লাল হয়ে গেল ওর।
-ধ্যাত আমি কি তাই বলেছি নাকি?
-তাহলে কি জানতে চাইছো বল?
পরিনিতা আমার গালে ঠোঁট ঘষতে ঘষতে জিগ্যেস করলো আচ্ছা ছেলেদের নুনু কত বড় হয় গো?
-ইউরোপিয়ানদেরতো অনেক বড় হয়।কাউর কাউর শুনেছি বার ইঞ্চি মত হয়।
পরিনিতা আমার বুকের ওপর শুয়ে থাকায় স্পস্ট বুঝেতে পারলাম ও বার ইঞ্ছির কথা শুনে একবার থরথর করে কেঁপে উঠলো।
-উফ অত বড় নুনু মেয়েরা নেয় কি করে গো?
-জানি না তবে ইউরোপিয়ান মেয়েরা শুনেছি ওগুলোর জন্য একবারে পাগোল।
-হবেই তো অতবড় জিনিস ভেতরে নিলে আরাম তো হবেই।বড় নুনুর মজাই আলাদা।
-উফ এমন নিশ্চিত ভাবে বলছো যেন আগে নিয়েছ?
-ধ্যাত তাই বলেছি…আচ্ছা ববিরটা কত বড় হবে বলে তোমার মনে হয়?
-যা শালা সেটা আমি কি করে জানবো?
-না আমি ভাবলাম তুমি জান
-কি ভাবে জানবো?
-না মানে ছেলেরা অনেক রকম কথা নিজেরদের মধ্যে আলোচনা করতে পারে তো। মানে আমি ভাবলাম হয়তো কোথা থেকে জেনেও থাকতে পার।
পরিনিতার জানার ইচ্ছে দেখে আমিও ভেতরে ভেতরে একটু কেঁপে উঠলাম। গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠতে লাগলো আমার। এটা ঠিকই যে আমি শেখরের কাছে জেনেছি ববির সাইজ। কিন্তু আমি এতো বোকা নই যে সেটা আমি পরিনিতাকে বলতে যাব।
-তোমার কি মনে হয় আমি অফিসে গিয়ে বোর্ডরুমে এই সব নিয়ে কলিগদের সঙ্গে মিটিং করি।
-ধ্যাত……………আচ্ছা সঞ্জিব তোমার সাইজটা কত হবে?
-কি জানি?
-মেপে দেখনি কোন দিন
-না
-বার করোনা একবার দেখি তোমারটা ভালভাবে।
আমি লুঙ্গি খুলে ওকে বার করে দিলাম ওটা।পরিনিতা কাঁপা কাঁপা হাতে চামড়া ছাড়িয়ে বার করলো আমার কলাটা।তারপর ভাল ভাবে নিরীক্ষণ করতে লাগলো ওটা। হঠাৎ কে যেন ভেবে হঠাৎ মুঠো করে ধরে খিঁচতে লাগলো আমার নুনুটা।
-“এই করছো কি”?
ওর হাতের চুরি থেকে রিনঝিন শব্দ হতে লাগলো ওর হাতের নাচুনির তালে তালে।
-দেখছি এটা কতটা লম্বা হয়।
জীবনে প্রথম বার আমার বউ খেঁচে দিচ্ছে আমার নুনু।দেখতে দেখতে আমার নুনুটা শক্ত ইঁট হয়ে গেল ওর নরম হাতের জাদুতে।
-এই আর খিঁচনা মাল বেরিয়ে যাবে। যা বাড়ার বেড়ে গেছে। আর বড় হবে না।
পরিনিতার মুখটা কেমন যেন একটু মিইয়ে গেল আমার কথা শুনে।
-তোমারটা ইঞ্চি ছয়েক হবে না? আর ববিরটা নিশ্চই দশ ইঞ্চি হবে।
-তুমি কি করে জানলে?
-না মানে তুমি যা বললে তাতে ইউরোপিয়ানদের হায়েস্ট যদি বার ইঞ্চি হয় তাহলে ইন্ডিয়ানদের হায়েস্ট একটু কমই হবে। ববিরটা সকলে বড় বলে, তাহলে তোমার চেয়ে আর কত বড় হবে? ওই দশ ইঞ্চি মতই হবে”।
-তুমি চিন্তা কোরনা পরিনিতা, এবার আমি একদিন ববির সাথে দেখা করে জিগ্যেস করবো “ববি তোমার সাইজটা কত বলবে, আমার বউ জিগ্যেস করেছে। অথবা তোমার নুনুটার একটা ফটো দিওনা আমার বউ কে দেখাবো”?
-এই ফাজলামি হচ্ছে।তাহলে কিন্তু আর খেলবনা আমি।
-সরি সরি বস। আর হবেনা
কে জানে কিসের জন্য ক্ষমা চাইলাম আমি।মনে হয় আমার বউয়ের আমার বসের ধনের সাইজ জানার ইচ্ছে দেখে তাকে টিটকিরি দেওয়ার দোষে……হি হি হি হি।
-“এই হাসছো কেন”?
– তোমার কথা শুনে।
আমার নুনুতে নাক লাগিয়ে বিভোর হয়ে শুঁকতে শুঁকতে পরিনিতা দুষ্টুমি ভরা গলায় আমাকে বললো –“চুপ করতো…… যাদের নুনু ছোট তাদের সব কথায়হি হি করে হাঁসা শোভা পায়না”।
এর পর আমাকে অবাক করে জীবনে প্রথম বারের মত আমার নুনুটা মুখে ঢুকিয়ে চুষতে শুরু করলো পরিনিতা।ওঃ সে যে কি সুখ। ওর ভিজে জিভের লেহন, ওর মুখের গরম, আর পাতলা ঠোঁটের সুড়সুড়ি মাখানো বাঁধন আমাকে পাগল করে দিল।মিনিট পাঁচেক এর তীব্র চোষণের পর হঠাৎ থামলো ও।
-কি গো বেশ তো দিচ্ছিলে থামলে কেন?
-তোমার ছয় ইঞ্চি চুষতেই যদি এতো অসুবিধে হয় তাহলে ববির দশ ইঞ্চি চোষাতো অসম্ভব।ওটাতো গলা পর্যন্ত চলে যাবে।
গলায় কৌতুকের রেশ এনে ওকে জিগ্যেস করলাম
-আরে… এটা তো ভেবে দেখিনি, তুমি যখন সত্যি সত্যি চুষবে তখনতো মুস্কিলে পরে যাবে।
-যাঃ তোমার যত বাজে বাজে কথা। আমি বলছিলাম ববির গার্লফ্রেন্ডরা চোষে কি ভাবে অত বড় নুনু?
-এই আমারটা এবার থেকে মাঝে মাঝে এরকম ভাবে চুষে দেবেতো?
-বাঘ যখন একবার রক্তের স্বাদ পেয়েছে তখন কি আর না চুষিয়ে ছাড়বে?
-প্রমিস… দেবে?
-তোমাকে বিয়ে করেছি, তোমাকে নিয়ম করে বুকের ওপর চাপিয়ে চুঁদতে দি আমাকে, দু দুবার তোমার বাচ্ছা ধরেছি আমার পেটে, এতো সব যখন করলাম তখন এই কর্তব্যটাও করতে হবে বইকি।
-কর্তব্য?
-হ্যাঁ স্বামীর নুনু চোষা তো এখনকার দিনে স্ত্রীদের অবশ্য কর্তব্য।
আমি পরিনিতার বুকে মুখ ঘষতে শুরু করেছি দেখে ও নিজেই নাইটির দুটো বোতাম খুলে একটা মাই বার করে বললো -এস……খাবে তো এস।
ওর মাইতে মুখ গুজলাম আমি।একমনে টানতে লাগলাম পরিনিতার মাই।পরিনিতার হাত কিন্তু কন্টিনুয়াস ঘেঁটে যেতে লাগলো আমার নুনুটা।কখনো নুনুটার ছাল ছাড়াচ্ছে, কখনো নুনুর মুখে বুড়ো আঙুল ঘসছে, কখনো দুটো আঙুল দিয়ে জোরে জোরে টিপছে নুনুর মাশরুম হেডটা।কিছুক্ষণ মাই টানার পর ওর মাই ছেড়ে পরিনিতার দুই মাইএর মাঝের উপত্যকাটায় মুখ গুঁজে ওকে জিগ্যেস করলাম “কি ভাবছো গো এতো।ববির দশ ইঞ্চি নুনুটার কথা”।
আমি জানতাম পরিনিতা অস্বীকার করবে। কিন্তু নিশ্চিত ভাবে আমার নুনুটা ঘাঁটতে ঘাঁটতে ও ববির ওটার কথাই ভাবছিল।
আমাকে অবাক করে আমার বিচি দুটো খুব সাবধানে আস্তে আস্তে টিপতে টিপতে পরিনিতা অন্যমনস্ক হয়ে বললো –“হুঁ”
পরের দিন অফিসে ঋতিকা আমার চেম্বারে এসে আমাকে বললো আজ দুপুরে একবার ওর সাথে বেরতে পারবো কিনা। ওর একটা ক্লায়েন্টের সাথে একটা ডিল আজ ফাইনাল করতে হবে। ক্লায়েন্টটা একবারে শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসেছে। -“আপনার হেল্প ছাড়া কেসটা ক্লোজ করা যাবেনা স্যার” ঋতিকা বললো। ওকে জিগ্যেস করলাম ক্লায়েন্টের অফিসটা কোথায়? ও বললো সেন্ট্রাল এভ্যিনিউতে। দুপুরের দিকে সময় করে বেরলাম ওর সাথে।
ওর ক্লায়েন্টটাকে অনেক বুঝিয়ে ডিলটা ফাইনাল করে বেরতে বেরতে দুপুর দুটো হয়ে গেল। ধর্মতলার কাছে এসে ঋতিকাকে জিগ্যেস করলাম ও আমার সাথে লাঞ্চ করবে কিনা। ও রাজী হল। আমি স্টেট্সম্যান অফিসের কাছে গাড়ি পার্ক করে ওকে নিয়ে সাবির হোটেলে ঢুকলাম লাঞ্চ সারতে।
ঋতিকা বিরিয়ানি খেতে ভীষণ ভালবাসে। ও ফিউচার মিডিয়ায় ঢোকার পর, প্রথম কিছুদিন ও যখন ট্রেনি হিসেবে ছিল, তখন ওকে নিয়ে প্রায়ই ক্লায়েন্ট কলে বেরতে হত আমাকে। প্রায় রোজই কোন না কোন রেস্টুরেন্ট ঢুকে একসঙ্গে লাঞ্চ করতাম আমরা। আর লাঞ্ছে বিরিয়ানি ছিল বাঁধা। অনেক কথা বলতো ও ওর বাড়ির সম্বন্ধে। ওর স্বামীর কথা ওর বাচ্চার কথা। স্বামীর কথা বলতে বলতে প্রায়ই কেঁদে ফেলতো ও। বলতো চাকরি চলে যাবার পর অনেক চেষ্টা করেও একটা ভাল চাকরি জোগাড় করতে না পেরে, কিরকম ওর চোখের সামনেই ফ্রাসট্রেটেড হয়ে হয়ে, একটু একটু করে মদের নেশায় জড়িয়ে পরলো ওর স্বামীটা।
অফিস থেকে ফিরতে দেরি হলে নাকি ভীষণ হানটান করে ওর স্বামী। বলতো–“আমাকে বোধ হয় সন্দেহ করে ও জানেন। কত করে ওকে বলি আমি চিরটা কাল তোমারই থাকবো, কোনদিন তোমাকে ঠকাবোনা আমি, তবুও বিশ্বাস করেনা আমাকে।মুখ ফুটে কিছু বলেনা, শুধু ভেতরে ভেতরে গুমরে গুমরে মরে। কিছু বললে বলে ঘরের বউকে রোজগার করতে রাস্তায় নামিয়েছি আমি, আমার মত অযোগ্য লোকের মরে যাওয়াই উচিত। কি করবো বলুন দেখি? কি করে ওকে বোঝাই যে মার্কেটিং এর চাকরি করি বলেই এতো সেজে গুজে ফিটফাট হয়ে বেরতে হয় বা মাঝে মাঝে রাতে ফিরতে এতো দেরি হয়। এটা এই ধরনের চাকরিরই অঙ্গ”।
ঋতিকার চাকরি পাকা হয়ে যাবার পরেও মাঝে মাঝে ওকে নিয়ে এই সাবির হোটেলে বিরিয়ানি খেতে আসতাম আমি। এরকমই একদিন লাঞ্চ করতে করতে, ঋতিকা আমাকে একটু উদ্বিগ্ন মুখে বললো–“স্যার আমার সম্বন্ধে কোন রিউমার কি অফিসে শুনেছেন আপনি?”
-“না তো। হঠাৎ এই কথা জিগ্যেস করছো কেন”?
-কিছুই শোনেননি?
-ওই মানে অনেকই বলে তোমাকে খুব সেক্সি আর অ্যাট্রকটিভ দেখতে। এই রকমই আরকি।
-“উফ এই অফিসের বেশিরভাগ ছেলেই সেক্স ছাড়া আর কিছু বোঝেনা। জানেন প্রত্যেক সপ্তাহেই কেউ না কেউ আমাকে নিয়ে লাঞ্চ খেতে যাবার বা সিনেমা নিয়ে যাবার অফার দেয়। আরে আমি এক বাচ্ছার মা, আমার একটা সংসার আছে, এটা কেউ বোঝেনা। মার্কেটিংএ চাকরি করি বলেই এর ওর সাথে শুয়ে বেরানো আমার স্বভাব…… এই ধারনাটা যে একবারে ঠিক নয় এটা কি ভাবে যে আমি বোঝাই সবাইকে। আমি কি সখ করে মার্কেটিংএ চাকরি করছি নাকি? সংসার চালানোর জন্য এই চাকরি করি আমি। আমার মত একটা সাধারন গ্র্যাজুয়েটকে মার্কেটিং ছাড়া আর কে কি চাকরি দেবে বলুনতো”।
-“তোমাকে কি কেউ কিছু বলেছে যে তোমার নামে কোন রিউমার রটেছে”?
-“হ্যাঁ অফিসেরই কয়েকটা মেয়ে এসব রটাচ্ছে। ওদের মধ্যে একজন বলে বেড়াচ্ছে আমি নাকি আমার স্বামীর সাথে সুখি নয়। আমার স্বামী নাকি আমাকে মদ খেয়ে রোজ পেটায়। যত সব বাজে বাজে বানানো কথা। আর একজন রটাচ্ছে আমার সাথে নাকি শেখরের একটা অ্যাফেয়ার চলছে। আমি নাকি শেখরের সাথে শুই। শেখর আমার পাড়ার ছেলে, ওর রেফারেন্সেই তো আমাকে চাকরিটা দিয়েছেন আপনি। এসব ফালতু কথা আমার স্বামীর কানে গেলে কি বিপদ হবে বলুন দেখি। একেইতো আমাকে মনে মনে সন্দেহ করে ও”।
-“তুমি ওসব নিয়ে চিন্তা না করে মন দিয়ে তোমার কাজ করে যাও, আর কেউ বাড়াবাড়ি করলে তার নামটা আমাকে বলে দিও, আমি টাইট দিয়ে দেবখন”।
-“ঠিক আছে স্যার। তবে আমার নামে এরকম কিছু একটা শুনলে কিন্তু আর বিশ্বাস করবেননা স্যার। একটা কথা জানবেন, আমার স্বামীকে আমি খুব ভালবাসি। ওকে ঠকানোর আগে আমি যেন মুখে রক্ত উঠে মরি।
এর কয়েক সপ্তাহ পরেই আবার একদিন একসঙ্গে একটা ক্লায়েন্ট মিট সেরে ফেরার সময় স্প্লানেডের আমিনিয়া বলে একটা হোটেলে লাঞ্ছ করতে ঢুকলাম আমরা।
সেদিন ওকে কথায় কথায় জিগ্যেস করলাম ওর ববির সাথে পরিচয় হয়েছে কিনা।
-“ববি মানে ওই নোংরা লোকটা। হ্যাঁ দু একবার কথা হয়েছে ওর সাথে। ওটা তো একবারে মিটমিটে শয়তান শুনেছি। কেমন ভাবে যেন একটা দেখে আমার দিকে। ওই লোকটা মালিকের ছেলে বলে তাই, নাহলে ওর মতন শিকারি পুরুষ আমি একদম দুচোখে দেখতে পারিনা। ও মনে করে যেন ভগবান ওকে এই প্রিথিবীতে পাঠিয়েছেন মেয়েদের সাথে শুয়ে শুয়ে তাদের সুখি করার জন্য। অফিসের সব মেয়েই যেন ওর সাথে শোয়ার জন্য একবারে মুখিয়ে আছে। ব্লাডি সোয়াইন একটা”
কয়েক দিন আগে যখন শেখরের কাছ থেকে ঋতিকা আর ববির অ্যাফেয়ারের ব্যাপারে কনফারমড হলাম তখন কিছুতেই যেন মেলাতে পারছিলামনা আমার দেখা সেই পুরনো ঋতিকাকে। যে মেয়েটার কথা জুড়ে থাকতো শুধু তার বাচ্চা, স্বামী, আর সংসারের কথা, সেই মেয়েটা এরকম করতে পারে তা আমি কিছুতেই বিশ্বাস করতে পাছিলামনা। আজকে ওর সাথে লাঞ্ছে ঢুকেই আমি ঠিক করলাম ববির কথা তুলবো। দেখি কি বলে ও? বিরিয়ানির অর্ডার দিয়ে দুয়েকটা মামুলি কথা বলার পরই ববির সাথে ওর অ্যাফেয়ারের রিউমারটার কথা তুললাম আমি।
আমার কথা শুনেই লজ্জ্যায় মুখ নামিয়ে নিল ঋতিকা।
-“আপনি সব জেনে গেছেন, না স্যার”?
-“কেন তুমি এরকম করলে ঋতিকা”?
-“আমি নিজেই জানিনা স্যার কি ভাবে কি হয়ে গেল”।
-“তুমি কি আমাকে সব খুলে বলবে। আমি সব জানতে চাই”?
-“হ্যাঁ স্যার বলবো। আপনাকে না বলবো তো আর কাকে বলবো স্যার আমার মনের কথা”।
গড়গড় করে প্রায় এক নিঃশ্বাসে ও বলতে শুরু করলো ববির আর ওর সেই গোপন প্রেম কাহিনি। বিভোর হয়ে শুনছিলাম ওর গল্প। আমার কাছে কোন কথা লুকোয়নি ও। নির্লজ্জের মত আমার সামনে উপুর করে দিল ওর মনের সমস্ত গোপন কথা, গোপন অনুভুতি। ওর কথা শুনতে শুনতে মাঝে মাঝেই উত্তেজনায় কেঁপে কেঁপে উঠছিলাম আমি। কখনো গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল তো কখনো মাথা ঝিমঝিম করছিল। মনে হচ্ছিল আমার পুরুষাঙ্গটা যেন শক্ত হয়ে প্যান্ট ছিঁড়ে বেরিয়ে পড়তে চাইছে। ঋতিকার যে খোলাখুলি কথা বলার অভ্যেস তা আমি শেখরের কাছ থেকে আগেই শুনেছিলাম।
শেখর বলেছিল ঋতিকা যাকে বিশ্বাস করে তার সামনে হাট করে খুলে দিতে পারে ওর মনের সমস্ত দরজা। ববির সাথে ওর অবৈধ যৌন সম্পর্কের কথা ও আগে নিয়মিত বলতো শেখরকে। বোধহয় এইভাবে নিজের আপরাধবোধের গ্লানি কিছুটা হালকা করতে চাইতো ও। সেদিন বোললো আমাকে। হ্যাঁ, সেদিনো কারন ছিল সেই এক, নিজের পাপের কথা, ব্যাভিচারের কথা, নির্লজ্জ্য কামের কথা, আমাকে উজাড় করে বলে নিজেকে একটু হালকা করা, একটু শান্তি পাওয়া। ঋতিকার হয়ে আমিই আপনাদের গুছিয়ে বলছি ওর মনের কথা।
ও যা বলে ছিল তা তো বলবোই কিন্তু ও যা মুখ ফুটে বলতে পারেনি কিন্তু আমি বুঝতে পেরেছিলাম সেটাও বলবো। এর সাথে যোগ করবো শেখরকে বলা ওর আর ববির নির্লজ্জ্য কাম খেলার নোংরা নোংরা কথা। আমি দুঃখিত যে ওর বলা কথার সাথে মিশে আছে আমার মনের কিছুটা কল্পনাও। তবে মনে রাখবেন গল্পটা কিন্তু ঋতিকা কে নিয়ে নয়,গল্পটা আমাকে নিয়ে। ওর বলা গল্পটা আমার মনে কি সাংঘাতিক প্রভাব ফেলে ছিল, আমার কল্পনার রঙে কি ভাবে মিশে ছিল ববির কাছে সব হারানোর ভয়, তা আপনাদের বুঝতে হবে এই গল্পটা থেকেই। যাই হোক শুরু করি………
-“জানেন স্যার,এই অফিসে যখন প্রথম ঢুকলাম তখন ববিকে একদম পছন্দ করতামনা আমি।ওর সাথে কথা বলার সুযোগও তেমন ছিলনা। আমি তখন সামান্য একটা ট্রেনি। তারপর দেখতে দেখতে তিন মাস কেটে গেল,ধীরে ধীরে আমার চাকরিও পাকা হল । এর পর একদিন ববির সাথে একটা কলে বেরতে হল আমায়। সেই প্রথম ওর সাথে এক গাড়িতে পাশাপাশি বসে ক্লায়েন্ট প্লেসে গেলাম আমি। ফেরার পথে ববির সাথে লাঞ্চও সারলাম এই হোটেলে বসেই। সেদিনই প্রথম ওকে এতো কাছ থেকে দেখলাম আমি। ওকে কাছ থেকে দেখার পর বুঝলাম কেন মেয়েরা ওর ব্যাপারে পাগল। ওর পারসোন্যালিটি, কথাবাত্রা, স্মার্টনেস, সেক্স আ্যপিল কি মারাত্বক অ্যাট্রাকটিভ। যাই হোক সেদিন আমি মনে মনে ভেবেছিলাম বেল পাকলে কাকের কি। আমি বিবাহিত, আমার একটা বাচ্ছা আছে, আর তাছাড়া শিক্ষায় দীক্ষায়, সামাজিক স্ট্যাটাসে, ও একবারেই আমার টাইপের নয়। এরপর কয়েক সপ্তাহ ওর সাথে দুয়েকটা কথা বললেও অন্য রকম কিছু মনে হয়নি আমার।
কিন্তু একদিন আমি হঠাৎ লক্ষ করলাম যে ববি আর আমি একঘরে থাকলে ববি প্রায়ই আমাকে লুকিয়ে লুকিয়ে চোরা চোখে দেখে। কিছু দিন এভাবে চলার পর শুরু হল নানা ছুতোয় আমাকে ওর ঘরে ডেকে পাঠানো। একলা পেলেই আমার সাথে গল্প করার চেষ্টা করা।
এদিকে ওর মত একজন শিক্ষিত বিত্তবান সুপুরুষ যুবক অফিসের সব মেয়েকে ছেড়ে আমার মত সাধারন একটা গরিব মেয়েকে কাছে পাবার জন্য এভাবে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে দেখে আমিও ভেতরে ভেতরে একটু একটু করে দুর্বল হতে শুরু করে ছিলাম। ওকে দেখলেই আমার বুক ধুকপুক করতে শুরু করতো, গলা শুকিয়ে যেত। রাতে বাড়িতে গিয়েও থেকে থেকে ওর কথা মনে পরতো। আপনি তো জানেন আমার কি রকম অভাবের সংসার। নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। আগে যে আমি স্বামী আর বাচ্ছার কথা ভেবে ভেবে নিজের সখ আহ্লাদগুলো একরকম প্রায় উপেক্ষাই করে যেতাম, এখন সেই আমি আবার সাজগোজ আর রুপ চর্চা শুরু করলাম।
সংসারের শত অভাব উপেক্ষা করেও ঘরে আনতে শুরু করলাম নানা রকমের দামি দামি সাজগোজের উপকরন। ববির সাথে চোখাচুখি শুরু হবার পর কি এক আশ্চর্য যাদু কাটির ছোঁয়ায় সব দুঃখ কষ্ট যেন ভুলে গেছিলাম আমি। মনে হতো আমি যেন সদ্য কলেজে ভর্তি হওয়া এক ছাত্রি যে সবে তার এক সহপাঠীর প্রেমে পরেছে। আগে যে আমি রাতে বিছানায় পরলেই ক্লান্তিতে মরার মত ঘুমোতাম, সেই আমি মাঝরাত পর্যন্ত জেগে জেগে সুখ সপ্ন দেখা শুরু করলাম। রাতে বিছানায় শুলেই চোখের সামনে ভেসে উঠতো ববির আর আমার সারা দিনের খুনসুটির ছবি।
এদিকে সারা দিন অফিসে সকলের নজর বাঁচিয়ে ববির সাথে ফিসফিস গুজগুজ কখনো বা পরস্পরের সাথে চোরা চোখাচুখি বা ইসারায় ভাবনার আদান প্রদান চলতো।
এমনি ভাবে দিন কাটতে লাগলো আমাদের।অনেকদিন পর নিজেকে আবার কনফিডেন্ট মনে হতে লাগলো। ইম্পরর্টেন্ট মনে হতে লাগলো। একঘেয়ে আশাহীন আমার জীবনে ববি যেন নতুন করে নিয়ে এল বাঁচার আনন্দ। কিন্তু সব ওলট পালট হয়ে গেল অফিসের দেওয়া গত বছরের নিউইয়ার পার্টিতে। শেখরের পেড়াপিড়িতে সেদিনই প্রথম একপেট মদ খেয়ে ফেলেছিলাম আমি। আর আমার নেশাগ্রস্থ অবস্থার সুযোগ নিয়ে সেদিনই ববি প্রথম কিস করলো আমাকে।
একবার নয় বারবার কিস করতে লাগলো ও আমাকে। আমি অবশ্য জানতাম একদিননা একদিন এটা হবারই ছিল।এটা হবার জন্যই পরস্পরের এতো কাছাকাছি আসা। ববির কাছ থেকে ছাড়া পেতেই লেডিজ টয়লেটের দিকে ছুটলাম আমি।আমার পা কাঁপছিল থরথর করে। বুকটা হাপরের মত ফোঁস ফোঁস করে নিঃশ্বাস নিচ্ছিল। কোনক্রমে কোমটের ওপরে বসে নিজেকে সামলালাম আমি।মনের মধ্যে ভয়, লজ্জ্যা,নিজের ক্রিতকর্মের প্রতি ঘৃণা যেমন ছিল তেমনই ছিল প্রেমিকের সাথে প্রথম চুম্বনের সেই চোরা অথচ তীব্র আনন্দ।
প্রায় মাঝরাতে বাড়ি ফিরে যখন দেখলাম আমার বাচ্চাটা ঘুমোয়নি, আমার জন্য না খেয়ে জেগে বসে আছে, তখন আর চোখের জল চেপে রাখতে পারছিলামনা আমি। অনেকদিন পর ওর বাবা মাংস রেঁধেছিল নিজের হাতে। আমাকে সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিল ওরা। আমিই তো ওদের বলে গিয়ে ছিলাম যে রাতে যেভাবেই হোক তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরবো……অফিস পার্টি যখন তখন একবার তো যেতেই হবে…… একঘণ্টা নামকা ওয়াস্তে থেকে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসবো ।
রাত সাড়ে বারটা নাগাদ ওদের মন রাখতে ওদের সাথে খেতে বসলাম আমি। ছেলে বললো মা খাচ্ছনা কেন? বাবার রান্নাটাতো আজ দারুন হয়েছে। খাব কি পেট তো ভর্তি মদ আর মাংসে। নিজেকে কেমন যেন অপরাধী অপরাধী মনে হচ্ছিল আমার। মনে হচ্ছিল আমার স্বামী আর বাচ্চাটাকে যেন রাম ঠকা ঠকিয়ে এসেছি আজ আমি।
সেদিন রাতে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম যেমন ভাবেই হোক এড়িয়ে চলতে হবে ববিকে। পরের দিন থেকে ববিকে দেখলেই না দেখার ভান করতে লাগলাম। ববি কোন কারনে ঘরে ঢুকলে নিজের কাজ নিয়ে ব্যাস্ত থাকার ভান করতাম। ববি বুঝতে পেরেছিল কিছু একটা হয়েছে আমার।ও নানা ভাবে আমার কাছে আসার চেষ্টা চালাচ্ছিল কিন্তু আমিও ভীষণ সতর্ক ভাবে ওকে এড়িয়ে যাচ্ছিলাম।কয়েক সপ্তাহ এইভাবে কাটানোর পর আমি ভাবলাম যাক এবারকার মত সামলে নিয়েছি নিজেকে। কিন্তু ভগবান বোধ হয় অন্য রকম ভেবে ছিল।
এক শুক্রবার আনোয়ার শাহ রোডের সাউথসিটিতে একটা ক্লায়েন্ট ভিসিট সেরে বেরচ্ছি, হঠাৎ সামনা সামনি ববির সাথে দেখা। আমি না দেখার ভান করে পাশ দিয়ে চলে যেতে চাইছিলাম। কিন্তু ববি আমাকে যেতে দিলনা। খপ করে ধরে ফেললো আমার হাত। তারপর আমার হাত ধরে একরকম প্রায় টানতে টানতেই নিয়ে চললো একটা বিল্ডিং এর দিকে। আমি বুঝতে পারছিলামনা কোথায় নিয়ে যাচ্ছে ও আমাকে।
২০ তলার একটা ফ্ল্যাটের সামনে দাঁড়িয়ে চাবি দিয়ে দরজা খুলতে দেখে ওকে জিগ্যেস করলাম ববি এটা কার ফ্ল্যাট। ববি আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেঁসে বোললো আমি থাকি নিউআলিপুরের একটা ফ্ল্যাটে কিন্তু সাউথসিটির এই ফ্ল্যাটটা মাস ছয়েক আগে কিনেছি আমি। ওর কথা শুনেই বুঝলাম আমার আর বাঁচবার পথ নেই। নিজের স্বামী আর বাচ্চার কথা ভেবে চোখ জলে ভরে গেল আমার। কিন্তু আমি জানতাম আজ যা হবার তা হবে। নিজের নিয়তি কে টলাবার চেষ্টা করে কোন লাভ নেই।কপালের লিখন খন্ডায় কে।
একটু পরেই আমাকে ওই ফ্ল্যাটের ভেতরে নিয়ে গিয়ে একটা বিছানায় জোর করে শোয়ালো ববি। জোর করে বলছি কেন? আমার মন সায় না দিলেও আমার শরীর তো বাঁধা দেয়নি ওকে। আমি তো আইনত বোলতে পারিনা যে ববি জোর করেছে আমার সাথে।ও যা চাইছিল আমার শরীর মন্ত্রমুগ্ধের মত তাই করছিল।আমাকে বেডরুমে নিয়ে যেতে চাইলো, আমি গেলাম।আমাকে বিছানায় শুয়ে পরতে বললো, আমি শুলাম।মন তখনো মরিয়া হয়ে চেষ্টা করে চালাচ্ছিল প্রতিরোধ করতে কিন্তু শরীর হাল ছেড়ে দিয়েছিল।
ববি আমাকে বিছানায় শুইয়ে, আমার ব্লাউজ খুলে মুখ ঘষতে লাগলো আমার বুকের মিনি দুটোতে। শরীরটা কেমন যেন অসাড় হয়ে যেতে লাগলো। আমার বাচ্ছা আর আমার বরটার মুখটা একবার ভেসে উঠলো চোখের সামনে।কি করছে ওরা এখন কে জানে? একটু পরেই আমার বুকের ওপর শুয়ে নির্লজ্জের মত আমার মাই টিপতে টিপতে ববি কামড়ে ধরলো আমার গাল। ওর মত একটা সমর্থ সাড়ে ছফুটের পুরুষ যদি আমার মত একটা পাঁচ ফুট সাতের ঘরোয়া মেয়ের মাই টিপতে টিপতে ঘাড়ে কামড় দেয়, বা ঠোঁট চুষতে শুরু করে, বলুনতো আমার কি আর নিজেকে সামলানোর কোন অবকাশ থাকে। বিশ্বাস করুন আমি তাও একটা শেষ চেষ্টা করেছিলাম ওকে বোঝাতে যে আমার একটা সংসার আছে, একটা বাচ্চা আছে, একটা স্বামী আছে। কিন্তু ও শুনলো না আমার কোন কথা, কারন ও জানতো আমার মনের ওকে বাঁধা দেবার ইচ্ছে থাকলেও আমার শরীরের তা নেই। এর পর যখন ও আমার মিনিতে মুখ দিল তখনই আমি বুঝে গেলাম আমার আর কিছু করার নেই, একটু পরেই আমার মনও ধরা দিয়ে দেবে ওর কাছে।
বুভুক্ষু পশুর মতন ও ছিঁড়ে খুঁড়ে খেল আমাকে। ওর কামনার ঝড়ে খর কুটোর মত উড়ে গেল আমার শরীর ও মনের সমস্ত প্রতিরোধ।দুর্দম দস্যুর মত ও লুটেপুটে নিতে শুরু করলো আমার স্বামীর সম্পত্তি আমার এই শরীরটাকে। সেই দিন দুপুরে মাত্র তিন চার ঘণ্টার মধ্যে অন্তত চারবার আমার শরীরে ঢুকেছিল ও। কেমন একটা ঘোরের মধ্যে নেশাগ্রস্থর মত ওর বুকের তলায় চোখ বুঁজে পরেছিলাম আমি।
ও যা বলছিল তাই করছিলাম, যেমন ভাবে শুতে বলছিল তেমন ভাবে শুচ্ছিলাম, যেমন ভাবে পা ফাঁক করতে বলছিল তেমনভাবে পা ফাঁক করছিলাম। নিজেকে কেমন যেন একটা প্রাণহীন রোবট বলে মনে হচ্ছিল। অথচো ওর কাছে নিজের সর্বস্য সেঁপে দেবার সে কি নিদারুন আনন্দ।কি অর্নিবচনীয় সুখ ওর চুম্বনে, স্তনপীড়নে,নিষ্পেষণে আর ওর কঠোর লিঙ্গের নিষ্ঠুর খননে। আমার যোনির যে গভীরে প্রবেশ করছিল ওর লিঙ্গটা সেই গভীরে আমার স্বামী এর আগে কোনদিন প্রবেশ করতে পারেনি।
“আমার বরেরটা তাহলে অনেক ছোট” নিজের মনে বিড় বিড় করে উঠলাম আমি। কি আশ্চর্য টাইপের লম্বা আর মোটা ববির পুরুষাঙ্গটা। ওর নুনুর মুখটা কি অসম্ভব রকমের থ্যাবড়া আর ভোঁতা। পুরুষ মৈথুনের সুখ যে কি প্রবল হতে পারে সেদিনই প্রথম বুঝতে পেরেছিলাম আমি। ওর পুরুসাঙ্গের নির্মম নিষ্ঠুর গাঁথনে কেঁপে কেঁপে উঠছিলাম আমি। অনেকক্ষণ পেচ্ছাপ ধরে রাখার পর পেচ্ছাপ করার সময় মানুষ যেমন কেঁপে কেঁপে ওঠে অনেকটা সেরকমই ছিল কাঁপুনির ধরনটা। ওর থ্যাবড়া নুনুটা আমার যোনির ভেতর দিয়ে একবারে আমার বাচ্চাদানী পর্যন্ত দাগা দিয়ে যাচ্ছিল বারবার।
যোনি থেকে ওঠা তীব্র সুখের ঢেউ একবারে তলপেট পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছিল। যেন সুনামি আছড়ে পরেছে আমার যোনিতে। ওর হাতের থাবা কি নির্মম ভাবে নিষ্পেষণ করছিল আমার মিনির নরম মাংস।মনে হচ্ছিল যেন এখুনি ও খাবলে ছিঁড়ে নেবে আমার বুকের নরম মাংস পিণ্ড দুটো।
পর পর চারবার আমার আমার যোনিটা ভরে উঠলো ওর টাটকা, থকথকে ঘন, গরম গরম বীর্যে। মনে হচ্ছিল চুলোয় যাক আমার স্বামী আর বাচ্চা। অনেক করেছি আমি ওদের জন্য, এবার ওরা নিজেরটা নিজেরা বুঝে নিক। আমি আজ থেকে আর ওদের কারো নই। আমার ববিকে নিয়ে আমি আবার নতুন করে ঘর বাঁধবো, নতুন করে বাঁচবো ।
বুকের ওপর শুয়ে থাকা ছফুট লম্বা এই মানুষটাকে সাথে নিয়ে আবার নতুন করে সাজিয়ে তুলবো আমার স্বপ্নের নতুন সংসার। অনেক কষ্ট পেয়েছি আমি আর নয়। এবার শুধুই সুখ নেব। চুলোয় যাক সমাজ। হ্যাঁ…… আবার বাচ্চা আসবে আমার এই পেটে, আবার আমার মিনি দুটো ভরে উঠবে দুধে। আমি যেন তখনই কানে শুনতে পাচ্ছিলাম আমার দুধ খাবার জন্য ববির বাচ্চাটার ওঁয়া ওঁয়া কান্না।
এদিকে ববি আমাকে ড্রিলিং মেসিনের মত একমনে খুঁড়ে চলছিল আর ওর দেওয়া সুখ সাগরে ভাঁসতে ভাঁসতে আমার মনে এসে যাচ্ছিল নানান রকমের আবোলতাবোল চিন্তা।–অনেক গুলো বাচ্ছা করবো এবার ববির সাথে, আমার ববিরতো আর টাকা পয়শার চিন্তা নেই। সব গুলকে একধার থেকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াবো এবার। একবারে লা-মার্টিনিয়ারে দিয়ে দেব ওদের কে। আমার প্রথমটাকে টাকা পয়সার অভাবে হিন্দি মিডিয়ামে দিয়ে যে ভুল করেছি সেই ভুল এবারে আর করবোনা।
তবে এবার কিন্তু আর টুকুনের মত কালো বাচ্ছা নেবনা আমি, এবার অনেকগুল ফর্সা বাচ্চা করবো। ফর্সা বাচ্চার আমার খুব সখ। ববি আর আমি দুজনেই তো ফর্সা, কোন অসুবিধা হবেনা মনে হয়। লোকে বলবে সত্যি কি ফুটফুটে হয়েছে ববি আর ঋতিকার বাচ্ছাগুলো।
প্রত্যেকবারের মিলন সম্পূর্ণ হবার মাঝের সময়টা ববি হাদেকলার মত আমার মাই খেতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ছিল। যেন এক মুহূর্তও নষ্ট করতে রাজী নয় ও। যত রকম ভাবে পারে ততো রকম ভাবে ভোগ করতে চাইছিল ও আমাকে । তখন থেকে একটানা জিভ বুলিয়ে যাচ্ছিল আমার মিনির বোঁটাটাতে। কি যে পাচ্ছিল ও আমার শুকনো মাই থেকে কে জানে। মনে মনে ভাবছিলাম দাঁড়াও একটা বাচ্চা করি আগে তারপর বুকে দুধ এলে পেট ভরে দেব তোমাকে। ইস কি রকম হাদেক্লার মত করছে দেখ, এক বার এ মাই তো আর একবার ও মাই। কোনটা আগে খাবে যেন বুঝতে পারছেনা লোকটা।
ছোট বেলায় তোমার মা-মাগীটার কাছ থেকে তোমার ভাগের ভাগ পাওনি নাকি? কাকে দিত তোমার মা-মাগীটা তাহলে। যাকগে আমার বুকের দুটো তো আছেই, সময় এলে এদুটোই পেট ভরাবে ওর।……আমাকে খুব করে ভালবেশ ববি, আমার পেটে বপন কোরো তোমার বীজ, ফলিও তোমার ফসল আমার পেটে। পেটে বাচ্ছা লাগলে বুকে দুধের বান ডাকবে আমার।তখন রোজ রোজ খাওবো তোমাকে আমার বুকের মধু।মনে রেখ ববি বাঙালির বধু বুক ভরা মধু।
আমার বুকে মুখ গুঁজে একমনে ববি টানতে লাগলো আমার মাই। আমার স্বামীও মাঝে মাঝে চোষণ করে আমার মাই, কিন্তু নিপিলে ববির চোষণের মজাটাই আলাদা।স্বামীর চোষণের থেকে ববির চোষণ অনেক বেশি তৃপ্তিদায়ক। বাপরে কি টান ওর মুখের। উফ কি প্রচণ্ড সুড়সুড় করছে আমার বোঁটাটা।মাই বোঁটায় ববির জিভের ডগার তীব্র সুড়সুড়িতে ডাঙায় তোলা মাছের মত ছটফট করতে লাগলাম আমি।
ববির হাতটা খাবলাচ্ছে আমার পেটের নরম মেদুল মাংস।বাচ্চাটা হবার পর পেটের কাছটাতে অনেকখানি মেদ জমেছিল আমার।জায়গাটা খুব নরম হয়ে আছে।ওই জন্যই আমার পেট টিপছে ববি। মুঠো করে খামচে ধরছে পেটের নরম মেদ, তারপর ময়দা মাখার মত করে দলাই মলাই করছে ওর হাতে ধরা আমার পেটের নরম মাংস। সত্যি জানে বটে ও ভোগ করতে।
ববি আমাকে ছাড়লো প্রায় বিকেল পাঁচটার পর। তার আগে বাথরুমে ঢুকে শাওয়ারের নিচে আমাকে ন্যাংটো করে বুকে জড়িয়ে ধরে চান করিয়ে দিল ও। শাওয়ারের ঝরনার তলায় ববির ভিজে বুকের লোমে মুখ ঘষতে ঘষতে লজ্জার মাথা খেয়ে আমি জিগ্যেস করলাম “স্যার আমাকে বিয়ে করবেনতো? আমার হাত টা একহাতে ওপরে তুলে ধরে অন্য হাতে আমার বগলে এক মনে সাবান ঘষতে ঘষতে ববি বোললো “দেখি যদি লক্ষ্মী মেয়ে হয়ে থাকো আর আমার সব কথা শুনে চল তবেই”।
একটু পরে বাথরুম থেকে বেরিয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে ববি যখন একটা নরম তোয়ালে দিয়ে আমার পোঁদ মাই মুছিয়ে দিচ্ছিল তখনো ওর সাথে ঘর বাঁধার স্বপ্নে বিভোর হয়ে ছিলাম আমি।আবার ওকে গিজ্ঞেস করলাম “স্যার আপনি আমার পেট করবেনতো”? আমার মাইতে একটা আঁচরের দাগ লক্ষ করে গা মোছা থামিয়ে, ওখানে একটু বোরোলিন লাগিয়ে দিতে দিতে ববি বললো ‘হুঁ’।তারপর বললো “তোমার হাত দুটো একটু ওপরে তোল তো ঋতিকা, তোমার বগলের চুলগুলো খুব বড় বড় হয়ে গেছে, একটু ছোট করে ছেঁটে দিই। আমার মেয়েদের বগলে বড় বড় চুল ভাল লাগেনা”।
এই তিন চার ঘণ্টায় যেন কত আপন হয়ে গেছে ববি আমার। কত খেয়াল রাখতে শুরু করেছে ও। আজ সকালেও কি ভাবে এমাসে ছেলের স্কুলের ফিজ দেব আর কিভাবেই বা মুদির দোকানের জমা দেনাটা মেটাবো সেটা নিয়ে চিন্তায় ভোর ভোর ঘুম ভেঙে গিয়েছিল আমার আর বিকেলের মধ্যেই এসব চিন্তা থেকে মুক্তি। সত্যি কি অদ্ভুত মানুষের জীবন। আমি ওকে আবার জিগ্যেস করলাম “স্যারআপনি তো নিরোধ ছাড়াই আমার গুদ করলেন, যদি এখনই পেটে এসে যায় আপনার বাচ্চা”? ববি শান্ত ভাবে আমার বগলের চুল ছাঁটতে ছাঁটতে বললো “গেলে যাবে, আজকালকার দিনে ওসব কোন ব্যাপার নয়। মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে বোল। আমার পেট নামাবার একটা ক্লিনিকে চেনা আছে, ওখানে গিয়ে একঘন্টায় বাচ্চা ফেলে আসা যায়।
একটু পরেই ওর ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকে কিছু খেয়ে নিলাম আমরা। তারপর ও আমাকে ড্রাইভ করে নিয়ে গেল হাওড়া ময়দানে আমার বাড়ির সামনে ড্রপ করতে। বাড়ির একটু আগে আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেবার আগে বোললো “সাবধানে বাড়ি যাবে আর পৌঁছে একটা মিস কল দিয়ে দেবে”। মনে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে ওর এসি গাড়ি থেকে নাবলাম আমি। রাস্তাটা সবে মাত্র পেরিয়েছি তারপরেই আবার ববির ফোন। -“কি হল”?-“এই শোন, এখন কদিন আর স্বামীর সাথে সেক্স ফেক্সে যেওনা। তোমার সারা শরীর আমার আঁচড়ান কামড়ানোর দাগে ভরে আছে। ও বুঝে ফেলবে”।
-“না মশাই আমি অত বোকা নই।আমি মনে মনে ঠিক করেই রেখেছি, ওকে আজ রাতেই মাসিকের গল্প শুনিয়ে রাখবো”।ফোনটা কাটার পর মনে মনে হেঁসে উঠলাম আমি। ইস আজ আমার সাথে একবার শুয়েই বাবু কি রকম পজেসিভ হতে শুরু করেছে। দস্যু হয়েছে একটা, আমার সব সম্পদ বাবু খালি একাই ভোগ করবেন”। যখন বাড়িতে ঢুকলাম তখন কেমন যেন মনে হল অন্য কারো বাড়িতে এসে পড়েছি। এটা যেন আমার বাড়ি নয়। এটা যেন আমার স্বামী আর বাচ্চার বাড়ি। এখানে যেন আমি আর থাকিনা। সাউথসিটির ওই ফ্ল্যাটটাই এখন যেন আমার বাড়ি। কি আশ্চর্য না এই মানুষের জীবন।
তারপর আরো কতবার যে গেছি ওর ওই সাউথ সিটির ফ্ল্যাটে।মাঝে মাঝেই দুপুরে আমাকে নিয়ে কলে বেরনোর নাম করে ওই ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে তুলতো ও। ক্ষুধার্ত বন্য পশুর মত ছিঁড়ে খুঁড়ে খেত আমার শরীরটাকে। আমি দুপুরে ভাত খেতে ভালবাসতাম বলে কখনো কখনো ওর ওই ফ্ল্যাটে বসে একই থালায় একসঙ্গে ভাত খেতাম আমরা।কখনো ও চিবিয়ে চিবিয়ে মন্ড তুলে দিত আমার মুখে কখনো আমি চিবিয়ে চিবিয়ে মন্ড তুলে দিতাম ওর মুখে।
একবার খাওয়ার টেবিলে ন্যাংটো পোঁদে ওর কোলে বসে, ওর বুকে পিঠ লাগিয়ে, ওর ধনটাকে আমার গুদে গিঁথে নিয়ে, দুজনে মিলে একই সঙ্গে একটা মাংসর হাড় চুষতে চুষতে সঙ্গম করেছিলাম আমরা। কখনো কখনো ভাত খেতে খেতে এঁটো মুখেই হঠাৎ চোষাচুষিতে মেতে উঠতাম আমরা। উত্তেজনার মুখে এঁটো হাতেই আমার মাই খাবলে ধরতো ও। মাইতে লেগে যেত এঁটো ভাত, তরকারি আর ঝোল।
এছাড়াও আরো কত কি যে করতাম আমরা। ওর সবচেয়ে প্রিয় ছিল আমাদের ফ্যামিলি আ্যলবাম বা বিয়ের আ্যলবাম দেখতে দেখতে আমাকে চোঁদা। আমি আমাদের সব এ্যালবামেরই আর একটা করে কপি করিয়ে নিয়ে ছিলাম। কারন ও প্রায়ই মাল ফেলতো আমাদের বিয়ের ছবির ওপরে বা আগলা বুকে আমার টুকুনকে মাই খাওয়ানোর কয়েকটা বিশেষ ছবির ওপর। আর একটা ব্যাপার ওর ভীষণ পছন্দ ছিল। সেটা হল সঙ্গমের পর আমার ভেতরে মাল না ফেলে আমার টুকুনের জামা বা প্যান্টের ওপর মাল ফেলা। কখনো বা টুকুনের জামা বা প্যান্ট নুনুতে জড়িয়ে খেঁচে দিতে বোলতো আমাকে। ভীষণ ভালবাসতো ও এসব নোংরামো।
সেই জন্য মাঝে মাঝেই ব্যাগে করে লুকিয়ে টুকুনের জামা প্যান্ট নিয়ে আসতাম আমি। বাড়ি ফিরেই কেচে দিতাম যাতে কেউ বুঝতে না পারে। ওর সাথে থাকতে থাকতে এসব নংরামো তে ক্রমশ অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলাম আমি। একবার ও আমাকে জিগ্যেস করে ছিল আমার স্বামীর বীর্য পাতলা না ঘন। শেষ পর্যন্ত আমার স্বামীর বীর্য ভরা একটা কনডম এনে দিতে হয়ে ছিল আমাকে ওর মন রাখতে। ওখান থেকে বীর্য নিয়ে একদিন একঘণ্টা ধরে আমার সারা মাই তে ঘসে ঘসে মাখালো ও। তারপর মাল ফেললো আমার মুখে। আমাকে খেতে বাধ্য করলো ওর বীর্য্য
এক শনিবারে অফিস ডুব মেরে ওর সাউথসিটির ফ্ল্যাটে চলে এসেছি আমি। ও কোথায় যেন একটু বেরিয়ে ছিল। আমি বিছানায় শুয়ে অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে পরে ছিলাম। হঠাৎ মনে হল কেউ সুড়সুড়ি দিচ্ছে আমাকে। ঘুমের ঘোরটা ভাঙতেই বুঝলাম সুড়সুড়ি লাগছে আমার পোঁদে। চোখ খুলে তাকাতেই দেখলাম ববি আমাকে উবুর করে শুইয়ে, সায়া কোমরের ওপর তুলে জিভ দিচ্ছে আমার পোঁদের ফুটোতে।তখনই বুঝলাম পোঁদ করবে ও আমার। সেদিন পরপর পর তিনবার পোঁদ করলো ও আমার। পোঁদ মারার সময় ও একবারে নিষ্ঠুর, তখন কোন দয়া মায়া নেই ওর প্রানে, নুনুর সুখই তখন ওর কাছে সব। কিন্তু অন্য সময়ে আমার গায়ে একটু আঁচড় লাগলেও উত্তেজিত হয়ে পরতো।
-“ছাড় ওসব কথা। এখন ওর সাথে তোমার রিলেসানটারকি অবস্থা”?
-“ববি এখন চাইছে আমাকে ওর সাউথসিটির ফ্ল্যাটে পাকাপাকি ভাবে এনে তুলতে। কিন্তু কি ভাবে যে বাড়িতে এসব বলবো বুঝতে পারছিনা স্যার। আমার বরটা যা ইমোসনাল তাতে এসব জানতে পারলে ছেলেটাকে বিষ দিয়ে মেরে নিজে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পরবে, ডিভোর্স দেওয়া তো দুরের কথা”।
-“হুম, তাহলে ববির আকর্ষণ থেকে তুমি এখন আর বেরতে চাওনা? তোমার কি মনে হয় ববি তোমাকে সত্যি সত্যি বিয়ে করবে”?
-“হয়তো করবেনা, জানি ওর আরো অন্য লাভার আছে, আমাকে তাদের কথা বলেওছে, কিন্তু ও আমাকে কথা দিয়েছে স্যার, আমার সব সখ আহ্লাদ মেটাবে ও। যত বার চাইবো ততোবার পেট করে দেবে আমার। আমার স্বামী, বাচ্চার জন্যেও দরকারে পয়সা খরচ করতে কসুর করবেনা। আমি ওকে বিশ্বাস করি স্যার। ওকে ছাড়া আর আমার কি আছে স্যার। বাড়িতে সেই তো শুধু দুঃখ আর দারিদ্রের সাথে অনন্ত সংগ্রাম। জানি লড়াই করে করে বুড়ি হয়ে যাব তবুও মিটবেনা ওই সংসারের অভাব।
ববির কাছে ধরা দিলে অন্তত আরাম আয়েসের কোন অভাব হবেনা আমার”।এসব বলতে বলতে হাউ হাউ করে কেঁদে উঠলো ঋতিকা। চার পাশের লোকজন আমাদের দিকে হাঁ করে তাকাচ্ছে দেখে মনে মনে প্রমাদ গুনলাম আমি। কোন রকমে ওর পিঠে হাত বোলাতে বোলাতে ওকে শান্ত করলাম। খাওদাওয়া শেষ করে গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরতে ফিরতে ভাবছিলাম একটা ব্যাপারে অন্তত নিশ্চিন্ত হওয়া গেল। ঋতিকা, সঞ্জনা আর মিসেস শর্মাকে সামলাতে সামলাতে, ইচ্ছে থাকলেও ববি বোধহয় আমার পরিনিতার দিকে খুব একটা নজর দেবার সময় আর পাবেনা। যাকগে বাঁচা গেল মাথা থেকে আমার একটা চিন্তা নাবলো।আবার পরক্ষনেই মনে হল যে ঋিতিকা নিজের স্বামী, বাচ্চা আর সংসারের কথা ভেবে ভেবে সবসময় নিজেকে ব্যাস্ত রাখতো, যে ঋতিকা আমাকে নিজ মুখে বলে ছিল যে স্বামী, বাচ্ছা কে ঠকানোর আগে আমি যেন মুখে রক্ত উঠে মরি, সেই ঋীতিকা কে শুধু বিছানায় নেওয়াই নয়, এরকম ভাবে ওকে নিজের নোংরা কাম খেলার সঙ্গী করে নেওয়া মুখের কথা নয়। মেয়েদের সিডিউস করার ব্যাপারে ববির ক্ষমতা যে কি প্রচণ্ড সেটা বুঝে হাড় হিম হয়ে গেল আমার।
পরের সপ্তাহের শুক্রবার অফিসে একটা ঘটনা ঘটলো।আমি সকাল থেকেই আমার নতুন একটা প্রোজেক্টের কস্ট ক্যালকুলেসন নিয়ে ব্যাস্ত ছিলাম।নতুন প্রোজেক্টের কস্ট ক্যালকুলেসন করা ভীষণ ঝামেলার ব্যাপার।অনেক দিক খেয়াল করতে হয় কস্ট ভ্যালু প্রেডিক্ট করতে।কারন কস্ট ভ্যালুর ওপর প্রফিট যোগ করে তবেই তো ফাইনাল কোটেশন ভ্যালু তৈরি হয়।আর কোটেশন ভ্যালু ঠিক ঠাক না করতে পারলে টেন্ডার হাতছাড়া হয়ে যাবার সম্ভাবনা।
সকাল থেকেই কাজের মধ্যে ডুবে থাকায় আমার আর ঘড়ির দিকে তাকানোর সময় হয়নি।কাজটা অনেকটা করে ফেললেও কিছুতেই একবারে শেষ করে উঠতে পারছিলাম না। কোথাও বারবার একটা সিলি মিস্টেক করে ফেলছিলাম।বিকেল থেকে অনেক চেষ্টা করেও ভুলটা ধরতে না পেরে নিজের ওপরই থেকে থেকে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলাম আমি। হঠাৎ হাত ঘড়ির দিকে চোখ গেল। রাত প্রায় আটটা বেজে গেছে।না আজ আর ভুলটা বার করতে পারবোনা মনে হচ্ছে। এদিকে কাল সকাল এগারোটার মধ্যে কোটেশনটা জমা না দিলেই নয়। নিজেকে ভীষণ অরায় লাগছিল।
কাল দশটায় অফিস ঢুকে এক ঘণ্টার মধ্যে ভুলটা বার করতে পারবো কিনা বুঝতে পারছিলামনা? কে জানে কি হবে, হাতে সময় ভীষণ কম। অফিসের বেশির ভাগ লাইট তখন প্রায় নিবে গেছে। ফাঁকা অফিসে দু চার জন পিওনই শুধু রয়ে গেছে। ক্লান্ত হয়ে কম্পিউটার বন্ধ করতে যাব এমন সময় আমার চেম্বারের সামনে দিয়ে কাউর গট গট করে হেঁটে যাবার শব্দ পেলাম। অফিস ফাঁকা থাকায় বুটের শব্দ স্পষ্ট শোনা যাচ্ছিল। কেউ একজন আমার চেম্বারের সামনে দিয়ে যেতে গিয়ে কি মনে করে আবার আমার ঘরের সামনে এসে দাঁড়ালো। আমার চেম্বারের দরজা ঠ্যালার আওয়াজে কম্পিউটার থেকে মুখ তুলে তাকালাম আমি। দেখি ববি দরজায় দাঁড়িয়ে আছে।
-“সঞ্জিব তুমি এখনো আছ”?
-“হ্যাঁ একটা কাজ নিয়ে একটু ফেঁসে গেছি। কোথায় যেন একটা সিলি মিস্টেক করে ফেলছি বার বার। কিছুতেই ধরতে পারছিনা। এদিকে কাল সকাল এগারোটার মধ্যে কোটেশানটা জমা না দিলে টেন্ডারটা বিড ই করতে পারবোনা আমরা”।
একটু ক্লান্ত গলায় এক নিঃশ্বাসে ববিকে দেরি করার কারনটা বলে গেলাম আমি।
-“তাই নাকি দেখি তোমার ক্যালকুলেসনটা যদি আমি ভুলটা ধরতে পারি। অনেক সময় অন্য কারুর চোখে ভুলটা চট করে ধরা পরে”।
আমার পিঠটা একটু চাপরে ববি আমার কম্পিউটারের পাশে একটা চেয়ার টেনে নিয়ে বসে পরলো। ববির সামনে আমার মিস্টেকটা বেরিয়ে যাবে দেখে একটু অশ্বস্তিতে পরে গেলাম আমি। ও যে হাত গুটিয়ে আমার পাশে বসে পরবে সেটা আগে মাথায় আসেনি আমার, তাহলে ওকে এতটা খুলে বোলতাম না। সত্যি এনার্জি আছে বটে লোকটার। অফিসে ঢোকে সকাল সাড়ে আটটায় আর অফিস থেকে বেরোয় রাত আটটার পর। পাক্কা বার ঘণ্টা একটানা বসে কাজ করে যেতে পারে ও। যাকে বলে একবারে সুপার হিউম্যান। সাধে কি আর শেখর ওকে আলফা মেল বলে। নিজের এনার্জি লেভেলের সাথে ওর এনার্জি লেবেলের তুলনা করলে নিজেরই লজ্জা হয়। বয়েসে তো প্রায় আমারই মত অথচ যেন কলেজে পড়া ছেলেদের মত সব সময় টগবগ টগবগ করে ফুটছে।
আমার পাশে বসে রিপোর্টটা ভাল করে দেখতে শুরু করলো ও। মিনিট দশেকের মধ্যেই আমাকে রিপোর্টের এমন একটা যায়গা দেখালো যেটা দেখেই আমি আমার ভুলটা বুঝতে পারলাম।মিনিট সাতেক এর মধ্যেই প্রবলেমটা সল্ভ করে কম্পিউটার বন্ধ করে ফেললাম আমি। ববি দরজা দিয়ে বেরতে গিয়েও কি একটা ভেবে থমকে দাঁড়িয়ে পরলো।
-“সঞ্জিব অফিসে সব ঠিক ঠাক চলছে তো”?
-“হ্যাঁ ববি সব ঠিক আছে। আমার ক্লায়েন্টদের কাছ থেকেও আর কোন প্রবলেম আসছেনা”।
-“গুড। আচ্ছা আজকে মিসেস সরকারের সাথে তোমার যে মিটিংটা হবার কথা ছিল সেটা কেমন হল”?
আমার আজকের মিটিংটা ছিল সরকার অ্যান্ড সরকারের মালকিন মিসেস সরকারের সাথে, একটা বড় ডিল ক্লোজ করার ব্যাপারে। ওকে পুরো খুলে বলতে হল মিসেস সরকারের সাথে মিটিংএ আমি ঠিক কি কি ডিস্কাশান করেছি । ববি মন দিয়ে শুনলো আমার প্রত্যেকটি কথা।
-“সঞ্জিব আমার পরামর্শ যদি নাও তাহলে বলি মিসেস সরকারের কাছ থেকে কনট্র্যাক্টটা হাতাতে হলে তোমাকে মিসেস সরকারের সাথে একটু ফ্ল্যার্ট করতে হতে পারে। দেখ সঞ্জিব প্রতিষ্ঠিত পুরুষদের তেল দেওয়া আর সুন্দরী মহিলাদের সাথে ফ্ল্যার্ট করা, তোমাদের মার্কেটিংএর পেশায় কাজ পাওয়ার জন্য ভীষণ জরুরী। ভাল করে পটাও তোমার ওই মিসেস সরকারকে, তাহলেই দেখবে কনট্র্যাক্টটা তোমার হাতে নাচতে নাচতে চলে এসেছে। বাই দা ওয়ে মেয়েদের সাথে ফ্ল্যার্ট করতে পার নিশ্চই”। গলায় একটু কৌতুকের রেশ এনে ববি আমার দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল।
-“তেল দিতে আমি পারি ববি, তবে মেয়েদের সাথে ফ্ল্যার্ট করাটা আমার তেমন আসেনা। আমি শুধু একটি মাত্র নারীর সাথেই ফ্ল্যার্ট করতে পারি। আর সেটা হচ্ছে আমার বউ পরিনিতা। ওকে ছাড়া আর কোন মেয়ের ব্যাপারে আমার কোন ইন্টারেস্ট নেই। আর আমার ক্লায়েন্টদের বস করার স্টাইলটা অন্য। আমি আমার ক্লায়েন্টদের বস করি আমার সততা আর হার্ডওয়ার্ক দিয়ে”।
-“হুম এটা ঠিকই বলেছ তুমি। সত্যি তোমার অন্য মেয়েদের সাথে ফ্ল্যার্ট করার কি দরকার, যখন তোমার বাড়িতেই পরিনিতার মত অমন অসাধারন সুন্দরী একটা বউ আছে। ওরকম একটা বউ পেলে কাউরই আর অন্য মহিলাদের দিকে নজর দেওয়ার দরকার পরেনা”।
ববি একটু হেঁসে আমার দিকে এগিয়ে এল। হঠাৎ ওর চোখ পরলো আমার টেবিলে রাখা পরিনিতার একটা ফ্রেমে বাধানো পোস্টকার্ড টাইপ ফটোগ্রাফে। ফটো ফ্রেমটাকে আমার টেবিল থেকে নিজের হাতে তুলে নিয়ে মন দিয়ে দেখতে দেখতে ববি বোললো
-“সত্যি কি স্টানিং দেখতে না পরিনিতাকে”?
একটু অস্বস্তি নিয়ে আমি বললাম –“হ্যাঁ ওকে বেশ অ্যাটট্রাকটিভ দেখতে।অনেকেই বলে এই কথা”।
ববির হাতের ছবিটা আমার কোন এক বিবাহ বার্ষিকীতে একটা প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারের তোলা ছবি। ফটোগ্রাফার ছোকরা ফটোটাতে একটা হেজি ভাব এনে পরিনিতার একটা দারুন ড্রিমিং গ্ল্যামারাস লুক এনে ছিল। ববি এক মনে ফটোটাকে নিরিক্ষন করতে লাগলো। আমি ওরা পাশ থেকে ভদ্রতাবসতো সরেও আসতে পারছিলামনা। অথচ নিজের স্ত্রীর ছবি নিজের বসের পাশে দাঁড়িয়ে এভাবে দেখতেও লজ্জা লাগছিল আমার। ববিকে দেখে মনে হচ্ছিল যেন একমনে গিলছে আমার পরিনিতাকে।
-“সত্যি তোমার বউ পরিনিতা যেমনি সুন্দরী তেমনি প্রচণ্ড সেক্সি । কি সঞ্জিব ঠিক বলছিনা”?
ববির শয়তানিটা বুঝতে পারলাম। একটা গেম খেলতে চাইছে ও আমার সাথে। এখন ওর করা প্রশ্নের উত্তরে ও আমার মুখ থেকে শুনতে চায় যে আমার বউ সেক্সি।
আমি সোজা ব্যাটে খেলতে চাইলাম ওর ইয়র্কার। যে ভাবেই হোক আমাকে ববির সাথে এই সব আলোচনা থেকে বেরিয়ে এসে আবার কাজের আলোচনার মধ্যে ঢুকতে হবে।
-“হ্যাঁ ও ভীষণ অ্যাটট্রাকটিভ”।
-“তোমার কি মনে হয়না সঞ্জিব যে পরিনিতা ভীষণ হট ও”।
আলোচনাটা যে আর ভদ্র ভাবে যে শেষ করা যাবেনা সেটা আমি বুঝতে পারছিলাম।
– “না ববি, পরিনিতাকে আমি ঠিক ওইভাবে দেখতে অভ্যস্ত নই, আফটার অলও আমার বিয়ে করা বউ, আমার সন্তানের জননী।
আমি একটু রক্ষনাত্বক ভঙ্গিতে ববি কে খেলার চেষ্টা করলাম।
-“আচ্ছা ধর পরিনিতা যদি তোমার বউ না হত। মনে করনা পরিনিতা কে তুমি প্রথবার রাস্তায় দেখলে। তাহলে তুমি কি ভাবতে ওর সম্বন্ধে? হট অ্যান্ড সেক্সি, তাই না”?
ববি আবার একটা গুডলেন্থ বল দিল। ও কিছুতেই বন্ধ করতে চাইছেনা আলোচনাটাকে। পরিনিতাকে নিয়ে আমাদের আলোচনাটা একটু যেন পারর্ভাসানের দিকে চলে যাচ্ছে।
আমি একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে ববি কে বললাম। -“হ্যাঁ তুমি যদি ওকে জাস্ট একটা মহিলা হিসেবে দেখ তাহলে ওকে দেখে হট অ্যান্ড সেক্সি লাগতেই পারে”।
ববি আমার উত্তরে খুশি হল। পরিনিতার ফটোটা দেখতে দেখতে একটু অন্যমনস্কভাবে স্বাগোক্তির ঢঙে বললো –“হ্যাঁ আমি ও তাই মনে করি। সি ইজ ভেরি সেক্সি অ্যান্ড ভেরি ভেরি হট”।
এরপর দুজনেই কিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলাম । ববি একমনে পরিনিতার ফটো ফ্রেমটা হাতে নিয়ে মগ্ন হয়ে দেখতে লাগলো পরিনিতার ছবি। তরপর হঠাৎ অন্যমনস্কভাবে ফিসফিস করে বলে উঠলো –“সঞ্জিব তোমার বউ পরিনিতাকে আমার দুর্দান্ত লাগে, ও আমাকে চুম্বকের মত আকর্ষণ করে”।
ববির কথা শুনে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো আমার। বলে কি লোকটা? ববি এমন ভাবে কথাটা আমাকে বললো যেন পরিনিতা আমার বউ নয়,ও যেন আমার আর ববির কোন কমন গার্লফ্রেন্ড। ও কি আমার সাথে মস্করা করছে নাকি?
-“তুমি কি বলছো আমি ঠিক বুঝতে পারছিনা ববি”?
গলায় একটু সিরিয়াস ভাব এনে ববি কে জিগ্যেস করলাম , যাতে ববি আমার সাথে মস্করা করলেও আমার মনোভাব বুঝে নিজে থেকেই সাবধান হয়ে যায়। ববি পরিনিতার ফটোফ্রেমটা আমার টেবিলের ওপর আবার আগের মত রেখে দিয়ে আমার দিকে তাকালো। তারপর আমার চোখের দিকে চোখ রেখে গম্ভীর গলায় বললো –“আমি বলছিলাম পরিনিতার অপূর্ব সৌন্দর্য আমাকে চুম্বকের মতন আকর্ষণ করে”
আমি আর নিজেকে সামলাতে পারলামনা, ভদ্রতার মুখোশ ছেড়ে এবার একটু কড়া হলাম।
–“তোমার এইসব কথার মানেটা কি ববি? তোমার ভাবগতিক দেখে মনে হচ্ছে তুমি আমার বউয়ের সাথে শুতে চাও”।
আমি জানতাম আমার এই ডাইরেক্ট ব্লো ববিকে একটু রক্ষনাত্বক করে দেবে। ঠিক তাই হল। ববি একটু হেঁসে নিজেকে সামলে নিয়ে আমাকে অভয় দেবার ভঙ্গিতে বললো –“ইটস ওকে সঞ্জিব, ও আমাকে আকর্ষণ করে বটে কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমি ওর সাথে………তোমার চিন্তিত হবার কোন কারন নেই সঞ্জিব। আই আম কুল। আমি আসলে যেটা বলতে চাইছিলাম সেটা হল………দেখ পরিনিতা সত্যি সত্যি ভীষণ গরজাস। দুরদান্ত সুন্দরী ও। এরকম সুন্দরী বড় একটা দেখা যায়না, ওর শরীরের গোপন সম্পদগুলো একবার দেখলে যে কোন পুরুষই পাগোল হয়ে যাবে। হ্যাঁ আমি পরিনিতার সেক্সি লুকে প্রথম দর্শনেই ফিদা হয়ে গেছি, তবে শুধু আমি নয় যে কোন পুরুষই হবে”।
ববির কথা শুনে আমি কয়েক মুহূর্তের জন্য চমকে গেলাম। কি বলবো কিছুই বুঝে উঠতে পারলামনা। ও যেভাবে পরিনিতার শরীরের গোপন সম্পদের কথা বললো তাতে যেন মনে হল ও যেন পরিনিতাকে ন্যাংটো করে দেখেছে। অথচ তার পরেই ববি যা বললো, মানে ওর সেক্সি লুক দেখে ও প্রথম দর্শনেই ফিদা হয়ে গেছে, সেটা শুনলে বোঝা শক্ত যে ও সত্যি সত্যি ঠিক কি মিন করতে চাইছে। আমার পক্ষে কোনভাবেই বোঝা সম্ভব নয় যে ও পরিনিতাকে সত্যি সত্যি কখনো ন্যাংটো করেছে কিনা। ওকে জিগ্যেস করলেও ও বলবেনা, বা বললেও ও সত্যি বলছে কিনা তা কি করে বুঝবো।
কিন্তু ববির কথা শুনেই গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো আমার, চোখ মুখ লাল হয়ে গেল বোধ হয়। আমার নুনুটাও শক্ত হয়ে উঠে দাঁড়ালো। সত্যিই কি পরিনিতা ওকে কোনদিন ব্লাউজ খুলে ওর মাই দেখিয়েছে? দেখিয়েছে ও কোনখান দিয়ে আমার টুপুরকে দুধ দেয়। ববি কি পরিনিতার মাই দুটো হাতে ধরে দেখেছে ওগুলোর ওয়েট কেমন? ও কি টিপে টিপে দেখেছে পরিনিতার মাই, যে কিভাবে একটু চাপ পরলেই পরিনিতার কাল এবড়ো খেবড়ো নিপিলটার মধ্যে দিয়ে ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে ওঠে একটা দুধের ফোঁটা। ববি কি পরিনিতার কাছে জানতে চেয়েছে যে ফাকিং এর সময় আমি পরিনিতার মাইতে মুখ দিই কিনা বা ওর কাছ থেকে ওর ব্রেস্ট মিল্ক নিই কিনা? দেখতে দেখতে আমার মনের মধ্যে ভিড় করে আসতে লাগলো আরো অনেক রকমের আবোলতাবোল উত্তেজক প্রশ্ন।যার কোন মানে নেই,কোন কার্জ কারনও নেই।
প্রশ্ন গুলো হয়তো আবোলতাবোল কিন্তু অসম্ভব উত্তেজক। আমি ভুলে গেলাম যে আমার সামনে ববি দাঁড়িয়ে আছে। ও কি বুঝতে পারছে আমার মুখে নানা রঙের খেলা, আমার চোখের ভাষা। আমি চেষ্টা করেও সামলাতে পারলামনা নিজেকে। আবোলতাবোল চিন্তা করেই চললো আমার মন। ববি কি দেখেছে পরিনিতার সেই লজ্জ্যার যায়গাটা যাকে হিন্দিতে ওরা বলে চুত। ওদের ভাষায় জাঁহাসে আওরতো কি চুঁদাই হতি হ্যায়। পরিনিতা কি পা ফাঁক করে যায়গাটা ববিকে দেখিয়ে বলেছে দেখ এখান দিয়েই আমি বাচ্চা বের করি, এখান দিয়েই আমার ভালবাসার মানুষকে আমি আমার শরীরে ঢোকাই। এই সেই যায়গা যেখান দিয়ে আমার স্বামী মাঝে মাঝে আমার ভেতরে ঢুকে আমার সাথে এক হয়।
-“সঞ্জিব একটা কথা আমার কাছে সত্যি সত্যি স্বীকার করবে”?
ববির কথায় সম্বিত ফিরলো আমার । আমি ভুলেই গেছিলাম যে ববি আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে আর আমরা একটা বিষয় নিয়ে কথা বলছিলাম।
-“কি কথা ববি”?
-“জান সঞ্জিব আজকাল ইউরোপ অ্যামেরিকায় অনেক প্রকৃত আধুনিক পুরুষেরা নিজের স্ত্রীদের যৌনতার ব্যাপারে সমস্ত বন্ধন মুক্ত করে স্বাধীন করে দিচ্ছে। এর ফলে একটি মহিলা তার স্বামী, সন্তান বা সংসারের প্রতি তার যাবতীয় দায়িত্ব পালন করার পর নিজের চাহিদা বা পছন্দ অনুযায়ী, তার যে কোন অন্য পুরুষ সঙ্গীর সাথে মন খুলে যৌনতার আনন্দ নিতে পারে। এতে করে জীবনের বা সংসারের, একঘেয়েমি বা বোরডম থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। জীবন হয়ে উঠে উপভোগ্য, থ্রিলিং, এক্সাইটিং। জীবন কে, নিজের শরীর কে, যৌনতা কে নিজের মত করে উপভোগ করা যায়।
অনেকেই আসলে যৌনতার সাথে ভালবাসাটাকে এক করে ফেলে। যৌনতা আর ভালবাসা কিন্তু একনয় সঞ্জিব। একই সঙ্গীর সাথে নিয়ম মাফিক ক্রমাগত যৌনতায় যৌনতার আনন্দ ক্রমশ কমে যেতে থাকে। নিজের প্রেমিক বা স্বামী ছাড়া মাঝে মাঝে অন্য সঙ্গীর সাথে যৌনতা জীবনে নিয়ে আসে আনন্দ। অন্য দিকে মনের মানুষকে ভালবাসা কিন্তু কোনদিন একঘেয়ে হয়না সঞ্জিব। ভালবাসা দিনকের দিন বেড়েই চলে। ভালবাসাকে নষ্ট করে কে জান? ভালবাসা কে নষ্ট করে একঘেয়ে নিয়মমাফিক ক্লান্তিকর যৌনতা। যদি স্বামী স্ত্রী দুজন দুজনকে মন থেকে বোঝে, একে ওপরের চাহিদার সাথে মানিয়ে গুছিয়ে নিতে পারে, এক মাত্র তাহলেই ভালবাসাটা চিরস্থায়ী হয়।
-“তুমি কি জানতে চাইছিলে ববি”?
-“আমি জানতে চাইছিলাম যদি কোনদিন শোন তোমার স্ত্রী বা প্রেমিকা কোন একটি অন্য পুরুষের আকর্ষণে পরে তার সাথে কোন এক দুর্বল মুহূর্তে মিলিত হয়েছে তাহলে কি তুমি মেনে নিতে পারবে? যদি তুমি সত্যিই নিজের স্ত্রী বা প্রেমিকাকে হৃদয় দিয়ে ভালবাস বা তুমি যদি সত্যিই প্রকৃত আধুনিক পুরুষ হও তাহলে আমার বিশ্বাস তুমি পারবে।
-“হঠাৎ এই প্রসঙ্গ কেন এল ববি”?
-“তোমাকে একটা গোপন কথা বলি ববি, আমার বাবা প্রদীপ রায় ঠিক এরকম ভাবেই মুক্ত করে দিয়েছিলেন আমার মাম্মি কে। আমার মাম্মি নিরুপা রায় প্রান ভরে উপভোগ করে ছিলেন তাঁর জীবন কে। আথচ তিনি সংসারের সমস্ত দায়িত্ব পালন করে, আমার পিতার সমস্ত চাহিদা পুরন করে,আমাদের পরিপূর্ণ ভাবে মানুষ করে বড় করে তোলার সাথে সাথেই নিজের মত করে উপভোগ করতে পেরেছিলেন তাঁর জীবন কে। ছোটবেলায় তাঁর পুরুষ সঙ্গিদের প্রায়ই আমি আমার বাড়িতে আসতে দেখেছি। আমার সমস্ত চিন্তা ধারার ওপর আমার মাম্মি ড্যাডির প্রবল প্রভাব আছে। মাম্মি কে আমি হারিয়েছি মাত্র দু বছর আগে।
কিন্তু যেদিন এসি মার্কেটে পরিনিতার সাথে আমার প্রথম দেখা হল, সেদিন ওকে দেখে, ওর সাথে কথা বলে, চমকে উঠলাম আমি। ওর সৌন্দর্য, বেক্তিত্ব,কথা বলার আর চলাফেরার ধরন আশ্চর্যজনক ভাবে একবারেই আমার মাম্মির মতন। পরে ওকে আমার বাড়ির অফিস পার্টিতে আরো ভালভাবে জানতে পারলাম। সেদিনের সেই পার্টির পর থেকেই আমি বুঝতে পারলাম পরিনিতা আমাকে ভীষণ ভীষণ ভাবে আকর্ষণ করে”।
-“বুঝলাম ববি। কিন্তু দেখ পরিনিতা আমার বিবাহিত স্ত্রী আর আমি প্রদীপজী র মত আধুনিক ভাবধারার মানুষও নই। তবে পরিনিতা যদি সত্যিই কোনদিন আমাকে এসে বলে যে আমার সাথে সংসার করার একঘেয়েমি থেকে মুক্ত হতে ওর অন্য কোন পুরুষ সঙ্গীর সাথে যৌনতা দরকার তাহলে আমরা স্বামী স্ত্রী মিলে একসঙ্গে বসে বিষয়টাকে ভেবে দেখবো। তবে ব্যাপারটা আমাদের একন্তোই বেক্তিগত ববি।
-“বুঝলাম সঞ্জিব, তোমার কথা সম্পূর্ণ ঠিক। আসলে আমার বিশ্বাস পরিনিতার মত সুন্দরী এবং যৌনতার প্রতিমা একজন নারী সবসময়ই অনেক বেশি ডিজার্ভ করে জীবনে। আমাদের সমাজে মেয়েরা এগিয়ে এসে অনেকসময়ই বলতে পারেনা তাদের নিজেদের মানসিক চাহিদার কথা, দাবির কথা। তাই এক্ষেত্রে আমাদের, মানে ভারতীয় পুরুষদের , বাড়তি দায়িত্ব হল নিজে থেকে এগিয়ে গিয়ে তাদের মহিলাদের কাছে জানতে চাওয়া তাদের গোপন চাহিদার কথা, তাদের মনের আকাঙ্খার কথা। যেটা আমার বাবা প্রদীপ রায় পেরেছিলেন। জান ববি পরিনিতাকে দেখার পর আমি ঠিক করেছি যদি সত্যি কোন দিন বিয়ে করি, তাহলে ওর মত সৌন্দর্য, বেক্তিত্বসম্পন্না কোন মেয়েকেই করবো।
আমার কেমন যেন মনে হল ববি আমাকে ধরে পরিনিতার সায়ার ভেতর ঢুকতে চায়। আমাকে কি অত বোকা পেয়েছে নাকি ও।
-“আশা করি তুমি তোমার মনের মত কাউকে খুঁজে পাবে ববি যেমন আমি পরিনিতার মধ্যে পেয়েছি”।
-“হ্যাঁ আমিও ভগবানের কাছে তাই প্রার্থনা করি। তোমরা ভাল থেক সঞ্জিব আর আমাকে কোন প্রয়োজনে দরকার লাগলে কখনো বলতে লজ্জা পেয়োনা। আর একটা কথা, মানুষ যখন কোন কারনে ইমশোনালি খুব চার্জডআপ থাকে তখন সে মনের অনেক গোপন কথা খুলে বলে ফেলে, যেমন আমি আজ বলে ফেললাম তোমার কাছে। যদি আমার কোন কথা তোমার খারাপ লেগে থাকে তাহলে ব্যাপারটা মনে না রেখে প্লিজ ভুলে যেও সঞ্জিব”।
এই বলে ববি আমার সাথে সেকহ্যান্ড করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।
বাড়ি ফিরতে ফিরতে আমার মনে হচ্ছিল ববির মত পুরুষ কোন ভাবেই হালকা কথা বলার লোক নয়। আজকে ও আমাকে যা যা বললো নিশ্চই এর পেছনে অন্য কোন কারন আছে। তাহলে কি আমার পেছনে, আমার অজান্তে এমন কিছু ঘটছে যেটা আমি জানিনা। নাকি ববি কোন অবশ্যম্ভাবী বিশেষ ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে গেল আজ। অনেক ভেবেও এর কোন কূল কিনারা পেলাম না আমি। হয়তো ভবিশ্যতই এর উত্তর দেবে একদিন
এই ঘটনার মাস দুয়েক পর হঠাৎ একটা খুব ভাল খবর পেলাম। আমাকে নাকি এই বছরের জন্য কোম্পানির বেস্ট সেলস একজিকিউটিভ হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। শুনলাম এর দরুন আমি নাকি এবছরে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ইনসেন্টিভ হিসেবে পাচ্ছি । বুঝলাম শর্মা প্রোডাক্টের সাথে আমাদের করা ডিলটা ববি আমার অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছে। ও নিজে এটাতে কোন ক্রেডিট নেয়নি। ডিলটা যে পরে মিসেস শর্মার দয়াতে বিরাট অ্যামাউন্টের দাঁড়িয়ে গিয়েছিল তা তো আমি আগেই জানতাম। তাছাড়া এই বছরে এমনিতেই আমার অনেক গুলো ডিল ফাইনাল হয়েছিল। তার ওপর শর্মা প্রোডাক্টের ডিলটা যোগ হয়ে আমার অ্যাচিভমেন্ট আমার টার্গেটের থেকে অনেক বেশি হয়ে গেছে। স্বাভাবিক ভাবেই ব্যাপারটা কোম্পানির নজরে এসেছে।
তবে একটা কথা, মিস্টার শর্মা আমার ক্লায়েন্ট হলেও ববি যে ভাবে মিসেস শর্মা কে পটিয়েছিল তাতে করে ববি কেন যে ডিলটার ক্রেডিট নিজে না নিয়ে আমাকে দিল সেটা তখনো বুঝতে পারিনি। পরে অবশ্য হাড়ে হাড়ে বুঝতে পেরেছিলাম। যাই হোক শুনতে পেলাম ম্যানেজমেন্ট নাকি ঠিক করেছে যে নর্থ, ইস্ট,সাউথ, ওয়েস্ট, এই চার রিজিওনের সেরা ১৫ জন গুড পারফর্মারদের নিয়ে দিল্লি তে পরের সপ্তাহে একটা পার্টি দেবে।
আমি সেদিন রাতে বাড়ি ফিরে পরিনিতাকে ব্যাপারটা জানালাম। পরিনিতার অবশ্য কোন হোলদোল দেখলামনা, এমন ভাবখানা দেখালো যেন এরকম যে হতে পারে তা ও আগেই জানতো। ও মুখে শুধু বললো তুমি যোগ্য, এধনের সম্মান তুমি আরো অনেক পাবে। আমি যখন ওকে বললাম যে ববি শর্মা প্রোডাক্টের ডিলটা আমার অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছে বলেই এটা হল তখন ও শুধু একটু মুচকি হেঁসে বোললো দেখলে তো তোমাকে আমি আগেই বলেছিলাম যে ববি তোমার কোন রকম ক্ষতি করতে চায়না বা তোমাকে কোনভাবে নিচু দেখাতে চায় না, কোম্পানির মালিক হিসেবে ও শুধু কোম্পানির প্রফিট এনশিওর করতে চায়।
পরের দিন অফিসে গিয়ে শুনলাম পরের সপ্তাহের সোমবার থেকে আমাদের সিলেক্টেড পোনেরো জনকে দিল্লিতে ইন্টারন্যাশেনাল সেলস ডেভলপমেন্টের ওপর একটা সেমিনার অ্যাটেন্ড করতে যেতে হবে। সেমিনার চলবে পাঁচ দিন, সেমিনার শেষের দিন আমাদের কে নিয়ে কোম্পানি একটা বিরাট পার্টি দেবে। এর জন্য আমাদের থাকার ব্যাবস্থা হয়েছে দিল্লির হলিডে ইন হোটেলে। আমরা নাকি সাথে আমাদের বউদের ও নিয়ে যেতে পারি।
রাতে বাড়ি ফিরে আবার পরিনিতাকে বললাম ব্যাপারটা। ও বললো আমার তো খুব যেতে খুব ইচ্ছে করছে কিন্তু যাব কি করে, কারণ নুপুরের নাকি মঙ্গলবার একটা ক্লাস টেস্ট আছে, তাছাড়া টুপুর কে একা রেখে যাওয়াও মুস্কিল আবার সঙ্গে নিয়ে যাওয়াও মুস্কিল।বউদি এসব শুনে আমাকে একটা বুদ্ধি দিলেন, বললেন পরিনিতা আলাদাভাবে পার্টির এক দুদিন আগে দিল্লিতে আমার সাথে যোগ দিতে পারে। এতে করে নুপুরের ক্লাস টেস্ট ও হয়ে যাবে আর নুপুরকে সঙ্গে নিয়েও যাওয়া যাবে। আর টুপুরের চিন্তা কোরনা, টুপুরকে আমি, তোমার দাদা আর তোমাদের কাজের আয়াটা, সবাই মিলে এক দুদিনের জন্য ঠিক সামলে নিতে পারবো। যাও পরিনিতা তুমি ঘুরে এস।
তোমাদের তো তেমন একটা বেরনো হয়না, এই সুযোগে তোমারো একটু ঘুরে আসা হবে। কাজের আয়াটাও বললো যান দিদিমনি আপনি নুপুর কে নিয়ে ঘুরে আসুন, টুপুরকে আমরা ঠিক সামলে নিতে পারবো। আর তাছাড়া ও দিনের বেশির ভাগ সময়ই তো দাদা বউদির কাছে থাকে, ওর কোন অসুবিধে হবে না।
শেষে ওটাই ফাইনাল হল আর আমি সোমবার দিল্লি উড়ে গেলাম। ওখানে পৌঁছে দেখলাম আমার কলিগেরা প্রায় সবাই বউ বাচ্চা নিয়ে গেছে শুধু আমি ছাড়া। যেহেতু আমি প্রথম দু দিন বউ ছাড়া থাকবো সেহেতু ম্যানেজমেন্ট থেকে আমাকে একটা সিঙ্গিল বেড অ্যাসাইন করলো। আমার কোন অসুবিধে অবশ্য হয়নি। আমরা বরেরা সারাদিন সেমিনারে কাটালাম আর বউরা সকলে মিলে মার্কেটিং আর ঘোরাঘুরি তে কাটালো। দেখতে দেখতে দু দিন হুস করে কেটে গেল। যে দিন সকালের ফ্লাইটে পরিনিতার আসার কথা সেদিন সকালে হঠাৎ বউদির ফোন পেলাম। বললেন নুপুরের একটু সর্দি জ্বর মতন হয়েছে আর ও যেতেও চাইছেনা, তাই পরিনিতা একাই শুধু আসবে। আমাকে কোন চিন্তা করতে না করলেন, আর বললেন নুপুর টুপুরকে আমরা ঠিক সামলে নেব, তোমরা ওখানে নিজের মত করে এনজয় কর, এরকম সুযোগতো আর বারবার আসেনা।
সকাল দশটা নাগাদ এয়ারপোর্টে পরিনিতাকে রিসিভ করতে গেলাম। ফ্লাইট ল্যান্ড করার কিছুক্ষণ পর দেখলাম পরিনিতা ফাইনাল এক্সিট গেট দিয়ে বেরচ্ছে। কিন্তু কার সঙ্গে যেন হাঁসাহাঁসি করতে করতে ও লাগেজ ঠেলে নিয়ে আসছে। কে ওটা?চেহারাটা স্পষ্ট হয়ে উঠতেই বুকটা ধক করে উঠলো আমার। ববি আসছে পরিনিতার সঙ্গে। কিন্তু কেন? কি ভাবে? ওরা দুজন এমন ভাবে গল্পে মত্ত যে প্রথমটায় আমাকে দেখতেই পায়নি।
অবশেষে ববিই প্রথম আমাকে দেখলো।
-“সঞ্জিব দেখ তোমার বউকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি। নাও তোমার বউ বুঝে নাও” বলে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিল। আমি ওর সাথে সেকহ্যান্ড তো করলাম কিন্তু আমার মুখের হাঁ যেন কিছুতেই আর বুঝছিলনা।ববি বোধ হয় বুঝতে পারলো আমার অপ্রস্তুত অবস্থা।বললো –“আসলে আমার আজ আর কাল একটা ফরেন পার্টির সাথে মিটিং আছে এখানে। ব্যাপারটা পজেটিভ হয়ে গেলে আর একটা বড় কনট্র্যাক্ট হবে ওটা। প্রোজেক্টটাতে আগে আমাদের ডাকা হয়নি। তাই এখানে আসার ব্যাপারটা আগে থেকে ঠিক ছিলনা, ক্লায়েন্ট পার্টি হঠাৎ কাল রাতে আমাকে কনফার্ম করলো।
আমাদের তো হলিডে ইনে গ্রুপ বুকিং করাই আছে তাই ভাবলাম মিটিংটা অ্যাটেন্ড করেইনি, যদি পজেটিভ কিছু হয়ে যায়। প্লেনে উঠে দেখি পরিনিতা বসে আছে আমার সিটের থেকে একটু দুরে। বুঝতেই পারলাম ও তোমার সাথে আগে যায়নি, কোন কারনে পরে যাচ্ছে। ওর পাশের একজনের সাথে সিটটা বদল করে নিলাম। ভালই হল দু ঘণ্টা ওর সাথে গল্প করতে করতে হুস করে চলে এলাম। আমি তো ভাবছিলাম ফোনে তোমাকে বারনই করে দেব এয়ারপোর্টে আসতে, কারন পরিনিতা তো আমার সাথেই চলে যেতে পারতো হোটেলে।
কিন্তু পরিনিতার তো অতক্ষণ তর সইলোনা তোমাকে না দেখে, তাই আমাকে বারন করলো তোমাকে বলতে। এই কথা বলে ববি পরিনিতার দিকে হাঁসি হাঁসি মুখে তাকালো।পরিনিতা একটু অপ্রস্তুত ভাব দেখালো ওর ইয়ার্কি শুনে। আমি বুঝতে পারলাম আসলে পরিনিতা আমাকে বারন করতে চায়নি কারন ও জানে আমি ববির ব্যাপারে কি ভীষণ রকমের টাচি।তবে পরিনিতার এরকম সোজাসুজি আচরণ আমার ভালই লাগলো। পরিনিতা তো আমাকে বলতেই পারতো যে ও একলাই হোটেলে পৌঁছে যাবে, তাহলে ও যে ববির সাথে একসঙ্গে এসেছে সেটা আমি জানতেও পারতামনা।
যাই হোক আমরা এক সঙ্গেই হোটেলে ঢুকলাম। পরিনিতা আমার ঘরে লাগেজ রেখে একটু বাথরুমে গেল ফ্রেশ হতে আর চেঞ্জ করতে। একটু পরেই পরিনিতা একটা নাইটি পরে বাথরুম থেকে বেরলো। আমি পরিনিতাকে জিগ্যেস করলাম যে ও নাইটি কেন পরলো কারন আমরা তো এক্ষুনি লাঞ্চে যাব। পরিনিতা ড্রেসিং টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে চুল মুচ্ছিল আর আমি দেখছিলাম ওকে। সত্যি ক্লান্ত অবস্থাতেও পরিনিতাকে কি ভীষণ সুন্দর দেখতে লাগে।
কে জানে কতক্ষণ বিভোর হয়ে দেখছিলাম ওকে। পরিনিতা জানে আমার স্বভাব,ওর দিকে আমার এই ভাবে এক দৃষ্টি তাকিয়ে থাকাতে এখন আর ওর কোন অস্বয়াস্তি হয় না । সেই ওর সাথে প্রেম করার সময় থেকেই হঠাৎ হঠাৎ ওর দিকে এমন ভাবে হাঁ করে তাকিয়ে থাকা আমার স্বভাব। প্রথম প্রথম ও একটু রেগে যেত, বলতো –“উফ এমন হাঁ করে আমাকে সব সময় গেল কেন বলতো তুমি? আমি তো তোমারই হয়ে গেছি, তবুও কি রকম হাদেক্লার মত করে দেখ তুমি আমাকে……আমার ভীষণ লজ্জ্যা লাগে”। বিয়ের পরও এসব নিয়ে ছদ্দ রাগ দেখাতো ও। কিন্তু ছদ্দ রাগ দেখালেও মনে মনে ব্যাপারটা যে ও বেশ পছন্দই করতো তা আমি বুঝতে পারতাম। আর এখনতো ওর অভ্যাসই হয়ে গেছে।
হঠাৎ সম্বিত ফিরলো আমার মোবাইল ফোনের রিংএ। ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে দেখি ববির নাম্বার। -“এ বোকাচোঁদাটা আবার আমাকে ফোন করছে কেন” মনে মনে ভাবলাম আমি। ফোন তুলতেই ববি বললো সঞ্জিব তোমাকে তো সিঙ্গিল বেড রুম দিয়েছে দেখছি। তা পরিনিতা তো এখন এসে গেছে তাই আমি তোমার রুমটা ডবল বেড করে দিলাম। শোন আমি থার্ড ফ্লোরে একটা ডিলাক্স রুম নিয়েছি, আমার ঠিক পাশের রুমটাই খালি আছে তাই ওটাই তোমাদের জন্য নিয়ে নিলাম। তাড়াতাড়ি চলে এস।
পরিনিতাকে বললাম ব্যাপারটা, পরিনিতা আমার দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হাঁসলো। ঠিক কেন হাসলো বুঝতে পারলামনা। ওকে জিগ্যেস করতে বললো ববির কাছ থেকে তোমার মুক্তি নেই মনে হচ্ছে। কেমন যেন মনে হল হাসির আসল কারণটা ও আমার কাছ থেকে লুকিয়ে গেল। যাই হোক আবার লাগেজ নিয়ে থার্ড ফ্লোরের ডিলাক্স রুমে শিফট করলাম। শিফট করার পর জিনিস পত্র ঠিক ঠাক করে একটু গুছিয়ে বসতে না বসতেই আবার ববির ফোন। -“হ্যালো সঞ্জিব রুম পছন্দ হয়েছে। পরিনিতাকে একবার লাইনটা দাও তো”।
কি আর করবো অনিচ্ছা সত্বেও পরিনিতাকে দিতে হল ফোনটা। পরিনিতা ফোন নিয়ে কি যেন একটা শুনলো তারপর বললো -“ও আপনি এই ঘরটা নিজে পছন্দ করেছেন, হ্যাঁ হ্যাঁ আমার ঘর পছন্দ হয়েছে। কি? আপনার ঘরের থেকে এই ঘরে আসার আলাদা আর একটা রাস্তা আছে………কোথা দিয়ে?……বাথরুমের পাশ দিয়ে? পরিনিতা ফোনে কথা বলতে বলতে বাথরুমের পাশের একটা পর্দা সরাতেই একটা দরজা দেখতে পেল। দরজাটা খুলতেই দেখি পাশের ঘরে যাবার একটা সরু গলি। গলির অন্যমুখে আবার একটা দরজা, বোধহয় ববির ঘরে ঢোকার।
পরিনিতা আবার আমাকে ফোন ট্র্যান্সফার করে দিল। ববি বললো ওর ঘরটা নাকি একটা প্রেসিডেন্সিয়াল সুইট। ওই ঘরের সাথে এই ঘরের আলাদা যোগাযোগ আছে কারন এই ঘরটা নাকি ব্যবহার করা হয় হাই সিকিউরিটি গেস্টের সেক্রেটারি বা বডিগার্ডদের জন্য। আমাদের ঘরটাও নাকি সুপার ডিলাক্স কোয়ালিটির, একচ্যুয়ালি এটা হল ওই প্রেসিডেন্সিয়াল সুইটেরই একটা এক্সটেনসান।আমি বোললাম –“ববি কি দরকার ছিল এত টাকা দিয়ে আমাদের জন্য এরকম একটা সুপার ডিলাক্স ঘর বুক করার। আমি যেরকম ডবল বেড রুম কোম্পানিতে আমার পজিশন অনুযায়ী নরম্যালি ডিজার্ভ করি সেরকম একটা রুম বুক করলেই তো হত। অন্য সব মার্কেটিং এক্সিকিউটিভরা কি মনে করবে বলতো”? ববি বললো, -“সঞ্জিব আসল ব্যাপারটা হল আমি যে কন্ট্র্যাক্টটার জন্য এখানে এসেছি, এইবার সেই ব্যাপারে হঠাৎ কোন হেল্প আমার দরকার হলেও হতে পারে ।
অনেক টাকার কন্ট্র্যাক্ট ওটা আর তড়িঘড়ি করে এসেছি বলে আমার প্রেজেন্টেসানটাও ভাল মত রেডি হয়নি। বুঝতেই পারছো কোলকাতার মত এখানে আমার কোন হেল্পিং হ্যান্ড ও নেই। তাই ভাবলাম তোমার মত একজন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ কে যখন এখানে পাচ্ছি তখন হাতের কাছে রেখেই দি, যদি হঠাৎ রাত বিরেতে কোন দরকার লাগে। যাই হোক পরিনিতাতো বোললো রুম ওর পছন্দ হয়েছে, আশা করি তোমারো হয়েছে। যাক আমি আর এখন কথা বাড়াবো না। তোমরা এখন লাঞ্ছ ফাঞ্ছ করে একটু নিজেদের মত করে রিলাক্স কর। আমি কোন আর্জেন্ট দরকার হলে তবেই আমি তোমাকে ডিসটার্ব করবো।
যাই হোক সেদিনটা তো হই হই করে আমাদের ভালোই কেটে গেল। রাতে আমরা একটু তাড়াতাড়ি ডিনার করে নিলাম। রাত নটা নাগাদ সবে ঘরে ঢুকেছি এমন সময় আবার ববির ফোন।
সঞ্জিব তোমরা কি রুমে ফিরেছো, আমি একটু তোমাদের রুমে আসবো, আমার ওই অ্যসাইনমেন্টটার ব্যাপারে তোমার একটা আর্জেন্ট হেল্প দরকার। মনে মনে ভাবলাম হারামজাদা দিল্লি এসেও আমাকে শান্তি দিচ্ছেনা। কি করবো… আমি এখন সিনিয়র এমপ্লয়ী হয়ে গেছি, আমাকে তো কোম্পানির ভাল দেখতেই হবে। তাই বললাম ঠিক আছে ববি আমি তোমার ঘরে আসছি। ববি বললো না তোমাকে আর আসতে হবে না, আমিই যাচ্ছি তোমার ঘরে, আমার পরিনিতার সাথেও একটু দরকার আছে। বলে কি লোকটা, পরিনিতার সাথে আবার ওর কি দরকার।
একটু পরেই দরজাতে নক করলো ববি।পরিনিতা দরজা খুলতেই ববি হাঁসি হাঁসি মুখে আমাদের ঘরে ঢুকে পরলো। আমার আর পরিনিতার সাথে দু একটা টুকরো টাকরা মামুলি কথার পর ববি আসল কথায় এল।ববি বললো-“সঞ্জিব আমি কাল যে জাপানী কোম্পানিটার সাথে প্রাইমারি মিটিংএ যাচ্ছি সেখানে আমার একটা লেডি অ্যাসিস্ট্যান্ট দরকার। আমি ঋতিকা কে আসতে বলেছিলাম কাল সকালে। কিন্তু ও আজ সকালে আমাকে ফোন করে জানালো যে ওর বাড়িতে আগের দিন রাতে একটা মিসহ্যাপ হয়ে গেছে, তাই ও কাল আসতে পারবেনা। এদিকে কাল রাতে আমার মিটিংটা না অ্যাটেন্ড করলেই নয়।
-“ঋতিকার কি হয়েছে ববি”?
-“ওর স্বামী নাকি বিষ খেয়েছে, ও তাই এখন হসপিটালে”।
-“সেকি বিষ খেয়েছে”?
-“হ্যাঁ, ঠিক বিষ নয়…… মানে… অনেক গুলো ঘুমের ওষুধ একসঙ্গে খেয়েছে”।
-“সেকি এখন কেমন আছে”?
-“ভাল আছে, ঠিক সময় ও বুঝে যাওয়াতে প্রানে বেঁচে গেছে লোকটা।ঋতিকা তো খুব ডিস্টার্বড হয়ে আছে। ভীষণ কান্নাকাটি করছিল। আমাকে ফোনে বললো চাকরি ছেড়ে দেবে। আমিও এখন আর কথা বাড়ালামনা, কারন ওর এখন মাথার ঠিক নেই। পরে কোলকাতায় গিয়ে দেখবো। এই মাত্র ওর অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা ট্র্যান্সফার করে দিলাম আর শেখর কে হসপিটালে যেতে বললাম, যদি ওর কোন দরকার লাগে।
আমি বুঝতে পারলাম কেন ঋতিকার স্বামী ঘুমের ওষুধ খেয়েছে। নিশ্চই ঋতিকার সাথে ববির সম্পর্কের ব্যাপারে কিছু একটা জানতে পেরেছে লোকটা। মনটা খারাপ হয়ে গেল আমার ঋতিকার স্বামিটার আর ওদের বাচ্চাটার কথা ভেবে। এই বানচোত ববিটাই এসব ঘটনার জন্য দায়ী। ঋতিকা আমাকে আগেই বলেছিল যে ওর স্বামী ভীষণ ইমোসোনাল টাইপের, কোনভাবে ওদের সম্পর্কের কথা জানতে পারলে ও সুইসাইড করে ফেলতে পারে।
ববির কথায় সম্বিৎ ফিরলো আমার।
-“সঞ্জিব, আমি ভাবছিলাম……মানে যদি তুমি পারমিশন দাও তবেই আর কি……কালকের পার্টি তে আমি কি পরিনিতাকে লেডি অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে সঙ্গে নিয়ে যেতে পারি? মানে ওই পার্টিতে সবাই একজন করে পার্টনার নিয়ে আসবে। আমি কি করবো ঠিক বুঝতে পারছিনা। বুঝতেই পারছো এতো অল্প সময়ের মধ্যে স্মার্ট অ্যান্ড গুডলুকিং কাউকে জোগাড় করাও মুস্কিল। তাই ভাবছিলাম পরিনিতা যদি যায়। ওই পার্টিতে পার্টনার নিয়ে না গেলে সবাই আমাকে দেখে হাঁসাহাঁসি করবে। অথচ ওখানে কাল না গেলেই নয়। ক্লায়েন্টের সাথে প্রথম ইন্ট্রডাকসান, বুঝতেই পারছো আমাকে একটা দারুন ইমপ্রেশান জমাতে হবে, তবেই কোন সুযোগ আসতে পারে।
পরিনিতা এবার আমাদের কথার মাঝে ইন্ট্যারভেন করলো।
-“পার্টনার না নিয়ে যাওয়া যাবেনা কেন? বিজনেস ডিলের সাথে পার্টনারের কি সম্পর্ক, এরকম তো কোনদিন শুনিনি”?
-“পরিনিতা…দেখ… আমার কালকের মিটিং কাম পার্টিটা একটা জাপানী কোম্পানির সাথে। কোম্পানিটার ওনার জাপানের একটা অত্যন্ত নামি বিজনেস ফ্যামিলি। কোম্পানির মালিকের দুই ছেলেই তাদের গার্ল ফ্রেন্ড নিয়ে পার্টিতে আসবে। ওরা আবার বিজনেস ফ্যামিলির মানে প্রাইভেট কোম্পানির সাথে কাজ করা অত্যন্ত পছন্দ করে।
আমি ড্যাড কে বলেছিলাম আসতে। কিন্তু ড্যাড এখন সিঙ্গাপুরে। একে তো ড্যাড যাচ্ছেননা, আমাকে সেই ব্যাপারটাও ম্যানেজ দিতে হবে, তার ওপরে যদি গার্ল ফ্রেন্ড বা ওয়ায়িফ না নিয়ে যাই তাহলে আমরা যে ওদের সাথে মিটিংটার ব্যাপারে সিরিয়াস সেটা ওদের বোঝানোই মুস্কিল হবে।
-“সঞ্জিব তোমার কোন গার্লফ্রেন্ড কে নিয়ে যেতে পারনা তুমি”? পরিনিতা ববির দিকে একটু মুচকি হেঁসে বোললো।
-“পরিনিতা আমার ঠিক এই মুহূর্তে সেরকম কোন স্টেডি গার্লফ্রেন্ড নেই। সেই জন্যই আমি ঋিতিকা কে আসতে বলেছিলাম। ও যদি আগেই না বলতো তাহলে নিশ্চই কিছু একটা অন্য ব্যাবস্থা করতাম বা অফিস থেকে কাউকে জোগাড় করতাম। এখন এই শেষ মুহূর্তে ও না আসায় তুমিই আমার একমাত্র ভরসা।
আমি ববির কথা শুনে মনে মনে প্রমাদ গুনলাম। কোম্পানি আমাকে বেস্ট মার্কেটিং একজিকিউটিভ অব দ্যা ইয়ার হিসেবে প্রাইজ দিচ্ছে আর আমি কোম্পানির এই জরুরী দরকারে মুখের ওপর না বলি কি করে? বিশেষ করে যে আমাকে রিকোয়েস্ট করছে সে তো আর যে সে লোক নয়। সে হল গিয়ে খোদ কোম্পানির মালিকের ছেলে।
এই সিচুয়েসনে আমার এখন ওকে কোনভাবেই না বলার উপায় নেই। একমাত্র আমাকে বাঁচাতে পারে খোদ পরিনিতাই। ও যদি যেতে না চায় তাহলে আমি বেঁচে যাই। ববি আমাকে জোর করতে পারে কিন্তু পরিনিতাকে নয়। আমি পরিনিতার দিকে অর্থপূর্ণ দৃষ্টি তে তাকালাম। ও তাই দেখে ববিকে বোললো
–“ববি দেখ…… আমি এধরনের মিটিং ফিটিং এ সেরকম অভ্যস্ত নই। ওইসব আমি পারবো বলে মনে হয়না”।
কিন্তু ববি পরিনিতাকে কথা শেষ করতে না দিয়েই বোললো –“পরিনিতা তুমি প্লিজ আর না কোরনা। দেখ মাত্র দু তিন ঘণ্টার ব্যাপার। তোমাকে বিশেষ কিছু করতেও হবে না শুধু আমার সাথে থাকলেই হবে। বাকি আমি সব সামলে নেব। পার্টি শেষ হলেই আমি তোমাকে হোটেলের ঘর পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে যাব”।
-“কিন্তু ববি আমি……কিভাবে এসব……”
-“পরিনিতা তোমাকে বোললাম না তোমাকে বিশেষ কিছু করতে বা বলতে হবে না। তুমি শুধু আমার সাথে যাবে, ডিনার করবে, আর চলে আসবে। তোমার মত স্টানিং বিউটি যদি আমার সাথে যায় তাহলে দেখবে ওরা কেমন আমার ওপর ঈর্ষা কাতর হয়ে পরে। ঋিতিকা বাঙালি হলেও ওর মুখের মধ্যে কেমন যেন একটা ইউরোপিয়ান লুক আছে, কিন্তু তোমার মধ্যে আছে সেই সনাতন ভারতীয় নারীর চিরন্তন স্নিগ্ধ রুপ। ওরা এরকম কোনদিন দেখেনি। দেখো তোমাকে দেখে ওরা কেমন অবাক হয়ে যায়”।
বুঝতেই পারছিলাম ববি পরিনিতাকে এই সুযোগে একটু অয়েলিং করে নিল।
-“ঠিক আছে ববি তুমি যখন এতো করে বোলছো তখন দেখি………আর তোমাকে না বলাও তো আমার পক্ষে মুস্কিল, কারন তুমি তো আর যে সে লোক নও, তুমি হলে গিয়ে আমার হাজব্যান্ডের বস”।
ববি পরিনিতার কথা শুনে একটু হাঁসলো কিন্তু আমার মনে হল ও হাঁসছে এই ভেবে যে পরিনিতাকে অয়েলিং করে ছোঁড়া ওর তীরটা একবারে নিখুঁত নিশানায় লেগেছে।
পরিনিতা রাজী হয়ে যেতে আমারও আর বিশেষ কিছু করার রইলোনা। কারন ববি এমন সুন্দর ভাবে সিচুয়েসনটা ওর মত করে পরিনিতাকে এক্সপ্লেন করে ওকে রাজী করিয়ে নিল যে আমার বসে বসে দেখা ছাড়া আর বিশেষ কিছু করার ছিলনা। আর বেস্ট মার্কেটিং একিজিকিউটিভ অফ দ্যা ইয়ার অ্যাওয়ার্ড পাওয়া আমি মালিকের ছেলের রিকোয়েস্টে না বোলবো এরকম হবার কোন সম্ভাবনাও ছিলনা। যাই হোক ববি পরিনিতাকে কাল রাতের পার্টি কাম মিটিঙের টাইম এবং কি ধরনের ড্রেস ওর পরা উচিত সেই সম্বন্ধে একটা পাঁচ সাত মিনিটের ক্লাস নিয়ে সেই রাতের মত বিদায় নিল। রাতে পরিনিতাকে করার সময় ওকে আশ্চর্য রকমের নির্লিপ্ত লাগলো অথচ ওর যোনিটা একবারে ভিজে একসা ছিল।
পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠতেই মনটা কেমন যেন খিঁচরে গেল। খালি মনে হতে লাগলো আজ কিছু একটা বিচ্ছিরি ঘটনা ঘটবে। অনেক চেষ্টা করেও মন থেকে ববি আর পরিনিতাকে নিয়ে দুঃশ্চিন্তা দূর করতে পারলাম না আমি। বার বার মনে হতে লাগলো নিয়তি যেন কোন একটা বিশেষ কিছু ঘটনা বা পরিনতির দিকে আমাদের তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমার পাশে শুয়ে থাকা অর্ধ উলঙ্গ পরিনিতার দিকে তাকালাম।
মনে পরলো প্রথম যেদিন এসি মার্কেটে ববির সাথে আমার আর পরিনিতার দেখা হয়েছিল সেই দিনটার কথা। কিভাবে পরিনিতা প্রথম দেখাতেই ববি কে আমাদের বাড়িতে ইনভাইট করতে চেয়েছিল। কি ভাবে এই ঘটনার পরই আমার অফিসের কাজে সমস্যা দেখা দিয়েছিল, যেটা মেটাতে গিয়ে আমাকে ববির সাথে আরো ঘনিস্ট হতে হয়েছিল। একের পর এক মনে পরতে লাগলো সেই সব ঘটনা। কি ভাবে পরিনিতা আমার এবিলিটি নিয়ে সন্দিহান হয়ে পরেছিল, কি ভাবে ও বার বার ববির ডিসিশনের ওপর ভরসা রাখছিল, ওকে অন্ধভাবে সাপোর্ট করছিল। কি ভাবে ও নিশার কাছে আমার অবর্তমানে স্বীকার করে ছিল যে ববিকে ওর ভীষণ স্মার্ট অ্যার সেক্সি লাগে।
এরপর ঘটলো শর্মা প্রোডাক্টের সেই এপিসোড। ববি আমার ক্লায়েন্ট মিস্টার শর্মার সাথে শর্মা প্রোডাক্টের ডিলটা আমার কোন সাহাজ্জ্য ছাড়াই আমার নাকের তলা দিয়ে ফাইনাল করে ফেললো। এই নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে শেখরের কাছ থেকে আমি জানতে পারলাম যে ববি মিসেস শর্মার সাথে শোয়। এও জানতে পারলাম যে ভারী চেহারার বিবাহিত মহিলাদের প্রতি ববির মারাত্মক দুর্বলতা আছে। একে একে প্রথমে মিসেস শর্মার সাথে তারপর ঋতিকার সাথে এবং পরে আমার ছোটবেলাকার বন্ধু কুশলের বউ সঞ্জনার সাথে ববির যৌন সম্পর্কের কথা জানতে পারলাম আমি।
মনে পরে গেল মিস্টার দেসাইের বাড়ির পার্টিতে পরিনিতা কি ভাবে কিছুক্ষণের জন্য নিখোঁজ হয়ে গেছিল। ওই ঘটনাটা মনে পরতেই গাটা একবার কাঁটা দিয়ে উঠলো আমার। সব মনে পরতে লাগলো এক এক করে। কি ভাবে শেষ কয়েক মাস আমি আর পরিনিতা ববিকে নিয়ে রোল প্লেইং এর সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসির খেলায় মেতে উঠেছিলাম। আর মাত্র গত সপ্তাহেই ববি কি ভাবে আমার কাছে স্বীকার করে ছিল যে পরিনিতা ওকে চুম্বকের মত আকর্ষণ করে।
অনেক চিন্তা ভাবনা করে একটা জিনিস বুঝলাম যে এই সমস্ত ঘটনা ঘটার নিশ্চই কোন না কোন কারন আছে। এগুলো কোন মতেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। হয়তো আজ রাতেই যে ঘটনা ঘটবে আমাদের জীবনে সেই ঘটনা ঘটার পটভূমি রচনার জন্যই এই সব ঘটনা আমার জীবনে ঘটে ছিল। এদিক ওদিক ভাবতে ভাবতে আরো একটা কথা মাথায় এল আমার, যেটা মাথায় আসতেই তড়াক করে বিছানায় উঠে বসলাম আমি। মনে পরে গেল আমাদের হোটেলটার নাম। হলিডে ইন। আসলে এই হলিডে ইন হোটেলটার সাথে আমাদের কোম্পানির বোধহয় একটা এগ্রিমেন্ট আছে। কোন কাজে কেউ দিল্লি এলে কোম্পানি এই হোটেলেই ঘর বুক করে দেয়। বোধহয় অনেক ডিস্কাউন্ট পায়।
কুশলের বউ সঞ্জনাকে এই হলিডে ইন হোটেলেরই একটা ঘরে চুঁদে চুঁদে খাল করে দিয়েছিল ববি। এটা মনে পরতেই ভীষণ আনইজি ফিল করতে লাগলাম আমি। একটা ব্যাপার জলের মত পরিস্কার হয়ে গেল আমার, সেটা হল ববি আজ রাতে যে ভাবেই হোক পরিনিতাকে পটিয়ে ওকে চোঁদার চেষ্টা চালাবে।
পরিনিতাকে চোঁদার জন্য ও একবারে পাগোল হয়ে রয়েছে। কি অদ্ভুত ভাবে কাল ও আমাদের রাজী করিয়ে নিল পরিনিতাকে ওর সাথে পার্টিতে নিয়ে যাবার ব্যাপারে। এখন বুঝতে পারছি পরিনিতাকে সঙ্গে নিয়ে যাবার জন্যই ও এই সব গালগল্প ফেঁদেছিল কাল। কিন্তু সব বুঝতে পারলেও এখন আর আমার কিছু করার নেই। ঘটনার রাশ আমার হাত থেকে বেরিয়ে গেছে।
এখন আমাকে শুধু বসে বসে দেখতে হবে আর আশা করতে হবে যে পরিনিতা যেন ববির ডাকে সাড়া না দেয়।
ওই দিন সারা সকাল আর দুপুর আমি অসম্ভব অন্যমনস্ক এবং বিচলিত রইলাম। সারাক্ষন আমার থেকে থেকে মনে পরতে লাগলো আজ রাতে ববি আর পরিনিতার সেই বহু প্রতিক্ষিত যৌনমিলনের সম্ভাবনার কথা।
অসম্ভব এক্সাইটেড লাগছিল ভেতর ভেতর। পরিনিতা বার বার জিগ্যেস করছিল আমার শরীর ঠিক আছে কিনা? আমার মুখ দেখে নিশ্চই কিছু একটা আঁচ করতে পেরেছে ও। এতো বছর ধরে আমার সাথে একসঙ্গে ঘর করেছে তো ও, তাই ও আমাকে হাড়ে হাড়ে চেনে। একবার ভাবলাম ওকে বলেই দি যে “আমার শরীর ঠিক আছে পরিনিতা, কিন্তু আমার মন একদম ভাল নেই। কারন আজ রাতেই ববি তোমাকে চুঁদবে। আমি যে তোমাদের বাঁধা দেব আজ আমার সে ক্ষমতাও নেই। আমাকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে হবে সব কিছু”।
পরিনিতার সাথে আমার এতো বছরের বিবাহিত জীবনে প্রথম থেকেই ওকে প্রান দিয়ে ভালবেসেছি আমি। আমার সীমিত ক্ষমতার মধ্যে ওকে সব সময় খুশি করতে চেয়েছি, খুশি দেখতে চেয়েছি। পরিনিতার সাথে কথা কাটাকাটি তো আমার প্রায়ই হয়, কিন্তু সেরকম উল্লেখ করার মত কোন বড় ঝগড়াঝাঁটির ঘটনা আজ পর্যন্ত কোন দিন ঘটেনি আমাদের জীবনে। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনের মিল বলতে যা বোঝায় তার কোন অভাব কোনদিন আমাদের মধ্যে ছিলনা, অন্তত আমি সেরকমটাই বিশ্বাস করি।
আজ যেন আমাদের এই সবেরই পরীক্ষা। পরীক্ষা আমাদের বিবাহিত জীবনের, আমাদের ভালবাসার, একে অপরের প্রতি বিশ্বাসের, পরস্পরের প্রতি নির্ভরতা আর টানের। পারবে কি পরিনিতা আমার ভালবাসার মুখ রাখতে? পারবে কি ববির মত একটা আলফা মেলের মুখের ওপর না বলতে, ওর মুখ একবারে চুন করে দিতে।
আমি ববির সমন্ধ্যে যেটুকু জানি তাতে আজ পর্যন্ত কোন দিন এসব ব্যাপারে হারেনি ববি। সত্যিই যদি হেরে যাই ওর কাছে তাহলে কি হবে? কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে আমাদের সম্পর্ক। আমাদের বাচ্চাগুলোর ভবিষ্যতই বা কি হবে। এসব ভাবতে ভাবতে নিজেকে কিরকম যেন পাগল পাগল মনে হতে লাগলো আমার।
সন্ধে নাগাদ ববির ফোন এল। ও আর এক ঘণ্টার মধেই বেরতে চায়। ফোনটা আসার পর থেকেই থেকে থেকে কাঁপুনি আসতে শুরু করলো শরীরে, যেন ধুম জ্বর আসছে আমার। পরিনিতা ওর সাজগোজ শুরু করে দিল। আর আমি বিছানায় বসে বসে দেখতে লাগলাম আমার বউটাকে। কে জানে আজ রাতের পর মানসিক ভাবে ও আমার বউ থাকবে কিনা?
পরিনিতা একটা কাল শাড়ি পরলো সেদিন।
আমরা হিন্দুরা অনেকেই কাল শাড়ি পছন্দ করিনা, বিশেষত কোন বিয়ে, পোইতে বা অন্নপ্রাসনের মত কোন মঙ্গলানুস্ঠানে যাবার সময়। আজকাল অবশ্য এই সব ভাবধারনার অনেক পরিবর্তন হচ্ছে। সত্যি কি অসাধারন লাগছিল ওকে শাড়িটা পরে। শাড়ির সাথে অনেকটা পিঠ খোলা একটা ম্যাচিং কাল ব্লাউজ আর গলায় শুধু একটা মুক্তোর মালা পরা পরিনিতাকে দেখে যেন মনে হচ্ছিল স্বর্গের কোন এক সুন্দরী অপ্সরা। আচ্ছা হিন্দু পুরানের সেই উর্বশী,মেনকা বা রম্ভা রা দেবতাদের সাথে গোপন অভিসারে যাবার আগে কি এরকম ভাবেই সাজতো? এক হাতে শাঁখা পলা আর অন্য হাতে শুধু একটা সোনার রিস্টলেট, হায় ভগবান, এতো সুন্দরী আমার বউ।
পরিনিতা যে অসম্ভব সুন্দরী তা তো আমি খুব ভাল করেই জানি, কিন্তু আজ ওর রুপের ছটায় যেন চোখ ধাঁদিয়ে যাচ্ছিল আমার। আমি জানি কেন আজ ওকে এতো গর্জাস লাগছে। আজকের রাত যে ববির সাথে ওর “পিয়া মিলন কি রাত”। চুম্বকের দুই মেরু একে অপরকে আকর্ষণ করতে শুরু করছে। আজ ওদেরকে রোখে কার সাধ্য? নদী মিলবে আজ সাগরের সাথে। মনে মনে একটু হাঁসলাম, যুদ্ধ শুরুর আগেই যে দেখছি গোহারান হেরে বসে আছি আমি ।
টিং টং। আমাদের ঘরের কলিং বেলেটা বেজে উঠলো। দরজা খুলতেই দেখি ববি দাঁড়িয়ে আছে। –“হ্যালো সঞ্জিব। পরিনিতা রেডি তো?” একটা জিও-জি-আরমানির নীল স্যুটে কি অসাধারন লাগছে আজ ওকে। ক্লিনস সেভড, জেল লাগানো চুলে, ড্যাম স্মার্ট লাগছে আজ ববিকে। নাম জিগ্যেস করলেই যেন বলবে…বন্ড……জেমস বন্ড। ববি কিন্তু ঘরের ভেতর ঢুকে পরিনিতাকে দেখে চমকে উঠলো। –“ওহ গড কি লাগছে তোমাকে আজ পরিনিতা? জাস্ট অসাম। আমাদের হবু ক্লায়েন্টরা তো তোমাকে দেখে পাজল্ড হয়েই দিয়ে দেবে আমাকে কন্ট্রাক্টটা। ভাগ্যিস আজ ঋতিকা আসেনি। কোথায় ও আর কোথায় তুমি। সঞ্জিব দেখো আজ আমি কনট্র্যাক্টটা যে ভাবেই হোক নিয়ে আসবো। আমার পাশে যে আজ পরিনিতার মত সুন্দরী থাকবে, আমি আজ যা ছোঁব তাই সোনা হবে”।
আমি একটু বোকার মত হাঁসলাম। পরিনিতা আদুরে গলায় বলে উঠলো –“নিন মশাই চলুন, আমি রেডি, আমাকে অত তেল না দিলেও চলবে”। এমন ভাবে বললো যেন ববি ওর কত দিনের চেনা। হাঁসি মুখে ওদের বিদায় দিলাম আমি। আমার ঘর থেকে বেরিয়ে পাশাপাশি হেঁটে লিফটের দিকে এগোলো ওরা। বেশ লাগছিল ওদের দুটিকে পাশাপাশি দেখতে।
বেশ মানিয়েছে ওদের, মনে মনে ভাবলাম আমি। লিফট আসার পর দরজা খুলতেই, ববি পরিনিতার কুনুইের কাছটা আলতো করে ধরে যখন ওকে টেনে লিফটে তুললো তখনই মনে মনে একটা জিনিস ঠিক করে ফেললাম আমি। ঠিক করলাম যে আজ যদি পরিনিতা ববির ডাকে সাড়া দেয় তাহলে আমি ওদের মাঝ থেকে স্বেচ্ছায় চিরকালের জন্য সরে দাঁড়াব ।
বাবার কথা মনে পরলো আমার। ছোট বেলায় একটা কথা বাবা সবসময় বলতেন আমাকে, সঞ্জিব জীবনে হার জিত দুইই আছে, তাই কখনো জিতবি কখনো হাববি। কিন্তু কোন দিনো যেন হারের সামনা করতে ডরাস না। জীবনে হার এলে সবসময় হাঁসি মুখে মেনে নিবি সেটা। জীবনে কখনো হার থেকে পালিয়ে যাসনা বা গায়ের জোরে জেতার চেষ্টা করিসনা। একটা কথা মনে রাখবি, যে মানুষ নিজের হার হাঁসি মুখে মেনে নেয় সেই মানুষ জীবনে কখনো হেরো হয়না। জীবনে কোন দিন হেরো হোসনা সঞ্জিব। একমাত্র ভগবানই যেন পারেন তোকে হেরো বানাতে। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর যদি মনে করেন, একমাত্র তাহলেই সেই রায় মাথায় পেতে নিয়ে হেরো বনবি তুই, নিজে থেকে কখনো বনবিনা।
নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে বিছানাতে এসে বসলাম আমি। আবল তাবোল চিন্তারা ভিড় করে আসতে লাগলো আমার মনে। আচ্ছা আজ যদি আমি ববির কাছে হেরে যাই তাহলে জিতে ছিলাম কবে? বোধ হয় যে দিন পরিনিতার মত অসাধারন সুন্দরী একটা মেয়ে, সবাই কে অবাক করে, আমার মত একটা মা হারা সাধারন ঘরের ছেলের প্রেমের ডাকে সাড়া দিয়ে হ্যাঁ বলে ছিল সেই দিন। অনেক দিন পর মনে পরে গেল সে দিনের কথাটা।
সত্যি সেদিন কি অসম্ভব আনন্দ হয়ে ছিল আমার।মনে হচ্ছিল যেন গোটা দুনিয়া জিতে নিয়েছি আমি। কলেজ থেকে ফিরে কাউকে কিছু না বলে লাইট ফাইট নিবিয়ে চুপচাপ বিছানায় শুয়ে ছিলাম। বুকটা ধক ধক ধক ধক করছিল, যেন আনন্দে ফেটে যাবে মনে হচ্ছিল। আজ ও সেই একই রকম লাইট নিবিয়ে বিছানায় শুয়ে আছি আমি, বুকটা আজো ধক ধক করছে উত্তেজনায়। কিন্তু আজ বুকে যেন বড় ব্যাথা। উফ কি যে কষ্ট হচ্ছে আজ বুকে, কি বলবো?
মনে পরলো পরিনিতার বন্ধুরা খুব অবাক হয়ে গিয়ে ছিল পরিনিতার হ্যাঁ বলা দেখে। ওরা ভেবেছিল অন্য সকলের মত পরিনিতা আমার মুখের ওপর না ই বলে দেবে।আমার মত সাধারন ছেলে কে পরিনিতা কি ভাবে যে হ্যাঁ বলে দিল সেটা পরিনিতার বন্ধুরা অনেক ভেবেও বুঝে পায়নি।
আমার এক ঘনিস্ট বন্ধু প্রতিমদা একবার আমাকে বলে ছিল “সঞ্জিব পরিনিতার মত অসাধারন সুন্দরী মেয়েকে সারা জীবনের জন্য বেঁধে রাখা কিন্তু খুব মুস্কিলের ব্যাপার হবে। জীবন অনেক বড়। বিশেষ করে বিয়ের প্রথম কয়েকটা বছর পর যখন পরস্পরের প্রতি প্রাথমিক আকর্ষণটা অনেক কমে যায় তখন কিন্তু তোকে খুব সাবধানে থাকতে হবে। ওর মত অসাধারন সুন্দরী মেয়ের ওপর অনেকেরই নজর পরবে। বিশেষ করে ওর যোগ্য সমর্থ পুরুষেরা কিন্তু যেন তেন প্রকারেন ওর কাছে এসে ওর দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করবে।
আর এরকম চোরা অফার এলে পরিনিতা কিন্তু প্রতি মুহুর্তেই তাদের সাথে তোকে কমপেয়ার করতে থাকবে। এর থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হল ওকে আসটে পৃস্টে ভালবাসার বাঁধনে বেঁধে ফেলা। বিয়ের দু তিন বছরের মধ্যেই ওর সাথে ব্রিড করিয়ে নিবি। প্রথম বার ওকে প্রেগন্যান্ট করার পর বছর চারেকের মধ্যেই ওকে দিয়ে আবার বাচ্ছা করাবি। অন্তত দুটো বাচ্চা দিয়ে ওকে মায়ার বাঁধনে না বাধলেই নয়। যতটা সম্ভব পাববি ওকে সংসারের মধ্যে জরিয়ে দিবি। সব সময় ওকে বোঝাবি তোর কাছে সংসারটাই সব।
সংসারের জন্য তুই যে কোন ধরনের স্যাক্রিফাইস করতে রাজী। এতে করে ওর জীবনে কখনো অন্য পুরুষ চলে এলেও শেষ পর্যন্ত ও তোর কাছেই ফিরে আসবে। অন্য কেউ এসব বললে আমি ভাবতাম আমাকে ঈর্ষা করে ভয় পাওয়ানোর জন্য এসব বলেছে সে। কিন্তু প্রতিমদা আমার ছেলে বেলাকার বন্ধু এবং একজন পাশ করা মনোবিদ। পরিনিতাকে রাজী করানোর ব্যাপারে প্রতি মুহুর্তে ওর কাছে টিপস নিয়েছিলাম আমি। প্রতিমদার প্রতিটি কথা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেছি আমি, আসটে পৃস্টে ভালবাসার বাঁধনে বেঁধেছি পরিনিতাকে।
প্রতিমদার কথা মতন এক বারে বছর বেঁধে বেঁধে ব্রিড করিয়েছি আমি পরিনিতাকে দিয়ে। ভাবছেন এ কিরকম লোক রে বাবা। বিয়ের আগেই এসব কথা ভাবে যে পুরুষ সে নিশ্চই মানসিক ভাবে অসুস্থ। আসলে বিয়ের আগেই সম্পর্কের টানাপোড়নের কথা এইভাবে চিন্তা করার একটা বড় ভুমিকা তো আমার জীবনে ছিলই। আপনাদের বলা হয়নি ব্যাপারটা। একটা ঘটনা ঘটে ছিল আমার জীবনে যে কারনে প্রতি মুহুর্তেই পরিনিতা কে নিয়ে ইনসিকিওর ফিল করতাম আমি।
যখন আমার এক বছর আর দাদার মাত্র বার বছর বয়েস তখন একদিন হঠাৎ আমার বাবার এক বন্ধুর হাত ধরে আমাদের মা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। পরে তিনি আর কোনদিন আমাদের কোন খবর নেননি। বাবার সেই বন্ধুর সাথে মা এর নতুন পাতা সংসার যে শেষ পর্যন্ত সুখেরই হয়েছিল সেই ঘটনা আমি পরে লোকমুখে জেনেছিলাম।
একটু বড় হবার পর যখন সব বুঝতে শিখলাম তখন থেকেই নিজের ঘনিস্টদের হঠাৎ করে হারানোর ভয় সবসময় আমাকে তাড়া করে বেরাতো। বেশ বুঝতে পারতাম আমি কোনমতেই সর্ব শক্তিমান উপরঅলার পছন্দের পাত্র নই। আমি তাঁর পছন্দের পাত্র হলে শেষ জীবনে মা আমার ওপর করা তাঁর অবিচারের শাস্তি নিশ্চই পেতেন।
এছাড়াও ছোটবেলায় মনে আসতো নানা অদ্ভুত সব চিন্তা।
কখনো ভাবতাম কত বড় দুর্ভাগা আমি যে নিজের মায়ের বুকের দুধটাও ঠিকমত খেতে পেলামনা। কখনো ভাবতাম এই প্রেম এবং কাম সত্যিই কি আশ্চর্য দুই বস্তু যার জেরে এক মা তাঁর দুধের বাচ্ছাকেও ছেড়ে চলে যেতে পারেন অন্য এক পুরুষের আলিঙ্গনে। মাঝে মাঝেই এমন নানা রকম নোংরা নোংরা কথা মনে আসতো আমার যা আমার মনে ছোট থেকেই মারাত্মক প্রভাব বিস্তার করেছিল।
যেমন প্রায়ই ভাবতাম যে দিন মা আমাদের ছেড়ে তাঁর প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে উঠলেন সেদিন কার কথা। সেদিন রাতে মা নিশ্চই প্রকৃতির ডাকে সাড়া না দিয়ে পারেননি মানে সেদিন রাতে নিশ্চই বন্ধন মুক্তির আনন্দে পাগলের মত মৈথুন করেছিলেন তাঁর প্রেমিকের সাথে। মৈথুনের সময় বাবার বন্ধু মার সেই প্রেমিক নিশ্চই মার স্তন বৃন্তে মুখ দিয়েছিলেন। পান করেছিলেন নিজের প্রেমিকার স্তনের সেই পরম উপাদেয় স্তনদুগ্ধ। আমার খুব জানতে ইচ্ছে করতো সেই রাতে মা তাঁর প্রেমিককে স্তনদানের সময় কি ভেবেছিলেন আমার কথা? তাঁর কি মনে পরেছিল যে আজ সকালেও তিনি যাকে বুকের দুধ খাইয়ে এসেছিলেন সে এখন কেমন আছে, কি খেয়ে আছে?
আমার বাবা এই ঘটনায় ভেতরে ভেতরে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেলেও আমাদের কথা ভেবে নিজেকে প্রচণ্ড শক্ত রেখে ছিলেন, দুনিয়ার সাথে লড়ে মানুষের মত মানুষ করে তুলে ছিলেন আমাদের। আমাদের পাড়ার ছেলে হওয়ার সুবাদে প্রতিমদা জানতো ব্যাপারটা। ও বুঝতে পেরেছিল ছোটোবেলা থেকে মা হারা আমি বিবাহিত জীবনেও নিজের ভালবাসার মানুষের কাছে প্রতারিত হলে নিজেকে আর সামলাতে পারবোনা। এছাড়া আরো আছে। প্রতিমদার এক জ্যাঠা যিনি কিনা একজন নাম করা জ্যোতিষী ছিলেন, তিনি একদিন প্রতিমদার অনুরোধে ওর সামনেই আমার হাত দেখে বলেছিলেন আমাকে বিয়ে না করতে। বিয়ে করলে নাকি আমার জীবনে অনেক কষ্ট আছে।
আমি এতদিন ভাবতাম পরিনিতাকে আমি ভালবাসার যে বাঁধনে বেঁধেছি তাতে করে আর ওর এ জীবনে আমার থেকে দুরে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। কিন্তু সেদিন এসি মার্কেটে ববির সাথে দেখা হওয়ার পর থেকে আমি বুঝে ছিলাম সেই সম্ভাবনা এখনো আছে। আর আজ মনে হচ্ছে নিয়তির কাছে সব বাঁধন তুচ্ছ, ভালবাসা তো কোন ছাড়।
প্রায় তিন ঘণ্টা পর আমার মোবাইলে ববির ফোন পেলাম। -“সঞ্জিব আমরা এখুনি বেরচ্ছি পার্টি থেকে। মিটিং অ্যান্ড পার্টি ইজ ওভার। মনে হচ্ছে কনট্র্যাক্টটা আমরা পেয়েই যাব। সত্যি পরিনিতা কি স্মার্টলি অ্যাসিস্ট করলো আমাকে। তোমরা আজ যে ভাবে আমাকে হেল্প করলে তাতে আমি খুব খুশি। শোন আমি ঠিক করেছি পরিনিতা কে নিয়ে হোটেলে পৌঁছে আমরা একসঙ্গে ডিনার করবো।
পার্টিতে ঠিক মত ডিনার হয়নি আমাদের। আর ডিনারের সব খরচা আমার। আমরা হোটেলের অ্যাটাচ্ড রেস্টুরেন্টে পৌঁছলেই পরিনিতা তোমাকে মোবাইলে কল করবে। তুমি রেডি হয়ে থেক পরিনিতা কল করলেই নিচে নেবে আসবে। ববি ফোন কাটার ঠিক আগের মুহূর্তে হঠাৎ একটা মেয়েলি গলায় কে যেন ববির পাশ থেকে বলে উঠলো “আঃ আস্তে, আমার লাগছে”। আমার কেমন যেন মনে হল গলাটা অনেকটা পরিনিতার মত।
ঠিক আধ ঘণ্টা পর আমার মোবাইলে পরিনিতার কল পেলাম। সঞ্জিব আমরা এসে গেছি, তুমি তাড়াতাড়ি নিচে নেবে এস। আমরা রেস্তুরেন্টের একবারে ভেতর দিকের কোনাটায় একটা টেবিলে বসে আছি। ওর গলাটা যেন কিরকম একটু টেন্সড শোনাল ফোনে। আমি দরজা লক কর ধীর পায়ে নিচে নেবে এলাম।
পরিনিতার কথা মত রেস্তুরেন্টে ঢুকে একবারে ভেতর দিকটায় চলে এলাম। এতো বিশাল রেস্তুরেন্ট যে ও বলে না দিলে ওদেরকে খুঁজে পাওয়া মুস্কিল ছিল। পরিনিতা আমাকে দেখতে পেয়েই হাত নেড়ে আমায় ডাকলো। আমি ওর টেবিলের সামনে গিয়ে ওর সামনের একটা চেয়ার টেনে নিয়ে বসলাম।
-“কি গো মিটলো তোমাদের মিটিং”।
-“হ্যাঁ”
-“কেমন লাগলো”?
-“ববি ছিল তো, কোন অসুবিধে হয়নি”।
ওকে একটু অন্যম্নসস্ক দেখে ওকে জিগ্যেস করলাম -“কি গো তোমার মুখটা এতো শুকনো শুকনো লাগছে কেন”?
-“আসলে অনেক দিন পর আজ দু পেগ ড্রিংক নিয়ে ফেলতে হল। পার্টি তে সবাই নিচ্ছিল, ববি বললো না নিলে খারাপ দেখাবে, তাই নিতে হল। অনেক দিন পর এক সাথে দু পেগ নিলাম তো, তাই একটু টিপসি টিপসি লাগছে। তবে মনে হয় এখুনি ঠিক হয়ে যাবে, ড্রিঙ্ক নিয়েছি অনেকক্ষণ হয়ে গেছে”।
পরিনিতার কথা শুনে আমার কিন্তু মনে হল পরিনিতা কি যেন একটা চেপে যাচ্ছে আমার কাছ থেকে। কোন একটা বিষয় আজ গভীর ভাবে নাড়া দিয়েছে ওকে। মনে হল ও মনে মনে বিষয়টা নিয়ে অনেক্ষন থেকেই গভীর ভাবে ভাবছে । স্পষ্টতোই কিছু একটা হয়েছে ওদের মধ্যে। শুধু অন্যমনোস্কই নয় ভালভাবে লক্ষ করলে বোঝা যাবে পরিনিতা একটু টেন্সড ও। সত্যি কি কিছু হয়ে গেছে ওদের মধ্যে? ওরা কি এর মধ্যে সেক্স করে ফেলেছে কোন ভাবে? কে জানে?
-“ববি কোথায় পরিনিতা”?
-“ও একটু ওপরে গেল ফ্রেশ হতে। এখুনি চলে আসবে। আরে ওই তো ও এসে গেছে”।
ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলাম ববি আমাদের টেবিলের দিকে হেঁটে আসছে। ববি আমাদের টেবিলে জয়েন করার পর আমরা কিছুক্ষণ টুকরো টাকরা নানা বিষয় নিয়ে গল্প করলাম। আমি খাবার অর্ডার দিতে যাব এমন সময় রেস্তুরেন্টের সঙ্গেই অ্যাটাচ্ড একটা ছোট ডিস্কোতে শুরু হল ড্যান্স সং। আস পাশ থেকে অনেকেই উঠে গেল নাচতে। ববি পরিনিতার দিকে একবার তাকিয়ে নিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলো -“মে আই ড্যান্স উইথ ইয়োর লাভলি ওয়ায়িফ ফর ফিউ মোমেন্ট।”
আমাকে বলতেই হল “সিওর, হোয়াই নট”? পরিনিতা বেশ ভাল নাচতে পারে। তবে বাচ্ছা টাচ্ছা হয়ে যাবার পর অনেক দিন ওকে পার্টিতে নাচতে দেখিনি। পরিনিতা একটু লজ্জ্যা লজ্জা মুখ করে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। ববি ওর দিকে নিজের হাত বাড়িয়ে দিল।
পরিনিতা ওর চোখের দিকে তাকিয়ে অল্প একটু হেঁসে ওর হাত ধরে ড্যান্স ফ্লোরের দিকে এগিয়ে গেল। ওরা ড্যান্স ফ্লোরে পৌছতেই একটা ফাস্ট সং চালু হল। প্রথমে কয়েক সেকেন্ড পরিনিতা আর ববি পরস্পরের দিকে একটু হাসি হাঁসি মুখে তাকিয়ে রইলো। তারপর চার পাশের সকলেই নাচ শুরু করেছে দেখে ববি পরিনিতার হাত ধরে ওকে নিজের কাছে টেনে নিল।
নাচ শুরু করলো ওরা। সেরকম কিছু বিশেষ নাচ নয় শুধু গানের তালে তালে শরীর দোলানো আর কি।
-“আরে রাজিব একা বসে বসে কি করছো”? এত উদ্গ্রিব হয়ে ওদের নাচ দেখতে ব্যাস্ত ছিলাম যে আমার সামনে কেউ একজন এসে দাঁড়িয়েছে সেটা খেয়ালই করিনি। দিলিপ শর্মা আমাদের মুম্বাই ব্রাঞ্চ থেকে এবারে বেস্ট পারফর্মার হয়েছে। ও দুদিন পরে আমাদের সাথে হোটেলে জয়েন করেছিল। ওর বউ রাধাকেও ও সঙ্গে নিয়ে এসেছে।
-“সঞ্জিব তোমার বউ কোথায়? তুমি একলা বসে আছ কেন? চল আমার টেবিলে চল। আমার বউ রাধা আর আমি বসে বসে বোর হচ্ছি। তোমার সাথে একটু গল্প করা যাবে। আমি দিলিপ কে বলতে চাইলাম না যে আমার বউ ববির সাথে ড্যান্স ফ্লোরে নাচছে। মুখে এমন একটা ভাব করলাম যেন পরিনিতা কোথাও গেছে, এখুনি টেবিলে চলে আসবে। বললাম –“দিলিপ তুমি তোমার টেবিলে যাও, আমার বউ এখুনি চলে আসবে, ওর জন্য কিছু খাবার অর্ডার দিয়ে রাখছি, ও এলেই আমি তোমাদের টেবিলে যাচ্ছি। দিলিপ বললো -“আরে ওকে একা বসিয়ে রাখবে কেন? আমাদের সাথে এক টেবিলে ডিনার করতে তোমাদের অসুবিধা কোথায়”? আমি বললাম -“ না তেমন কোন অসুবিধে নেই, আসলে আমার বউের সাথে আমার আরো একজন বন্ধুও জয়েন করবে তাই। তুমি চল ওরা আসার আগেই আমি তোমার টেবিলে ঘুরে আসছি”।
দিলিপ চলে যাবার পর ড্যান্স ফ্লোরের দিকে তাকালাম। পরিনিতা আর ববি বেশ ঘনিস্ট ভাবে নাচছে এখন। পরিনিতার দিকে একদিৃষ্টে তাকিয়ে রইলাম আমি। পরিনিতার সাথে আমার একবার চোখাচুখি হতেই ওর দিকে ঈশারা করলাম। ঈশারায় ওকে বলার চেষ্টা করলাম তোমরা নাচো, আমি একটু ঘুরে আসছি। পরিনিতা বোধহয় আমার ইশারার মানে পুরোটা বুঝতে পারলোনা শুধু এটুকু বুঝলো যে আমি কিছুক্ষণের জন্য কোথাও যাচ্ছি, এখুনি চলে আসবো।
কোথায় যে যাচ্ছি সেটা বুঝতে পারার কথাও নয় কারন ও দিলিপ কে চেনেও না বা ওকে আমার টেবিলে আসতেও দেখেনি। আর ইউরিনারে গেলে নিশ্চই ওকে এইভাবে ইশারা করে বলে যাবনা। পরিনিতা মনে হয় ভেবে নিল আমি কোন কারনে কিছুক্ষণের জন্য হোটেলের রুম থেকে ঘুরে আসছি। কারন ও একটু অবাক হওয়ার ভঙ্গিতে আমাকে ইশারা করে জিজ্ঞেস করলো কেন? তারপর উত্তরের অপেক্ষা না করে আমাকে ইশারায় জানালো ঠিক আছে।
তারপর ওরা আবার নিজেদের মধ্যে মসগুল হয়ে পরলো। আমি আমার টেবিলটা ছেড়ে দিলিপদের টেবিলের দিকে এগোলাম। ওদের টেবিলটা রেস্টুরেন্টের একবারে গেটের দিকে, ওখান থেকে ড্যান্স ফ্লোরটা ভালভাবে দেখা যাচ্ছিলনা। ওদের টেবিলে পৌঁছোবার আগেই হঠাৎ মনে পরে গেল আমি আমার মোবাইলটা আমাদের টেবিলেই ফেলে এসেছি। আবার তাড়াতাড়ি ফিরে গেলাম নিজের টেবিলে, ওটা নিতে। মোবাইলটা টেবিল থেকে নিয়ে আবার দিলিপদের টেবিলের দিকে যাব এমন সময় হঠাৎ নজর গেল ড্যান্স ফ্লোরের দিকে। বাবা…… পরিনিতা আর ববি এখন আরো ঘনিস্ট ভাবে নাচছে। গানের তালে তালে কোমর দোলাতে গিয়ে প্রায়ই ববির কোমরের তলাটা পরিনিতার কোমরের তলাটাতে ঘষা খাচ্ছে। অবশ্য ওদের খুব একটা দোষও নেই।
আজ ড্যান্স ফ্লোরে অসম্ভব ভিড় রয়েছে, একটু যায়গা নিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে নাচা যাচ্ছেনা। এই অবস্থায় একটু ঘনিস্ট ভাবে না নাচলে পাশের কাপলদের গায়ে গা লেগে যাবার সম্ভাবনা। দেখতে দেখতে একদুবার পরিনিতার সাথে ওর পাশে নাচা দু একজনের গায়ে গায়ে ঘষা লেগে গেল। ববি এবার পরিনিতার কোমর দুই হাত দিয়ে জরিয়ে ধরে ওকে আরো একটু কাছে টেনে নিল, ভাবখানা এমন যেন ওকে আরো একটু কাছে না টানলে আবার পাশের লোকজনের সাথে ওর গা ঘসে যাবার সম্ভাবনা। পরিনিতা ববির দিকে তাকিয়ে অল্প একটু হেঁসে নিজের হাত দিয়ে ববির গলাটা জরিয়ে ধরে নিজেদের শরীর কে লক করে নিল।
এবার ওদের দুজনকে নাচতে দেখে বেশ ভাল লাগছিল। প্রায় একই ছন্দে ওদের শরীর গানের তালে তালে দুলছে। ওরা দুজনেই এখন পরস্পরের শরীরের ওম পাচ্ছে। একে অপরের শরীরের গন্ধও পাচ্ছে বোধ হয়।পরিনিতা এখন বেশ ফ্রি লি নাচতে পারছে ববির সাথে কারন ও জানে আমি এখন টেবিলে নেই। আমি মোবাইলটা নিয়ে টেবিলের সামনে থেকে সরে গিয়ে, দূরে, একটু আড়ালে গিয়ে দাঁড়িয়ে ওদের নাচ দেখতে লাগলাম। আমি একটা টেবিলের পাশে এমনভাবে দাঁড়িয়ে ছিলাম যে ওখান থেকে ওদের ওপর নজর রাখা গেলেও ওরা আমাকে দেখতে পাবেনা। ববি নাচতে নাচতে পরিনিতাকে নিয়ে আস্তে আস্তে ড্যান্স ফ্লোরটার যেখানটাতে সবচেয়ে ভিড় আর সবচেয়ে অন্ধকার, সেখানটার দিকে নিয়ে গেল। বুঝলাম ওরা আড়াল খুঁজছে। ওরা এমন যায়গায় গিয়ে ভিড়ের মধ্যে সেটেল করলো যেখানটাতে নজর যাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে কম।
হঠাৎ ববি পরিনিতা কে একটা চুমু খেতে গেল। আমি আঁতকে উঠলাম ওর কান্ড দেখে। পরিনিতা কিন্তু ববির আচরনে অবাক ও হোলনা বা রেগেও গেল না। শুধু একটু হেঁসে মুখ সরিয়ে নিল। ববি কিন্তু ছাড়লো না পরিনিতাকে। একটু পরেই আবার চেষ্টা করলো ওকে কিস করতে। এবারে এক হাতে পরিনিতার থুতনি চেপে ধরে জোর করে একটা চুমু দিল পরিনিতাকে। পরিনিতাও এবার আর ববিকে বাধা দিলনা, তবে চুমুটা ও নিল বটে কিন্তু বেশীক্ষণ খেলনা ববিকে।
ববিকে অল্প একটু খেয়েই মুখ সরিয়ে নিল। তারপর আদুরে ভাবে ববির দিকে চোখ বড় বড় করে ছদ্দ রাগে তাকালো। যেন ববি কে ও বলতে চাইলো আর নয় অনেক অসভ্যতা হয়েছে। ববি এবার অন্য একটা স্টাইল নিল। নাচতে নাচতে ও হঠাৎ পরিনিতাকে একটু ঘুরিয়ে নিয়ে পরিনিতার পিঠে বুক লাগিয়ে কোমর দোলাতে লাগলো। অনেক কাপলই অবশ্য মাঝে মাঝে হঠাৎ এই ভাবে ঘুরে গিয়ে নাচছে দেখলাম। বুঝতে পারলাম এই ভাবে নাচতে গিয়ে ববি এখন মাঝে মাঝে ওর পেটের তলাতে পরিনিতার বড় আর নরম পাছাটার মিষ্টি ছোঁয়া পাচ্ছে। পরিনিতাও নিশ্চই ওর পোঁদে ববির শক্ত হয়ে ওঠা বিশাল পুরুসাঙ্গটার ছোঁয়া পাচ্ছে।
আমি জানতাম ববি এত অল্পতে সন্তুষ্ট হবার পাত্র নয়। একটু পরেই ও পরিনিতার পাছাতে নিজের পেটের তলাটা ঠেকিয়ে নাচা শুরু করলো। মাঝে নাঝেই নাচতে নাচতে ববি ওর পেটের তলাটা দিয়ে পরিনিতার নরম পাছাতে অল্প অল্প ধাক্কা দিতে লাগলো। পরিনিতা ব্যাপারটা বুঝে প্রথমে একটু যেন অস্বয়াস্তিতে পরে গেল। ও একটু নার্ভাস ভাবে আমার টেবিলটার দিকে একবার তাকালো। ওখানে আমাকে দেখতে না পেয়ে বোধহয় একটু আস্বস্ত হল ও।
এবার ববি নাচতে নাচতে ওর পেটের তলাটা দিয়ে পরিনিতার পাছাতে আবার একটা ছোট্ট ধাক্কা দিতেই, পরিনিতাও এবার নিজের পাছা দিয়ে ববির পেটের তলায় একটা উলটো ধাক্কা দিল। পাকা খেলোয়াড় ববির সময় লাগলো না সিগন্যালটা বুঝতে। ও নিজের পাছা দুলিয়ে দুলিয়ে অ্যটোমেটিক মেসিনের মত পরিনিতার পাছায় ক্রমাগত ধাক্কা দিয়েই চললো। দূর থেকে দেখে যেন মনে হচ্ছিল পরিনিতার পোঁদ মারছে ববি। ড্রাই ফাকিং যাকে বলে আর কি।
ডিস্কো লাইটের ঝিকিমিকি আলোয় আর আধা অন্ধকারে, অত ভীরের মাধ্যে, উদ্দাম নাচের তালে তালে, ওরা যে কি নির্লজ্জ্য কাণ্ড করছে সেটা কেউ দেখার ছিলনা। পরিনিতার মুখটা লজ্জায় লাল হয়ে উঠেছিল। কিন্তু দূর থেকে হোলেও আমি বেশ বুঝতে পারছিলাম শাড়ি সায়ার ওপর দিয়েই ববির প্রতিটি ঠাপ বেশ উপভোগ করছে পরিনিতা। এভাবে কিছুক্ষন চলার পর ববি একটু থামলো। এদিকে আবার একটা অন্য একটা গান চালু হল ডিস্কোতে। এটাও ফাস্ট সং। ববি পরিনিতার পিঠে বুক লাগিয়ে হাঁফাচ্ছিল। প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে সকলের নজর বাঁচিয়ে কনটিনিউয়াস পরিনিতার পাছা ঠাপানোর ফলে ও যে এখন একটু ক্লান্ত হয়ে পরেছে সেটা বোঝা গেল। হতে পারে সত্যি সত্যি পরিনিতার চুতে ধন ঢোকাতে পারেনি ববি কিন্তু পাছা ঠাপানোর পরিশ্রমতো তার জন্য কম হয়ে যায়না।
ববি কিন্তু এইভাবে শুধু হাঁফিয়ে হাঁফিয়ে সময় নস্ট করার বান্দা নয়। কি মনে করে ও হঠাৎ পরিনিতার পেটের নরম মেদ-মাংস খামছে মুঠো করে ধরলো। বাচ্ছা দুটো হবার পর পরিনিতার পেটটাতে অল্প একটু নরম মাংস জমেছে। ফলে পরিনিতার পেটটা টিপতে বেশ মজা লাগে। ববির হাতটা কোনভাবে পরিনিতার পেটে একবার লাগতেই ববি বুঝে নিয়েছে পরিনিতার পেটটা কতটা নরম। তাই ববি দেরি না করেই চটকাতে শুরু করেছে ওটা।
পরিনিতাও দেখলাম চোখ দুটো বুঁজে নিজের ঠোঁট কামড়ে ধরেছে। তলপেটে ববির পুরুষালী হাতের টেপনে বেশ মস্তি নিচ্ছে ও। দৃশ্যটা দেখে একটা টু-এক্স ছবির কথা মনে পরে গেল। অনেক বছর আগে কলেজে পরার সময় দেখে ছিলাম সেটা। গল্পের নায়ক একজন গাইনোকলজিস্ট, যে কিনা একটি গৃহ বধুর প্রেমে পরেছে। অনেক পাঁপড় বেলবার পর অবশেষে সে গৃহবধুটিকে নিয়ে পালাতে পারলো । কিন্তু পরে সে জানতে পারলো বঁধুটির পেটে তার স্বামির বাচ্চা রয়েছে। এই সন্তান সে চায়না। তাই একদিন প্রেমিকা কে আদর করার ছলে তার পেট টিপতে টিপতে নিজের গাইনো হবার বিদ্যা কাজে লাগিয়ে প্রেমিকার পেটের বাচ্চাটাকে নষ্ট করে দিল সে।
গল্পটার যে কোন মাথা মুণ্ডু নেই এবং কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও নেই সেটা তখনই বুঝতে পেরেছিলাম। কিন্তু সেক্স করার সময় পেট টিপতে টিপতে প্রেমিকার পেটের বাচ্চা নষ্ট করার ওই পৈশাচিক পারভাটেড দৃশ্যটা মনেকে বেশ নাড়া দিয়ে গিয়ে ছিল। বিশেষ করে অবাক করেছিল ব্যাপারটাতে মেয়েটির মনোভাব। মেয়েটি কিন্তু বুঝতে পেরেছিল যে ওর প্রেমিক ওর পেট টিপতে টিপতে ওর পেটের বাচ্চাটা নষ্ট করে দিতে চাইছে, কিন্তু সে ওই সময় কামে এমন অন্ধ ছিল যে নিজের প্রেমিককে নিজের স্বামির বাচ্চাটা নষ্ট করে দিতে দিল।
আজ ববিকে ওই ভাবে পরিনিতার পেট টিপতে দেখে মনে হল আজ যদি পরিনিতার পেটে আমার বাচ্চা থাকতো তাহলে পরিনিতাও বোধ হয় একই ভাবে ববিকে নিজের পেটের বাচ্চা নষ্ট করে দিতে দিত।
এদিকে কিছুক্ষণ রেস্ট নেবার পর আবার নাচা শুরু করলো ওরা। এবার ববি পরিনিতাকে প্রায় জরিয়ে ধরে, ওর পিঠে বুক লাগিয়ে, ওর পাছায় নিজের ধন ঠেকিয়ে, নাচা শুরু করলো। ববি থেকে থেকেই পরিনিতার কানে মুখ দিয়ে কিছু একটা বলছিল যা শুনে পরিনিতার মুখটা ক্রমশ লজ্জায় লাল হয়ে উঠছিল। হঠাৎ দেখলাম পরিনিতা নাচতে নাচতে কেমন যেন একবার থরথর করে কেঁপে উঠেই ভীষণ অবাক হয়ে ববির মুখের দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো। বুঝতে পারলাম কি ঘটেছে।
নাচতে নাচতে পরিনিতার মাই টিপে দিয়েছে ববি। পরিনিতার অবাক মুখের দিকে তাকিয়ে ববি শুধু একবার চোখ টিপে দিল। পরিনিতা মুখে কিছু বললো না শুধু লজ্জায় লাল হয়ে গিয়ে নিজের মুখটা একটু নিচু করলো। কিন্তু ওর মুখেও চাপা দুষ্টুমি মাখানো একটা অদ্ভুত হাঁসি দেখলাম আমি।
বুঝালাম ববির অসভ্যতায় পরিনিতা অবাক হলেও ও আর তেমন বাঁধা দেবেনা, আজ যেন পরিনিতাও একটু মজা লুটতে চায় ববির সাথে। ববির সাহস দেখে আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছিলাম আমি। কি কনফিডেন্টলি আসনাই করছে ও পরিনিতার সাথে, যেন মনে হচ্ছে পরিনিতা ওর অনেক দিনের চেনা। আমি অবশ্য সকাল থেকেই জানতাম আজ কিছু একটা ঘটতে চলেছে। কিন্তু পরিনিতাকে পার্টিতে নিয়ে গিয়ে মাত্র তিন ঘণ্টায় ববি এমন কি যাদু টোনা করলো যে পরিনিতা স্থান কাল পাত্র ভুলে ববির সাথে এমন কলেজ স্টুডেন্টদের মত নির্লজ্জ্য ঢলাঢলি তে মেতে উঠলো।
এ যেন এক নতুন পরিনিতাকে দেখছি আমি। এত দিন যে পরিনিতার সাথে ঘর করে এসেছি এ যেন সেই পরিনিতা নয়। মহিলাদের সিডিউস করার ব্যাপারে ববির রেপুটেসনের সম্মন্ধ্যে ভীষণভাবে ওয়াকিবহাল থাকলেও দু সন্তানের জননী আমার পরিনিতার এই রকম চটুল আচরন আমাকে প্রচণ্ড অবাক করে দিল। মনে হচ্ছিল ববি যেন পরিনিতার গাম্ভীর্যর খোলস ছাড়িয়ে মুখোশের ভেতরের আসল পরিনিতাটাকে বের করে নিয়েছে।
আবার একবার কেঁপে উঠলো পরিনিতা, আর কেঁপে উঠেই আমার টেবিলের দিকে আড় চোখে চট করে একবার দেখে নিল যে আমি ফিরে এসেছি কিনা। আমাকে টেবিলে দেখতে না পেয়ে একটু যেন স্বস্তি দেখলাম ওর মুখে। বুঝলাম আবার টিপলো ববি পরিনিতার মাই। আমার টুপুর বেচারি জানতেও পারলোনা যে ওর দুধ খাবার যায়গাটাতে হাত দিল ওর মায়ের বন্ধু একটা দুষ্টু লোক। ও কি করে জানবে যে ওর মা যেখানটা দিয়ে রোজ ওকে দুধ দেয় সেখানটায় দুষ্টু লোকটা হাত দিয়ে খামচা খামচি করলেও ওর মা আর আজ কোন বাঁধা দেবেনা তাকে ।
বেচারি টুপুর কোন দিন জানতেও পারবেনা যে ওর দুধ খাবার যায়গাটাতে পর পুরুষের হাতের চটকা চটকিতে ওর মার আজ খুব মস্তি হচ্ছে, সুখ হচ্ছে, আরাম হচ্ছে। আর সহ্য করতে পারলামনা আমি ঠিক করলাম এবার দিলিপের টেবিলে দিকে যাব। ওরা যা করছে করুক।
দিলিপদের সাথে ওদের টেবিলে জয়েন করলেও মন পরেছিল পরিনিতা আর ববির ওপরে। সত্যি কত সহজে পরিনিতাকে পটিয়ে নিল ববি। দেখে মনে হচ্ছিল ব্যাপারটা যেন মাখনে ছুঁড়ি চালানোর মত সহজ ওর কাছে।
পুরনো কলিগ কে কাছে পেয়ে দিলিপের গল্প যেন আর থামছিলই না। এদিকে আমার ভেতরে তখন উথাল পাথাল চলছে। মুখে ওদের সাথে হাঁসিঠাট্টাও করছি অথচ ভেতরে তখন দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন । আর সেই সর্বনাশা আগুনে জ্বলে পুরে খাক হয়ে যাচ্ছে আমার ভালবাসা, আমার অভিমান আর পরিনিতাকে নিয়ে আমার তীব্র অহংকার। বুকের ভেতর থেকে কেমন যেন একটা অসহ্য চাপা যন্ত্রণা ধীরে ধীরে গলার কাছে উঠে আসছে। মনে হচ্ছে যেন এখুনি হার্ট এট্যাক হয়ে যাবে আমার। এখন বুঝতে পারছি কাউকে ভালবাসার সাথে কেন লোকে হৃদয় শব্দটা জুড়ে দেয়।
দিলিপের বউ রাধার সাথে আমার ভালই পরিচয় আছে। একবার মুম্বাইতে একটা ক্লায়েন্টস মিটে গিয়ে ওদের বাড়ি উঠেছিলাম। সেবার মুম্বাই টেস্ট চলার দরুন কোম্পানি কোনো হোটেল বুক করে দিতে পারেনি আমাদের জন্য। দিলিপ একরকম প্রায় জোড় করেই আমাকে ওদের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল। ওর বউ রাধা আর ওর সহজ সরল ব্যাবহারে ওই কয়েক দিনেই আমি ওদের সাথে খুব ঘনিস্ট হয়ে উঠি।
সঞ্জিবদা তোমার বউ কোথায়? ওকে তো দেখছিনা? ওর সাথে তো তুমি আমার পরিচয়ও করিয়ে দাওনি কোনদিন। রাধার এই সহজ সরল প্রশ্নগুলোর ঠিক কি উত্তর দেওয়া উচিত আমার তাইতো ভেবে পাচ্ছিলামনা আমি। কে জানে আজ রাতের পর পরিনিতা হয়তো আর আমার বউই থাকবে না। বহু কষ্টে ভেতরের তীব্র যন্ত্রণা লুকিয়ে ওদের সাথে গল্প করে যেতে লাগলাম আমি। মুখে এমন ভাব করলাম যাতে ওরা কোনভাবেই আঁচ না পায় যে আমার ভেতর ভেতর কি চলছে। কোনরকমে কাটলাম আধঘণ্টা, এরপর ওয়েটার যখন ওদের ডিনার সার্ভ করবে কিনা জানতে এলো তখন ওদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমাদের টেবিলের দিকে ফিরে এলাম আমি।
“এতক্ষণে নিশ্চই ওদের নষ্টামি বন্ধ হয়ে গেছে, নিশ্চই টেবিলে ফিরে এসেছে ওরা” মনে মনে ভাবলাম আমি। টেবিলের কাছে গিয়ে কিন্তু ওদের দেখতে পেলাম না। তাহলে কি এখনো নির্লজ্জ্যের মত নষ্টামি চালাচ্ছে ওরা? কি করবো ভেবে না পেয়ে আবার টেবিলে বসে পরলাম, তারপর ড্যান্স ফ্লোরের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে ওদেরকে খুঁজতে লাগলাম। আরো প্রচণ্ড ভিড় হয়ে গেছে এখন ড্যান্স ফ্লোরটাতে। প্রায় উদ্দাম নাচানাচি চলছে ওখানে। এক লহমায় ওই ভিড়ের মধ্যে কাউকে খুঁজে পাওয়া ভীষণ মুস্কিল। প্রায় দশ মিনিট ওই দিকে তাকিয়ে থাকার পর বুঝলাম ওখানে ওরা নেই।
পরিনিতার মোবাইলে দু তিন বার ফোন করতে চেষ্টা করলাম আমি। কিন্তু ফোন সুইচ অফ বোললো। ববির মোবাইলেও ট্রাই করলাম, কিন্তু ওর মোবাইলে পর পর দু বার রিং হয়ে গেল, কেউ তুললো না। তাহলে কি ওরা দুজনেই রেস্ট রুমে গেছে? আরো প্রায় দশ মিনিট অপেক্ষা করলাম ওদের ফেরার জন্য, কিন্তু ওরা এলোনা। শেষে আমি নিজেই ওদের খুজতে রেস্ট রুমের কাছে গেলাম। রেস্ট রুমের বাইরে লম্বা লাইন পরেছে। ওরা কি এখনো ভেতরে?
ওদের জন্য ওখানেও প্রায় দশ মিনিট দাঁড়ালাম। লেডিজ এবং জেন্টস রেস্ট রুমের ভেতর থেকে অনেককে বেরিয়ে যেতে দেখলাম কিন্তু ওদের কোন পাত্তা নেই। বাইরের লাইনও আস্তে আস্তে এগোতে লাগলো। নাঃ ওরা দেখছি এখানেও নেই। তাহলে কি ওরা অন্য কোন টেবিলে বসেছে? আমি পুরো রেস্টুরেন্টটা আস্তে আস্তে ঘুরতে লাগলাম। একটা একটা করে প্রায় প্রত্যেক টেবিলের কাছে গেলাম কিন্তু না ওরা কোথাও নেই। তার মানে ওরা রেস্টুরেন্ট থেকে কোথাও বেরিয়ে গেছে।
বেরিয়ে কোথায় যেতে পারে ওরা? আর কেনই বা যাবে আমাকে না জানিয়ে? তাহলে কি নাচতে টাচতে গিয়ে হঠাৎ পরিনিতার শরীরটরীর খারাপ হয়েছে? তাই আমাকে কিছু না জানিয়েই ও আমাদের রুমে ফিরে গেছে? মনে পরলো একটু আগে ও একবার বলেছিল যে পার্টিতে দুটো ড্রিঙ্ক নেওয়ার ফলে ওর নাকি এখন একটু টিপসি টিপসি লাগছে। তার ওপরে ববির সাথে একটু আগে এত নাচানাচি করেছে, হ্যাঁ তাহলে নিশ্চই ওর শরীর খারাপই করেছে, আর তাই এই ভিড়ে আমাকে খোঁজার জন্য সময় নষ্ট না করে ও আমাদের রুমেই ফিরে গেছে।
আমি তাড়াতাড়ি রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে লিফটের দিকে গেলাম। বুকটা কেমন যেন ধুকপুক ধুকপুক করছিল আমার। থার্ড ফ্লোরে উঠে হন্তদন্ত হয়ে নিজের রুমের দিকে গেলাম। কিন্তু রুমের বন্ধ দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আবার হতাশ হয়ে পরলাম। না দরজা বন্ধ, পরিনিতা এখানেও আসেনি। ক্লান্ত আর হতাশ আমি কোন রকমে নিজের রুমের দরজা খুলে, রুমে ঢুকে বিছানাতে নিজেকে এলিয়ে দিলাম। “আর কোথায় যেতে পারে ওরা”?
আনমনে নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করলাম আর তখনই বিদ্যুত ঝলকের মত চট করে উত্তরটা মাথায় এল। নিজেকে করা প্রশ্নের উত্তর নিজের মাথায় আস্তেই মাথাটা কেমন যেন বনবন করে ঘুরে উঠলো আমার, চোখে অন্ধকার দেখতে শুরু করলাম আমি। হ্যাঁ আমি এখন বেশ বুঝতে পেরেছি ওরা কোথায় যেতে পারে। এত সহজ উত্তরটা আমার মাথায় আসছিলনা এতক্ষণ থেকে। এই পৃথিবীতে আজ একটাই যায়গা আছে পরিনিতার যাওয়ার জন্য আর সেটা হল ববির রুম।
টলোমলো পায়ে আস্তে আস্তে বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ালাম আমি। বুকটা ড্রাম পেটার মত করে ঢপ ঢপ করে বাজছে। বাথরুমের দরজার পাশের একটা বিশেষ পর্দা সরাতেই আরো একটা দরজা বেরিয়ে পরলো। এই হল সেই দরজা যেখান দিয়ে আমার ঘর থেকে ববির ঘরে প্রাইভেটলি যাওয়া যায়।
দরজাটা কাঁপা কাঁপা হাতে খুলতেই বুকটা ধক করে উঠলো আমার। দরজার সামনের আধো অন্ধকার গলিটার ওপাশে ববির ঘরের দরজা। ভীষণ অবাক হলাম এই দেখে যে ববির ঘরের দরজাটা খুব আলতো করে ভেজানো আছে। দরজার পাল্লার আর দেওয়ালের মধ্যে খুব অল্প একটু ফাঁক। ফাঁক এতো অল্প যে খুব ভাল করে না দেখলে ঘরের ভেতর থেকে বোঝাই যাবেনা যে দরজাটা খোলা আছে।
গলিটা একবারে ঘুটঘুটে অন্ধকার হলেও ববির ঘরের ভেজানো দরজাটার কাছটা খুব ভাল করেই দেখা যাচ্ছে। এর কারন আর কিছুই নয়, দরজার ওই অল্প ফাঁকের মধ্যে দিয়েই একটা সরু আলোর রেখা ববির ঘরের ভেতর থেকে এসে গলিটাতে পরেছে। হ্যাঁ লাইট জ্বলছে ববির ঘরে। তার মানে ওই ঘরে কেউ আছে । বেড়ালের মত পা টিপে টিপে আস্তে আস্তে ওই দরজার দিকে এগিয়ে গেলাম আমি। দরজার কাছে গিয়ে পৌছনোর আগেই হঠাৎ আবার ধক করে উঠলো আমার বুকটা। এমন চমকে উঠলাম যেন মনে হল এখুনি হার্ট এট্যাক হয়ে যাবে।
ঘরের ভেতর থেকে একটু আদুরে একটা মেয়েলি গলা ভেসে আসছে। গলাটা আমার চেনা, হ্যাঁ ওটা পরিনিতার গলা। ববির গলাও পেলাম ভেতরে। কি যেন একটা বললো পরিনিতাকে যা শুনে পরিনিতা খুব হাঁসতে লাগলো। মনে একটু সাহস সঞ্চয় করে চুপি চুপি একবারে দরজার পাশটাতে গিয়ে ওঁত পেতে দাঁড়ালাম আমি। তারপর আস্তে আস্তে ভেজানো দরজাটার অল্প একটু ফাঁকের মধ্যে দিয়ে কোন রকমে ববির ঘরের ভেতরটাতে উঁকি মারলাম।
বিশাল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুইটের একবারে ভেতরে রাখা নরম নরম গদিওলা একটা খুব আরামদায়োক বিছানায় সামনা সামনি বসে আছে ববি আর পরিনিতা। ববি পরিনিতাকে বোললো
-“এই এখন কেমন লাগছে? তোমার শরীর এখন ঠিক আছে তো”?
-“হ্যাঁ তোমার কথামত চোখে মুখে জলের ঝাপটা দেওয়ার পর এখন একটু ফ্রেশ লাগছে”।
ববি হঠাৎ পরিনিতার হাতের পাতা দুটো হাত নিজের হাতে নিয়ে নিল। তারপর ওর চোখের দিকে ভীষণ রোম্যান্টিক ভাবে তাকিয়ে বললো –“তোমার সাথে সময় কাটাতে আমার দারুন লাগে পরিনিতা। আমি এখন থেকে নিয়মিত তোমার সঙ্গ পেতে চাই”।
ববির কোথা শুনে পরিনিতার মুখ লজ্জায় লাল হয়ে উঠলো। ও লজ্জায় মুখ নাবিয়ে নিল।
-“ববি আমার এখন যাওয়া উচিত।”
ববি পরিনিতার দিকে একটু ঝুঁকে পরলো তারপর পরিনিতার গালে নিজের হাতের একটা আঙুল দিয়ে আলতো করে একটু ছুঁল। তারপর ধীরে ধীরে ওই একটা আঙুল দিয়েই সুড়সুড়ি দিতে লাগলো ওর নরম গালে।
-“সত্তি পরিনিতা তোমার মুখটা কি অসম্ভব সুন্দর। তোমার দিকে বেশিক্ষণ তাকালে মাঝে মাঝে চোখ ঝলসে যায় আমার”।
ববির কথা শুনে লজ্জায়, আনন্দে, ভয়ে পরিনিতার নিঃশ্বাস প্রায় বন্ধ হয়ে গেল । ও যেন একটু শক্ত হয়ে বসলো বিছানাতে। এদিকে ববির হাতের আঙুল ওর গালের ওপর ঘোরাফেরা করা ছেড়ে এবার আস্তে আস্তে ওর গলা বেয়ে ওর বুকের ওপর নেমে আসছে। পরিনিতা একটু কেঁপে মতন উঠলো যখন অনেকটা পথ অতিক্রম করে ববির আঙুল নেবে এল পরিনিতার বুকের ঠিক ওপরের অংশে। অনেক্ষন চেপে থাকা একটা চাপা দীর্ঘনিঃশ্বাস ছেড়ে পরিনিতা বলে উঠলো –“ববি আর নয়……… প্লিজ”।
ববির আঙুল একটু থমকালো কিন্তু থামলো না। গতিবেগ অনেক কমিয়ে সে একটু একটু করে প্রবেশ করলো পরিনিতার স্তনোবিভাজীকার সেই নিশিদ্ধ উপত্যকায়। নিজের স্তনের এত কাছে ববির হাতের আঙুলের ছোঁয়া পরিনিতাকে ভীষণ বিচলিত করে তুললো। কি যেন একটা বলতে চাইলো পরিনিতা কিন্তু ওর গলা দিয়ে কোন আওয়াজ বেরলো না। ববির হাতের আঙুল কিন্তু ধীরে ধীরে পৌঁছে গেল পরিনিতার স্তনবৃন্তের কাছে ওর অভীষ্ট লক্ষে। তারপর ওর নিপিল কে কেন্দ্র করে গোল গোল করে ঘুরপাক খেতে লাগলো ওর আঙুল। পরিনিতা এবারে কিছু একটা বলতে পারলো, কিন্তু এবারে ওকে অনেকটা জোড় দিয়ে গলা থেকে আওয়াজ বের করতে হল।
-“ববি আর নয়, তুমি ভুলে যাচ্ছ আমি ম্যারেড”।
ববি কোন উত্তর দিলনা, যেন শুনতেই পায়নি ও পরিনিতার গলা। ওর সমস্ত মনযোগ এখন পরিনিতার নিপিলের কাছে গোল গোল ঘোরাতেই নিবদ্ধ। ধীরে ধীরে বৃত্ত ছোট হতে হতে ববির আঙুল এবার ছুঁয়ে ফেললো পরিনিতার মাগী শরীরের সেই গোপন নিশিদ্ধ ফলটা……………পরিনিতার দুধের বোঁটাটা। থরথর করে কেঁপে উঠলো পরিনিতা যখন ববির আঙুল ব্লাউজের ওপর থেকেই আস্তে আস্তে নাড়াতে লাগলো ওর দুধের বোঁটা। ওর কাণ্ড দেখে প্রথমে একটু বিহ্বল হয়ে পরেছিল পরিনিতা কিন্তু একটু পরেই সম্বিত ফিরে পেয়ে হঠাৎ এক ঝটকায় ববির হাতটা ওখান থেকে সরিয়ে দিল ও।
–“সঞ্জিব আমার জন্য রেস্টুরেন্টে অপেক্ষা করছে, এবার আমার ওঠা উচিত ববি”।
পরিনিতার গলা বেশ নার্ভাস শোনাল।
-“যাবে ? ঠিক আছে যাও। কিন্তু যাওয়ার আগে আমি যদি তোমার ওই ফর্সা ফর্সা বলিষ্ঠ উরু দুটো একবার দেখতে চাই, আমাকে দেখাবে পরিনিতা? তোমার ওই বলিষ্ঠ উরু দুটো কত রাত যে আমাকে ঘুমতে দেয়নি তা তুমি জাননা । ও দুটোকে একবার ভালভাবে দেখতে না পেলে আমি পাগল হয়ে যাব পরিনিতা। প্লিজ পরিনিতা, আমার জন্য একটি বারের মত তোমার শাড়িটা তোমার হাঁটুর ওপর একটু তুলে ধর”?
-“না আর নয় এতক্ষণ অনেক দুষ্টুমি হয়েছে ববি, এবার আমাকে ছাড়”।
-“একটি বার দেখাও পরিনিতা…… প্লিজ…আমি তোমার তোমার পায়ে পড়ি”।
-“ একটু আগে ড্যান্স ফ্লোরে আমাদের মধ্যে যা যা হয়েছে সেই সব আমি আবার এখানে শুরু করতে চাইনা ববি। এবার আমি আমার স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চাই”।
-“যেও পরিনিতা…… যেও। কিন্তু যাওয়ার আগে একবারটি তোমার ওখানটা আমাকে দেখিয়ে যাও , না হলে সারারাত আমাকে জেগে বসে থাকতে হবে। কিছুতেই আজ আর আমার ঘুম আসবেনা”। অবুঝ গলায় ববি বললো।
পরিনিতা ববির এই অবুঝপনা দেখে কি ভাবে যে ওকে নিরস্ত করবে ভেবে পাচ্ছিলনা। এই সুযোগে আবার পরিনিতার কাঁধে হাত দিল ববি। ওর দুই কাঁধে দুই হাত দিয়ে আবার অনুনয় করলো ও –“প্লিজ পরিনিতা একবার, মাত্র একবার” ।
পরিনিতার মুখ দেখে মনে হল ও এখনো মনে মনে জুতসই কোন উত্তর খুঁজে চলেছে ববিকে নিরস্ত করার।
এদিকে ববি পরিনিতার কাঁধ ছেড়ে আস্তে আস্তে নিজের একটা হাত নাবিয়ে আনলো পরিনিতার পায়ের কাছে, ঠিক যেখানটায় ওর শাড়ির পাড়টা শেষ হয়েছে সেখানটায়। তারপর ওর শাড়ির পাড়টা একটু মুঠো করে খামছে ধরে আস্তে আস্তে পা বেয়ে তুলতে লাগলো ওর শাড়িটা। ব্যাপারটা পরিনিতার নজরে আস্তেই মুখে যতটা সম্ভব বিরক্তির ভাব আনা যায় এনে পরিনিতা বলে উঠলো –“তুমি এখন যা চাইছো তা হয়না ববি।
তুমি কেন বুঝতে পারছোনা আমি ম্যারেড, দু বাচ্ছার মা। তোমার মত স্মার্ট ইনটেলিজেন্ট পুরুষের এরকম অবুঝপনা মানায় না ববি। আমার সিচুয়েসানটা একটু বোঝার চেষ্টা কর।
-“কেন হবে না পরিনিতা, হয়, দুপক্ষের সায় থাকলে সব হয়। তোমার হাজব্যান্ড ও তো চায় আমি তোমার সায়া তুলি, তোমার সাথে আনন্দ করি।
-“কি ভুলভাল বোকছো তুমি ববি”। পরিনিতা ববির হাতটা নিজের শাড়ি থেকে ছাড়িয়ে নেবার চেষ্টা করলো কিন্তু পারলো না।
-“আর একটু তুলতে দাও লক্ষ্মীটি, তাহলেই হবে”।
অনেকটা বাচ্চা ছেলেদের মত একগুঁয়ে বায়নার ঢঙে ববি পরিনিতার শাড়ি, সায়া আরো খানিকটা তুলে পরিনিতার ধপধপে সাদা বলিষ্ঠ উরু দুটোকে অনেকটা উন্মুক্ত করে দিল। তারপর পরিনিতার দুধসাদা চকচকে উরু দুটোতে নিজের হাত বোলাতে বোলাতে বোললো –“এতে ভুলভালের কি আছে পরিনিতা…………তুমি তো নিজের মুখেই স্বীকার করেছো যে তোমরা আমাকে নিয়ে নিয়মিত রোল প্লেইং খেল।
তোমার সাথে আমার যৌনসংগমের কথা চিন্তা করে সঞ্জিবও প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে পরে। বল এসব আমি মিথ্যে বলছি? বল তুমি আমাকে বলনি যে তোমরা যখন ফাকিং কর তখন তুমি সঞ্জিবকে আমার নাম ধরে ডাকো? সঞ্জিবকে আমি ভেবে মিলিত হলে তোমাদের মিলন অসম্ভব তৃপ্তিদায়ক আর দীর্ঘস্থায়ি হয়”।
পরিনিতার মুখ দেখে বুঝলাম যে ববির এই প্রশ্নগুলোর কোন উত্তর নেই ওর কাছে । ও ববির ট্র্যাপে পরে গেছে এখন। আজ আর ওর নিস্তার নেই। কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না পরিনিতা আমাদের দ্যাম্পত্তের এইসব গোপন খুঁটিনাটি গুলো ববিকে ফাঁস করে দিল কেন? আর কখনই বা এসব কথা বোললো ও ববিকে? নিশ্চই কাল প্লেনে দিল্লি আসার সময়ই এসব কথা হয়েছে ওদের মধ্যে।
এদিকে যখন আমি এসব কথা ভাবছিলাম ততক্ষণে ববি পরিনিতার উরুতে হাত বোলানো ছেড়ে টিপে টিপে ম্যাসেজ করা শুরু করে দিয়েছে ।
-“কাম অন ববি আমরা যেটা করতাম ওটা জাস্ট রোল প্লেইং, ওর সাথে বাস্তবের কোন সম্পর্ক নেই। ওটা জাস্ট আমাদের মিলনকে আরো উপভোগ্য করার জন্য ছিল”। কোন রকমে নিজেকে সামলে নিয়ে ববির ট্র্যাপ থেকে বেরনোর মরিয়া চেষ্টা করলো পরিনিতা।
-“আমাকে মিথ্যে বোলনা তুমি পরিনিতা। তুমি মনে মনে কি চেয়েছিলে আমি জানি। এই রোল প্লেইং এর মাধ্যমে তুমি চেয়েছিলে আমাকে নিয়ে সঞ্জিবের টলারেন্স লেভেলটা বাড়াতে। তুমি চেয়েছিলে সঞ্জিব কে আস্তে আস্তে আমাদের এই অবশ্যম্ভাবী সম্পর্কের জন্য প্রিপেয়ার করতে, মানসিক ভাবে রেডি করতে। তুমি চেয়েছিলে ও যাতে নিজেকে কখনো ইনসিকিওর ফিল না করে।
ববির কথা শুনে পরিনিতার মুখটা ভয়ে সাদা হয়ে গেল। যেন হাতে নাতে ধরা পরেছে চোর। এদিকে ববি বলেই চললো।
-“পরিনিতা তুমি প্রচণ্ড ইনটেলিজেন্ট মেয়ে, তুমি জানতে সঞ্জিবের সাথে এত বছর সংসার করার পর, ওর সাথে দু দুটো বাচ্চা বানানোর পর, সঞ্জিবের সংসার ছেড়ে বেরিয়ে আসা তোমার পক্ষে মুস্কিল হবে। তুমি জানতে তোমাদের এত দিনের তিলে তিলে গড়া সংসার ছেড়ে এভাবে এককথায় বেরিয়ে এলে সঞ্জিব ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।
আমাদের এবারের অফিস পার্টিতে তোমার সাথে আমার যখন দ্বিতিয়বারের জন্য দেখা হয়েছিল তখন আমার মত তুমিও নিশ্চই বুঝতে পেরেছিলে যে তোমার সঙ্গে আমার শারীরিক মিলন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। আমি জানি সেই জন্যই তুমি এই রোলপ্লেইং এর আমদানি করেছিলে। এই রোল প্লেইং এর মাধ্যমে তুমি আসলে চেয়েছিলে আমাদের সম্পর্কের মাঝে সঞ্জিবকে ধীরে ধীরে ইনক্লুড করতে। আমাদের অবশ্যম্ভাবী মিলনের সময় সঞ্জিবের জন্যও খানিকটা যৌনসুখের বন্দবস্ত করে রাখতে। সঞ্জিবকে একটা পারফেক্ট কাকোল্ড বানাতে পারলে ওর সব হারানোর তীব্র যন্ত্রণা এক লহমায় বদলে যেত যৌনতার তীব্র আনন্দে। সাপ ও মরতো আবার লাঠি ও ভাঙতো না। বল আমি এসব ভুল বলছি পরিনিতা?
আমি মানছি এসব তুমি হয়তো ঠিক পরিকল্পনা করে করনি, কিন্তু মনে মনে তুমি তো সঞ্জিবকে কাকোল্ড বানাতেই চেয়েছিলে। বল পরিনিতা বল, চুপ করে থেকনা তুমি।
-“তুমি এসব কি বলছো আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা ববি” পরিনিতার গলার স্বর কেমন যেন একটা আর্ত চিৎকারের মত শোনাল। ওর গলা শুনেই বোঝা গেল যে নিজেকে আড়াল করার ব্যার্থ চেষ্টা করছে ও।
-“পারছো সোনা পারছো। আর যদি সত্তি সত্তিই তুমি বুঝতে না পার তাহলে ধরে নাও আজ আমিই তোমাকে সব বুঝতে সাহাজ্য করলাম যে এই রোল প্লেইংএর মাধ্যমে তুমি মনে মনে আসলে ঠিক কি চেয়েছিলে? পরিনিতা তুমি কি জাননা রোল প্লেইং ই হল কাউকে সাকসেসফুল কাকোল্ড বানাবার জাস্ট আগের ধাপ”।
হঠাৎ আমার চোখ গেল পরিনিতার কোমরের দিকে। পরিনিতার সাথে এসব কথার মাঝে কখন যেন ববি পরিনিতার শাড়ি আর সায়াটা আস্তে আস্তে গুটিয়ে গুটিয়ে ওর কোমরের ওপর তুলে দিয়েছে। পরিনিতার পাতলা সাদা প্যান্টিটা এখন পুরো খোলাখুলিই দেখা যাচ্ছে।
-“তুমি চিন্তা কোরনা পরিনিতা আমি সঞ্জিবকে টেস্ট করে নিয়েছি। হ্যাঁ…… ওর মধ্যে ক্লিয়ার কাকোল্ডিং টেন্ডেসি আছে। সেদিন আমি ওকে নিজের মুখে তোমার সাথে শোয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে খোলাখুলি হিন্টস দিয়েছিলাম। ও মুখে স্বীকার না করলেও ভেতরে ভেতরে নিজের এক্সাইটমেন্ট লুকোতে পারেনি।
-“তুমি কি সঞ্জিবকে বলেছো নাকি যে আমি তোমাকে আমাদের রোল প্লেইং এর কথা বলেছি”? ভয়ার্ত গলায় পরিনিতা তাড়াতাড়ি জিজ্ঞেস করলো ববিকে।
বুঝলাম তাহলে কাল দিল্লি আসার সময়ে ফ্লাইটে নয় আরো অনেক আগেই পরিনিতা এসব কথা বলেছে ববিকে। প্রশ্নটা হল কবে বলেছে? কোথায় বলেছে? পরিনিতা কি ববির সাথে আমার অবর্তমানে কোথাও দেখা কোরেছে বা করে। আমার মাথা নিজে নিজেই এরকম হাজারো প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তর নিয়ে নাড়াচাড়া করতে শুরু করে দিল।
-“না না বলিনি, আমি এতটা বোকা নই। তুমি নিশ্চিন্ত থাকতে পার”।
পরিনিতা কোন উত্তর দিলনা, কিন্তু ববির কথা শুনে ও যে স্পষ্টতোই হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো সেটা বেশ বোঝা গেল। এদিকে ববি বলেই চললো
-“জান পরিনিতা সঞ্জিব কি চায়? সঞ্জিব চায় আমি তোমাকে ঠিক ওইখানটায় আদর দি”। ববির আঙুল এখন পরিনিতার প্যান্টির ভেতর থেকে উত্তেজনায় ফুলে ওঠা ওর গুদের দিকে দিক নির্দেশ করতে লাগলো। ববির মুখে মিটিমিটি হাঁসি। ববি জানে পরিনিতা আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ওর কাছে আত্মসমর্পন করবে। তাই ও পরিনিতার ওপর মিলিত হবার জন্য খুব একটা জোর খাটাতে চাইছিলনা। ও বরং চাইছিল পরিনিতাকে কিছুটা উত্তেজিত করে ছেড়ে দিতে যাতে পরিনিতা ওর কাছে নিজে থেকেই এসে ধরা দেয়।
ববি চায় ওর শরীরে প্রবেশ করার জন্য পরিনিতা নিজে থেকেই ওকে আমন্ত্রণ জানাক।
পরিনিতার হঠাৎ খেয়াল পরলো যে কথার ফাঁকে ফাঁকে ববির হাত কখন যেন চুপিচুপি ওর নিম্নাঙ্গ প্রায় উন্মুক্ত করে দিয়েছে। উত্তেজনায় ফুলে ওঠা ওর গুদ এখন ওর প্যান্টির ওপর থেকে পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে। পরিনিতা যে ববির মতই ভেতরে ভেতরে আসম্ভব উত্তেজিত সেটা এখন জলের মত পরিস্কার। ববি কিন্ত পরিনিতাকে এসব নিয়ে কিছুই বললো না, শুধু ওর চোখের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়েই রইলো। ববির কাছে এমন খোলাখুলি ভাবে ধরা পরে যাওয়ার পর লজ্জায় পরিনিতা আর ওর মুখের দিকে ভালভাবে তাকাতেও পারছিলনা। শেষে কোন রকমে মনে একটু জোর এনে ও বোললো
-“ববি প্লিজ, সঞ্জিব আমার জন্য ওয়েট করছে, ও যে কোন সময় আমাদের খোঁজে ওপরে চলে আসতে পারে”।
-“নিজে কে কেন ধোঁকা দিচ্ছ তুমি পরিনিতা, তুমি তো শুধু চোখে মুখে জলের ঝাপটা দেওয়ার জন্য আমার রুমে আসনি। সেটা তো নিচে রেস্টরুমেই দিয়ে নেওয়া যেত। তুমি যখন আমার রুমে আসার জন্য রাজি হলে তখন তো তুমি জানতে যে আমার সাথে একলা আমার রুমে এলে আমাদের মধ্যে মিলন প্রায় অনিবার্য। তাহলে কেন তুমি আমার সাথে আমার রুমে আসতে রাজি হলে পরিনিতা?
-“আমি তোমার সাথে একান্তে একটু কথা বলতে চেয়ে ছিলাম ববি। ড্যান্স ফ্লোরে আমাদের মধ্যে যা হচ্ছিল তা আমি ইনটেনশনালি করিনি। আসলে কিছুটা নেশাগ্রস্থ আর উত্তেজিত আমি তোমার উপস্থিতিতে নিজেকে ঠিক সামলাতে পারিনি। ওখানে আমি তোমাকে বড্ডবেশী পশ্রয় দিয়ে ফেলেছিলাম। যখন বুঝলাম আমি খুব বাড়াবাড়ি করে ফেলছি তখন তোমাকে থামাতে শরীর খারাপের কথা বলে ছিলাম”।
-“তুমি কি বলতে চাইছো খুলে বল পরিনিতা”?
-“আমি বলতে চাইছি তোমার সাথে এসব আমি এবার বন্ধ করতে চাই ববি। আমার পক্ষে আর তোমার ডাকে সাড়া দেওয়া সম্ভব নয়। আমি সঞ্জিবকে আর ঠকাতে চাইনা ববি। অনেক ভেবেছি আমি এসব নিয়ে। আমার এত দিনের তিলে তিলে গড়ে তোলা সংসার এভাবে আমি এক লাথিতে চুরমার করে দিতে পারবোনা। এ আমার পক্ষে চাইলেও সম্ভব নয়”।
-“সঞ্জিব ঠকবেনা পরিনিতা।
আমি তোমাকে বলছি আমি ওর মধ্যে ক্লিয়ার কাকোলডিং টেনডেন্সি দেখেছি। তুমিও তো আগে আমার কাছে স্বীকার করেছো যে ওর মধ্যে তুমিও কাকোলডিং টেনডেন্সি দেখেছো। আমাদের মিলনে সঞ্জিবও আমাদের মতই তীব্র যৌনসুখ পাবে পরিনিতা। ওকে ঠিক মত ট্রেনিং দিতে পারলে সঞ্জিব ও চাইবে আমি আর তুমি আনন্দ করি, একে অপরের সাথে উদ্দাম যৌনসম্ভোগ করি। ও জানে ও তোমার যোগ্য নয়। ও জানে তুমি ওর মধ্যে প্রকৃত পুরুষ খুঁজে পাওনা, ও জানে তোমার মত অসাধারন সুন্দরী অনেক বেশী ডিজার্ভ করে লাইফে যা ওর মত অ্যাভারেজ পুরুষের পক্ষে কখনো ফুলফিল করা সম্ভব নয়।
-“সেটা আমি জানি ববি, আমি তো অস্বীকার করছিনা তোমার কথা, কিন্তু ও তোমাকে একবারেই পছন্দ করে না”।
পরিনিতার কথা শুনে মনে হোল কেউ যেন আমার বুকে একটা ছুরি বিধিয়ে দিল। আমার আর মনীশার এত বছরের বিবাহিত জীবনে কখনো আমার একটি বারের জন্যও মনে হয়নি নে পরিনিতা আমার সাথে পরিপূর্ণ সুখি নয়। আশ্চর্য এই মেয়েদের মন। ওরা যে সত্যি কি চায় ওরা নিজেরাই জানে না।
এদিকে পরিনিতার উত্তরে ববি বলে উঠলো
-“তার কারন ও তোমাকে আমার কাছে হারাতে চায়না পরিনিতা, ও তোমাকে নিয়ে অসম্ভব ইনসিকিয়োর ফিল করে। এত দিন ধরে তোমার মত সম্পদ উপভোগ করার পরে কেউ কি পারে যোগ্য নয় বলে নিজে হাতে নিজের সেরা সম্পদ যোগ্য পুরুষের হাতে তুলে দিতে। আমরা যদি ওকে বোঝাই যে আমাদের মিলনে, আমাদের আনন্দে, ওর কিছুই হারানোর নেই একমাত্র তাহলেই ও রাজি হবে”।
-“ও মেনে নিতে পারবেনা ববি। এটা ইউরোপ অ্যামেরিকা নয়। এটা ইন্ডিয়া। এখানে এই ধরনের আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এত জটিল একটা সম্পর্ক চালানো এককথায় অসম্ভব। প্রতি পদে পদে বাঁধা আসবে ববি। সঞ্জিবকে আমি বুঝিয়ে নিতে পারলেও আমাদের আত্মীয়স্বজন, সমাজ কেউ মেনে নেবেনা এসম্পর্ক। আমরা কিছুতেই সুখি হতে পারবোনা ববি। তুমি বুঝতে পারছোনা কেন এক নারির একসঙ্গে দুই পুরুষকে ভালবাসা এইদেশে এখনো সম্ভব নয়। এই দেশ দ্রোউপদীর দেশ হওয়া সত্বেও নয় । তাই আমি ঠিক করেছি আমাকেই স্যাক্রিফাইজ করতে হবে। স্বপ্নের পুরুষ সবার ভাগ্যে জোটেনা ববি। আমি ধরে নেব আমার ভাগ্য খারাপ। স্বামী, সংসার, বাচ্চা সব ফেলে এইভাবে স্বপ্নের পুরুষের পিছু পিছু ছুটে বেড়ান আমার পক্ষে সম্ভব নয় ববি।
-“আমাকে ছেড়ে তুমি থাকতে পারবেনা পরিনিতা”।
-“আমাকে পারতেই হবে ববি, অন্তত আমার বাচ্ছাগুলোর মুখ চেয়ে আমাকে পারতেই হবে”। আমি চলি ববি সঞ্জিব হয়তো এখুনি আমার খোঁজ করতে করতে এখানে এসে যাবে। ও আমাদের দুজন কে এইভাবে দেখে ফেললে কেলেঙ্কারির একশেষ হবে”।
-“পরিনিতা প্লিজ শোন, এইভাবে চলে যেও না শোন”।
পরিনিতা একরকম প্রায় জোর করেই ববির ঘর থেকে বেরিয়ে এল। পরিনিতা ববির ঘর থেকে বেরতেই আমাকে দ্রুত চিন্তা শুরু করতে হল যে আমি এখন কি করবো। খুব ভাল হত যদি পরিনিতা আমাদের ঘরে ঢোকার আগেই আমি ঢুকে পড়তে পরতাম ঘরে। তাহলে পরিনিতা ঘরে ঢুকেই আমাকে দেখতে পেত এবং বুঝতে পারতো যে আমি নিচে ওকে খুঁজে না পেয়ে ওপরে চলে এসেছি।
কিন্তু আমি ববি আর আমার ঘরের সংযোগকারী ওই গলি থেকে বেরিয়ে আমার ঘরে ঢোকার আগেই পরিনিতা আমাদের ঘরে ঢুকে পরলো। সর্বনাশ এখন আর আমার কিছু করার নেই। আমি এই গলি থেকে বেরিয়ে না পারবো আমার ঘরে ঢুকতে না পারবো ববির ঘরে ঢুকতে। আমি পা টিপে টিপে ববির ঘরের দরজাটার পাশ থেকে আমাদের ঘরের দরজাটার দিকে এগিয়ে এলাম। আমার ভাগ্য ভাল যে আমাদের ঘরের দরজাটাও এমন ভাবে ভেজিয়ে রেখে এসেছিলাম যে পরিনিতা খেয়াল করলোনা বাথরুমের পাশের ওই বিশেষ দরজাটা খোলা। ও টলোমলো পায়ে ঘরে ঢুকে প্রথমে নিজের হাত ব্যাগটা খাটের ওপর ছুঁড়ে ফেললো। তারপর রুমের একবারে ভেতরের দিকে রাখা ড্রেসিংটেবিলের আয়নাটার দিকে এগিয়ে গেল। ওর পায়ের স্টেপিং দেখেই মনে হল ও এখনো কিছুটা আনস্টেডি রয়েছে। মানে ওর নেশা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
দু হাত দিয়ে ড্রেসিংটেবিলটা ধরে টেবিলের সামনে লাগানো বড় আয়নাটার দিকে মুখ করে দাঁড়ালো ও। চোখ বন্ধ করে ওখানে দাঁড়িয়ে কত গুলো বড় বড় স্বাস টানলো পরিনিতা তারপর একটু যেন ধাতস্থ লাগলো ওকে। আমার দিকে ও পেছন করে দাঁড়ালেও ভেজানো দরজাটার ফাঁক দিয়ে আয়ানাতে ওর প্রতিচ্ছবি দেখতে পাচ্ছিলাম আমি। বেশ বুঝতে পারছিলাম ববির আর ওর মধ্যে একটু আগে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা নিয়ে অসম্ভব বিচলিত পরিনিতা। ওর মুখ উত্তেজনায় একবারে টকটকে লাল , ওর চুল উস্কোসুস্কো, ওর শাড়িও বেশ খানিকটা অবিন্যস্ত হয়ে রয়েছে। পেছন থেকে ওকে দেখলেও আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছিলাম যে থেকে থেকেই নিজের অন্তর্নিহিত উত্তেজনায় হঠাৎ হঠাৎ কেঁপে কেঁপে উঠছে ও।
আজ বিকেল থেকে ঘটনা প্রবাহ যে ভাবে এগিয়েছে তাতে করে একসাথে অনেকগুলো অনুভুতি এবং অভিজ্ঞতা একসঙ্গে সামলাতে হয়েছে আজ ওকে। আর এসব সামলাতে গিয়ে ওকে এখন ভীষণ ক্লান্ত, উত্তেজিত এবং বিদ্ধস্ত লাগছিল। ওর মিষ্টি মুখে লেগেছিল নানা ধরনের মিশ্র অনুভূতির ছোঁয়া যা এর আগে আমি কখনো দেখেছি বলে মনে পরেনা। ওর মুখ দেখে কখনো মনে হচ্ছিল ববির আচরণে ও ভীষণ ক্রুদ্ধ, বিরক্ত এবং অপমানিত, কখনো মনে হচ্ছিল না এসব কিছু নয়, ও আসলে কোন একটা গভীর বিষয় নিয়ে অসম্ভব চিন্তিত, বিচলিত এবং দ্বিধাগ্রস্থ।
আবার কখনো বা ওকে দেখে মনে হচ্ছিল কামনার আগুনে জর্জরিত কামতপ্তা এক নারি, যে আপ্রান চেষ্টা করছে নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে। একবার মনে হল এই সুযোগে ওর পেছন দিয়ে ঘরে ঢুকে আবার টুক করে মেন এনট্রান্স দিয়ে বেরিয়ে পালিয়ে যাই আমি। কিন্তু আমার পা যেন আর চলতে চাইছিলনা। মন বলছিল যাসনা, এখানে চুপ করে লুকিয়ে থাক, দেখ আজ আরো অনেক কিছু দেখতে পাবি তুই। অনেক ভেবে শেষ পর্যন্ত ওই গলিতেই লুকিয়ে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম আমি। মনে মনে বোললাম যা থাকে কপালে, আজ আমি এই নাটকের শেষ দেখতে চাই।
আবার পরিনিতার দিকে চোখ গেল আমার, এবার কেমন যেন একটা চন্চলতা লক্ষ করলাম ওর আচরনে। পরিনিতার একটা হাত আস্তে আস্তে নেবে এল ওর তলপেটের দিকে। ধীরে ধীরে ওর সেই হাত ওর শাড়ি সায়ার বাঁধনের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করলো ভেতরে। ওর অন্য হাত গলা বেয়ে নেবে এল ওর বুকে তে। এর পর যা ঘটলো তা দেখে আমি স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। আমার সাথে ওর এত বছরের বিবাহিত জীবনে কোন দিন ওকে এইভাবে দেখতে পাইনি আমি। আয়ানায় প্রতিফলিত ছবি হলেও বেশ বুঝতে পারছিলাম এক হাত দিয়ে আস্তে আস্তে নিজের মাই টিপছে পরিনিতা।
ওর হাতের আঙুল মাঝে মাঝে নিজের স্তনবৃন্ত স্পর্শ করছে, এবং মাঝে মাঝে নিজের বৃন্ত দুটিকে দুই আঙুলের মাঝে নিয়ে পীড়নও করছে। আরো কয়েক মুহূর্ত পর ওকে দেখলাম নিজের পা দুটিকে বেশ কিছুটা ফাঁক করে দাঁড়াতে। তারপর ওর অন্য হাতটা হঠাৎ অদ্ভুত রকমের কাঁপতে শুরু করলো। বেশ বুঝতে পারলাম ঝড় শুরু হয়েছে ওর শাড়ি সায়ার ভেতরে। হ্যাঁ আমি ঠিকই বুঝেছি, আমার পরিনিতা এখন আঙুলি করছে ওর গুদে। দেখতে দেখতে চাপা অথচ অসম্ভব রকমের তিখ্ন একটা আর্তনাদ বেরিয়ে আসতে লাগলো ওর মুখ থেকে। উমমমমমমমমমমমমমমমমমম……। বুঝলাম, গুদে খুব আরাম পাচ্ছে আমার বউটা। আমাদের এত বছরের বিবাহিত জীবনে কোনদিন পরিনিতাকে এরকম চরম বেক্তিগত মুহূর্তে দেখতে পাইনি আমি। এ যেন আমার চেনা সেই পরিনিতা নয়, এ যেন সম্পূর্ণ অপরিচিত অন্য এক পরিনিতা।
বেশ বুঝতে পারছিলাম ববির সাথে ওর একটু আগের সেই কথপোকথন ভেতরে ভেতরে কি প্রচণ্ড কামোত্তেজিত করে ফেলেছে ওকে । একবার মনে হল এবার আমি আমার লুকোনো যায়গা ছেড়ে বেরিয়ে ঘরে ঢুকি। ঘরে ঢুকে পরিনিতার চুলের মুঠি ধরে ওকে টেনে বিছানায় নিয়ে গিয়ে উপুর করে ফেলে কুকুরের মত ঠাপাই ওর গুদে, চিতকার করে ওকে বলি আঙুলি করছিসরে কেন মাগী, তোর মরদ কি মরে গেছে নাকি? গুদে সুখ নিবি তো বলনা তোর মরদ কে, আমি…… তোর মরদ তো এখনো বেঁচে আছি। দেখনা কেমন ঠাপিয়ে ঠাপিয়ে সুখ দি তোর গুদে। অনেক কষ্টে নিজেকে সংবরণ করলাম আমি। আজ ওর এই একান্ত বেক্তিগত মুহূর্তে একজন প্রেমিক এবং স্বামি হিসেবে এ অবস্থায় আমি কিছুতেই লজ্জায় ফেলতে চাইনা ওকে। সবচেয়ে বড় কথা আমার পুরুসাঙ্গের কামনায় তো আজ ও এত উত্তেজিত নয়, ও আজ উত্তেজিত ববির সেই বিশাল পুরুষাঙ্গের কামনায়। আমাকে নয় আজ ওর যোনি চাইছে ববির সেই বিখ্যাত বিশাল পুরুষাঙ্গটির আঘাতে আঘাতে ক্ষতবিক্ষত এবং জর্জরিত হতে।
ওর যোনি চাইছে ববির পুরুষাঙ্গ, ওর স্তন চাইছে ববির হাতের স্পর্শ, ওর ঠোট চাইছে ববির মুখের চোষণ। পাশের ঘরে থাকা ববি কি জানতে পারছে না যে ও যা চেয়েছিল তাই হয়েছে। ও পেরেছে দু বাচ্ছার মা আমার এই বউটার শরীরে ও মনে কামনার আগুন ধরিয়ে দিতে। স্নেহময়ি মাতৃপ্রতিমার খোলস ছাড়িয়ে পরিনিতার মাগী শরীরটাকে বার করে আনতে। “ঊমমমমমমমমমমমমম” আবার তৃপ্তি সুখের সেই মৃদু গোঙানি বেরিয়ে এল পরিনিতার মুখ থেকে। পরিনিতার ভারি পাছা টা এক আশ্চর্য ছন্দে দোলা শুরু করেছে। রিনি রিনি রিনি রিনি সুরেলা এক শব্দ ভেসে আসছে ওর হাতের চুরিগুলোর ঘর্ষণ থেকে। পরিনিতার গভীর শ্বাস প্রশ্বাস দেখে মনে হল ওর জল খসাবার সময় আসন্ন।
তাহলে কি আমি জিতে যাব নাকি শেষ পর্যন্ত? পরিনিতা কি পারলো আমার এত দিনের ভালবাসার মান রাখতে? হারতে হারতেও শেষ পর্যন্ত কোনক্রমে সামলে নিতে পারলো নিজেকে? এযাত্রায় বোধ হয় বেঁচে গেল আমার সংসারটা। কিন্তু না। ব্যাপারটা বোধহয় এত সহজ নয়। ববির সাথে ওর ওই কথপোকথন অনেক গুলো প্রশ্ন আজ তুলে দিয়েছে আমার মনে। যার উত্তর পেলে এক লহমায় পাল্টে যেতে পারে সব কিছু।
কিন্তু দুর্দম পুরুষ ববি কি এত সহজে মেনে নিতে পারবে ওর হার। ওর শত আবেদন উপেক্ষা করেও তো পরিনিতা আজ ওর ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। আমার মন বলছে আজ যদি পরিনিতা নিজেকে কোন মতে সামলে নিতে পারে তাহলে আর ববির কোন আশা নেই। এটাই হবে পরিনিতার টারনিং পয়েন্ট। এখান থেকেই ঘুরে দাঁড়াবে পরিনিতা। ঘোর কাটিয়ে উঠবে, আমাদের এত দিনের একটু একটু করে জমান ভালবাসা, দাম্পত্য আর সুখের সংসার, আর বেহিসেবির মত খরচ করে ফেলবেনা ও। ববি ওর মনে শুধুমাত্র এক সপ্নই হয়ে থেকে যাবে। হতে পারে ড্যান্স ফ্লোরে আজ ববির ডাকে সাড়া দিয়েছিল পরিনিতা, মেতে উঠে ছিল ওর সাথে নির্লজ্জ্য নষ্টামিতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সামলে তো নিল ও নিজেকে।
অল ওয়েল দ্যাট এন্ডস ওয়েল। আমি মনে মনে ঠিক করে নিলাম হ্যাঁ আমিও ভুলে যাব সব কিছু। ববির সাথে ওর আজকের কথোপোকথন যতই সন্দেহ উদ্রেক করুক আমার মনে, যতই জন্ম দিক অনেক গুলো জটিল প্রশ্নের, সব ভুলে যাব আমি আজ থেকে। আজকে পরিনিতার এই অল্প বিচ্যুতি মেনে নেওয়া যেতে পারে, হ্যাঁ আমার টলারেন্স লেভেলের মধ্যেই ছিল ঘটনাটা। এক জন প্রেমিক, স্বামী এবং ওর দুই সন্তানের পিতা হিসেবে আজ পরিনিতাকে ক্ষমা করে দেওয়া আমার অবশ্য কর্তব্য।
হ্যাঁ ও ড্রাঙ্ক ছিল, স্মার্ট এন্ড সেক্সি ববি ওর অসাধারন সিডিউসিং পাওয়ার প্রয়োগ করে ছিল ওর ওপর। পরিনিতা হয়তো প্রথমটায় একটু ভেঁসে গিয়েছিল ওর এক্সট্র্যাঅর্ডিনারি যৌনআবেদনে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সামলে তো নিল ও। ভুললে চলবেনা ববির এই তুমুল যৌনআবেদনেই খর কুটোর মত ভেঁসে গিয়ে কত মহিলা খুইয়েছে তার সর্বশ্য। ববির বিছানায় ন্যাংটো হয়ে শুতে গিয়ে হারিয়ে ফেলেছে নিজের সম্মান, স্বামী পুত্র সবকিছু।
পরিনিতার হাতের চুরির রিনরিন শব্দ আর ওর শ্বাস নেওয়ার হাঁসফাঁস শব্দ এখন অসম্ভব বেড়ে গেছে। পরিনিতার অর্গাজমের সময় আসন্ন।আর এক দু মিনিটের মধ্যেই থর থর করে কাঁপতে কাঁপতে নিজের শরীর থেকে পাম্প করে করে, পাম্প করে করে, পরিনিতা ওর শরীর থেকে বার করে দেবে ববির বিষ। আমি জানি এই অর্গাজমের মাধ্যমেই পরিনিতার শরীর ও মন থেকে বেরিয়ে যাবে ববির প্রতি ওর কামনা, বাসনা,তৃষ্ণা, প্রত্যাশা সবকিছু । ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে ফিরবে আমার বউটা।
কিন্তু একটা জিনিস আমার মাথায় কিছুতেই ঢুকছিলনা।
ববি এত সহজে কি করে যেতে দিল ওর মুখের গ্রাস। পরিনিতাকে তো একবারে হাতের মুঠোর মধ্যে পুরে ফেলেছিল ও। আমার মত ববিও নিশ্চয়ই বুঝেছিল পরিনিতার সাথে শোয়ার আজই ছিল সবচেয়ে উতকৃষ্ট এবং আমার মতে হয়তো ওর শেষ সুযোগ। তাহলে? এত সহজে ও যেতে দিল পরিনিতাকে? আমিতো ভেবে ছিলাম পরিনিতাকে যেতে না দিয়ে, ওর দরজা দিয়ে বেরনোর আগেই, ওকে ধরে ফেলবে ববি। তারপর ওকে পাঁজাকোলা করে কোলে তুলে টেনে নিয়ে আসবে নিজের বিছানায়।
একটু জোর জবসদস্তি করেই প্রথমটায় ওর বুকের ওপর উঠে পরিনিতাকে একটু চটকাবে আর একটু চুমোচুমি করবে ববি। ববির পুরুষালি শরীরের কঠোর নিষ্পেষণে, ওর পুরুষালী যৌন গন্ধে, পৌরুষ ভরা ওর তীব্র চুম্বনে ধীরে ধীরে অবশ হয়ে আসবে আমার পরিনিতা।
নিজের শরীরের গোপন চাহিদার সাথে মনের যুক্তির কিছুক্ষণ ব্যার্থ যুদ্ধ হবে,তারপর ধীরে ধীরে একটু একটু করে হার মেনে নেবে আমার বউটা। যেমন করে ঋীতিকা বা সঞ্জনা মেনে নিয়েছিল নিজেদের হার। হয়তো ওদের মতই একবারের জন্য ওর চোখে ভেঁসে উঠবে নুপুর টুপুর আর আমার ছবি। তারপর সব অন্ধকার। আদিম হিংস্র বন্য জন্তুর মত পরিনিতা কামড়ে ধরবে ববির কাঁধ। আর ববি পাবে ওর বহুদিনের অভীষ্ট লক্ষ, পরিনিতার নরম রসালো গুদ আর ওর দু দুটো বাচ্চা খাওয়ানো নরম থসথসে মাই। ববি মুখ দিতে পারবে কচি বাচ্ছার মুখের লালা মাখানো পরিনিতার এবড়ো খেবড়ো ক্ষতবিক্ষত কাল নিপিল দুটোতে। একটু পরেই ববির কঠোর পুরুষ্টু পুরুষাঙ্গ একটু একটু করে চিঁরে চিঁরে ঢুকবে পরিনিতার গুদের নরম মাংস।ববির তৃষ্ণার্ত মুখ খুঁজে পাবে পরিনিতার বুকের সেই মধুভান্ড দুটি। একটু একটু করে চুষে চুষে ববি বের করে নেবে পরিনিতার স্তনের সেই পরম উপভোগ্য সন্তানপালনরস।
আমি জানি আজ ববি কেন হারলো। ও একটু ওভারকনফিডেন্ট হয়ে পরেছিল। ও পরিনিতাকে জোর করে ভোগ করতে চায়নি। ও চেয়েছিল পরিনিতা নিজেই থাকতে না পেরে ওকে আমন্ত্রণ জানাক নিজের শরীরে প্রবেশ করতে। কিন্তু আমার পরিনিতা তো আর ঋিতিকা বা সঞ্জনা নয় যে এত সহজে ধরা দেবে। আমার বউ অন্যরকম, একদম অন্য ধাতুতে তৈরি। কিন্তু প্রশ্ন হল পরিনিতা ওর ঘর থেকে বেরিয়ে যাবার পরও ববি চুপ করে আছে কেন। এত আহংকার ওর।
ও কি ভেবেছে যে পরিনিতা আবার ওর ঘরে ফিরে আসবে? ওর তো উচিত এসব অহংকার টহংকার ভুলে গিয়ে আরো একবার মরিয়া হয়ে চেষ্টা করা। হ্যাঁ মানছি আমার রুমে ফেরার সময় হয়ে গেছে। এসময়ে আমার রুমে আসার রিস্ক নেওয়া খুব বেশী হয়ে যাবে, কিন্তু………………?
টিং টং……… বেজে উঠলো আমার রুমের দরজার ঘণ্টিটা আর পরিনিতা চমকে উঠে থেমে গেল। ওর শরীর মিস করলো ওর সেই বহু প্রতীক্ষিত অরাগজম। পরিনিতার ভেতরে রয়ে গেল কামনা বাসনা মেশান ববির বিষ। পারলোনা পরিনিতার শরীর ববির ওই বিষ উগরে দিতে। মুহূর্তের জন্য চোখে অন্ধকার দেখলাম আমি। যাঃ হেরে গেলাম শেষ পর্যন্ত। তছনচ হয়ে গেল আমার সাজান গোছান বাগানের মত সংসারটা আর আমার ফুলের মত বাচ্ছা দুটোর ভবিষ্যৎ। আর কেউ বাঁচাতে পারবেনা আমাকে। পরিনিতার পতন আসন্ন।
তাড়াতাড়ি নিজের শাড়ি সায়া ঠিক করতে ব্যাস্ত হল পরিনিতা, ও ভেবেছে আমি ফিরে এসেছি। কিন্তু আমি জানি কে দাঁড়িয়ে আছে দরজার ওধারে। একবারে সিনেমার হিরোর মতই শেষ মুহূর্তে হবে ওর এন্ট্রান্স। ওই তো পরিনিতা কোনরকমে শাড়ি সায়া ঠিক করে টলমল পায়ে দরজা খুলতে যাচ্ছে।
বলছে -“আসছি সঞ্জিব একটু দাড়াও, আসছি”। বোকা মেয়ে, তোর বর নয় রে, তোর হিরো এসেছে আজ তোকে নিতে। দরজার ওপারে কে দাঁড়িয়ে আছে জানিস?, দাঁড়িয়ে আছে আমার মূর্তিমান যম আর তোর মূর্তিমান সুখ। হিরো এসেছেরে মাগী,হিরো। হিরো এসেছে আজ তোকে তোর হেরোর হাত থেকে উদ্ধার করতে।
দরজা খুলেই পরিনিতা একটু চমকে উঠে দু পা পিছিয়ে এল। ও ভাবতেই পারেনি যে দরজার ও পাশে ববি দাঁড়িয়ে আছে। ববি কে দেখে প্রায় আঁতকে ওঠা পরিনিতার মুখের ক্লান্ত আর হতাশাগ্রস্থ এক্সপ্রেশান দেখে মনে হল ও যেন মনে মনে বলছে “হা ঈশ্বর আবার ববি। এত কষ্ট করে নিজের শরীরের চাহিদার সাথে এমন মরনপন যুদ্ধ করে, কোন রকমে নিজের সংসার আর সতিত্ব বাঁচিয়ে ফিরে এলাম আমি, আবার সেই ববির সামনা করতে হবে আমাকে। নাঃ এবারে আর পারবোনা। আমার আর ক্ষমতা নেই ওর ওই তীব্র যৌন আকর্ষণ আর চার্মের সাথে আবার নতুন করে যুদ্ধ করে জেতার”।
ক্লান্ত পরিনিতা কোন কথা না বলে এক পা এক পা করে পেছতে পেছতে নিজের বিছানা পর্যন্ত চলে এল। ওর এই বডি ল্যাঙ্গুয়েজই আমাকে জানিয়ে দিল যে পরিনিতার মনে আর বিন্দুপাত্র ক্ষমতা নেই নতুন করে ববির সাথে লড়ার। ওর এই একপা একপা করে পিছিয়ে যাওয়া আর বিছানায় ফিরে গিয়ে ধপ করে বসে পরাতেই আমি বুঝে নিলাম যে এবারের মাইন্ড গেমে ববি ওয়াকওভার পাচ্ছে।
ইস…. পরিনিতা যদি ওর অর্গাজমটা ঠিক সময়ে পেয়ে যেত তাহলে এবারেও নিশ্চই ও আপ্রান চেষ্টা করতো আমাদের সংসারটাকে বাঁচাতে। জাস্ট কয়েক মুহূর্তের জন্য মিস হয়ে গেল ওর ওই বহু প্রতীক্ষিত অর্গাজমটা। এখন ওর ওই অতৃপ্ত যৌন আকাঙ্ক্ষাই গো হারান হারিয়ে দেবে ওকে। আর ববি বোকাচোঁদাটা পারেও বটে, ঠিক বাঞ্চোত আসল সময়ে হাজির হয়ে গেল আমার সর্বনাশ করতে। আসলে ওর দোষ নেই, যোগ্য পুরুষদের লাকও সব সময় ফেবার করে তাদের, ঠিক যেমন হেরোদের ভাগ্য তাদের এক বারে শেষ সময় ডোবায় ।
শিকারি বাঘের মত ববিও চট করে বুঝে ফেললো পরিনিতার আরায় অবস্থার কথা। আর বুঝবেনাই বা কেন? পরিনিতার শাড়ির আঁচল বুক থেকে খসে পরেছিল, ওর এলোমেলো চুল আর কোঁচকান শাড়ি জানান দিচ্ছিল যে একটু আগেই পরিনিতা কোন এক বিশেষ বেক্তিগত অবস্থার মধ্যে ছিল। আর ববি যদি কিছুক্ষণ আগে থেকেই আমাদের রুমের দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে দরজার ভেতরে কি হচ্ছে বোঝার চেষ্টা করে তাহলে ও নিশ্চই এতক্ষণে শুনে ফেলেছে হস্তমৈথুনরত পরিনিতার মৃদু আথচ তীক্ষ্ণ সেই গোঙানি। আমি জানিনা ববি সত্যি সত্যি ওকে শুনেছে কিনা কিন্তু ববির শরীরের ভাষা আমাকে জানান দিচ্ছিল যে ও পরিনিতাকে পড়ে ফেলেছে।
-“কি হল পরিনিতা, তোমার কি আবার শরীর টরীর খারাপ লাগছে নাকি”?
এই কথাটা জিজ্ঞেস করেই ববি পেছন ফিরে আমাদের রুমের দরজাটা বন্ধ করে ছিটকিনি দিয়ে দিল। তারপর দৃপ্ত পায়ে আমাদের রুমের খাটটার দিকে এগিয়ে গেল ও। ববি খাটের কাছে গিয়ে পরিনিতার পাশে বসতেই পরিনিতার হঠাৎ নজর পরলো যে ওর বুকের আঁচলটা ঠিক যায়গায় নেই আর ববি নির্লজ্জ্যর মত হাঁ করে গিলছে সেই দৃশ্য। কোনরকমে কাঁপা হাতে তড়িঘড়ি নিজের বুকের আঁচল ঠিক করে নিল ও।
ববি তড়িঘড়ি পরিনিতার আঁচল ঠিক করা দেখে ওর দিকে একটু মুচকি হেঁসে তাকালো। পরিনিতা যেন বুঝতে পারলো কি হতে চলেছে। কিন্তু ওকে সক্রিয় হবার সময় দিলনা ববি। এক ঝটকায় বাঘের শিকার ধরার মত করে বুকে জাপটে ধরলো পরিনিতাকে। তারপর বাঘ যেরকম ভাবে মরন কামড় দেয় শিকারের ঘাড়ে ঠিক সেই ভাবেই নিজের ঠোঁট চেপে ধরলো পরিনিতার ঠোঁটে।
ঘটনার আকস্মিকতা সামলে নিয়ে পরিনিতা একটু ছটফট করার চেষ্টা করলো কিন্তু ববির প্রগাড় বাঁধনের মধ্যে ওর বিশেষ কিছু করার ছিলনা। কয়েক সেকেন্ড পরে ববির মাথাটা যখন একটু নড়া চড়া করা শুরু করলো তখন বুঝতে পারলাম পরিনিতার ঠোঁট চুষছে ববি।
চোষণের সময় পরিনিতা যাতে নিজের মাথাটা নড়াতে চড়াতে না পারে সেই জন্য ববির একটা হাত ওর ঘাড়ের কাছটা শক্ত করে ধরে রেখে ছিল আর ওর অন্য হাতটা পরিনিতার পিঠে চাপ দিয়ে ওকে নিজের বুকের মধ্যে সাঁটিয়ে দিল। আমি ঘড়ি দেখলাম, পুরো পাক্কা দু মিনিট ধরে ববি চুষলো পরিনিতার ঠোঁট, জিভ। আমি যখন পরিনিতাকে ভোগ করি তখন আমিও অনেক্ষন ধরে ওর ঠোঁট চুষতে ভালবাসি। বিশেষ করে ওর ঠোঁট জোড়ার নিচের পাটির ঠোটটা। নরম নরম ফোলাফোলা ওর ওই নিচের পাটির ঠোঁটটা আমাদের এত বছরের বিবাহিত জীবনে কি আমি কম চুষেছি নাকি? চুষে চুষে চুষে এক বারে পুরু করে দিয়েছি ওর ঠোঁটটা। স্বাভাবিক ভাবে ববিও মজা পাচ্ছে ওর পুরু ঠোঁট চুষে। আর পরিনিতার মুখের গন্ধটাও খুব মিষ্টি। দিনে তিনবার করে ব্রাশ করে বলে পরিনিতার মুখে কোনদিন কোন খারাপ গন্ধ পাইনি আমি। ওর মুখের লালা টাও খুব পাতলা, একবারে জলের মত।
সবসময় পরিস্কার পরিছন্ন থাকে বলে পরিনিতার এঁটো খেতেও আমি খব ভালবাসতাম। কোন কোন দিন ওর পেটটেট ভার থাকার কারনে ঠিক মত খেতে না পারলে আমি ওর এঁটো থালা নিয়েই বসে যেতাম। ওর আধ খাওয়া মাছ বা চটকান ভাত তরকারিও খেতে অমৃত লাগতো আমার মুখে।
পরিনিতাকে ভালবাসার জালে জরাতে গিয়ে আরো একটা জিনিস করতাম আমি। কোন ফাস্ট ফুড বা কোন কেক বা কোন ভাল খাবার খাবার আগে পরিনিতার মুখে অল্প একটু দিয়ে এঁটো করিয়ে নিতাম আমি। আমার কাণ্ড দেখে বিয়ের পর প্রথম প্রথম ও আমাকে একটু রাগিয়ে দেবার জন্য বলতো “আমাকে দিয়ে খাইয়ে এঁটো করার ছলে তুমি আসলে দেখে নাও যে খাবারে কোন বিষ মেশান আছে কিনা”।
উত্তরে আমি ওকে বলতাম মোটেই নয়, তোমার এঁটো খেলে আমার হজম ভাল হয় আর মনও ভাল থাকে। পরিনিতা উত্তরে এসব আমার লোক দেখানো ঢঙ বললেও মনে মনে ভীষণ খুশি হত ব্যাপারটাতে। ওর অভ্যাস ও হয়ে গিয়ে ছিল। ঈদানিং এসব নিয়ে বহুকাল ওর সঙ্গে আমার কোন কথা হয়নি কিন্তু আমাকে পিজা বা কেক দেবার সময় এখনো দেখি একপাশটা একটু ভেঙে খাওয়া।
ববি পরিনিতার মুখ থেকে মুখ সরাতেই পরিনিতা জোরে জোরে হাঁফাতে লাগলো লাগলো। দু মিনিটের প্রবল চুম্বনে বেচারি বোধহয় শ্বাস নেয়ার সময় ও পায়নি। আমার মনে হচ্ছিল পরিনিতা যদি ববির দু গালে দুটো থাপ্পড় লাগায় তো খুব ভাল হয়। ববি কিন্তু একটুও ভয় না পেয়ে ওর দিকে একটু মিষ্টি করে হেঁসে বললো “সরি”।
-“যা খাওয়ার তো খেয়েই নিলে আর সরি বলে কি হবে”? পরিনিতা একটু বিরক্ত ভাব দেখানোর চেষ্টা করলো কিন্তু ওর গলার স্বরই বলে দিল যে পরিনিতা বিরক্ত নয়, ও বরং একটু চিন্তিত কিন্তু অসম্ভব তৃপ্ত।
-“তোমার ঠোঁট দুটো কি সুন্দর ফোলা ফোলা আর উষ্ণ পরিনিতা। আরো একবার তোমার ঠোঁট টা আমার ঠোঁটে চাই…… পরিনিতা………এস।”
ববির মুখ আবার পরিনিতার ঠোঁট লক্ষ করে এগিয়ে এল। পরিনিতা মুখটা অন্য দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে ববি কে নিরস্ত করতে চাইলো। কিন্তু ববি তো এখন ওর ঠোঁটে মুখ দেওয়ার জন্য উন্মুখ, সে কি আর এত সহজে ছেড়ে দেবে ওকে? ববি এক হাতে পরিনিতার থুতনি ধরে নিজের দিকে জোর করে ঘুরিয়ে ওর ওই মধু ঢালা ঠোঁটে চেপে ধরলো নিজের পুরুষ্টু পুরুষালী ঠোঁট দুটো। তারপর পরিনিতাকে বুকে জরিয়ে ধরে প্রান ভরে শুষতে থাকলো পরিনিতার ঠোঁটের সমস্ত উষ্ণতা।
কয়েক মুহূর্ত পরই ববি গভীরভাবে চুষতে লাগলো পরিনিতার নিচের পাটির নরম ফোলা ফোলা ঠোঁট দুটো। পরিনিতার জোরে জোরে শ্বাস নেওয়াতে বুঝলাম সেও উপভোগ করছে ববির পুরুষ্টু মোটা মোটা পুরুষালী ঠোঁট জোড়ার স্বাদ। তার মানে ওর চোষার ফাঁকে সুযোগ পেলে সমানের সমান আমার পরিনিতাও চুষে নিচ্ছে ববির মোটা মোটা ঠোঁট দুটোকে। ওদের শ্বাস নেবার ফোঁসফোঁস শব্দের সাথে এবার যোগ হল মৃদু চুকুস চাকুস শব্দ।
মানে ভালোই চুমাচাটি চলছে ওদের মধ্যে। হঠাৎ পরিনিতা আদুরে গলায় ‘উম’ করে উঠলো, বুঝলাম ববির জিভ পরিনিতার মুখের ভেতর ঢুকে পড়ে পরিনিতার জিভ কে বলছে আয় খেলবি আয়। প্রায় মিনিট দুয়েক নিবির চুম্বনের পর অবশেষে থামলো ওরা। ববি পরিনিতার ঠোঁট দুটো থেকে একটু সরিয়ে নিল নিজের মুখ। তারপর প্রায় একসঙ্গেই দুজনে মুখটা একটু ফাঁক করে নিজের জিভ দুটোকে বাইরে আনলো। সাপের মত লকলকে ওদের জিভ মুখের বাইরেই লকলকিয়ে একে অপরের সাথে জড়াজড়ি করতে লাগলো। প্রায় আধ মিনিট ধরে চললো ওদের এই খেলা। তারপর পরিনিতা হঠাৎ থেমে গিয়ে একটু শব্দ করে ‘ফিক’ করে হাসলো। বললো -“যাও, অনেক হয়েছে দুষ্টুমি, এবার ছাড় আমাকে”।
-“না ছারবো না”। ববি অবুঝ গলায় বলে উঠলো।
-পাগলামি করোনা ববি, তুমি আমাকে কথা দিয়েছিলে আমরা এসব থামাবো। দিল্লিতে এসে কিন্তু তুমি কেমন যেন একটু খ্যাপাটেপনা কোরছো।
-“তোমার জন্য আমি রাতে ঠিক মত ঘুমতে পারছিনা পরিনিতা”।
-“পাগলামি কোরনা ববি, যাও এবার নিজের ঘরে যাও। সঞ্জিব এখুনি হয়তো চলে আসবে। ওর আসার সময় হয়ে গেছে।“
-“আসুক……… আজ আর আমি কারুর তোয়াক্কা করি না পরিনিতা, আজ তোমাকে আমার চাইই চাই”।
-“ববি আমাকে ছেড়ে দাও প্লিজ, আমার ভীষণ ভয় করছে”।
ববি পরিনিতাকে বুকে জরিয়ে ধরে, পরিনিতার কানের নিচে, ঘাড়ের পাশটাতে মুখ ঘষতে শুরু করলো। ঘাড়ের পাশের ওই সেনসিটিভ যায়গাটাতে ববির মুখের ছোঁয়া পরিনিতা কে ধীরে ধীরে অবশ করে দিতে লাগলো। দেখতে দেখতে ওর কথাও জরিয়ে যেতে লাগলো। ওকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ও যে ববিকে অনুরোধ করছিল সেটা তো বুঝতে পারছিলাম, কিন্তু কি যে অনুরোধ করছিল সেটা বুঝতে পারছিলাম না।
ববি এবার পরিনিতার ঘাড়ে মুখ ঘষার সাথে সাথে ওর গালে, কপালে, কানের লতিতে আর ঠোঁটে ছোট ছোট চুমুর বৃষ্টি ঝরাতে লাগলো। ববি যখন বুঝলো পরিনিতা মোটামুটি অবশ হয়ে এসেছে তখন ও আস্তে আস্তে নিজের শরীরের ভারটা পরিনিতার ওপর ছেড়ে দিতে লাগলো। স্বাভাবিক ভাবেই পরিনিতাও ববির ভার সামলাতে না পেরে ধীরে ধীরে বিছানায় হেলে পরলো। কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিনিতার বুকের ওপর প্রায় চড়ে বসলো ববি। পরিনিতা এবার বুঝতে পারলো কি ঘটতে চলেছে। কাতর গলায় ও ববিকে অনুনয় বিনয় করে যেতে লাগলো ওকে ছেড়ে দেবার জন্য।
-“ববি তোমার পায়ে পড়ি, আমায় ছেড়ে দাও, আমার দু দুটো বাচ্চা রয়েছে ববি”।
-“আমি তোমার বাচ্চা তোমার কাছ থেকে কেড়ে নিচ্ছিনা পরিনিতা। বরং আমি দেখতে পাচ্ছি অদুর ভবিষ্যতে তোমার শরীরে আবার বাচ্চা আসতে চলেছে পরিনিতা।আমার বাচ্চা। আমার আর তোমার ভালবাসার বাচ্চা”।
-“উফ মাগো আমি এবার মরে যাব”। পরিনিতা ককিয়ে উঠতেই আমি ভাল করে ওদের দিকে তাকালাম।
হায় ভগবান এরই মধ্যে পরিনিতার মাই টিপতে শুরু করেছে ববি। পরিনিতার গালে নিজের মুখ ঘষতে ঘষতে ববি আবার বলে উঠলো –“বল পরিনিতা বল, নেবেনা তুমি আমার বাচ্চা? দু দু বার তুমি সঞ্জিবের বাচ্চা নিয়েছ, এবার আমার বাচ্চা নেবার পালা।
-ববি আমার মাই দুটো অমন ভাবে টিপনা, মাই টিপলে আমি একদম থাকতে পারিনা।
“বোকা মেয়ে কোথাকার…… ববি চায় না তুমি থাকতে পার, ও চায় তুমি ভেঁসে যাও” মনে মনে বোললাম আমি। কিন্তু একটা জিনিস আমার খুব আশ্চর্য লাগছে। ববি আর পরিনিতার প্রথম সঙ্গমেই বাচ্চার কথা আসছে কেন? মিলনের সময় পেটে বাচ্চা আসার কথা শুনলে বেশির ভাগ মেয়েই একদম ঘাবড়ে যায়। ববির মত পাকা খেলোয়াড় এরকম ভুল তো করার কথা নয়। মনে হল কিছু একটা যেন মিস করে জাচ্ছি আমি।
ববি পরিনিতাকে কিস করে করে আর ওর মাই টিপে টিপে ওকে একদম পাগল করে দিল। ববির মুখে সেই এক কথা, “কি পরিনিতা বল? নেবে না আমার বাচ্চা? আমি যে তোমার ভরা পেট দেখবার জন্য একবারে পাগোল”।
ববি ওর মুখ গুঁজে দিল পরিনিতার বগলে। তারপর বুক ভরে টেনে নিল আমার নুপুর টুপুরের মার মা-শরীরের বগলে জমা সেই তীব্র কুট মাগী মাগী গন্ধ। “উমমমমমমমম” ববির মুখ থেকে বেরিয়ে এল পরিতৃপ্তির শব্দ। ববির মুখ চেপে বসলো পরিনিতার মাই এর বোঁটায়। পরিনিতার এবড়ো খেবড়ো নিপিলটাতে জিভ বোলাতে লাগলো ও। একই সঙ্গে লোভাতুর দৃষ্টিতে ববি হাঁ করে গিলছিল দু সন্তানের জননী আমার পরিনিতার অন্য স্তনের আর একটি ক্ষত বিক্ষত এবড়ো খেবড়ো কালো নিপিল।
-“না ববি না, প্লিজ না, আমি মরে যাব, না, ববিইইইইইইইইইই” পরিনিতা হঠাৎ এমন ভাবে চিতকার করে উঠলো যেন ওর বুকে কেউ ছুঁড়ি ঢুকিয়ে দিয়েছে। আসল ব্যাপারটা হল ববির মুখ এখন পরিনিতার মাইতে গোঁজা। হ্যাঁ পরিনিতার মাই খাচ্ছে এখন ববি। ওর মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে বেশ হার্ড সাকিং দিচ্ছে ও পরিনিতার ডান মাইএর নিপিলে। পরিনিতা এদিকে কাটা পাঁঠার মত ছটফট করছে। কিন্তু ববির দুই শক্ত হাত আর ওর শরীরের ভার পরিনিতাকে একদম সাঁটিয়ে রেখেছে বিছানার সাথে। পরিনিতা শুধুমাত্র ওর মাথাটাই একবার এদিকে একবার ওদিকে করতে পারছে। তীব্র সুখে, আনন্দে, তৃপ্তিতে চোখে এখন অন্ধকার দেখছে ও।
হায় ভগবান আমি ভেবেছিলাম পরিনিতাকে শুধুমাত্র এক্সাইট করার জন্য ববি সাক করছে পরিনিতার নিপিল, আসলে মোটেই তা নয়। ববি সিরিয়াসলি পরিনিতার ব্রেস্ট মিল্ক নিচ্ছে। পরিনিতার বিড়বিড়ানি এবার স্পষ্ট শুনতে পেলাম।–“ববি প্লিজ ওখানটা ছেড়ে দাও, ওখান টা আমার বাচ্ছাটা এখনো খায়। ওখানটায় এঁটো কোরনা, ওখানটা এখন বড়দের খেতে নেই ববি”। ববির কানে এসব কথা যাচ্ছে বলে মনে হল না। ওর মুখটা এখন পরিনিতার মিনিতে ছোট ছোট ধাক্কা দিয়েই যাচ্ছে। ছাগল ছানারা যেমন ছাগলী মায়ের দুধের বাঁটে মুখের সাহায্যে ছোট ছোট ঠাপ দিয়ে দিয়ে মা কে দুধ বার করতে বাধ্য করে সেরকমই ববি এখন ব্যাস্ত পরিনিতার দুধ দুইতে।
মেয়েদের বুকের দুধ একবারে পাতলা স্বাদহীন হলেও অনেক পুরুষেরই মতে পরস্ত্রীর বুকের দুধ ঠিক অমৃতর মতই উপভোগ্য। আসলে ব্যাপারটার মধ্যে অনেক পুরুষই একটা অদ্ভুত মেন্টাল স্যাটিসফ্যাকশান পায়। খুব কম লোকের জীবনেই অবশ্য সত্যি সত্যি এই চরম ফ্যান্টাসি পুরনের সুযোগ ঘটে।
একটি নারী ও তার স্বামীর নিয়মিত মিলনের ফলে উৎপন্ন তাদের আদরের বাচ্ছার মুখের দুধ সেই নারীটিকে পটিয়ে তার স্তন থেকে চুষে চুষে বের করে নেবার পর মনে নাকি একটা অদ্ভুত বিজয়ের স্বাদ পাওয়া যায়। অনেকে এসব পারভারসান বলে নাক সিঁটকালেও একটা সত্তি কথা ভাবুন তো ভাই, ট্রেনে বাসে কোন সুন্দরী গৃহবধুর বড় বড় মাই দেখলে আমরা কি মনে মনে ভাবিনা “মাগীটার মাই দুটো কিন্তু খাসা। ওর স্বামীটা নিশ্চই খুব আরাম নেয় মাগীর মাই টিপে টিপে। একবার যদি ও দুটো কে হাতে পাই তো শালা টিপে টিপে একবারে লাল করে দেব”। মুখে এমন ভাব দেখাই যেন ভাজা মাছটি উলটে খেতে পারিনা অথচ মনে মনে এই সব ভেবে চলি।
ট্রেনে বাসে ছেলে কোলে কোন নারী কে বুকের দুধ খাওয়াতে দেখলে তো আমরা মনে মনে ভাবি “উরি শালা মাগীটার মাইতে এখনো দুধ আছে”? টেরিয়ে টুরিয়ে আড় চোখে দেখতে চেষ্টা করি যদি মাগীর মাইটার বোঁটাটা একবার একপলকের জন্য হলেও দেখা যায়। মনে মনে কামনা করি “ঈশ একবার যদি মাগীকে বাগে পাই তো পেট ভরে খাব খানকিটার বুকের দুধ”, অথচ মুখে ভদ্রতা দেখিয়ে সিট ছেড়ে দি। আর সেখানে ববির মত মাগিবাজ পুরুষ পরিনিতার দুধ না খেয়ে ছাড়বে এটা আশা করা অন্যায় ছাড়া আর কিছু নয়।
একটু পরেই, বেশ কবার পাল্টা পালটি করে পরিনিতার মাই টানার পর, পরিনিতার বুকের দুধ বোধহয় একবারে খালি করে ফেললো ববি। পরিনিতার মাই থেকে যখন ও মুখ তুললো তখন দেখলাম ওর মুখে লেগে আছে এক অদ্ভুত তৃপ্তি মাখা বিজয়ের হাঁসি। আর কি?…… মাগীর মাই দুটোই যখন দখল করা হয়ে গেল তখন তার দু পায়ের ফাঁকের দখল নেওয়াতো শুধু সময়ের অপেক্ষা।
ববি আবার মুখ ঘষতে শুরু করলো পরিনিতার মুখে। মাই খাওয়ানোর তীব্র সুখের আবেশে পরিনিতা তখন কেমন যেন বেশ নেতিয়ে মত পরেছে বলে মনে হল। ববি অল্পক্ষণেই বুঝতে পারলো পরিনিতা সেইভাবে রেস্পন্ড করছেনা, ও কেমন একটা ঘোরের মধ্যে আছে। ওর আচ্ছন্ন ভাবটা কাটানোর জন্যই বোধহয় ববি হঠাৎ পরিনিতার মাই এর একটা বোঁটা দুই আঙুলের মধ্যে নিয়ে চটকাতে লাগলো। “ঊমমমমমম”, সঙ্গে সঙ্গে রেস্পন্ড করলো পরিনিতা। ববি এবার পরিনিতার মুখে মুখ ঘষা ছেড়ে ওর দুই মাই দুই হাতে খামচে ধরে ওর বোঁটা দুটোতে পাল্টা পালটী করে অন্তত খান বিশেক চুমু খেল। এবার পুরপুরি রেস্পন্ড করা শুরু করলো পরিনিতা কারন ববির প্রত্যেক টা চুম্বনের সাথে সাথে ওর পেটটা তিরতির করে কাঁপতে দেখলাম আমি। এ ব্যাপারটাও ববির নজর এড়ালো না।
ববির মুখ এবার পরিনিতার গলা বুক বেয়ে ঘষ্টে ঘষ্টে নেবে এল ওর সুগভীর নাভি ছিদ্রটার কাছে। ববির মুখ ওর নাভি ছিদ্রটার ওপর চেপে বসতেই বুঝলাম ওর জিভ নেবে পরেছে ছিদ্রের ভেতরে তার গভীরতা মাপতে। ববির জিভ ওখানটায় অল্প একটু লেহন করতেই পরিনিতার শরীরটা ধনুকের মত বেঁকে উঠলো। ববি একটু হেঁসে পেট ছেড়ে আবার পরিনিতার ঠোঁটে ছোট ছোট চুমু দিতে লাগলো। তবে ওর হাত এবার এগিয়ে গেল ওর আসল লক্ষে। পরিনিতার পেটের শাড়ি সরিয়ে ওর হাত খুঁজতে লাগলো পরিনিতার সায়ার দড়ির গিঁট।
-“কি করছো কি তুমি?” পরিনিতার ফ্যাসফ্যাসে আতঙ্কিত গলার স্বর শুনতে পেলাম। পরিনিতার ঠোঁটে চুমু দেওয়া বন্ধ করে ববি ওর দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হেঁসে বোললো –“তোমার সায়াটা একটু খুলছি”।
-“কেন?” পরিনিতা উত্তরটা জানলেও অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো ববি কে।
“-বাঃ সায়া না খুললে তোমায় করবো কি করে?” দৃপ্ত কণ্ঠে স্পষ্ট উত্তর দিল ববি।